বাংলাদেশ

তপন বাগচীর বাংলা একাডেমি পুরস্কার বাতিলের দাবি

তপন বাগচীর বাংলা একাডেমি পুরস্কার বাতিলের দাবি
অন্যের লেখা চুরি করে নিজের নামে প্রকাশ করার অভিযোগে তপন বাগচীর বাংলা একাডেমি পুরস্কার বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী দুই লেখক ও সংগ্রাহক। অন্যের সম্পাদিত লোকসাহিত্য বিষয়ক বই থেকে হুবহু লেখা চুরি করার দায়ে এ শাস্তি চান তারা। গেলো রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ক্র্যাব (বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন লেখক ও সংগ্রাহক ইকবাল জাফর ও মহসীন দেওয়ান লিটন। ভুক্তভোগী দুই লেখক ও সংগ্রাহক অভিযোগ করেন, তাদের সংগৃহীত-সম্পাদিত-প্রকাশিত গ্রন্থ ‘গীতিগ্রন্থ’ (মরমী সাধক মাতাল কবি আব্দুর রাজ্জাক দেওয়ান: বাউল অঞ্চলী, প্রথম খণ্ড) এবং স্মারকগ্রন্থ (মরমী সাধক মাতাল কবি আব্দুর রাজ্জাক দেওয়ান স্মারকগ্রন্থ: যদি ভুল বুঝে চলে যাও) প্রকাশের পর তা থেকে সব গান চুরি করা হয়েছে। আসল বইটির সংগ্রাহক-সম্পাদক-প্রকাশকদের কৃতিত্ব বাদ দিয়ে নিজেকে সম্পাদক দাবি করে মূল কৃতিত্ব নিয়েছেন তপন বাগচী। তারা আরও অভিযোগ করেন, তাদের একটি বই প্রকাশিত হয় ২০১৫ সালে। অন্যটি ২০১৯ সালে। আর তপন বাগচী দুই বই থেকে কপি করে ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি তা নিজের নামে প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে ২০২২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমির কাছে অভিযোগ দিলে বইটির বিক্রি, প্রদর্শন ও বহন নিষিদ্ধ করে নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু এ ছাড়া তপন বাগচীর বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ আর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এদিকে তপন বাগচীর বিরুদ্ধে বাংলা একাডেমি কোন ব্যবস্থা না নিলে। অভিযোগকারীরা আইনি ব্যবস্থা নিবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তারা। উল্লেখ্য,  গেলো ২৪ জানুয়ারি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ ঘোষণা করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত ১৬ জনের তালিকায় ফোকলোরে অবদানের জন্য যৌথভাবে তপন বাগচী ও সুমন কুমার দাশের নাম ঘোষণা করা হয়।  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন তপন | বাগচীর | বাংলা | একাডেমি | পুরস্কার | বাতিলের | দাবি