Connect with us

শিক্ষা

প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে দেড়মাস কোচিং সেন্টার বন্ধ

Avatar of author

Published

on

দেশের আট শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৭ আগস্ট। এ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ও প্রশ্নফাঁসের গুজব ঠেকাতে প্রায় দেড়মাস দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

নির্দেশনা অনুযায়ী, সোমবার (১৪ আগস্ট) থেকে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে গত ৮ আগস্ট আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ওইদিন তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁসের গুজব ও নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু, সুন্দরভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগামী ১৪ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

এদিকে, কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাউশি, সব শিক্ষা বোর্ড, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা পর্যায়ে সব প্রশাসনিক পদে দায়িত্বরতদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ কোচিং খোলা রাখলে অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানাসহ সিলগালা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

এ বছর দেশের ৯টি সাধারণ এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে মোট ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন। গত বছর (২০২২ সাল) পরীক্ষার্থী ছিল ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন। সেই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন।

Advertisement

বন্যার কারণে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে চট্টগ্রাম এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে। যে চার বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেসব পরীক্ষার তারিখ পুনর্নির্ধারণ করে নতুন সময়সূচিও প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড।

 

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

শিক্ষা

পেনশনের আওতায় আসছে সাড়ে ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী

Published

on

শিক্ষক

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৫ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারীকে আগামী ১ জুলাই থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয়ে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। উদ্যোগটি বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় পেনশন স্কিমের সমন্বয়ে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সব ঠিক থাকলে বেসরকারি শিক্ষকরাও অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মত পেনশন পাবেন। ফলে বিদ্যমান অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট বিলুপ্ত হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সারাদেশে প্রায় ৩০ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাড়ে ৫ লাখের বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের পেনশনের আওতায় আনতে কি কি সমস্যা রয়েছে তা চিহ্নিত করে সমাধানের সুপারিশ করবে ওই কমিটি। এরপর সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে সরকার।

সূত্র জানায়, কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (মাধ্যমিক-২) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. রবিউল ইসলামকে। কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় পেনশন স্কিমের প্রতিনিধি, শিক্ষার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে গঠিত এই কমিটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সে জন্য আজ রোববার প্রথম সভায় বসবে কমিটি।

তহবিল সঙ্কটের কারণে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী অবসর নেয়ার পর তিন-চার বছর পরও প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পান না। এমন প্রেক্ষাপটে গেলো ২২ ফেব্রুয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক ও অবসর সুবিধা অবসরের ছয় মাসের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।

Advertisement

জানা গেছে, গেলো এপ্রিল মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার বিষয়টি উঠে আসে। বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তৈরি করে সংসদীয় কমিটিতে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। গেলো ৬ মে বৈঠকের কার্যবিবরণী পাস হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে।

কমিটি আহ্বায়ক অতিরিক্ত সচিব রবিউল ইসলাম বলেন, সংসদীয় কমিটির সুপারিশের আলোকে এই কমিটি করা হয়েছে। আজ প্রথম বৈঠকে বসছি। কমিটিকে যেসব কর্মপরিধি দেয়া হয়েছে সেগুলো নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হবে। আমরা চেষ্টা করবো দ্রুত সময়ের প্রতিবেদন ও সুপারিশ জমা দেয়ার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বর্তমানে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬৪টি। এর মধ্যে স্কুলকলেজ ২০ হাজার ৪৩৭টি, বাকিগুলো কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন সাড়ে ৫ লাখের মতো।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা অবসরের পর পেনশন সুবিধা পান না। পুরো চাকরি জীবনে অবসর ও কল্যাণ ফান্ডে বেতন থেকে ১০ শতাংশ (আগে ৬ শতাংশ ছিল) জমা রাখেন। এর মধ্যে অবসর বোর্ড কাটে ৬ শতাংশ ও কল্যাণ ট্রাস্ট কাটে ৪ শতাংশ। সেই আসল টাকা ও লাভের অংশের সঙ্গে সরকার কিছু টাকা প্রদান করে। অবসরে পর সেই টাকা পান শিক্ষক-কর্মচারীরা। কিন্তু টাকা উত্তোলনে শিক্ষকদের বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। অনেক শিক্ষক এই টাকার অপেক্ষায় মারা যান। কিন্তু শিক্ষকদের সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনলে এই দুটি বোর্ড বাতিল হয়ে যাবে।

জানা গেছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা পেয়ে আসছে আর ২০০৫ সাল থেকে শুরু অবসর সুবিধা। এই দুই ফান্ড থেকে শিক্ষকরা চাকরিকাল অনুযায়ী এককালীন অর্থ পান।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কল্যাণ ট্রাস্টে বছরে গড়ে আবেদন পড়ে ১৬ হাজার ৮০০ থেকে ১৭ হাজার, যা নিষ্পন্ন করতে প্রয়োজন ৭২০ কোটি টাকা। আর অবসর সুবিধা বোর্ডে বছরে ১০ হাজার ৮০০টি আবেদন পড়ে। এসব আবেদন নিষ্পন্ন করতে প্রয়োজন ১,৩২০ কোটি টাকা। দুই খাতে প্রতিবছর ৫৭০ কোটি টাকা ঘাটতি থাকে। দুই বোর্ডে প্রায় ৬৭ হাজার পেন্ডিং আবেদন নিষ্পত্তি করতে ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রয়োজন।

তহবিল সঙ্কটের কারণে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী অবসর নেয়ার পর তিন-চার বছর পরও প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পান না। এমন প্রেক্ষাপটে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক ও অবসর সুবিধা অবসরের ছয় মাসের মধ্যে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

শিক্ষা

৩০ জুনই শুরু হবে এইচএসসি পরীক্ষা : ঢাকা শিক্ষা বোর্ড

Published

on

মাধ্যমিক-ও-উচ্চমাধ্যমিক-শিক্ষাবোর্ড-ঢাকা

আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে দেয়া হয়েছে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি গতকাল শুক্রবার (৩১ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটিকে ভুয়া আখ্যায়িত করে বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকা।

শনিবার (০১ জুন) সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ পরামর্শ দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর তারিখ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখা কর্তৃক ইস্যু করা নয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সময়সূচি অনুসারে আগামী ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।

পূর্বঘোষিত পরীক্ষা পেছানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আবুল বাসারও।

উল্লেখ্য, গেলো ২ এপ্রিল চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়।‌ সূচি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩০ জুন শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে।

Advertisement

রুটিন অনুযায়ী, প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

শিক্ষা

এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর বিজ্ঞপ্তি ভুয়া

Published

on

এসএসসি

চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া। পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (৩১ মে) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, পরীক্ষা আগের রুটিন অনুযায়ীই হবে। পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ভুয়া বিজ্ঞপ্তিতে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হন, সেজন্য পরামর্শ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) একটি ভুয়া বিজ্ঞপ্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। স্মারক নং: ঢাবো/পানি/৪০৪ সম্বলিত বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়, আগাম ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও দুই দফা ছাত্রছাত্রীদের দেশব্যাপী আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে, আগামী ৩০ জুন অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষা আগামী ৩০ জুলাই বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, শীঘ্রই ২০২৪ সালের ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশিত হবে। বিজ্ঞপ্তিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার একদিন পর বিষয়টিকে ভুয়া বলে জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

Advertisement

এএম/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত