Connect with us

জাতীয় পার্টি

কালিয়াকৈরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষ

Avatar of author

Published

on

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম কারখানার শ্রমিকরা সরকার ঘোষিত বেতন বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। পরে পুলিশ  ঘটনাস্থলে এসে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে শ্রমিকদের কারখানার ভিতরে নিয়ে যায়।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম কারখানার শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি দেয়। পরে আন্দোলনরত শ্রমিকরা কারখানার  ভিতর থেকে বের হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। মুহূর্তের মধ্যে মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ জটলা তৈরি হয়। এ সময় পথচারীদের চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। শিল্প পুলিশ গাজীপুরের  ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের শান্ত করে মহাসড়ক থেকে কারখানার ভিতরে নিয়ে যায়। কারখানার কর্তৃপক্ষ ও শিল্প পুলিশ শ্রমিকদের কাছে ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিকরা জানান, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে আমাদের কারখানায় গত তিন বছরেও শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হয়নি। ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গত কয়েক মাস আগে শ্রমিকরা আন্দোলন করে। সরকার শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে দেয়। পোশাকসহ অন্যান্য কারখানাগুলো সরকার ঘোষিত বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করে। নিয়ম অনুসারে চলতি মাসের জানুয়ারিতে বাড়তি বেতন দেয়ার হয়েছে। পোশাক শ্রমিকরা বাড়তি বেতন পেলেও আমরা বাড়তি বেতন পায়নি । সরকার ঘোষিত বেতন বাস্তবায়নের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই কারখানার কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বাড়তি বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়াড় কথা থাকলেও নানা তালবাহানা শুরু করে। বুধবার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় কাজে আসলে বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা না দেয়ায় কর্ম বিরতি দিয়ে আন্দোলন শুরু করে।

শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কারখানার কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোন কথা বলতে চান না।

এএম/

Advertisement
Advertisement

জাতীয় পার্টি

‘রেলের ভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক ও অমানবিক’

Published

on

জিএম কাদের

রেলের ভাড়া বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। রেলের ভাড়ায় রেয়াত তুলে দেয়ার সমালোচনাও করেছেন তিনি। এছাড়া পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া বহাল রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জিএম কাদের।

শনিবার (৪ মে) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

জিএম কাদের বলেন, রেল সাধারণ জনগণের বাহন। ভাড়া অপেক্ষাকৃত কম ও নিরাপদ। বর্তমান বাজারে রেলের ভাড়া বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রায় মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতিতে দেশের মানুষের অবস্থা খারাপ। তার ওপর তীব্র তাপপ্রবাহে মানুষের স্বাভাবিক আয় ব্যহত হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় রেলের ভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক ও অমানবিক। রেলপথে ভাড়া বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের চলাচলে অসহনীয় কষ্ট সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে দ্রব্যমূল্য আরেক দফা বেড়ে যাবে রেলের ভাড়া বৃদ্ধিতে।

তিনি বলেন, যারা রেলপথে চলাচল করে না তাদের জীবনেও এর বিরুপ প্রভাব পড়বে। আমরা আশা করছি রেলের রেয়াত বহাল রেখে সরকার রেলের ভাড়া সাধারণ মানুষের কাছে সহনীয় করে রাখবে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয় পার্টি

জাতীয় পার্টির ওপর মানুষের আস্থা নেই : ফিরোজ

Published

on

জাতীয় পার্টির ওপর মানুষের আস্থা নেই। তারা এক গ্রুপ থেকে আরেক গ্রুপে যেতে পারবে, কিন্তু আস্থার সংকট আছে। বন্দনা করা ছাড়া জাতীয় পার্টির সামনে আর কোনো রাজনীতি নেই। একমাত্র বন্দনা করে সংসদে ঢোকা ও নিজের কিছু আখের গোছানো ছাড়া। বললেন, জাতীয় পার্টির একাংশের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে  এসব কথা বলেন ফিরোজ রশিদ।

ফিরোজ রশিদ বলেন, অনেক ছোট দলের কথাও গুরুত্ব সহকারে ছাপানো হয়। কারণ তাদের রাজনীতি আছে। এজন্য জনগণ জাতীয় পার্টির ওপর মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি স্থানীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করেনি। কাউকে করতেও বলে নাই। যদি কারও ইচ্ছা থাকে তারা করবে। তাঁর দল স্থানীয় সংসদ নির্বাচনে মার্কা দিয়ে কোন হানাহানিতে যেতে চায় না।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বড় রাজনৈতিক দলের বাইরে কেউ টিকতে পারবেনা।  স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার কোন সুযোগ থাকবেনা। একটি দল ছাড়া অন্য দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন।

Advertisement

জাতীয় পার্টির একাংশের এ নেতা বলেন,  আজ অর্থনৈতিক ও ব্যাংক খাতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। বড় বড় ব্যাংকগুলো ছোট ছোট ব্যাংক গিলে খাচ্ছে। বড় বড় কোম্পানিগুলোতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল লাগিয়ে তা গিলে খাওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে আজ সংসদে কথা হচ্ছে না।

জাপা নেতা সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, জাতীয় পার্টিই মূল স্রোত।  অচিরেই বুঝতে পারবেন লাঙ্গল কার। রওশন এরশাদের নেতৃত্বে তাঁরা তাঁদের লক্ষ্যে পৌঁছাবেন বলে দাবি করেন এ জাপা নেতা।

প্রসঙ্গত, ২৭ এপ্রিলের নির্ধারিত পরিচিত সভা স্থগিত করে আজ থেকে পাঁচ দিনব্যাপী ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে ১০টি স্থানে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনসাধারণের মধ্যে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান জাপা নেতা কাজী ফিরোজ রশিদ।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয় পার্টি

‘বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়’

Published

on

জিএম কাদের

স্থানীয় জনসাধারণ ও পরিবেশবিদদের মতামত উপেক্ষা করে কুষ্টিয়ার কুমারখালী বাঁধবাজার থেকে মাদুলিয়া পর্যন্ত সড়কের প্রায় ৩ হাজার গাছ কাটার জন্য নাম্বারিং করেছে বনবিভাগ। এর চেয়ে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত আর হতে পারে না। ওই ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্তে উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত বাতিল করে বিগত দিনে একই সড়কের গাছ কাটার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশ ২০২৩ সালে ওই সড়কের ১০ হাজার গাছ কেটেছে বনবিভাগ। সম্প্রতি একই সড়কে আরও ৩ হাজার গাছ কেটেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় জনসাধারণ ও পরিবেশবিদদের মতামত উপেক্ষা করে ওই সড়কে আরও প্রায় ৩ হাজার গাছ কাটার জন্য নাম্বারিং করেছে বনবিভাগ। এর চেয়ে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত আর হতে পারে না। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকার কথা। কিন্তু আমাদের আছে ৯ শতাংশের কম। এভাবে বনাঞ্চল নিধন করার কারণেই দেশ আজ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন যে আজ অতিষ্ঠ, যথেষ্ট গাছপালা থাকলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যেত।

তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে রাজধানীতে সড়ক ও ভবন তৈরির জন্য ইতোমধ্যেই দেদারসে কেটে ফেলা হয়েছে হাজার গাছ। অপরিকল্পিত ও আত্মঘাতী এমন সিদ্ধান্তে রাজধানী বসবাসের অনুপযোগী হয়ে আছে। পরিবেশবিদদের মতে, রাজধানীতে ২০ শতাংশ বনাঞ্চল থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ২ শতাংশ। প্রয়োজন হলে গাছ না কেটেও সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্ত করা সম্ভব। তাই কারণে-অকারণে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করতে হবে।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আগে বন থেকে গাছ চুরি হতো, এখন বনে দস্তুর মতো ডাকাতি শুরু হয়েছে। বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়। বনখেকো ও বনদস্যুদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের মুখোমুখি করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত