Connect with us

আন্তর্জাতিক

শিয়া মাজারের কাছে বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ৬

Avatar of author

Published

on

পবিত্র আশুরার একদিন আগে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণে শিয়া মাজারের কাছে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ২০ জনেরও বেশি মানুষ।

গেলো বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) এই হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। সিরীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

বিস্ফোরণস্থলের কাছাকাছি অবস্থিত এই মাজারটিতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নাতনি ও ইমাম আলীর কন্যা সাইয়েদা জয়নাবের কবর রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে শুক্রবার আশুরা পালিত হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণে একটি শিয়া মুসলিম মাজারের কাছে বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ছয়জন নিহত এবং ২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

Advertisement

সাইয়েদা জয়নাবের মাজারের কাছে একটি ট্যাক্সির পাশে মোটরসাইকেলে বিস্ফোরণ ঘটে। এটি সিরিয়ার সবচেয়ে বেশি পরিদর্শন করা শিয়া তীর্থস্থান এবং এটিকে ‘সন্ত্রাসী বোমা হামলা’ বলে অভিহিত করেছে মন্ত্রণালয়।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এর আগে জানায়, ‘অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা আগে থেকেই বোমা’ রাখার পর সেখানে বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে। আল জাজিরা অবশ্য বিস্ফোরণে হতাহতের পরিসংখ্যান এবং সেখানকার পরিস্থিতি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।

৩৯ বছর বয়সী সরকারি কর্মচারী ইব্রাহিম বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি এবং পরে লোকেরা দৌড়াতে শুরু করে। তারপর ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স আসে এবং নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটি ঘিরে ফেলে।’

লন্ডন-ভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে সিরিয়ায় সংঘাত চলছে এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রধান মিত্র ইরানি মিলিশিয়াদের অবস্থানের কাছেই ওই বিস্ফোরণটি ঘটেছে।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

আন্তর্জাতিক

ইরান সীমান্ত রক্ষাবাহিনীর গুলিতে ৪ পাকিস্তানি নিহত

Published

on

গুলি

পাকিস্তানীদের বহন করা একটি গাড়িতে ইরানের সীমান্ত রক্ষাবাহিনীর গুলিতে চারজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পাকিস্তানের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। আরব নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এর আগে, বুধবার (২৯ মে) পাকিস্তানের বেলুচিস্তান রাজ্যের মাসকেল গ্রামের সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

রাজ্য সরকার প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাহেবজাদা আসফান্ড বলেন, ইরানের সীমান্ত রক্ষাবাহনী কী কারণে ওই গাড়িতে গুলি চালিয়েছে তা জানা যায়নি।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, নিহত চারজনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Advertisement

এ বিষয়ে পাকিস্তান এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

দুই দেশের নিরাপত্তাবাহিনী এই অঞ্চলে চোরাচালান এবং অন্যান্য অপরাধের জন্য প্রায়ই অপারেশন পরিচালনা করে। এ বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ইরানের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় এতে নয়জন নিহত হয়। ইরানও পাকিস্তান সীমান্তে প্রায় এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

মিসর-গাজার পুরো সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ নিলো ইসরায়েল

Published

on

ইসরায়েল-হামলা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড ও মিসর সীমান্তের মধ্যকার কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। সীমান্ত বরাবর অবস্থিত এই এলাকাটি একটি বাফার জোন এবং এটি ফিলাডেলফি করিডোর নামে পরিচিত। এই অঞ্চলটি দখলে নেয়ার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সমগ্র স্থল সীমান্তের ওপর কার্যকর কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ পেল ইসরায়েল।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ও বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (২৯ মে) দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা ভূখণ্ড এবং মিসরের মধ্যে সীমান্ত বরাবর অবস্থিত একটি বাফার জোনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সমগ্র স্থল সীমান্তের ওপর কার্যকর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করল ইসরায়েল।

বুধবার রাতে ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সরু ফিলাডেলফি করিডোরের ‘অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণ’ নিয়ে নিয়েছে। মিসর এবং গাজার মধ্যে অবস্থিত এই বাফার জোনটি ১৯৭৯ সালের ইসরায়েল এবং মিসরের মধ্যে শান্তি চুক্তির অংশ হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক দিনগুলোতে, আমাদের বাহিনী ফিলাডেলফি করিডোরের অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।’

Advertisement

ওই মুখপাত্র বলেছেন, সেখানে তারা এমন বিশটির মতো টানেল খুঁজে পেয়েছে যা হামাস অস্ত্র চোরাচালানের কাজে ব্যবহার করতো।

যদিও মিসরীয় টেলিভিশনে একটি সোর্সকে উদ্ধৃত করে এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাতে নিজেদের সামরিক অভিযানের যৌক্তিকতা বোঝানোর চেষ্টা করছে।

মূলত ইসরায়েলের ঘোষণাটি এমন সময় এলো যখন মিসরের সাথে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র এই করিডোরকে হামাসের ‘লাইফ লাইন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তার দাবি, এই পথে হামাস নিয়মিত গাজা উপত্যকায় অস্ত্র আনার কাজ করে। তিনি বলেন, সৈন্যরা ‘অনুসন্ধান করে দেখছে …. এবং ওই এলাকার টানেলগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত করার’ কাজ করছে।

যদিও সবগুলো টানেল মিসরের সাথে গিয়ে যুক্ত হয়েছে কি না তা তিনি নিশ্চিত নন বলে ওই মুখপাত্র পরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

Advertisement

এদিকে মিসরের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রকে উদ্ধৃত করে আল কাহেরা নিউজ বলেছে ‘রাজনৈতিক কারণে যুদ্ধকে প্রলম্বিত করা এবং ফিলিস্তিনি শহর রাফাতে অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য ইসরায়েল এসব অভিযোগ ব্যবহার করছে।’

প্রসঙ্গত, তিন সপ্তাহ আগে ইসরায়েলি সেনারা হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে রাফা ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর মিসর ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এর আগে চলতি সপ্তাহে রাফার কাছে সীমান্ত এলাকায় মিসর ও ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনায় এক মিসরীয় সৈন্যের মৃত্যু হয়।

মিসর ফিলিস্তিনের শক্তিশালী সমর্থক এবং গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান এবং বিপুল সংখ্যক বেসামরিক নাগরিককে হত্যার ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে।

উল্লেখ্য, ফিলাডেলফি করিডোর একটি বাফার জোন বা নিরাপদ অঞ্চল, যা মাত্র একশ মিটার প্রশস্ত। আর মিসর সীমান্ত থেকে গাজার দিকে ১৩ কিলোমিটারের মতো। মিসর এর আগে বলেছে, তারা আন্তঃসীমান্ত (উভয় সীমান্তের সাথে সংযুক্ত) টানেলগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। এর ফলে এগুলোর মাধ্যমে অস্ত্র চোরাচালান অসম্ভব।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

উত্তর আমেরিকা

রাইসির মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাবে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রের বয়কট

Published

on

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। তবে জাতিসংঘের শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্র নিয়ম অনুযায়ী সাধারণ পরিষদে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাতে মিলিত হবে। এরপর রাইসিকে নিয়ে তারা বক্তৃতা দিবেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

নাম না প্রকাশের শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, ‘আমরা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রাইসিকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছি না।’

তবে এ বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি মিশন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসকে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ীর উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

Advertisement

গেলো ১৯ মে আজারবাইজান সীমান্তে একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, জাতিসংঘের উচিত ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়ানো। তাদের ওপর দমন পীড়ন করা কোনো নেতার স্মৃতিচারণ করা উচিত হয়।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত