আর্কাইভ থেকে জাতীয়

আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইর: প্রধানমন্ত্রী

আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইর: প্রধানমন্ত্রী
‘খালেদা জিয়া বলেছিলেন ১০০ বছরেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে পারবে না। আমার কথা বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা বিরোধীদলের নেতাও হতে পারবো না। এখন কি হলো? আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইর।’ বললেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সকাল বাংলাদশে কৃষকলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্য স্বেচ্ছায় রক্তদান র্কমসূচি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনই প্রতিশোধের রাজনীতি করে না। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে সবাই যার যার স্বাধীন মতো রাজনীতি করবে। কারো কথায় আওয়ামী লীগ পালায় না। পালিয়ে যাওয়ার রাজনীতি করে বিএনপি। জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে। কিন্তু পারেনি। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। বিদেশে পাচার করেছে। সম্পদের পাহাড় গড়েছে। আমার প্রশ্ন, এতো টাকা আসে কোথা থেকে? একেক মিটিংয়ের খরচ কোথা থেকে আসে ? তারেক রহমান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুচলেকা দিয়েছে যে আর কোনদিন রাজনীতি করবেনা। ২০০৭ সালে মুচলেকা দিয়ে দেশত্যাগ করেছিল তারেক জিয়া। সেই পলাতক আসামি বলে, আমরা নাকি পালানোর পথ খুঁজে পাবো না। আরে তোরা তো পালিয়ে আছিস! পলাতক আসামির মুখে এত বড় কথা আসে কোথা থেকে? প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকার ঘোষণা দিয়ে দেড়মাসও থাকতে পারেনি। পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলো বিএনপি। ২০০৬-এর নির্বাচনে ১ কোটি ৩০ লাখ ভূয়া ভোটার দিয়ে ভোট চুরি করায় ইলেকশন বাতিল হয়ে গিয়েছিলো। তাদের মুখে এতো বড় কথা আসে কিভাবে?  অবশ্য একটা প্রবাদ আছে চোরের মার বড় গলা।’ শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ কোনো দিন পালায়নি। জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া চেষ্টা করেও শেষ করে দিতে পারেনি আওয়ামী লীগকে। তাদের দোসর জামায়াত, এতকিছু করেও তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। শেখ হাসিনা জানান, স্বাধীনতাবরিোধীরা এখনো দেশ বিরোধী চক্রান্ত করছে। তবে দেশের মানুষ কোনো চক্রান্ত মেনে নেবেনা। তিনি বলেন, ৭১ এর ধ্বংসস্তূপ থেকে দাঁড়িয়েই জাতির পিতা এ দেশ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ করেছেন। মাত্র তিন বছরের মাথায় তাকে বিদায় নিতে হল। তার ইতিহাসটুকুও মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। ১৫ আগস্টের সময় আমি এবং আমার ছোটবোন বিদেশে ছিলাম। জিয়াউর রহমান আমাদের আসতে বাধা দিয়েছে। রেহানার পাসপোর্টটাও রিনিউ করে দেয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৮১ সালে আমার অবর্তমানে আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে। আমরা অনেক বাধা অতিক্রম করে দেশে ফিরে আসি। জিয়াউর রহমান আমাদের ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। আমরা যে আমার মা-বাবা, ভাই বোনের জন্য দোয়া করব, মোনাজাত করবো সে সুযোগটাও দেয়নি। রাস্তার ওপর বসেই আমার মা-বাবার জন্য দোয়া পড়তে হয়েছিল। সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশের যে কোন মানুষ তার আপনজন খুন হলে বিচার চায়, আর আমরা যারা ১৫ আগস্ট আপনজন হারিয়েছি, আমাদের বিচার চাওয়ার কোনো অধিকারই ছিল না। মামলা করার অধিকার ছিল না। খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসের চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের মুখে বড় বড় কথা আমরা নাকি পালানোর পথ পাবো না। তারা আমাদের নেতাকর্মীদের নামে অসংখ্য মামলা করেছে, অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। গ্রেনেড হামলা করেছে। আমরা তো প্রতিশোধ নেইনি। এক ভাগ প্রতিশোধ নিলেও তাদের হদিস পাওয়া যেত না। আমরা প্রতিশোধ নেইনি কারণ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আল্লাহর | মাইর | দুনিয়ার | বাইর | প্রধানমন্ত্রী