আর্কাইভ থেকে জাতীয়

নির্বাচন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি নিয়ে যা বললো জাতিসংঘ

নির্বাচন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি নিয়ে যা বললো জাতিসংঘ
আমি ওই চিঠি দেখিনি।বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমি সবিস্তারে যা বলেছি এর আগে, এখনো তাই বলব। বাংলাদেশে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের পাঠানো চিঠি ও নির্বাচন নিয়ে এভাবেই প্রশ্নের জবাব দিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। আসছে ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন।এই নির্বাচন ঠেকাতে ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো বিক্ষোভের নামে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে। পশ্চিমা দেশগুলোর কারণে নির্বাচন ইস্যুতে জাতিসংঘও পক্ষপাত করছে।গত ২৮ অক্টোবর জাতিসংঘের একাধিক বিবৃতি তা প্রমাণ করে।এসব উল্লেখ করে নির্বাচন উপলক্ষ্যে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে আহবান জানিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবকে সম্প্রতি চিঠি লিখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার(৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের এই প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই চিঠির ব্ষিয় ও্ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব  মুশফিকুল ফজল আনসারী। আনসারীর প্রশ্নটি ছিলো, ‘গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকারের জন্য জনগণের দাবিকে বাংলাদেশে অযৌক্তিক হিসেবে নেওয়া হচ্ছে।এর পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ অবস্থায় নির্বাচনের আগে জাতিসংঘের সমর্থন পেতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কি? প্রধান বিরোধী দলকে কারাগারে রেখে কি আরেকটি একপক্ষীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিতে শাসকগোষ্ঠীকে পুরস্কৃত করবেন? জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র বলেন,‘আমি ওই চিঠি দেখিনি। বাংলাদেশের আসছে নির্বাচন নিয়ে আমি সবিস্তারে এর আগে যা বলেছি এখনো তাই বলব। আর তা হলো—আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করি।’ এর আগে, লাবলু হাসান নামে বাংলাদেশি আরেক সাংবাদিক স্টিফেন ডুজারিকের কাছে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তার প্রশ্নটি ছিল, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক মিত্রদের কাছ থেকে সবরকম সহযোগিতাকে স্বাগত জানায়। জাতিসংঘ কি জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠানোর পরিকল্পনা করছে?’ জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন,না। জাতিসংঘ অতিসম্প্রতি বলেছে— নির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না।’ লাবলু হাসানের আরেকটি প্রশ্ন ছিল,‘গণহত্যার অপরাধ ও শাস্তি নিয়ে মানবাধিকার বিষয়ক সার্বজনীন ঘোষণার ৭৫ বছর পূর্তি  এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উদযাপন করবে জাতিসংঘ। আমরা এর প্রশসংসা করি। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দখলদার বাহিনীর সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়ার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি জাতিসংঘ। এবিষয়ে আপনার মন্তব্য শুনতে চাই।’ এর জবাবে  জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও  গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘প্রথমত ঐতিহাসিক ইভেন্ট এবং এসব ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের প্রতি যথাযথ সম্মানপূর্বক আমি বলব,  অনেক আগে ঘটে গেছে এমন বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবো না। দ্বিতীয়ত, বার বার এখানে আমরা বলেছি, কোনো ঘটনাকে গণহত্যা বলে চিহ্নিত করা মহাসচিবের কাজ নয়।এটি উপযুক্ত বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর করে।’

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন নির্বাচন | ও | পররাষ্ট্রমন্ত্রীর | চিঠি | নিয়ে | বললো | জাতিসংঘ