Connect with us

লাইফস্টাইল

তারুণ্য ধরে রাখবে যেসব খাবার

Avatar of author

Published

on

তারুণ্য

আমাদের শরীর প্রাকৃতিক বার্ধক্য প্রক্রিয়া সমর্থন করার জন্য বিভিন্ন পুষ্টির উপর নির্ভর করে। আর কিছু খাবার রয়েছে, যা বয়সের ছাপকে দূরে রেখে তারুণ্য ও যৌবনকে ধরে রাখতে সহায়তা করে।

নির্দিষ্ট খাবার খাওয়া আপনাকে লক্ষণীয়ভাবে কম বয়সী দেখাবে না। তবুও আপনার ডায়েটে পুষ্টিকর খাবার যোগ করতে হবে। তাই চলুন জেনে নিই কোনেোন খাবারগুলো খেলে আপনি তারুণ্য ধরে রাখতে পারবেন-

অলিভ অয়েল

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল পৃথিবীর অন্যতম স্বাস্থ্যকর তেল। এটি স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। যা শরীরের প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত  অলিভ অয়েল খেলে হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, বিপাকীয় সিন্ড্রোম, নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসার ইত্যাদি রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। এ ছাড়া এই তেলের শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা গুরুতর ত্বকের বার্ধক্য এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।

গ্রিন টি

Advertisement

এতে রয়েছে শক্তিশালী পলিফেনল, যা রোদ বা ক্ষতিকারক দূষিত বস্তুর হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। গ্রিন টিতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা দূষণ বা সূর্যালোকের মতো বাহ্যিক ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করে আপনার ত্বককে রক্ষা করে।

চর্বিযুক্ত মাছ

চর্বিযুক্ত মাছ একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার, যা স্বাস্থ্যকর ত্বককে উন্নত করে। এছাড়া চর্বিযুক্ত মাছে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাট হৃদরোগ, প্রদাহ এবং অন্যান্য অনেক সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে।

চর্বিযুক্ত মাছের মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক মাছ। যেমন: স্যামন, কোরাল, রূপচাঁদা, বাইলা, চিংড়ি, ফোঁপা, লইট্টা ও লাইখ্যাসহ প্রভৃতি। স্যামনের মতো চর্বিযুক্ত মাছে ওমেগা-৩, প্রোটিন, সেলেনিয়াম এবং অ্যাটাক্সানথিন বেশি থাকে, যা সবই ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

ডার্ক চকলেট

Advertisement

ডার্ক চকলেট হলো পলিফেনলের সমৃদ্ধ উৎস, যা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। বিশেষত এতে ফ্ল্যাভানল রয়েছে, যা অনেক স্বাস্থ্য সুবিধার সাথে যুক্ত। যেমন- হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, জ্ঞানীয় পতন প্রভৃতি।

শাকসবজি

বেশিরভাগ শাকসবজি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং কম ক্যালোরিযুক্ত। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা হৃদরোগ, চোখে ছানি পড়া এবং কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। অনেক সবজিতেও ক্যারোটিনয়েড বেশি থাকে। যেমন: বিটা ক্যারোটিন এবং লাইকোপিন। আর এ খাবরগুলো সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির বিরুদ্ধে ত্বককে রক্ষা করতে পারে।

ডালিম

ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন কে। একইভাবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ত্বকের বিদ্যমান কোলাজেনকে রক্ষা করে এবং ত্বককে নতুন কোলাজেন তৈরি করতে সহায়তা করে। এটি ত্বকের নমনীয়তা বজায় রেখে ত্বককে টান টান রাখতে সহায়তা করে।

Advertisement

টমেটো

টমেটোতে থাকা লাইকোপেন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে সজীব ও সতেজ করে তোলে এবং অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।

গবেষণা অনুযায়ী, যে নারীরা প্রতিদিন লাইকোপিন, সয়া আইসোফ্লাভোন, মাছের তেল ও ভিটামিন সি এবং ই যুক্ত খাবার, ১৫ সপ্তাহ পরে তাদের বলিরেখা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায়।

সূত্র: হেলথলাইন

Advertisement
Advertisement

লাইফস্টাইল

গরমে ডায়েটে রাখুন রকমারি ‘ফিউশন শরবত’

Published

on

শরবত

গরমে দিনভর কাজের পর বাড়ি ফিরে যদি এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত পাওয়া যায়, তাহলে আর কি লাগে। গরমের সময় কাঁচা আম, পুদিনার মত উপাদান আমাদের শরীরে তাপমাত্রার সামঞ্জস্য বজায় রাখে। অনেকে বেলের শরবত ও পছন্দ করেন। চেনা রুটিনের ডায়েটে খানিক স্পেশাল টাচ দিতে রইল রকমারি শরবতের রেসিপি।

আম-পুদিনা লেমনেড

উপকরণ-

কাঁচা আম- ২টি

রোস্টেড জিরেগুঁড়ো- ১ চামচ

Advertisement

বিটনুন- ১ চামচ

শুকনো মরিচগুঁড়ো- আধ চামচ

পুদিনা পাতা- আধ কাপ

চিনি- স্বাদমতো

প্রণালী-

Advertisement

প্রথমে আম ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে সেদ্ধ করে নিন। এবার আমের পাল্প বের করে নিয়ে তাতে পুদিনা পাতা, লবণ, চিনি, বিটনুন, তাজা জিরে ও শুকনো মরিচগুঁড়ো দিয়ে অল্প পানি দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এবার ওই মিশ্রণ কাঁচের গ্লাসে ঢেলে ওপর থেকে ঠান্ডা পানি ও সোডা ওয়াটার দিয়ে বিটনুন ও পুদিনা পাতা সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

বেল-নলেন গুড়ের শরবত

উপকরণ-

তরতাজা বেল- ১০০ গ্রাম

নলেন গুড়- ৩০ গ্রাম

Advertisement

গন্ধরাজ লেবু- ৩ টুকরো

লবণ- ১ চিমটি

প্রণালী-

মিক্সিতে একে একে বেলের কাত্থ, নলেন গুড়, গন্ধরাজ লেবুর রস, লবণ দিয়ে মিক্সিতে ভাল করে ঘুরিয়ে নিন। গ্লাসে ঢেলে বরফের কুচি ছড়িয়ে গ্রীষ্মের দুপুরে পরিবেশন করুন ঠান্ডা ঠান্ডা বেল-নলেন গুড়ের শরবত।

ধনেপাতা-মধুর শরবত

Advertisement

উপকরণ-

তরতাজা ধনেপাতা- ৩ আঁটি

মধু- ৩০ মিলি

আদা- ২ টুকরো

গন্ধরাজ লেবুর রস- ২০ মিলি

Advertisement

বিটনুন- আধ চা-চামচ

সোডা

প্রণালী-

মিক্সিতে একে একে ধনেপাতা, মধু, আদা, গন্ধরাজ লেবুর রস, বিটনুন, সোডা সমস্ত উপকরণ দিয়ে ভালো করে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। গ্লাসে ঢেলে একটু বিটনুন এবং ধনেপাতা উপরে ছড়িয়ে পরিবেশন করুন ধনেপাতা এবং মধুর শরবত।

এই গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি বেশ আরামদায়ক এই ‘ফিউশন শরবত’গুলো। যারা ডায়েট করছেন, তারাও খেতে পারেন, তবে মিষ্টির পরিমাণটা নিজের মতো করে মেপে নেবেন।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

মস্তিষ্কের ১২টা বাজাচ্ছে যে ১১টি অভ্যাস

Published

on

এমন অনেকেই আছেন যাদের এখন আর বাইরে যেতে ভালো লাগে না। নিজের অন্ধকার ঘরে শুয়ে বসে থেকে কিংবা হেডফোনে জোরে গান শুনে সময় কাটাতে ভালো লাগে। কিন্তু এভাবে আপনি যে আপনার ব্রেনের ১২টা বাজাচ্ছেন সেটা কী জানেন? মস্তিষ্কের ক্ষতিকারক এমন ১১টি অভ্যাস এবং এই ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন সেই বিষয়ে জেনে নিন।

