আর্কাইভ থেকে জাতীয়

‘কিছু সাংবাদিক বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে কথা বলতে বাধ্য করে’

‘কিছু সাংবাদিক বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে কথা বলতে বাধ্য করে’
প্রবাসী সাংবাদিক ও কয়েকজন বাঙালি নাগরিক ষড়যন্ত্রে নেমেছেন।তারা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করে প্রতিদিনই বাংলাদেশের আসছে জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রকে বলতে বাধ্য করছেন।বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটি বাজারের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কল্যাণমূলক সংগঠন ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশন (ফোসা) ওই চ্যারিটি বাজারের আয়োজন করে। আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক নানা বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী সাংবাদিক ও কয়েকজন বাঙালি নাগরিক ষড়যন্ত্রে নেমেছেন। তারাই জোর করে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে বাধ্য করছেন। অন্য দেশের নির্বাচন নিয়ে তো তারা এতো কথা বলে না। ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বিশ্বের ১৯৪টি দেশে নির্বাচন হয়। সেগুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এত কথা বলে না।বাংলাদেশ নিয়ে এত আলোচনা। কারণ সেখানে কিছু বাঙালি সাংবাদিক বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়টি তুলে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।’ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা বলছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয়ে আমাদের টানছেন কেন? আমরা কোনো দলকে সমর্থন করি না।’ আওয়ামী লীগ কখনো অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসবে না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের মধ্য দিয়েই যাব। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়েই যাব। এর আগেও অনেক নির্বাচন হয়েছে এবং সেগুলো সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। আর এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে কোনো বন্ধু দেশ যদি আমাদের সহযোগিতা করতে চায়, অবশ্যই তাদের স্বাগত জানাই।’ যুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধু দেশ আখ্যা দিয়ে মোমেন বলেন,‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধু দেশ। তারা আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করে। তারা আমাদের সঙ্গে এ সম্পর্ক আরও বাড়াতে চায়। তারা নানা সময় পরামর্শ দেয়। তাদের পরামর্শ বিবেচনা করে গ্রহণযোগ্য হলে আমরা নেব।’ প্রসঙ্গত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত চ্যারিটি বাজারে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য, পোশাক, শাড়ি, বুটিক পণ্য, লেদার পণ্য, বই প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হচ্ছে। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর মাধ্যমে সংগৃহীত অন্যান্য দেশের পণ্যসামগ্রীও চ্যারিটি বাজারে স্থান পেয়েছে। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, তুরস্ক, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম, চীন, শ্রীলঙ্কা দূতাবাসসহ ১৮টি বিদেশি মিশন ও ৩২ স্থানীয় সংস্থা চ্যারিটি বাজারে অংশ নিয়েছে।  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কিছু | সাংবাদিক | বাংলাদেশ | ইস্যুতে | যুক্তরাষ্ট্রকে | কথা | বলতে | বাধ্য | করে