আর্কাইভ থেকে আন্তর্জাতিক

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে শান্তি সম্মেলন চান ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে শান্তি সম্মেলন চান ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট
আমি একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনের ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষকতায় আলোচনার জন্য অপেক্ষা করছি। যার মাধ্যমে গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে একটি সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে। বললেন ৮৭ বছর বয়সী মাহমুদ আব্বাস। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে রামাল্লায় নিজ কার্যালয়ে একান্ত সাক্ষাত্কারে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ ছাড়াও ইসরায়েলি বাহিনী গেলো এক বছরে অধিকৃত পশ্চিম তীরে সর্বত্র আক্রমণ জোরদার করেছে। তারা ফিলিস্তিনি শহরগুলোর বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়িয়েছে। এ সময় দীর্ঘদিনের এই দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে সশস্ত্র প্রতিরোধের পরিবর্তে আলোচনার পক্ষে নিজের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। আব্বাস বলেন, যখন গাজায় একের পর এক হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। গেলো দুই মাসের যুদ্ধে কমপক্ষে সাড়ে ১৭ হাজার প্রাণহানি ছাড়াও ৪৬ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে এক দশমিক ৯ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তাদের অর্ধেকের বেশি এখন মধ্য গাজা বা মিশরীয় সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট জানান, একটি বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক চুক্তির ভিত্তিতে, দুর্বল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে পুনরুজ্জীবিত করে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সংস্কার বাস্তবায়ন করবেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি ও সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে চান তিনি। যা ২০০৬ সালে হামাস জয়ী হওয়ার পরে স্থগিত করা হয়েছিল। তিনি বলেন, পিএ ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তির পর থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সব শান্তি চুক্তি এবং বছরের পর বছর ধরে যে সমঝোতা হয়েছিল তা মেনে চলছিল। তবে দখলদারিত্বের অবসানের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে ইসরায়েল। হামাসের ২০০৬ সালের মতো জয়লাভ করার সম্ভাবনার কারণে নির্বাচনের ঝুঁকি নেবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আব্বাস বলেন, ‘যে জিতবে সে জিতবে, এটি হবে গণতান্ত্রিক নির্বাচন।’ ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট জানান, ২০২১ সালের এপ্রিলে নির্বাচন করার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূত তাকে নির্ধারিত তারিখের আগে বলেছিলেন, ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমে ভোটদানে আপত্তি করছে। তাই তাকে এটি বাতিল করতে বাধ্য করা হয়েছিল। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন, পূর্ব জেরুজালেম ছাড়া নির্বাচন হবে না। কারণ, পিএ অতীতে যে তিন দফা নির্বাচন করেছিল, সেগুলোতে ইসরায়েল নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে পূর্ব জেরুজালেমও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন গাজায় | যুদ্ধ | বন্ধে | শান্তি | সম্মেলন | চান | ফিলিস্তিনি | প্রেসিডেন্ট