Connect with us

জনদুর্ভোগ

পঞ্চগড়ে চিকিৎসক সংকট, সিজার করলেন সিভিল সার্জন

Avatar of author

Published

on

স্বাস্থ্য বিভাগকে জনবান্ধব করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সিজারের পাশাপাশি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরি। হাসপাতাল ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্যবর্ধন করারও উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি সিজার সম্পন্ন করেন ডা. মোস্তফা জামান। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলেও জানান।

সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরি বলেন, চিকিৎসক না থাকায় উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল গুলোতে সিজারসহ অন্যান্য অপারেশন দীর্ঘ দিন থেকে বন্ধ ছিল। সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদানের পর থেকে সিজার কার্যক্রম চালু করেছি। স্বাস্থ্য বিভাগের অবস্থা যা ছিল তা একটু পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি। স্বাস্থ্য সেবাকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে মাসিক মিটিং এর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সপ্তাহে একদিন বিভিন্ন উপজেলায় সিজারিয়ান কার্যক্রম চলমান রেখেছি। এছাড়া নিজেই প্রসূতি মায়েদের সিজার করেছি। হাসপাতাল গুলোতে নরমাল ডেলিভারি কার্যক্রম চালু রয়েছে। জেলায় চিকিৎসক ও লোকবল কম থাকায় চিকিৎসা সেবা প্রদানে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, তবে লোকবলের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। নিয়মিত হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো পরিদর্শন করছি, আশাকরি অল্প দিনের মধ্যে পঞ্চগড়ে স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়বে। সিভিল সার্জনের চিকিৎসা বান্ধব এই উদ্যোগটি পঞ্চগড়ে সর্বমহলে বেশ প্রশাংসিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরি এ বছরের ১(৩ জুলাই) সিভিল সার্জন হিসেবে পঞ্চগড়ে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি পঞ্চগড়ে স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়াতে কাজ শুরু করেন। জেলার উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল গুলোতে সার্জিকাল চিকিৎসক ও অ্যানেস্থেশিয়া চিকিৎসক না থাকায় প্রসূতিদের সিজারসহ অন্যান্য অপারেশন দীর্ঘ দিন থেকে বন্ধ ছিলো। পরবর্তীতে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ওটি চালু করার নির্দেশ প্রদান এবং হাসপাতালে প্রসূতিদের সিজার কার্যক্রম শুরু করেন।

এএম/

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

চট্টগ্রাম

সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যে জেলায়

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ২৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চাঁদপুর জেলায়। এসময়ে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিলো ৫৭ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ছিল।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ্ মো. শোয়াইব।

তিনি বলেন, সোমবার (২৭ মে) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত চাঁদপুর জেলায় ২৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গেলো সোমবার ভোর ৪টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয় ১২৯ মিলিমিটার। এরপরও একটানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চাঁদপুর শহর ও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবারহ বিচ্ছিন্ন ছিল প্রায় ৩০ ঘণ্টা। মঙ্গলবার সকাল ৯টার পর থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত সেন্টমার্টিন

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভেঙে গেছে সেন্টমার্টিন দ্বীপের চারপাশ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শাহপরী দ্বীপের পশ্চিম বাঁধের দেড় কিলোমিটার। ঝড়ো বাতাসে উড়ে গেছে প্রায় ৩০০ বাড়িঘর, ভেঙে গেছে অসংখ্য গাছপালা।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সমুদ্র পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে দ্বীপের ডেইলপাড়া, পশ্চিমপাড়া, দক্ষিণপাড়া, পূর্বপাড়ার কিছু অংশ সমুদ্রে তলিয়ে গেছে। প্রায় ২০০ ঘরবাড়িসহ অসংখ্য গাছপালা ভেঙে গেছে। কিছু ঘরবাড়ি পুরোপুরি, কিছু আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ১৫টি মাছ ধরার ট্রলার ভেঙে গেছে।

তিনি আরও বলেন, আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে বাতাস বইছে। তবে জলোচ্ছ্বাস হয়নি। সকালে বৃষ্টির সাথে বাতাসের গতি বেড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গত দু’দিনে বৃষ্টি ও সমুদ্রের স্রোতে দ্বীপের কোনারপাড়া, পশ্চিমপাড়া, দক্ষিণপাড়া ও উত্তরপাড়ায় ভাঙন ধরেছে। এতে দ্বীপের বসতি, কেয়া বাগান, নারিকেল বাগান, নিশিন্দা বাগানসহ গাছগাছালি ভেঙে পড়ে গেছে। এছাড়া দ্বীপের তীরে গড়ে ওঠা হোটেল-মোটেলেও ভাঙন ধরেছে। এ কারণে তারা জরুরি ভিত্তিতে দ্বীপ রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।

Advertisement

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ সাফকাত আলী বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি কমলেও বাতাস এখনও টেকনাফ উপজেলায় বইছে। এতে সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপের ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া চিংড়ি ঘের ও লবণ চাষিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

মতিঝিল থেকে কারওয়ান বাজার অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সিগন্যাল সিস্টেমে সমস্যা দেখা দেয়ায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল উভয় অংশে মেট্রোরেল চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক এই বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এবার মেট্রোরেল চলাচলে সিগন্যাল সিস্টেমে সমস্যা হওয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।

এছাড়া জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিলের উভয় অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রেখে উত্তরা থেকে কারওয়ান বাজার উভয় অংশে সচল রাখা হয়েছে।

এছাড়া ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে জানিয়েছে, ‘এখন উত্তরা থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত মেট্রোরেল নিয়মিত চলাচল করছে। শাহবাগ-সচিবালয় মেট্রোরেল স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে ভায়াডাক্টের ওপর ঝড়ে গাছের ডাল এবং মতিঝিল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সোলার প্যানেল পড়ায় এই অংশে মেট্রোরেল চলাচল আপাতত বন্ধ আছে। শিগগিরই চালুর চেষ্টা চলছে।’

উল্লেখ্য, এর আগে সকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ত্রুটির জন্য কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হয়। কর্মব্যস্ত শহরে অন্যান্য দিনের মতো এদিনও সকাল থেকে বিভিন্ন স্টেশনে ভিড় করতে থাকেন যাত্রীরা। কিন্তু হঠাৎ ট্রেন বন্ধ হওয়ায় কিছুটা বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত