Connect with us

অন্যান্য

মামুনুল হকসহ কারাবন্দি আলেমদের মুক্তির দাবি

Avatar of author

Published

on

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকসহ কারাবন্দি আলেমদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মাজলিস। একইসঙ্গে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনের রাস্তায় বাংলাদেশ খেলাফত মাজলিস ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে, নাস্তিকদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক ডাক দিয়েছেন এবং বাংলাদেশের আপামর জনতা রাস্তায় নামতে শুরু করেছে তখনই আওয়ামী লীগ সরকার, যারা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে তারা সুকৌশলে ষড়যন্ত্র করে মামুনুল সাহেবকে গ্রেপ্তার করে জেলে ভরে রেখেছে। এরপর আমরা যতবার তার জামিনের জন্য আবেদন করেছি, ততবার নাকচ করে দিয়েছে। তার কারণ এই সরকার আদালতকে ব্যবহার করছে। প্রশাসনকে তার হাতের মুঠোয় নিয়েছে।

তারা আরও বলেন, আজকে মানববন্ধন থেকে আমরা সরকারকে বলতে চাই, পুলিশ প্রশাসন আপনার গোলামি করতে পারেন, র‌্যাব আপনার গোলামি করতে পারে, আদালত আপনার গোলামি করতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ আপনার গোলামি করবে না। বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়ার জনগণ রাস্তায় নেমে আপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে মামুনুল হককে মুক্ত করব।

তারা আরও বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষকে যদি নিরাপত্তা দিতে হয় তবে এই সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। এই সরকারের পতন ছাড়া কারও শান্তি হবে না। আগামী অক্টোবরে খেলাফত আন্দোলনের পক্ষ থেকে সারা দেশের জনগণকে আহ্বান করব ‘চল চল ঢাকা চল’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে। সেই কর্মসূচি থেকে এই সরকারকে পতন করে দেশের মানুষকে মুক্তি দেব।

Advertisement

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফয়সাল আহমদ প্রমুখ।

এএম/

 

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

অন্যান্য

‘বেনজীর-আজিজদের অপকর্মের কারণেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা’

Published

on

র‍্যাবের মহাপরিচালক ও পুলিশের মহাপরিদর্শক হিসেবে বেনজীর আহমেদ যে ভূমিকাটা পালন করেছেন, এটা শুধু সরকারের ভাবর্মূর্তিকেই ক্ষুণ্ন করেনি, গোটা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিকেই ক্ষুণ্ন করেছে। তাদের এ অপকর্মের কারণে আজকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে নিষেধাজ্ঞা, এই নিষেধাজ্ঞাগুলো আজকের দিনে আমাদের মনে হয় এদের (বেনজীর ও জেনারেল আজিজ) কারণেই হয়েছে। বললেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।

শুক্রবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক এলাকা পরিদর্শন ও ভুক্তভোগী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, বাংলাদেশের ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের জায়গা জমি দখলের ঘটনা নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এই জায়গা জমি দখলের ক্ষেত্রে প্রায় সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারা রাষ্ট্রের প্রভাবশালী ব্যক্তি। যখনই যে সরকার ক্ষমতায় আসে তারা সেই সরকারের ক্ষমতায় ক্ষমতাপুষ্ট। তারা এই ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে সাধারণ নিরীহ ও শান্তিপূর্ণ নাগরিকের জীবনে যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে বেনজীর তার প্রতীক।

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদিও জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের জায়গা-জমি দখল বা বেদখলের বিষয়ে কোনো অভিযোগ আমাদের জানা নেই। কিন্তু র‍্যাবের মহাপরিচালক ও পুলিশের মহাপরিদর্শক হিসেবে বেনজীর যে ভূমিকাটা পালন করছেন, এটা শুধু সরকারের ভাবমূর্তিকেই ক্ষুণ্ন করেনি, এটা গোটা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে তিনি বলেন, আজ জনগণ উপলব্ধি করতে পারছে, রাষ্ট্রীয় কর্ণধারের দায়িত্ব যারা পালন করছেন, তাদের এ অপকর্মের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো আজকের দিনে আমাদের মনে হয় এদের কারণেই হয়েছে। হয়তো নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সময় আমরা বিষয়গুলো জানতাম না বলেই অনেক সময় মনে করেছি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশবিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি আবদেন করতে চাই। এই এলাকাটি শতভাগ হিন্দুপ্রধান এলাকা। যাদের শত শত বিঘা জমি জোর করে, হুমকি দিয়ে, নানা চক্রান্ত করে বেনজীর দখল করে নিয়েছে সে সম্পত্তিগুলো তাদের ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

তিনি আরও বলেন, আমরা এরই মধ্যে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছি। তথ্য সংগ্রহ করার পরে আমরা অতি অল্প সময়ের মধ্যে দেশি ও বিদেশি সাংবাদিক যারা আছেন, তাদের নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সম্যক পরিস্থিতি জাতির সামনে তুলে ধরব।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে গণমিছিল

Published

on

ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজধানীতে গণমিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। পবিত্র জুমার নামাজের পর উত্তর ফটকের সামনের রাস্তায় সমবেত হয়ে বক্তৃতা করেন দলটির নেতারা। হাজার হাজার মানুষ ফিলিস্তিনের পতাকা, ম্যাপ, গণহত্যার বিভিন্ন ছবি ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তোলেন পুরো এলাকা।

শুক্রবার ( ৩১ মে) জুমার নামার শুরুর আগেই ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে জড়ো হন দলটির নেতাকর্মীরা। মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে দলটির নেতারা মুসলিম বিশ্বের প্রতি ঐক্যের আহ্বান জানান এবং ইসরায়েল ও ইসরায়েল সমর্থকদের পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির মুফতী সৈয়দ মুহম্মদ রেজাউল করীমের বক্তব্য ও মোনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশটি শেষ হয়।

এরপর নেতাকর্মীদের নিয়ে গণমিছিল শুরু করেন। মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির মুফতি সৈয়দ মুহম্মদ রেজাউল।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যা বললেন মামুনুল হক

Published

on

অর্ধশতাধিক মামলায় গ্রেপ্তারের সময় জব্দকৃত মোবাইল ফোন ফিরে পেতে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে এসেছেন হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক।

শনিবার (১৮ মে) বিকালে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন তিনি।

মামুনুল হক বলেন, গ্রেপ্তারের সময় মামলার আলামত হিসেবে জব্দকৃত ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ফিরে পেতে ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন তিনি।

তবে তার মোবাইলটি ডিবি হস্তান্তর করেছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ওই মাসেই বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর গেলো ৩ মে সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান মামুনুল হক।

Advertisement

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত