টলিউড
যে কারণে কাঁদতে কাঁদতে শুটিং ছেড়েছিলেন অভিনেত্রী
বেশ কিছুদিন থেকেই ‘নায়িকা সংঘাত’ নিয়ে বেজায় উত্তাল টলিপাড়া! শোনা যাচ্ছে, সোহিনী সরকারের সঙ্গে বিবাদের জেরেই নাকি ‘মাতঙ্গী’ ওয়েব সিরিজের শুটিং ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন তৃণা সাহা। প্রযোজক কিংবা সহ-অভিনেতারা এপ্রসঙ্গে মুখ খুললেও তৃণা চুপই ছিলেন। এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
“প্রথমে মনে হয়েছিল, যা হয়েছে সেটা নিজেদের মধ্যেই থাকুক। কিন্তু পরে দেখলাম, লোকজন আমার চুপ থাকার সুবিধে নিচ্ছে। মিডিয়ায় আমার নামে মিথ্যে কুৎসা রটানো হচ্ছে। আমাকে ভিলেন বানানো হচ্ছে। ঘটনার একটা দিকই সকলে জানতে পারছেন।” সেদিন মাতঙ্গীর ফ্লোর ছেড়ে কেন বেরিয়ে গিয়েছিলেন? জানালেন তৃণা সাহা।
তৃণার কথায়, “যে কাজটা আমি করিনি কোনওদিন, সেটা কেন করলাম, এটাও তো ভাবার। আমাকে স্ক্রিপ্ট শুনিয়েছিলেন পরিচালক দীপাঞ্জনদা। শুরুতেই ওকে বলে দিয়েছিলাম যে, আমার আলাদা মেকআপ রুম লাগবে। ক্যামেলিয়ার সঙ্গে এর আগেও একটা কাজে এই সংক্রান্ত খুব খারাপ অভিজ্ঞতা ছিল। দীপাঞ্জনদা বলেছিলেন, ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আলাদা মেকআপ আর্টিস্ট, অ্যাটেনডেন্ট আমি কিন্তু কিচ্ছু চাইনি। ওই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যে।”
তাহলে কী ঘটেছিল আদতে? তৃণা জানালেন, আগে বলা সত্ত্বেও প্রথমদিনের শুটিংয়ে আলাদা মেকআপ রুম তিনি পাননি। পরে আলাদা ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। “কিন্তু শট দিয়ে ফেরার পর দেখি, অন্য একটা অপরিষ্কার ঘরের মেঝেয় আমার জামাকাপড় জিনিসপত্র পড়ে রয়েছে। এরপরই আমি মেজাজ হারাই। সকলের সামনেই জিনিসটি নিয়ে কথা বলি। পরেরদিনও অন্য দুই সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে মেকআপ রুম শেয়ার করি। কোনও আপত্তি করিনি। সেদিন শুট শেষ হতে অনেকটা রাত হয়। তবুও আমাকে কোনও ডিনার অফার করা হয়নি। প্রত্যেক দিনই কিছু না কিছু অব্যবস্থা!”
এরপরই তৃণার সংযোজন, “ আমি তো সম্প্রতি রিঙ্গোদার সঙ্গে আউটডোর শুট করলাম। সেখানে মেকআপ রুম তো দূরঅস্ত! রাস্তাঘাটে টয়লেট করতে হয়েছে। সেখানে কোনও আপত্তি করিনি কারণ তারা একজন শিল্পীকে প্রাপ্য সম্মানটা দিতে জানে। এটা ঠিক যে আমি সেদিন চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে ফ্লোর ছেড়ে বেড়িয়ে আসি।”
সোহিনী সরকারের সঙ্গে কি সত্যিই ইগোর লড়াই?
এ প্রসঙ্গে তৃণার মন্তব্য, “ইগোর লড়াই কেন থাকবে! ও কী সুবিধে পাচ্ছে তাতে আমার কিচ্ছু যায়-আসে না! আমার শুধু নিজের প্রাপ্যটুকু পেলেই হল। এসবের মাঝেই ও হঠাৎ করে আর্টিস্ট গ্রুপে মেসেজ করল। নাম না করলেই কি যা ইচ্ছে তা লিখে দেয়া যায়? তাই ওকে ক্ষমা চাইতে বলি। কিন্তু প্রোডাকশন জানায়, ও ক্ষমা চাইবে না।
এরপর পরিচালক, প্রযোজকরা আমাকে বলতে থাকেন- মানিয়ে নে… ভুলে যা…. অসম্ভব মানসিক চাপের সৃষ্টি করা হচ্ছিল। আমার কোনও দোষ নেই অথচ আমাকে মানিয়ে নিতে হবে! ওই নেটিবাচক পরিস্থিতিতে কাজ করা সম্ভব ছিল না। অগ্রীম পারিশ্রমিকও ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা জানায়, ওটা আমার দিন তিনেকের কাজের পারিশ্রমিক। যা ঘটল তা আমার জন্য বড় একটা শিক্ষা।”
তারপরও কাজ করতে চেয়ে প্রযোজনা সংস্থাকে মেইল করেছিলেন তৃণা। সেখানে বেশ কিছু শর্ত দেন তিনি। তাদের তরফে জানানো হয় ওই শর্তগুলো মানা সম্ভব নয়। এরপরই তৃণার পরিবর্তে রোশনি ভট্টাচার্যকে কাস্ট করা হয়েছে। তৃণার অংশগুলো আবার শুট হবে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
এসি/
টলিউড
রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির তলব নিয়ে যা বললেন ঋতুপর্ণা
এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ালো টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর। আসছে ৫ জুন অভিনেত্রীকে ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অফিসে বেলা ১১টায় হাজির থাকতে বলা হয়েছে অভিনেত্রীকে।
এখন পর্যন্ত রেশন দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য, রেশন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান-সহ শাসকদলের কয়েক জন নেতা ও তাদের ঘনিষ্ঠরা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
হঠাৎই দুর্নীতি মামলায় ঋতুপর্ণার নাম আসায় অবাক হয়েছেন অভিনেত্রীর ভক্ত অনুরাগীরা। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও ইডির অফিসে হাজিরা দিতে হয়েছিল ঋতুপর্ণাকে।
২০১৯ সালে রোজভ্যালি কাণ্ডে শুধু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত নন, ডাক পড়েছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়েরও। রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু একসময় বেশ কিছু বাংলা সিনেমার প্রযোজনা করেছিলেন। তাতে অভিনয় করেছিলেন ঋতুপর্ণা, প্রসেনজিৎ-সহ একাধিক শিল্পী। আর সেই সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের খোঁজ নিতেই তিনি গিয়েছিলেন ইডি অফিসে। এখানেই শেষ নয়, অভিনেত্রীর সংস্থার সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছিল রোজভ্যালি গোষ্ঠীর।
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন ইডির কর্মকর্তারা। সেই রেশন দুর্নীতি মামলার সঙ্গে ঋতুপর্ণা কীভাবে যুক্ত, তা স্পষ্ট জানা যায়নি।
বর্তমানে আসন্ন সিনেমা অযোগ্য’র মুক্তি নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অভিনেত্রী। ইডির তলবের বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমকে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘আমি এ বিষয় কিছুই জানি না। রেশন দুর্নীতি কী? সে সম্পর্কে আমার কোনও ধারণা নেই। আমার কলকাতার বাড়িতেও কোনও চিঠি আসেনি।’
এসআই/
টলিউড
প্রখ্যাত বাঙালি নির্মাতা ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রয়াণ দিবস আজ
ঋতুপর্ণ ঘোষ বাঙালি পরিচালকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়, আলোচিত ও বিতর্কিত চলচ্চিত্র পরিচালকদের একজন। তাঁর বৈচিত্র্যময় জীবন অনেকে সাদরে গ্রহণ করেছেন, অনেকের কৌতূহলের খোরাক জুগিয়েছে। আবার অনেকে আড়চোখে তাকিয়ে বা দূরে থেকে সমালোচনা করেছেন। কিংবদন্তী এই নির্মাতার ১১ তম প্রয়াণ দিবস আজ। ২০১৩- এর ৩০ মে স্বনামধন্য তাঁর জীবনাবসান হয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ছাত্র ঋতুপর্ণ ঘোষের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একটি বিজ্ঞাপন সংস্থার ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট হিসেবে। ১৯৯২ সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম সিনেমা ‘হিরের আংটি’। দ্বিতীয় ছবি ‘উনিশে এপ্রিল’ মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে। এই ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ কাহিনিচিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
এরপর একে একে ‘শুভ মহরত’ (২০০৩), ‘রেইনকোট’ (২০০৪), ‘অন্তরমহল’ (২০০৫), ‘দ্য লাস্ট লিয়ার’ (২০০৭), ‘খেলা’ (২০০৮), ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’ (২০০৮), ‘আবহমান’ (২০০৯), ‘নৌকাডুবি’ (২০১০), ‘মেমোরিজ ইন মার্চ’ (২০১১), ‘চিত্রাঙ্গদা’ (২০১২), ‘জীবনস্মৃতি’ (২০১২) ছবি পরিচালনার মধ্য দিয়ে নিজেকে কিংবদন্তি পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।
দীর্ঘ কর্মজীবনে ১২টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া বার্লিন, লোকার্নো, শিকাগো, বুসান, বোম্বে প্রভৃতি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা অর্জন করেন গুনী এই নির্মাতা।
সিনেমা পরিচালনা ছাড়াও ঋতুপর্ণ ঘোষ প্রথম অভিনয় করেন হিমাংশু পারিজা পরিচালিত ওড়িয়া ছবি ‘কথা দেইথিল্লি মা কু’তে। ২০১১ সালে তিনি কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের আরেকটি প্রেমের গল্প এবং সঞ্জয় নাগের ‘মেমোরিজ ইন মার্চ’ ছবিতে অভিনয় করেন। এ ছাড়া তাঁর পরিচালিত ও মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ ছবি ‘চিত্রাঙ্গদা’তেও তিনি অভিনয় করেন।
এসআই/
টলিউড
গায়িকা হিসাবে স্বস্তিকার আত্মপ্রকাশ
চলচ্চিত্র জগতে নায়িকা-গায়িকার অভাব নেই। অতীত থেকে বর্তমান বহু জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে বাংলা এবং হিন্দি ছবির দুনিয়া পেয়েছে গায়িকা হিসেবে। সম্প্রতি পরিণীতি চোপড়াও গান গেয়েছেন ‘অমর সিংহ চমকিলা’তে।
এবার বাংলা ছবির গানের দুনিয়ায় যুক্ত হল স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের নাম। জানা গেছে, পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্যের আগামী ছবি ‘দুর্গাপুর জংশন’-এ তিনি হবেন নেপথ্য গায়িকা।
চলতি মাসের শেষে সম্ভবত তিনি গান রেকর্ড করবেন। ছবিতে তাকে জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার’ গাইতে শোনা যাবে। চিত্রনাট্য অনুযায়ী নায়িকার জীবনে নানা ধূসর স্তর। রয়েছে অনেক অন্ধকার অতীত।
এক রাতের ঘটনা তাকে সেই অতীতের মুখোমুখি দাঁড় করাবে। নায়িকার জীবনে ‘ফিরে দেখা’র একটি দৃশ্যে শোনা যাবে গানটি। ছবিতে কোনও দিন গান না গাইলেও স্বস্তিকা রবীন্দ্রসঙ্গীত ভাল গান।
এর আগে বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিক রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়েছেন তিনি। অ্যালবামও রয়েছে তার। এই ছবিতে পরিচালক তাকে এমন সুযোগ দিতেই খুশিমনে রাজি হয়ে গিয়েছেন স্বস্তিকা। একই দিনে তার সঙ্গে ছবির গান রেকর্ড করবেন ইমন চক্রবর্তী। ছবিতে স্বস্তিকাকে সাংবাদিকের চরিত্রে দেখা যাবে।
অরিন্দম এই ছবিটির আগে ‘শিবপুর’ নামের একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। সত্তর-আশির দশকের উত্তাল রাজনীতি, হাওড়ায় অন্ধকার দুনিয়ার রাজপাট ছবিতে উঠে এসেছে। সত্যি ঘটনার উপরে তৈরি অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার সেই ছবিটি জনপ্রিয় হওয়ার পরে অরিন্দম আবারও একই পথে হেঁটেছেন।
এবার তিনি দুর্গাপুরের অন্ধকার অতীত প্রকাশ্যে আনতে চলেছেন। এই ছবিতে একঝাঁক তারকা অভিনেতা রয়েছেন। স্বস্তিকার বিপরীতে দেখা যাবে বিক্রম চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি পর্দায় দাপুটে পুলিশ অফিসার।
- বাংলাদেশ3 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
- বলিউড4 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
- ঢালিউড4 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
- জাতীয়7 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
- বলিউড4 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
- অপরাধ6 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
- আবহাওয়া3 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
- বাংলাদেশ3 days ago
এমপি আজীমের মরদেহের চার কেজি মাংস উদ্ধারের দাবি
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন