ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহে বাসচাপায় নিহত ৭ : চালক-সুপারভাইজার আটক
ময়মনসিংহে বাসচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ ৭ জন নিহতের ঘটনায় বাসচালক ও সুপারভাইজারকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন— বাসচালক সিরাজুল ইসলাম (৪৫) ও সুপারভাইজার জনি মিয়া (৪২)। তারা দুইজনই শেরপুর সদরের বাসিন্দা।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতী থেকে তাদের আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, আটকদের কোতোয়ালি মডেল থানায় আনা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কে সদরের চর ঈশ্বরদীয়া ইউনিয়নের চরবড়বিলা এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের তিনজনসহ অটোরিকশাটিতে থাকা সাতজনের মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, ফুলপুর থেকে ছেড়ে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে শেরপুরগামী আদিল পরিবহনের একটি বাসের সামনে পড়ে যায়। এ সময় বাসটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে অটোরিকশায় থাকা স্বামী-স্ত্রী ও সাত বছরের ছেলেসহ সাত যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
অপরাধ
রোগী দেখেছেন সাড়ে তিনশো, ভিজিট নিতেন ৫০০টাকা, অতপর…
একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতেন তিনি। টেবিলে ও দরজায় নেইমপ্লেটে তার নাম লেখা ছিল সাধন কুমার মন্ডল। মা ও শিশু, যৌন ও চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞ। বিএমডিসি রেজি. নম্বর ব্যবহার করে রোগী প্রতি ৫০০ টাকা ভিজিট নিতেন। দুই মাস ধরে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৩৫ রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন এই ডাক্তার(!)। অবশেষে জানা গেলো তিনি কোনো ডাক্তারই নন। ডা. সাধন কুমার মন্ডল পরিচয়ধারী এ ব্যক্তির প্রকৃত নাম শংকর দাস (২৮)।
এমনই ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনা জেলার মদন পৌরসভার স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। ডাক্তার পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি টাঙ্গাইলের ধনবাড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা সুমেশ দাসের ছেলে। অবশেষে ভুযা এই ডাক্তারকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন।
রোববার (৫ মে) মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জল কান্তি সরকার বিষয়টি বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, আটক করে ওই ভুয়া ডাক্তারকে স্থানীয় মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মো. শাহ আলম মিয়া ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. তায়েব হোসেন তার সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করেন।
তারা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, তিনি একজন ভুয়া ডাক্তার। সাধন কুমার মন্ডল নামে চট্টগ্রামের এক ডাক্তারের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে তিনি রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। তার আসল নাম শংকর দাস এবং বাবার নাম সুমেশ দাস। তার কাছে ভিন্ন নামের তিনটি আইডি কার্ড পাওয়া গেছে। আমরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছি।
পৌর শহরের স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা. সাধন কুমার মন্ডল সেজে যিনি রোগী দেখছেন তিনি আসলে প্রতারক ও ভুয়া ডাত্তার-এমন একটি সংবাদ স্থানীয় লোকজনের কানে আসলে শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্থানীয়রা তার খোঁজ করলে তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় তাকে ধরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
শংকর দাস স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, তিনি কোনো ডাক্তার নন। অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে তিনি এমন প্রতারণা করেছেন। দেড় মাস যাবৎ স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের সহযোগিতায় ডাক্তার সেজে তিনি রোগী দেখেছেন।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) উজ্জল কান্তি সরকার বায়ান্ন টিভিকে জানান, শংকর দাস নামে একজন ভুয়া ডাক্তারকে স্থানীয় লোকজন আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে। আটককৃত ভুয়া ডাক্তার শংকর দাসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এমআর//
ময়মনসিংহ
বাস চাপায় অটোরিকশার দুই যাত্রীর মৃত্যু
ময়মনসিংহে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এতে অটোরিকশার আরও চারজন যাত্রী আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে নগরীর ৩৩নং ওয়ার্ডের সবজিপাড়া এলাকার মিলার্স অটো রাইস মিলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শেরপুরগামী একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দু’জন নিহত হন। এই ঘটনায় আহত হন আরও চারজন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
ময়মনসিংহ
দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বিরোধ, ছেলের হাতে প্রাণ গেল বাবার
দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছেলের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে বাবার। মৃতের নাম মুজিবুর রহমান পান্না (৫২)। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের পূর্ব ভালুকা কোনাপাড়া এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে রাব্বিকে (১৭) আটক করেছে ভালুকা থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভালুকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ কামাল আকন্দ।
পান্না স্থানীয় মিরকা হাসিনা বানু উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক এবং ভালুকা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।
ওসি মো. শাহ কামাল আকন্দ জানান, পান্না দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু পারিবারিক অশান্তির কারণে কিছুদিন আগে দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে দেন। এরপরও পান্না দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিল। এ নিয়ে প্রথম স্ত্রী ও ছেলে রাব্বির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে এক পর্যায়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাবা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে পরিবারের লোকেরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও জানান, নিহত মজিবুর রহমান পান্নার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, মৃত্যুর কারণ স্ট্রোকও হতে পারে। মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে, ময়নাতদন্ত করা হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
- তথ্য-প্রযুক্তি6 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
- জাতীয়3 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- বলিউড4 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
- আন্তর্জাতিক1 day ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
- বাংলাদেশ5 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
- ঢাকা3 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
- জাতীয়5 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
- খুলনা6 days ago
রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত