ময়মনসিংহ
বেলুন ফোলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ১১
ময়মনসিংহে গ্যাস দিয়ে বেলুন ফোলানোর সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১১ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জনই শিশু। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে নগরীর চরকালিবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় ৬ শিশু ছাড়াও দুজন নারী ও তিনজন পুরুষ দগ্ধ হয়েছেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
দগ্ধরা হলেন—চরকালিবাড়ি এলাকার তারিকুল ইসলাম (৩৫), সোহেল (৫০), ইসমাইল (২৫), সালমা( ২৫), কোহিনুর (৪০), ইয়াসিন (৫), সুলেমান (৫), রাহিম (৪), তানজিনা (৪), মিম (৫) ও মানিক (৯)।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, স্থানীয় ইদ্রিস আলীর বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস বেলুন তৈরি ও ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছিল। প্রতিদিনের মতো আজও ওই দোকানে সিলিন্ডার থেকে গ্যাস দিয়ে বেলুন ফোলানোর সময় বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় দোকানের ভেতরে ও আশেপাশে থাকা নারী-শিশুসহ মোট ১১ জন দগ্ধ হয়।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মাইন উদ্দিন আহমেদ জানান, আহতদের সার্জারি বিভাগের ৬, ১০ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দুর্ঘটনা
পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন সুমন
গাজীপুর থেকে পরিবারের সঙ্গে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর সাদামাটির পাহাড়ে বেড়াতে এসেছিলেন সুমন মিয়া নামে এক যুবক। সবার সঙ্গে সেখানে নীল পানির লেকে গোসল করতে নামেন তিনি। গোসল শেষে সবাই তীরে উঠে এলেও নিখোঁজ থাকেন সুমন। প্রায় আধা ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর সুমনের নিথর দেহের সন্ধান মেলে।
রোববার (২ জুন) নীল পানির লেকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সুমন মিয়া (২১) গাজীপুরের শ্রীপুর থানার গরগরিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, গাজীপুর থেকে পরিবারের সঙ্গে পর্যটন এলাকা দুর্গাপুরের সাদামাটির পাহাড়ে ঘুরতে আসেন সুমন মিয়া। তার সঙ্গে ২৫ জনের মতো লোক ছিল। রোববার দুপুরের দিকে বিজয়পুর সাদামাটির পাহাড়ের নীল পানির লেকে গোসল করতে নামেন তাদের কয়েকজন। সাঁতার না জানায় গোসলের এক পর্যায়ে পানিতে তলিয়ে যান সুমন। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
সুমনের কাকা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সবার সঙ্গেই সুমন পানিতে নেমেছিল। পরে শুধু দুইটা হাত আঙ্গিয়ে ডুবে যায় আমার ভাতিজা।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ফারহানা ইসলাম গণমাধ্যমে জানান, পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে এলে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আতিকুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে লাশের সুরতহাল তৈরি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
এএম/
ময়মনসিংহ
নদীতে ভাসছিলো ট্রলি ব্যাগ, মিললো পা-মাথা বিচ্ছিন্ন লাশ
ময়মনসিংহে সেতুর নিচ থেকে অজ্ঞাত পরিচয় একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। লাশের দুই পা ও মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলো। তবে এখন পর্যন্ত লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
রোববার (২ জুন) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার মনতলা এলাকায় সেতুর নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সকালে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
ফারুক হোসেন আরও জানান, কালো রঙের ট্রিল ব্যাগের ভেতরে মাথা ও দুই পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আলাদা পলিথিনে মোড়ানো ছিল লাশটি। এখন পর্যন্ত লাশটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
ওসি আরও জানান, উদ্ধার হওয়া লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এছাড়া এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়ে গেছে।
টিআর/
ময়মনসিংহ
পরিচয় মিলেছে গর্তে পাওয়া সেই তিন মরদেহের
ময়মনসিংহের ত্রিশালে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হওয়া নারী ও শিশুদের মরদেহের পরিচয় মিলেছে।
তারা হলেন- আমেনা বেগম (২৫) এবং তার দুই ছেলে আবু বক্কর (৪) ও আনাস (২)।
মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে ত্রিশাল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলমগীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় রাতেই আমেনা খাতুনের মা হাসিনা খাতুন বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এএসআই জানায়, ৬ বছর আগে মামাতো ভাই আলী হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় আমেনার। আলী হোসেন উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নয়াপাড়া গ্রামের মো. আবদুল হামিদের ছেলে।
আলী হোসেন অলস প্রকৃতির। যে কারণে কোনো কাজ না করে বেকার থাকতেন। তার স্ত্রী আমেনা মানুষের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে সংসার চালাতেন। সম্প্রতি এনজিও থেকে টাকা তুলেন আমেনা। এনজিওর কিস্তি দেয়া নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো।
গেলো ১৬ মে এনজিওর কিস্তি নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়। পরে ওই দিনই স্ত্রী আমেনাকে ঢাকায় কাজে নেয়ার কথা বলে দুই ছেলেসহ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান আলী হোসেন। এরপর থেকে আলী হোসেন ও আমেনার ফোন বন্ধ ছিল।
পুলিশের ধারণা, ঢাকায় নেয়ার কথা বলে আলী হোসেন তার স্ত্রী-সন্তানদের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হত্য করে বাড়ির পাশে নির্জনস্থানে মাটির গর্তে পুঁতে রাখেন।
ত্রিশাল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলমগীর বলেন, ঘটনার পর থেকে আলী হোসেন পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নয়াপাড়া গ্রামে এক নির্জন স্থানে শিয়ালের টানাহেচড়ায় এক নারী ও দুই শিশুকে মাটিতে পুঁতে রাখার সন্ধান পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে এসব মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
টিআর/
- বলিউড4 days ago
রাফা হামলার প্রতিবাদ করায় কটাক্ষের শিকার মাধুরী
- ঢালিউড4 days ago
উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌর করা যৌতুক মামলায় স্বামীর জামিন
- বাংলাদেশ6 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
- ঢালিউড7 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
- বলিউড7 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
- বলিউড7 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
- আবহাওয়া6 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
- ঢালিউড2 days ago
বিয়ের খবর লুকালো আমাকে আর ছেলেকে দিয়ে: পরীমণি