স্বাস্থ্য
বিশ্ব ক্যান্সার দিবস আজ
বিশ্ব ক্যান্সার দিবস আজ। প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি দিবসটি পালিত হয়। বিশ্ব জুড়ে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান রোগে পরিণত হয়েছে। উন্নত-আধুনিক দেশ থেকে পিছিয়ে পড়া কোনো দেশই এর বাইরে নয়। প্রতিবছরের মতো এবারও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, বিশ্বে প্রতি বছর ৮২ লাখ মানুষ ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করে। বিশেষ করে সাড়ে ১০ কোটি নারী ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, সচেতনতা এবং সুষ্ঠু জীবনযাত্রা দিয়ে একটি বড় অংশের ক্ষেত্রে ঠেকিয়ে রাখা যায় এ মারণরোগ। তাই ক্যান্সার নিয়ে আশঙ্কার বদলে সচেতনতার প্রসার বেশি জরুরি। আর সেই কারণেই, প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব ক্যান্সার দিবস।
চিকিৎসকরা মনে করেন, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে এবং সেক্ষেত্রে চিকিৎসা সহজ হয়। ক্যান্সারের লক্ষণগুলো নির্ভর করে ক্যান্সারটি কোথায়, এটি কতটা বড় এবং এটি কাছাকাছি কোনো অঙ্গ বা টিস্যুকে কতটা প্রভাবিত করে। ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়লে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালনের প্রস্তাব প্রথমে আসে ১৯৯৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি। ২০০০ সালে প্যারিসে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। দিবসটি ইউনিয়ন ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্যান্সার কন্ট্রোল নামের একটি বেসরকারি সংস্থার নেতৃত্বে পালন করা হয়।
দিবসটি উদযাপনের উদ্দেশ্য হলো মারাত্মক ও প্রাণঘাতী এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া এবং এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের সাহায্য করার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করা।
দিবসটি উপলক্ষে আজ জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, বাংলাদেশ ক্যান্সার ফাউন্ডেশনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি পালন করবে। এর মধ্যে শোভাযাত্রা, ক্যান্সারবিষয়ক পোস্টার ও ফেস্টুন প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, ক্যান্সার রোগী ও সারভাইবারদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অন্যতম।
স্বাস্থ্য
প্রতি ১০ হাজার মানুষের বিপরীতে দেশে নার্স রয়েছে দুইজন
সরকারি হাসপাতালে কর্মরত নার্সের সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদন্ড অনুযায়ী, প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে ২৩ জন নার্স থাকার কথা কিন্তু বাংলাদেশে এ সংখ্যা ২ জনেরও কম।
রোববার (১২ মে) আন্তর্জাতিক নার্স দিবস- ২০২৪ উপলক্ষে সোসাইটি ফর নার্সেস সেফটি অ্যান্ড রাইটস (এসএনএসআর)এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।
এসএনএসআর জানায়, বাংলাদেশে মোট ১ লাখ ৩৬ হাজার জন নিবন্ধিত চিকিৎসকের বিপরীতে রেজিস্টার্ড নার্স রয়েছেন মাত্র ৯৫ হাজার ১৬৮ জন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চিকিৎসকের অনুপাতে বর্তমানে নার্স থাকার কথা ৪ লাখ ১৪ হাজার। হিসেব অনুযায়ী দেশে নার্সের ঘাটতি বর্তমানে ৩ লাখ ১২ হাজার ৮৩২ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী একজন চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন রেজিস্টার্ড নার্স প্রয়োজন।
নার্সদের এ সংগঠনটি জানায়, ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পেয়ে থাকলেও গেলো ৮ বছরে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ দৈনন্দিন খরচ কয়েকগুন বেড়েছে। কিন্তু তাঁদের আয় সে অনুযায়ী বাড়ে নি। এছাড়াও নার্সদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পূরণ করতে হলে যে পরিমান বাজেট দরকার তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
সগঠনটি দাবি করে, বাংলাদেশের মোট বাজেটের ৫ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ দেয়া হয়। এই স্বল্প বাজেটের মধ্যে নার্সদের ও নার্সিং সেবার মানোন্নয়নের জন্য অতি ক্ষুদ্র পরিমাণে ব্যায় করা হয়। বিশ্বব্যাপী উন্নয়নশীল দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও নার্সদের আর্থিক ও সামাজিকভাবে উপেক্ষা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক এ বছর আন্তর্জাতিক নার্স দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘OUR NURSES. OUR FUTURE. The Economic Power of Care’। এর আলোকে বাংলাদেশে প্রতিপাদ্য ‘আমাদের নার্স। আমাদের ভবিষৎ। সেবাই অর্থনৈতিক শক্তি’। সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও সকল স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে নানা আয়োজন দিবসটি পালিত হচ্ছে।
আই/এ
স্বাস্থ্য
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে জরিপ চলছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিখ্যাত ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এটি গ্রহণের কারণে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগে বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে এই টিকা যারা নিয়েছেন তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বুধবার (৮ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে টিকাদান কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। কিছু দেশে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে। আমরাও যেহেতু অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা গ্রহণ করেছি, আমাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। এবং এ বিষয়ে আমাকে রিপোর্ট দিতে হবে।
বাংলাদেশেও প্রচুর মানুষকে আ্যাস্ট্রাজেনিকার টিকা দেয়া হয়েছে। বৈশ্বিক এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দেশের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাবনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,যতক্ষণ পর্যন্ত আমি না জানবো আমাদের দেশে কতটুকু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না। তবে আমরা এটি নিয়ে কনসার্ন। ওরা বলছে টিকা তুলে নিতে কিন্তু আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত প্রমাণ না পাবো ততক্ষণ পর্যন্ত কীভাবে বলবো?
আসছে বর্ষায় ডেঙ্গু নিয়ে পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুতে আমার মাকে হারিয়েছি। এটা নিয়ে আমার আবেগ আছে। আমি চাই না ডেঙ্গুর কারণে আর কারও মা হারাক। তবে ডেঙ্গু নিয়ে একটা কথা বলি, এটা এমন একটা রোগ এটা নিয়ন্ত্রণে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় না দুইটা মন্ত্রণালয় এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা যদি ডেঙ্গুর উৎস বন্ধ না করতে পারি তাহলে যতই হাসপাতাল বানাই কিন্তু এটা বন্ধ হবে না। আশা করি আমাদের হাসপাতালের যে সক্ষমতা রয়েছে, আমাদের ডাক্তাররা ডেঙ্গু চিকিৎসায় অত্যন্ত দক্ষ। আমি একটা অনুরোধ করবো জ্বর হলে সবাই যেন সরকারি ডাক্তারদের পরামর্শ নেয়। দেরি করলেই মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া এবার স্যালাইনের সংকটও হবে না। আমি ওষুধ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে মিটিং করেছি তারা দামও বাড়াবে না।
এসি//
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে মাকে হারিয়েছি, আর কারো মা যেন মারা না যায়
ডেঙ্গুতে আমার মাকে হারিয়েছি। ডেঙ্গু নিয়ে আমার চিন্তা আছে। আমি কাজ করবো যাতে আর কারো মা এতে মারা না যায়। বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ২০২৪ সালের ডেঙ্গু নিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব রোগের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে যাতে রোগটি কারো হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করা যায়। যাতে মানুষের ডেঙ্গু না হয় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। মশা নির্মূলে সবাই একসাথে কাজ করবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন এবং যে ঘরে মানুষ থাকে সেখানকার সবাইকেই সচেতন থাকতে হবে।
তিনি আরও বরেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা অনেক আলোচনা করেছি। আমি নির্দেশনা দিয়েছি যাতে ডেঙ্গুকালীন কোনোভাবেই স্যালাইন সংকট দেখা না দেয় এবং স্যালাইনের দামও না বাড়ে। এছাড়া হাসপাতালগুলোকে খালি রাখার ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যাতে করে পরে সার্জারি বা ভর্তি না করিয়ে চিকিৎসা দেয়া যায়, এমন যারা আছে তাদের হাসপাতালে ভর্তি না করে যাদের প্রয়োজন তাদের ভর্তি করা হয়।
এছাড়া আমাদের ফগিং বিষয়ে কিছু ভুল ধারণা আছে। এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এর সঙ্গে সিটি করপোরেশনের সঙ্গেও অপেনলি আলোচনা করবো।
টিআর/
- এশিয়া2 days ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
- টুকিটাকি2 days ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
- জাতীয়6 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- আন্তর্জাতিক5 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
- ঢাকা7 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
- বলিউড6 days ago
ভাই-বোনেরা গাঁজা একদম ছুবে না: হানি সিং
- বলিউড2 days ago
আরবাজ-সোহেলের পর বিয়ে ভাঙছে সালমানের বোন অর্পিতার?
- ঢালিউড3 days ago
মেয়ের মা হলেন পরীমণি