১. অপর্যাপ্ত ঘুম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রিমিয়ার নিউরোলজি অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, আমাদের মস্তিষ্কের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঘুম বলতে ২৪ ঘণ্টায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমকে বোঝানো হয়। এক্ষেত্রে রাতে নিরবচ্ছিন্ন ঘুম সবচেয়ে বেশি কার্যকর।

ঘুমানোর সময় মস্তিষ্ক বিশ্রাম নেয়ার পাশাপাশি, বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে এবং নতুন কোষ তৈরি করে। কিন্তু ৭ ঘণ্টার কম ঘুমালে নতুন কোষ গঠন হয় না। এর ফলে আপনি কিছু মনে রাখতে পারেন না, মনোযোগ দিতে কষ্ট হয়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়। ঘুমের অভাবে ডিমেনশিয়া অ্যালঝেইমার্সের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এজন্য যেটা করতে পারেন ঘুমের সময়ের অন্তত এক ঘণ্টা আগে বিছানায় যান, এসময় কোনো ডিভাইস ব্যবহার করবেন না।

আর ঘুমের পরিবেশ তৈরি করতে আগেই শোবার ঘর পরিষ্কার করে নিন, ঘরের আলো কমিয়ে দিন, আপনার বিছানা, পোশাক, ঘরের তাপমাত্রা সবকিছু যেন আরামদায়ক হয়।

Advertisement

২. সকালের নাস্তা এড়িয়ে যাওয়া

সারা রাত না খেয়ে থাকার পর, দিনে কাজ করার শক্তি আসে সকালের নাস্তা থেকে। কিন্তু আমরা অনেকেই সকালে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে নাস্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি এড়িয়ে যাই। এতে যেটা হয় রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায় যার প্রভাব গিয়ে পড়ে মস্তিষ্কে। দিনের পর দিন নাস্তা না খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের ক্ষয় হতে থাকে, কোষগুলো কার্যকারিতা হারায়।

৩. পর্যাপ্ত পানি পান না করা

আমাদের মস্তিষ্কের ৭৫% পানি। তাই মস্তিষ্কের সবচেয়ে ভালো কাজ করার জন্য একে আর্দ্র রাখা বেশ জরুরি। পানির অভাবে মস্তিষ্কের টিস্যু সঙ্কুচিত হয়ে যায় ও কোষগুলো কার্যক্ষমতা হারায়। এতে যৌক্তিক চিন্তা বা সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। তাই মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে দিনে কমপক্ষে দুই লিটার পানি খেতেই হবে।

৪. অতিরিক্ত চাপ এবং শুয়ে বসে থাকা

Advertisement

দীর্ঘসময় খুব চাপের মধ্যে কাজ করলে মস্তিষ্কের কোষ মারা যায় এবং মস্তিষ্কের সামনে থাকা ফ্রন্টাল কর্টেক্স সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। এতে আমাদের স্মৃতি ও চিন্তাশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই যেকোনো উপায়ে অতিরিক্ত চাপ নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

অতিরিক্ত চাপ নেয়া যেমন খারাপ তেমনি দীর্ঘ সময় শুয়ে বসে থাকাও ক্ষতিকর। অনেকে আছেন এমন কাজ করেন যেখানে সারাদিন বসে থাকতে হয়। আবার ছুটির দিন এলে শুয়ে বসে সময় কাটিয়ে দেন। পর্যাপ্ত নড়াচড়া, চলাফেরা বা কায়িক শ্রম করেন না। তাই মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন, প্রতি আধাঘণ্টা পর পর চেয়ার থেকে উঠে চলাফেরা করুন, এজন্য টাইমার সেট করে রাখতে পারেন।

