Connect with us

তথ্য-প্রযুক্তি

গুগল ম্যাপে বাড়ি-গাড়ি ব্লার করবেন যেভাবে!

Avatar of author

Published

on

গুগল

গুগল ম্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো শহর, রাস্তাঘাট, বাড়ি, রেস্তোরাঁ স্মার্টফোনে খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের অনেকেই এই অ্যাপের সুবিধা নিয়ে থাকেন।

সম্প্রতি অ্যাপে যোগ হয়েছে নতুন স্ট্রিট ভিউ ফিচার। যেখানে ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে এলাকার মধ্যে কী কী দোকান রয়েছে, গাড়ি পার্কিং, রাস্তার নাম ইত্যাদি সব দেখা যায়। তবে অনেক মানুষ এই ভিউ দেখে উপকৃত হলেও এর ফলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সারা দুনিয়ার কাছে উন্মুক্ত হয়ে যাবে। যেমন বাড়ির ছবি, গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ইত্যাদি। অনেকেই নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গুগল ম্যাপে বাড়ির সুনির্দিষ্ট তথ্য রাখতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন না।

সুখবর হচ্ছে ইচ্ছা করলেই ম্যাপ থেকে আপনার বাড়ির ছবি ঝাপসা বা ব্লার করে দেয়া যায় এবং গুগল স্ট্রিট ভিউ থেকেও বাড়ির তথ্য লুকিয়ে রাখা যায়। গুগলের অফিসিয়াল সাপোর্ট পেজ অনুযায়ী স্ট্রিট লেভেল যে ছবিগুলো থাকে তাতে অটোমেটিক্যালি ব্যক্তিগত তথ্য ঝাপসা হয়ে যায়।

কেন বাড়ির ছবি ঝাপসা করা উচিত?

এটি সাধারণত করা হয় নিরাপত্তার কারণে। তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারের ফলে জীবনের নানা ক্ষেত্রেই ঝুঁকি বেড়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো ব্যাপারে খুব সহজেই তথ্য পাওয়া যায় যা অনেকের জন্যই নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে।

Advertisement

ম্যাপ বা স্ট্রিট ভিউতে আপনার বাড়ির ছবি দেখে চোর কিংবা ডাকাত আপনার বাড়িতে চুরি বা ডাকাতি করার পরিকল্পনা করতেই পারে। এমন কী চুরি শেষে সেখান থেকে বের হওয়ার সবচেয়ে রাস্তাও আগে থেকে চিহ্নিত করে রাখতে পারে। যেহেতু ম্যাপে অনেক সময়ই বাড়ির ভেতরের আঙ্গিনা, এমন কী বাসার ভেতরের ছবিও থাকে তাই এ ধরনের ঝুঁকি কিছুটা হলেও থেকেই যায়।

এজন্য অনেক পরিবার ম্যাপে তাদের বাড়ির ছবি ঝাপসা করে রাখে। চাইলে ম্যাপ থেকে বাড়ির তথ্য মুছেও ফেলতে পারেন।

যেভাবে করবেন

যদি সিদ্ধান্ত নেন গুগল ম্যাপ থেকে আপনার বাড়ির ছবি মুছে ফেলবেন, তাহলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

১. কম্পিউটার থেকে গুগল ম্যাপ খুলুন। দুঃখজনকভাবে এই কাজটি মোবাইল অ্যাপ থেকে করা যাবে না। এজন্য আপনাকে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের ব্রাউজার থেকে গুগল ম্যাপ ওপেন করতে হবে।

Advertisement

২. ম্যাপে বাড়িটি খুঁজে বের করুন। হয়তো বাড়ির ছবি আসতে পারে। ছবিতে ক্লিক করুন। এবার আপনার বাড়ির স্ট্রিট ভিউ দেখতে পাবেন। অথবা স্ক্রিনের একদম ডান পাশে নিচের দিকে হলুদ রঙের মানুষের আইকনে ক্লিক করেও স্ট্রিট ভিউ ওপেন করতে পারবেন।

৩. ‘রিপোর্ট এ প্রবলেম’ বাটনে ক্লিক করুন। স্ক্রিনের নিচের দিকে ডান পাশে কোনায় এই বাটনটি আছে।

৪. এবার কোন অংশটি ব্লার বা ঝাপসা করতে চান, সেটি নির্বাচন করুন। স্ক্রিনে লাল-কালো রঙের একটি বক্স আসবে এবং যে অংশটি ঝাপসা করতে চান, সেই অংশটিকে বক্সের মধ্যে রাখতে হবে।

৫. এবার আপনি কী ঝাপসা করার আবেদন করছেন, তালিকা থেকে সেটি নির্বাচন করুন। এখানে আপনার মুখাবয়ব, বাড়ি, গাড়ি, গাড়ির নম্বরপ্লেট, ইত্যাদির একটি তালিকা আছে। আপনি যা ঝাপসা করতে চান, সেটি নির্বাচন করুন। নির্বাচন করার পর কেন ঝাপসা করার জন্য আবেদন করছেন, তার কারণ বর্ণনার জন্যে একটি বক্স থাকবে। সেখানে আপনি বিস্তারিত বর্ণনা লিখতে পারেন অথবা শুধু ‘নিরাপত্তাজনিত কারণ’ লিখতে পারেন।

৬. একটু স্ক্রল করে নিচের দিকে নামলে ইমেইল ঠিকানা দেওয়ার ঘরে আপনার ইমেইল দিন এবং ক্যাপচা ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন। এবার সাবমিট করুন।

Advertisement

আপনাকে একটি ইমেইলের মাধ্যমে জানানো হবে আবেদনটি জমা হয়েছে। পরবর্তীতে গুগল আপনার আবেদনটি গ্রহণ করেছে নাকি বাতিল করেছে, তাও ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে।

টিআর/

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

তথ্য-প্রযুক্তি

বন্ধ হচ্ছে না ২৮ হাজার মোবাইল সেট: পলক

Published

on

পলক

২৮ হাজার মোবাইল সেট বন্ধ করে দেয়া হবে তথ্যটি সঠিক নয়। আমাদের এ ধরনের কোন পরিকল্পনাও নেই। জানালেন ডাক ও টেলি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা, অপপ্রচার ও গুজব প্রতিরোধে এমপি-মন্ত্রীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাইটগুলো ভেরিফিকেশন প্রয়োজন। তবে কেউ চাইলে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করা হবে। গ্রাহক সেবা সঠিকভাবে দিতে না পারলে, লাইসেন্স গাইডলাইনে যেসব সাজার বিধান আছে, তা মোবাইল কোম্পানিগুলোর ওপর প্রয়োগ করা হবে।

জুনায়েদ আহমেদ পলক জানান, দেশে বর্তমানে ১৭টি কারখানায় মোট চাহিদার ৯৭ শতাংশ মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদিত হচ্ছে। দেশে মোবাইল গ্রাহক ১৯ কোটি ১৩ লাখের বেশি। ইন্টারনেট গ্রাহক ১৩ কোটি ৩৫ লাখ।

তিনি আরও জানান, আগামী ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল উদ্ভাবন: টেকসই উন্নয়ন।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

তথ্য-প্রযুক্তি

অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু

Published

on

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

গেলো ২ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

এ সিদ্ধান্তগুলো হলো- ১) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে ২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না ৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না ৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরণের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ৫) বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ৬) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত অন্য কোন চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না ৭) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোন ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত নিজস্ব কোন অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোন উপায়ে কোন চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না ৮) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোন ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীগণ ব্যতিত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না ৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে এবং ১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গেলো বৃহস্পতিবার (২ মে) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

টিআর/

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

এক দশকের মধ্যে বিলুপ্ত হবে স্মার্টফোন

Published

on

স্মার্ট-ফোন

বর্তমানে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যেই  নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবে জরুরি এ ডিভাইসটি। তখন এটি আর মানুষের হাতে হাতে দেখা যাবে না। কথাটা শুনে অদ্ভুত একটা মানসিক ধাক্কা লাগলেও সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন।

তিনি বলেন, শেষপর্যন্ত আমরা যেটা চাই, সেটা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট। যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে। আর সেই কারণেই আমাদের পকেটে থাকে স্মার্টফোন । কিন্তু আজ থেকে ১০ বা ১৫ বছরের মধ্যেই আমাদের আর স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে না। তখন এসে যাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাসেস।

বিজ্ঞানী লেকুনের দাবি, ওই বিশেষ ধরনের চশমা আর ব্রেসলেটই সব কাজ করে দেবে। কল্পবাস্তবের জগতে চলাফেরা করতে কোনো সমস্যাই হবে না। ফলে স্মার্টফোনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে।

লেকুনই প্রথম এমন বললেন তা নয়। এর আগে নোকিয়ার সিইও পেক্কা লান্ডমার্ক ২০২২ সালেই বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। বরং শরীরেই বসানো থাকবে নানা যন্ত্র!

উল্লেখ্য, বছরের শুরুতেই ‘অসাধ্য সাধন’ করেছে ধনকুবের এলন মাস্কের সংস্থা নিউরালিঙ্ক। মানব মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে একটি ‘ব্রেন ইন্টারফেস’ অর্থাৎ চিপ। যা মানব মস্তিষ্কের সাথে কম্পিউটারের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। সেই ব্যক্তি তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন! নিত্যনতুন উদ্ভাবনে আগের সবকিছুকেই টেক্কা দিচ্ছে এই ‘ব্রেন ইন্টারফেস’। ফলে স্মার্টফোনের অবলুপ্তি সংক্রান্ত এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে উড়িয়ে দিতে পারছে না কেউ।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত