আর্কাইভ থেকে রাজনীতি

সেলিম ওসমান ও ইনুর আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি আওয়ামী লীগ

সেলিম ওসমান ও ইনুর আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি আওয়ামী লীগ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে কুষ্টিয়া-২ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে কে লড়বেন তা এখনই জানা যাচ্ছে না। রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম জানানো সময় এ তথ্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কুষ্টিয়া-২ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে কে লড়বেন তা এখনই জানানো যাচ্ছে না। এ বিষয়ে পরে জানানো হবে। গেলো ১৫ বছর ধরে হাসানুল হক ইনু কুষ্টিয়া-২ আসনের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুই উপজেলা ভেড়ামারা ও মিরপুরকে নিয়ে গঠিত কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসন। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনটি শহর ও বন্দর উপজেলা এলাকা নিয়ে গঠিত। এ আসনটি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১১নং ওয়ার্ড থেকে ২৭নং ওয়ার্ড এলাকা ও বন্দর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় পড়েছে। ২০০৮ সালে মহাজোটের শরিককে আসনটি ছেড়ে দেয়া হলে জাতীয় পার্টির নেতা এ কে এম নাসিম ওসমান বিজয়ী হন। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে পুনরায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী নাসিম ওসমান বিজয়ী হন। কিছুদিন পর এ কে এম নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর তার ছোট ভাই বিকেএমইএর সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালেও নির্বাচিত হন তিনি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন তিনি। গেলো ১৮ নভেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়। ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিনে দলটির দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া জানান, ৩ হাজার ৩৬২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। এতে ক্ষমতাসীন দলটির আয় হয়েছে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। গেলো ২৩, ২৪ ও ২৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলটির সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বোর্ডের সভায় বাকি মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। এদিকে রোববার সকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোনো অবস্থাতেই বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাকেই নৌকার মনোনয়ন দেয়া হবে তার জন্যই সবাইকে কাজ করতে হবে। সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে শেখ হাসিনা বিএনপি- জামায়াতের নাশকতা প্রতিরোধ ও অপপ্রচার বন্ধে রাজপথে থাকারও নির্দেশনা দেন নেতাদের। চলতি মাসের ১৫ তারিখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সেলিম | ওসমান | ও | ইনুর | আসনে | প্রার্থী | ঘোষণা | করেনি | আওয়ামী | লীগ