আর্কাইভ থেকে এশিয়া

‘গাজাবাসী দৈনিক মাত্র দুই টুকরো রুটি খেয়ে বেঁচে আছেন’

‘গাজাবাসী দৈনিক মাত্র দুই টুকরো রুটি খেয়ে বেঁচে আছেন’
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে অবরুদ্ধ গাজায় তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিামা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তাদের নির্বিচার বোমা হামলায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে গাজা উপত্যকায়।জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,গাজায় খাবার, পানি ও ওষুধের তীব্র সংকট চলছে। নেতানিয়াহু প্রশাসনের আরোপ করা সর্বাত্মক অবরোধের কারণে আটার তৈরি মাত্র দৈনিক দুই টুকরো রুটি খেয়ে গাজাবাসী বেঁচে আছেন। স্থানীয় সময় শনিবার(৪ নভেম্বর)জাতিসংঘের বরাত দিয়ে তুরস্কের প্রভাবশালী গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়,অবরুদ্ধ গাজায় খাবার, পানি ও জ্বালানির সীমিত মজুত এবং ইসরাইলি অবরোধে চরম মানবেতর জীবন-যাপন করছেন গাজাবাসী। এখানকার  অসহায় মানুষ এখন পানির অভাবে চিৎকার করে কাঁদছে। বিভিন্ন দেশ থেকে ত্রাণ সহায়তা পেলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা একেবারেই অপর্যাপ্ত। জাতিসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টিনিয়ান রিফিউজিসের (ইউএনআরডব্লিউএ) পরিচালক থমাস হোয়াইট বলেন, টানা ২৯ দিন ধরে ইসরাইলের নির্বিচারে বোমা হামলায় গাজা উপত্যকা এখন মৃত্যুপুরী। গাজার কোনো জায়গাই নিরাপদ নয়। এক ভিডিও ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের কূটনীতিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) ১৭ লাখ গাজাবাসীকে রুটির জোগানের লক্ষ্যে প্রায় ৮৯টি বেকারিকে সহায়তা দিচ্ছে। এখন এই অঞ্চলের মানুষেরা রুটির বদলে একটু পানির খোঁজে আছেন। জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক উপসমন্বয়ক এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মানবিক সমন্বয়কারী লিন হেস্টিংস বলেন, ‘ইসরাইলের তিনটি পানি সরবরাহ লাইনের মধ্যে মাত্র একটি চালু আছে। তাই অনেকে লবণাক্ত বা লবণাক্ত ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার করছে।’ ইউএনআরডব্লিউএর ১৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে গাজার প্রায় ছয় লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এদের বেশিরভাগই স্কুল। কিন্তু গত ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর ইসরাইলের তীব্র স্থল ও বিমান হামলায় সংস্থাটি উত্তর গাজার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এদিকে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ২৯৯ জনে। নিহতদের মধ্যে ৯ হাজার ১৫৫ জনই গাজার।অন্য ১৪৪ জন ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিমতীরের। এ ছাড়া ইসরাইলি হামলায় আহত দের সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এদের মধ্যে ২৪ হাজার গাজার অধিবাসী, অন্যরা পশ্চিমতীরের। অপরদিকে, হামাসের হামলায় ইসরাইলের দেড় হাজারের বেশি নিহত হয়েছেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন গাজাবাসী | দৈনিক | মাত্র | দুই | টুকরো | রুটি | খেয়ে | বেঁচে | আছেন