৫. গুগল সার্চ

খেয়াল করে দেখবেন আমাদের আগের প্রজন্মের অনেকেই ক্যালকুলেটর ছাড়াই ছোটখাটো হিসাব কষে ফেলেন। তাদের ফোন নম্বর মুখস্থ থাকে। প্রচুর বই পড়ার কারণে তাদের সাধারণ জ্ঞানও সমৃদ্ধ। তাদের এই অভ্যাসগুলো মস্তিষ্কের ব্যায়ামের মতো যা তাদের চিন্তাশক্তি ও স্মরণশক্তিকে দীর্ঘসময় শানিত রেখেছে।

কিন্তু এই যুগে আমাদের এতকিছু মনে রাখার প্রয়োজন হয় না। প্রযুক্তির উপর এই অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার কারণে আমাদের ব্রেইনের নিজস্ব ক্ষমতা কমে গিয়েছে। স্মৃতি ও চিন্তাশক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে। মস্তিষ্ক শাণিত করতে সবকিছু গুগল সার্চ না করে মনে রাখতে চেষ্টা করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।

Advertisement

৬. হেডফোন ব্যবহার, উচ্চ শব্দে জোরে গান শোনা

আপনি যে হেডফোন বা এয়ারপড ব্যবহার করছেন সেটা ৩০ মিনিটেরও কম সময়ে শ্রবণশক্তির ক্ষতি করতে পারে। সেইসাথে জোরে জোরে গান শুনলে কিংবা উচ্চ শব্দের মধ্যে থাকলে শ্রবণের মারাত্মক ক্ষতি হয়। ভয়ের বিষয় হল শ্রবণশক্তিকে একবার যে ক্ষতি হয় সেটা আর ঠিক করা যায় না। আর শ্রবণশক্তি কমে গেলে এর সরাসরি প্রভাব মস্তিষ্কে গিয়ে পড়ে।

মার্কিন গবেষকদের মতে, শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের টিস্যুর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এতে তাদের আলঝেইমার্স হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

৭. একা একা থাকা, সামাজিক না হওয়া

মানুষের সাথে কথা বলা, আড্ডা দেয়া, এক কথায় সামাজিকীকরণ আপনার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ জরুরি। খুব বেশি সময় একা একা সময় কাটানো আপনার মস্তিষ্কে ঠিক ততটাই খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে যেমনটা পর্যাপ্ত ঘুম না হলে হয়।সামাজিকীকরণের ফলে আমাদের মস্তিষ্ক উদ্দীপ্ত থাকলে যা একা থাকলে হয় না।

Advertisement

৮. নেতিবাচক চিন্তা ও মানুষ

আপনার যদি প্রতিনিয়ত নেতিবাচক চিন্তার অভ্যাস থাকে: আপনাকে দিয়ে কিছুই হবে না, বিশ্বের অবস্থা খুব খারাপ, ভবিষ্যৎ অন্ধকার, আপনি অভাগা, এমন নেগেটিভ চিন্তার ক্ষতিকর প্রভাব মস্তিষ্কে গিয়ে পড়ে।

এজন্য নেতিবাচক চিন্তা আসলেই সেটা সাথে সাথে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করুন। এমনটা বার বার করলে একসময় অভ্যাস হয়ে যাবে। যদি একার চেষ্টায় না পারেন তাহলে মনোরোগবিদের সাহায্য নিন।

৯. অন্ধকারে সময় কাটানো

মার্কিন এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা অন্ধকারে বেশি সময় কাটান। কিংবা দীর্ঘসময় এমন কোন আবদ্ধ স্থানে থাকেন যেখানে তেমন আলো বাতাস চলাচল করে না, এমন পরিবেশ মস্তিষ্কের ওপর ভীষণ চাপ তৈরি করে। কারণ আমাদের মস্তিষ্কের জন্য সূর্যের আলোর সংস্পর্শ পাওয়া বেশ জরুরি। নাহলে ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা হতে পারে। আপনি মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সূর্যের আলোয় যেতে হবে। এজন্য বাইরে বেরিয়ে পড়ুন। ঘরে থাকলে দরজা জানালা খুলে দিন।

Advertisement

১০. খাদ্যাভ্যাস

অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস, সেটা স্বাস্থ্যকর খাবার হলেও মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। গবেষণা দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের ধমনীগুলোয় কোলেস্টেরল জমে রক্তপ্রবাহ কমে যায়।

জাঙ্ক ফুড, ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার, কোমল পানীয় ইত্যাদি খেলেও মস্তিষ্ক একই ধরণের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। এজন্য পরিমিত ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস খুব জরুরি। অনেকে দৈনিক ক্যালোরির হিসাব রাখতে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করেন।

১১. অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম

অত্যধিক স্ক্রিন টাইম মস্তিষ্কের আকার এবং বিকাশে ব্যাপক ক্ষতি করে। বেশি ক্ষতি হয় ফ্রন্টাল কর্টেক্সে, যা বয়ঃসন্ধিকাল থেকে ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়।

Advertisement

গবেষণায় দেখা গিয়েছে যেসব শিশু পর্দার সামনে দিনে সাত ঘণ্টার বেশি সময় কাটায় তাদের সেরিব্রাল কর্টেক্স পাতলা হয়ে গিয়েছেন। কেননা মোবাইলের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড থেকে যে বিকিরণ হয় তার সংস্পর্শে বেশি সময় থাকলে মাথাব্যথা, বিভ্রান্তি, মস্তিষ্কে টিউমারের মতো ক্ষতি হতে পারে।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

ত্বক সুন্দর রাখতে এড়িয়ে চলবেন যে সব খাবার

Published

on

ত্বকের-যত্ন, লাইফস্টাইল

ত্বকের যত্নে সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে না চললে,  হাজার চেষ্টা করেও স্বাস্থ্যোজ্বল ত্বক পাওয়া সম্ভব হবেনা! তাই ত্বকের যত্নের পাশাপাশি পরিবর্তন আনতে হবে আমাদের খাবারের তালিকায়। চলুন জেনে নেয়া যাক ত্বক সুন্দর রাখতে যে খাবারগুলো অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে-

লবণ

আমাদের শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি পূরণ করে লবণ। তবে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে মুখে বিশেষ করে, চোখের চারপাশে ফোলাভাব দেখা দেয়। আমাদের চোখের চারপাশের ত্বক বেশ পাতলা হয়ে থাকে। অতিরিক্ত সোডিয়াম বা লবণ গ্রহণে এসব জায়গা ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি অতিরিক্ত সোডিয়াম খাওয়ার ফলে ডার্ক সার্কেল এর সমস্যাও হতে পারে! তাই খাবারের সাথে অতিরিক্ত লবণ খাওয়াটা এড়িয়ে চলা উচিত।

দুগ্ধজাত খাদ্য

দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারের উপকারিতা নিয়েই সাধারণত অনেক কথা হয়। শরীর ও ত্বকের জন্য দুগ্ধজাত খাদ্য খুবই উপকারী। তবে দুগ্ধজাত খাদ্য অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতি যেমন,চোখের পাতা ফোলা, আই ব্যাগ, ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ ও বলিরেখার মতো নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত দুগ্ধজাত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকাটাই শ্রেয়!

চিনি

চিনি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর একটি খাবার। চিনিতে প্রচুর ক্যালরি থাকায় এটি খেলে ওজন বেড়ে যায়। পাশাপাশি ত্বকেও খারাপ প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস ত্বকে ইনফ্ল্যামেশন তৈরি করে, যা থেকে একনে ব্রেকআউট দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি যাদের পিসিওএসের তো হরমোনাল সমস্যার কারণে একনে হয়, তাদের একনেও অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে বেড়ে যেতে পারে। এ কারণে চিনিযুক্ত খাবার যত কম খাওয়া যায়, ততই ভালো।

চকলেট বা ক্যান্ডি

কম বেশি সবাই ক্যান্ডি বা চকলেট খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সুস্থ ত্বকের জন্য যেসব খাবার আমাদের পারতপক্ষে এড়িয়ে চলতে হবে, এই মজাদার চকলেট বা ক্যান্ডি তার মধ্যে অন্যতম। কারণ যদি আপনি নিয়মিত এগুলো খান, তাহলে আপনার শরীরে প্রক্রিয়াজাত চিনির পরিমাণ বেড়ে যাবে মারাত্মক আকারে! এই অতিরিক্ত চিনির কারণে ত্বকে থাকা কোলাজেনের ব্যালেন্স নষ্ট হয়, যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট করে। পাশাপাশি ত্বকের ন্যাচারাল গ্লো হারিয়ে ত্বক হয়ে যায় মলিন। তাই প্রচন্ড পছন্দের খাবার হলেও ত্বকের সুস্থতার জন্য চকলেট কিছুটা হলেও এড়িয়ে চলা উচিৎ।

Advertisement

সোডা ও কোমল পানীয়

খুব গরম পড়লে বা গুরুপাক খাবার খাওয়ার পরে কোমল পানীয় বা সোডা পান করা প্রায় সবারই একটি নিত্যদিনের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কোমল পানীয় পান করতে বেশ ভালো লাগলেও ত্বকের জন্য কিন্তু এটি মোটেও ভালো নয়! এই ধরনের পানীয়তে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় চিনি। তাই এগুলোতে ক্যালরিও অনেক বেশি। কোমল পানীয়র কারণে ত্বকে অকালে বয়সের ছাপ পড়াসহ বিভিন্ন স্কিন ইরিটেশন দেখা দিতে পারে। তাই আপনার যদি হুটহাট কোমল পানীয় পান করার অভ্যাস থেকে থাকে, তাহলে আজই সেটি ছাঁটাই করে ফেলুন!

ফাস্টফুড ও তেলে ভাজা খাবার

আমাদের মধ্যে অনেকেরই মিড মর্নিং বা বিকেলের নাস্তায় চপ, সিঙাড়া অথবা বার্গার, ফ্রায়েড চিকেন ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস আছে। এসব খাবার খেতে ভালো লাগলেও, ত্বকের জন্য কিন্তু এগুলো একেবারেই উপকারী নয়! এই খাবারগুলো আমাদের ত্বকে ইনফ্ল্যামেশন বা ব্রণজনিত সমস্যার জন্য অনেকটা দায়ী। তাই ত্বক সুন্দর রাখতে এখন থেকে এসব খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

কফি

বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা দিনশেষে ক্লান্তি দূর করতে কফি পান করতে পছন্দ করেন অনেকেই! কারো কারো তো কফি না খেয়ে দিনই শুরু হয়না! তবে এই অতিরিক্ত কফি পান করার ফলে শরীরে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন এবং সেই সাথে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা। তাই অতিরিক্ত কফি পান করা থেকে বিরত থাকাটা খুব জরুরি সুন্দর ও সুস্থ ত্বক পেতে হলে!

প্রক্রিয়াজাত খাবার

যেসকল খাবার প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত না হয়ে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় নানা প্রক্রিয়ায় প্রক্রিয়াজাত হয়, সেসব খাবার ত্বকের জন্য বেশ ক্ষতিকর। এধরনের খাবারের মধ্যে প্যাকেট করা বা কৌটাজাত দীর্ঘদিন সংরক্ষিত বিভিন্ন খাবার যেমনঃচিকেন নাগেটস, মিটবল, ক্যানে থাকা ফল বা সবজি, জুস অন্যতম। এসকল খাবার আমাদের স্কিনের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কেননা এগুলোতে ব্যবহার করা হয় প্রিজারভেটিভস, যা আমাদের স্কিন ব্যারিয়ারের ক্ষতি করে। তাই এই খাবারগুলো কম খেয়ে বাড়িতে তৈরি খাবার খান। বেশি করে ফলমূল ও শাকসবজি খাদ্যতালিকায় রাখুন। এতে করে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে, আবার ত্বক ও চুলও ভালো থাকবে।

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত