Connect with us

এশিয়া

বিলাওয়াল নাকি নওয়াজ, কে বসছেন পাকিস্তানের মসনদে?

Avatar of author

Published

on

সংগৃহীত ফাইল ছবি

পাকিস্তানের  জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা প্রায় শেষের দিকে। এখন পর্যন্ত বেসরকারি ভাবে ১৫২ টি আসনের ফল ঘোষণা করা করা হয়েছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ি কোনো রাজনৈতিক দল সরকার গঠনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এমন পরিস্থিতিতে জোট সরকার গঠন করতে ঐক্যমতে পৌঁছেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি।তবে জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন-বিষয়টি এখনও ফয়সালা হয়নি। এটি নিয়ে  সমস্যা দেখা দিয়েছে দুই দলে।

নির্বাচন ফলাফলের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি, কারাগারে  থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত ৯৯ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। পিটিআইকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করায় দলের এসব প্রার্থী স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে লড়ে বিজয়ী হয়েছেন।অন্যদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) পেয়েছে ৭১টি আসন। আর  বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি- পিপিপি পেয়েছে ৫৩টি আসন। বাকি আসন পেয়েছে অন্যান্য দল।

ভোটে সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও রাজনীতির খেলায় শেষ পর্যন্ত হারতে হচ্ছে ইমরান খানকে।কারণ তার দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।   সরকার গঠনে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া রাজনৈতিক দলকে প্রথমে আমন্ত্রণ জানানো হবে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ কেই সরকার গঠনে আমন্ত্রণ জানাবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। আর দলটি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট হিসেবে চাইছে পিপিপিকে।

জাতীয় আইনসভার ২৬৬টি আসন ও ৭০টি সংরক্ষিত আসন নিয়ে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ গঠিত। সংরক্ষিত আসনের মধ্যে ৬০টি আসন নারীদের জন্য এবং ১০টি অমুসলিম বা সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ। জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশটির সরকার গঠন করতে অন্তত ১৩৪টি আসন দরকার। নির্বাচনের পর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের যেকোনো দলে যোগ দেয়ার সুযোগ আছে। এরপর ৩৩৬ সংসদ সদস্যদের ভোটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়  আসন পাচ্ছে না নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। তাই জোট সরকার গঠনে আলোচনা শুরু করে মুসলিম লীগ-নওয়াজ ও পিপিপি। পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও তার বাবা পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পিএমএল-এন-এর প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ। পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মহসিন নাকভির বাড়িতে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে জোট বেঁধে কেন্দ্রে ও পাঞ্জাবে সরকার গড়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন-এই বিষয়টির এখনও সুরাহা হয়নি।

Advertisement

শুক্রবার বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি’র শীর্ষ মুখপাত্র খুরশিদ শাহ  এবিষয়ে বলেছেন, জোট সরকারের অংশ হতে আমাদের আপত্তি নেই, কিন্তু আমরা নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রীর পদে দেখতে চাই না। আমরা চাই, পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন আমাদের দলের চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। পাকিস্তানের আরেকটি প্রভাবশালী গণমাধ্যম এআরওয়াই এর খবরে বলা হয়েছে- প্রধানমন্ত্রীর বিষয়টি সুরাহা করতে নওয়াজ শরিফ ও মুসলিম লীগের অন্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে লাহোরে গেছেন পিপিপির দুই শীর্ষ নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও  আসিফ আলী জারদারি।

এক প্রতিবেদনে জিও নিউজ জানিয়েছে, পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও তার বাবা পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পিএমএল-এন-এর প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ। পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মহসিন নাকভির বাড়িতে এই বৈঠক হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪৫ মিনিট ধরে চলা ওই বৈঠকে কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে জোট বেঁধে ক্ষমতায় যাওয়ার কৌশল নির্ধারণ করতে দুই দলের নেতারা অবিলম্বে আলোচনায় বসবেন বলেও সম্মত হয়েছেন শাহবাজ ও জারদারি। এ সময় শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে পিপিপির শীর্ষ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

এদিকে, শুক্রবার বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি জানিয়েছিল, জোটে যেতে আপত্তি না থাকলেও নওয়াজ শরিফকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে আপত্তি রয়েছে।

পিপিপির শীর্ষ মুখপাত্র খুরশিদ শাহ শুক্রবার জিও নিউজকে বলেন, জোট সরকারের অংশ হতে আমাদের আপত্তি নেই, কিন্তু আমরা নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রীর পদে দেখতে চাই না। আমরা চাই, পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন আমাদের দলের চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।

Advertisement

অন্যদিকে, ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) এরই মধ্যে জানিয়েছে, অপর দুই দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) বা পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) কিংবা অন্য কোনো দলের সঙ্গে জোট করার কোনো পরিকল্পনা নেই দলটির।

এমতাবস্থায় বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধান তিনটি দলের মধ্যে এখন জোটের লড়াইয়ে বেশ নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই শেষ পর্যন্ত কে সরকার গঠন করতে পারবে তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটছে না। মুসলিম লীগ ও পিপিপি মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় কে হচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তাও স্টষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না।

Advertisement

আন্তর্জাতিক

প্রয়োজনে হাতের নখ দিয়ে লড়াই করবো : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

Published

on

যদি প্রয়োজন হয়,আমরা একা অগ্রসর হব…এবং আমি বলছি— যদি আর কিছুই না থাকে, তাহলে আমরা আমাদের হাতের নখ দিয়ে লড়াই করবো। বললেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

গেলো বৃহস্পতিবার (৯ মে) যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র সরবরাহ যদি বন্ধ করে দেয় তাঁর প্রেক্ষিতে জাতির উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় চ্যানেলে দেয়া এক ভাষণে এসব কথা বলেন নেতানিয়াহু।

এর আগে বিশ্ব জনমত উপেক্ষা করে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যহত রাখে আমেরিকা।

তবে গেলো ৭ মাসে ইসরায়েলকে বিভিন্ন নির্দেশনাও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেসবের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি নির্দেশনা ছিল (ক) গাজায় নিরপরাধ বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হতাহতের হার হ্রাস করা এবং (খ) আরও দক্ষ ও নিখুঁতভাবে অভিযান পরিচালনা করা।

কিন্তু এসব নির্দেশনার কোনোটিতেই ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন সরকার কিংবা প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) মানেনি। ফলে দুই দেশের কর্মকর্তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবেই খানিকটা জটিল হয়ে ওঠে।

Advertisement

বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় যুক্তরাষ্ট্রের মতামত উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফায় সামরিক অভিযানের শুরু করে ইসরায়েল।

এর প্রেক্ষিতে বাইডেন স্পষ্টভাবে বলেন, যদি ইসরায়েলের সেনাবাহিনী রাফায় অগ্রসর হয়, সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিতভাবেই সেই অভিযানের জন্য অস্ত্র সরবরাহ করবে না।

প্রসঙ্গগত, গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রেক্ষিতে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর প্রেক্ষিতে  নিরাপত্তার জন্য দেশটির লাখ লাখ ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নেয়া শুরু করেন। এই ফিলিস্তিনিদের সবাই বেসামরিক।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

চুক্তি ছাড়াই আলোচনা শেষ, রাফায় নতুন করে বোমাবর্ষণ

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। এ বন্ধে যুদ্ধবিরতির আলোচনা কোনও ধরনের চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনী রাফা অঞ্চলে নতুন করে বোমাবর্ষণ করেছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্স বলছে, একজন সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার রাতে বলেছেন, গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তির চুক্তির জন্য হামাসের প্রস্তাবের বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইসরায়েল তার আপত্তি জমা দিয়েছে। গাজায় সংঘাত থামাতে কায়রোতে চলমান পরোক্ষ আলোচনা শেষ হয়েছে।  ইসরায়েল পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফা এবং গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার রাফা অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছে বলে ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জানিয়েছেন।

রাফার বাসিন্দারা বলেছেন, শহরের একটি মসজিদের কাছে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং অন্যান্য আরও অনেকে আহত হয়েছেন।

Advertisement

অন্যদিকে রাফাতে হামলা করলে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার যে হুমকি প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

অন্যদিকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং ইসলামিক জিহাদ বলেছে, তাদের যোদ্ধারা শহরের পূর্ব উপকণ্ঠে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলোতে ট্যাংক-বিধ্বংসী রকেট এবং মর্টার নিক্ষেপ করেছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসরায়েল রাফাতে পূর্ণাঙ্গ অভিযান চালাবে না বলে তারা আশা করে। এই ধরনের কোনও অভিযান হামাসকে পরাজিত করার বিষয়ে ইসরায়েলের লক্ষ্য পূরণের জন্য ভালো হবে বলেও তারা বিশ্বাস করে না।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত্যু ৮

Published

on

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের শিবাকাশী শহরের কাছে একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) তামিলনাড়ু পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়, বিস্ফোরণের ঘটনায় ১২ জন দগ্ধ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে, আতশবাজি তৈরির ওই কারখানার বৈধ লাইসেন্স ছিল। কী কারণে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানতে এরইমধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত