Connect with us

রংপুর

অচেনা প্রাণির আক্রমণে ৪০ জন আহত

Published

on

গাইবান্ধা পৌর শহরের অচেনা হিংস্র প্রাণির আক্রমণে ৪০ জন মানুষ আহত হয়েছেন। তবে এটি একটি ‘পাগলা কুকুর’ বলে জানিয়েছেন আহতদের অনেকেই। সকালে  এই কুকুরে আক্রমণে কলেজপাড়া এলাকারই অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার (২৭ মে) গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শর্মিষ্ঠা রানী বর্মন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আহতরা হলেন- পৌর শহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা আরশাদ মিয়া, গাইবান্ধা সরকারি কলেজের নৈশ্যপ্রহরী অসীম কুমার সরকার শংকর, মৎস্যজীবী নেপাল দাস, রিকসাচালক ঝন্টু, মজিদ মাস্টার এবং ঝালাইকর ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষকসহ দুজন পথচারী।

স্থানীয়রা জানান, সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে কুকুরটির আক্রমণে আহত হয়েছেন এলাকার অনেকেই।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ইদানীং এই এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের  মত দেখতে  প্রানির অবাধ বিচরণ দেখা যাচ্ছে। ভোর থেকে শুরু হয় এ গুলো উৎপাত। তারা এসব প্রানী গুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা  নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগ কামনা করেন।

Advertisement

চেনা প্রানীর আক্রমণের শিকার গাইবান্ধা সরকারি কলেজের নৈশ্যপ্রহরী অসীম কুমার সরকার শংকর জানান, সকালে বাড়ী থেকে বের হলে, পাড়ার একটি রাস্তায় প্রাণীটির আক্রমণের শিকার হন তিনি। তবে প্রাণীটি একটি ‘পাগলা কুকুর’ বলে জানান তিনি। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে দুপুর পর্যন্ত ৪০ থেকে ৫০ জন ব্যক্তিকে জলাতঙ্কের ইনজেকশন, ক্ষতস্থান ড্রেসিংসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন তারা। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তারা বাড়ি চলে গেছেন বলে জানান তিনি।

এব্যাপারে জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার মাসুদার রহমান বলেন,  এটি কোন অচেনা প্রানী নয়। এটি কুকুর। যে  কুকুরটি মানুষকে আক্রমন করছে সেটি পাগল হয়নি। কুকুরটিকে উত্যক্ত করা হয়েছে। যখনই কোন মানুষ তাকে উত্যক্ত করছে তখনই সে কামড়াচ্ছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

রংপুর

সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক

Published

on

সৈয়দপুর-বিমানবন্দর

ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ থাকার পর আজ সকালে ফের বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ।

তিনি বলেন, সোমবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ৫টি ফ্লাইট বাতিল করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বাতিল হওয়া ফ্লাইটগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বিমানের একটি, ইউএস-বাংলার একটি ও নভোএয়ারের একটি করে আরও তিনটি ফ্লাইট রয়েছে। তবে আজ আবহাওয়া ভালো থাকায় সকাল থেকে বিমান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

‘স্বর্ণের খোঁজ মেলা’ সেই ইটভাটায় ১৪৪ ধারা জারি

Published

on

ইটভাটা

গেলো কয়েক দিন ধরে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের কাতিহার গ্রামে আরবিবি ইটভাটায় স্বর্ণের খোঁজে জেলার কয়েক হাজার মানুষ দিনরাত মাটি খুঁড়ছিলেন। প্রশাসন নিরাপত্তা ঝুঁকি চিন্তা করে সেই ইটভাটায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে।

শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রকিবুল হাসান এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ তথ্য জানান। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে তা কার্যকর হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাণীশংকৈল থানার ৫ নম্বর বাচোর ইউনিয়নের অন্তর্গত কাতিহার বাজারের উত্তর পার্শ্বে রাজোর গ্রামে মো. রুহুল আমিনের মালিকানাধীন আরবিবি ইটভাটায় মাটির স্তূপ খুঁড়ে সোনা পাওয়া যাচ্ছে। এমন খবরে স্থানীয় লোকজনসহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গার অসংখ্য মানুষ বেশ কিছুদিন ধরে খুন্তি, কোদাল ইত্যাদি দিয়ে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে। প্রতিদিন সেই স্থানে তারা স্বর্ণের সন্ধান করছে। ফলে আগ্রাসী লোকজন স্বর্ণ পাওয়ার আশায় ঝগড়া-বিবাদ, কলহ ও দ্বন্দ্বে লিপ্ত হচ্ছে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিন জনগণ মাটি খুঁড়ে স্বর্ণের সন্ধান করতে থাকলে যেকোনো সময় ঘটনাস্থলে মারামারি, খুন, জখমসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সেই স্থানে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইটভাটা এলাকা ও এর আশপাশে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কাতিহার সামুরাই মন্দিরের পাশ থেকে মাটি খনন করে ইটভাটায় স্তূপ করা হয়েছে। গুজব উঠেছে ওই মাটির স্তূপ থেকে স্বর্ণের জিনিস পাওয়া গেছে। এরপর থেকেই সাধারণ মানুষ দিনরাত ওই মাটির স্তূপ খনন করে বাছাই শুরু করেছে। তবে কেউ স্বর্ণের কোনো অংশ পেয়েছে, এমন খবর পাওয়া যায়নি।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট বড় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল ছোট ভাইয়েরও

Published

on

ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। মৃত দুই ভাইয়ের নাম তমিজ উদ্দিন (৫০) ও রবিউল ইসলাম (৪৫)।

শুক্রবার (২৫ মে) রাতে উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের বর্মতোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ভানোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, দিনভর ভুট্টা ভাঙার কাজ শেষে রাতে নিজ বাড়িতে তমিজ উদ্দিন ফ্যানের বৈদ্যুতিক তারের লিকেজ পলিথিন দিয়ে ঠিক করছিলেন। এ সময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে ছোট ভাই রবিউল ইসলামও বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।

ভানোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মামুন বলেন, ৫ ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই তিন বছর আগে মারা গেছেন। দুই ভাই ঢাকায় চাকরি করেন ও দুই ভাই এলাকায় কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। মারা যাওয়া দুই ভাইয়ের সাত সন্তান থাকলেও সবাই নাবালক। দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ওসি ফিরোজ কবির বলেন, অপমৃত্যুর ডায়রি হয়েছে। এভাবে মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত