Connect with us

রংপুর

জনদুর্ভোগ দূর করতে স্বেচ্ছায় চলছে বাঁশের সাঁকো নির্মান

Published

on

দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে স্বেচ্ছাশ্রমে  ১৩০ ফিট লম্বা বাঁশে সাঁকো নির্মান কাজ চলছে। জনদুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা গেলো ৮ থেকে ১০ দিন ধরে বাঁশের সাঁকো নির্মান করছেন। সরকারিভাবে ব্রীজ নির্মাণের ব্যবস্থা না করায় চরম দুর্ভোগের শিকার ঐ এলাকার হাজার হাজার মানুষ। তাই জনদুর্ভোগ কমাতে প্রতি বছর ঐ এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়দের নিজস্ব উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মান করে কোন রকমেই চলছে পারাপার।

বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে পারাপরে চরম দুর্ভোগের শিকার হন স্থানীয় বাসিন্দারা। কেউ পারাপারে ব্যবহার করেন ডিঙি নৌকা। আবার কেউ কেউ পারাপার হন কলাগাছের ভেলায়। এতে করে প্রায়ই দুঘর্টনা ঘটে। যেন দেখার কেউ নেই।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ী এলাকায় করিমের ঘাটে বারোমাসিয়া নদীর উপর নির্মিত ১৩০ ফিট লম্বা বাঁশের সাকোটি জরাজীর্ণ অবস্থার মাঝেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারও মানুষ। ভারী বস্তা বা পণ্য সামগ্রী পারাপার করতে হিমসীম খাচ্ছে স্থানীয়রা। বিশেষ করে মহিলাসহ স্কুল-কলেজে যাওয়া শিক্ষার্থীরা সতর্কভাবে পারাপার করলেও অনেক সময় দূঘটনার শিকার হন। বারোমাসিয়া নদীতে সারা বছর পানি থাকে। বছরের পর বছর স্থানীয়রা ব্রীজের দাবী করে আসলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও পারাপারে নির্মান করা হয়নি ব্রীজ। স্থানীয়দের চলাচলের সুবিধার্থে জরাজীর্ণ সাঁকোটির পাশ দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশেদুল হকের নিজস্ব উদ্যোগে গত ৮ থেকে ১০ দিন ধরে নতুন করে বাঁশের সাঁকো নির্মানের কাজ শুরু করায় দুর্ভোগের শিকার হাজার হাজার মানুষের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস বইছে। 

স্থানীয়  করুনা কান্ত ও রাজু মিয়া জানান, সরকারিভাবে ব্রীজ নির্মান না হওয়ায় আমরা এলাকাবাসী যুগের পর যুগ চরম দুর্ভোগ সহ্য করে আসছি। আমরা প্রতিদিন ভয়ে ভয়ে সাকোটি পার হই। ভাঙ্গাচুরা জায়গুলো পার হতে গিয়ে মনে হয় এই বুঝি সাকোটি ভেঙ্গে যায়। আমাদের এমন দুদর্শা দেখে ইউপি সদস্য রাশেদুল হক তার নিজ উদ্যোগে নতুন করে সাকো নির্মান কাজ শুরু করেছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই সাকো নির্মানের কাজ শেষ হবে বলে আশাকরছি।

কৃষক সন্জু মিয়া  ও হাসেম আলী জানান, ৭ বছর আগে এখানে একটা ঘাট ছিল। তখন আমরা নৌকা দিয়ে পারাপার করছি। তারপরে জনগণের কাছে বাঁশ কালেকশন করি আমরা একটা বাঁশের সাকো দিছি। এবার সাকোটি ভেঙ্গে গেছে। এখন পারাপারে খুবই সমস্যা।

Advertisement

মৎস ব্যবসায়ী আতাউর রহমান রতন ও হামিদুল ইসলাম হিমু জানান, সাকোটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩০ ফুট। এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ পারাপার করে। প্রতিবছর আমরা নিজেদের উদ্যোগ সাকোটি পারাপারের উপযোগী করি। স্বাধীনতার ৫০ বছরও সরকারিভাবে ব্রীজ নির্মানের কোন উদ্যোগ নেয়া  হয়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশেদুল হক জানান, ব্রীজ নির্মান না করায় বছরের পর বছর হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার। নিজ উদ্যোগে টানা ৭ বছর ধরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় প্রতি বছর সাঁশের সাঁকো নির্মান করে পারাপার হতে হয়। এই নদীত একটি ব্রীজ নির্মান করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি জরুলি ভাবে একটি ব্রীজ নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সৃ-দৃষ্টি কামনা করেন।

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুমন দাস বলেন, সরেজমিনে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।  

Advertisement

রংপুর

সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক

Published

on

সৈয়দপুর-বিমানবন্দর

ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ থাকার পর আজ সকালে ফের বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ।

তিনি বলেন, সোমবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ৫টি ফ্লাইট বাতিল করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বাতিল হওয়া ফ্লাইটগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বিমানের একটি, ইউএস-বাংলার একটি ও নভোএয়ারের একটি করে আরও তিনটি ফ্লাইট রয়েছে। তবে আজ আবহাওয়া ভালো থাকায় সকাল থেকে বিমান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

‘স্বর্ণের খোঁজ মেলা’ সেই ইটভাটায় ১৪৪ ধারা জারি

Published

on

ইটভাটা

গেলো কয়েক দিন ধরে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের কাতিহার গ্রামে আরবিবি ইটভাটায় স্বর্ণের খোঁজে জেলার কয়েক হাজার মানুষ দিনরাত মাটি খুঁড়ছিলেন। প্রশাসন নিরাপত্তা ঝুঁকি চিন্তা করে সেই ইটভাটায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে।

শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রকিবুল হাসান এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ তথ্য জানান। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে তা কার্যকর হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাণীশংকৈল থানার ৫ নম্বর বাচোর ইউনিয়নের অন্তর্গত কাতিহার বাজারের উত্তর পার্শ্বে রাজোর গ্রামে মো. রুহুল আমিনের মালিকানাধীন আরবিবি ইটভাটায় মাটির স্তূপ খুঁড়ে সোনা পাওয়া যাচ্ছে। এমন খবরে স্থানীয় লোকজনসহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গার অসংখ্য মানুষ বেশ কিছুদিন ধরে খুন্তি, কোদাল ইত্যাদি দিয়ে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে। প্রতিদিন সেই স্থানে তারা স্বর্ণের সন্ধান করছে। ফলে আগ্রাসী লোকজন স্বর্ণ পাওয়ার আশায় ঝগড়া-বিবাদ, কলহ ও দ্বন্দ্বে লিপ্ত হচ্ছে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিন জনগণ মাটি খুঁড়ে স্বর্ণের সন্ধান করতে থাকলে যেকোনো সময় ঘটনাস্থলে মারামারি, খুন, জখমসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সেই স্থানে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইটভাটা এলাকা ও এর আশপাশে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কাতিহার সামুরাই মন্দিরের পাশ থেকে মাটি খনন করে ইটভাটায় স্তূপ করা হয়েছে। গুজব উঠেছে ওই মাটির স্তূপ থেকে স্বর্ণের জিনিস পাওয়া গেছে। এরপর থেকেই সাধারণ মানুষ দিনরাত ওই মাটির স্তূপ খনন করে বাছাই শুরু করেছে। তবে কেউ স্বর্ণের কোনো অংশ পেয়েছে, এমন খবর পাওয়া যায়নি।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট বড় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল ছোট ভাইয়েরও

Published

on

ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। মৃত দুই ভাইয়ের নাম তমিজ উদ্দিন (৫০) ও রবিউল ইসলাম (৪৫)।

শুক্রবার (২৫ মে) রাতে উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের বর্মতোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ভানোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, দিনভর ভুট্টা ভাঙার কাজ শেষে রাতে নিজ বাড়িতে তমিজ উদ্দিন ফ্যানের বৈদ্যুতিক তারের লিকেজ পলিথিন দিয়ে ঠিক করছিলেন। এ সময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে ছোট ভাই রবিউল ইসলামও বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।

ভানোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মামুন বলেন, ৫ ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই তিন বছর আগে মারা গেছেন। দুই ভাই ঢাকায় চাকরি করেন ও দুই ভাই এলাকায় কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। মারা যাওয়া দুই ভাইয়ের সাত সন্তান থাকলেও সবাই নাবালক। দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ওসি ফিরোজ কবির বলেন, অপমৃত্যুর ডায়রি হয়েছে। এভাবে মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত