তথ্য-প্রযুক্তি

বর্জ্য মোকাবিলায় মহাকাশে গেল প্রথম স্যাটেলাইট

বর্জ্য মোকাবিলায় মহাকাশে গেল প্রথম স্যাটেলাইট
মহাকাশে বর্জ্য পর্যবেক্ষণ এবং অপসারণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে প্রথমবারের মতো একটি নমুনা স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠিয়েছে জাপানভিত্তিক অ্যারোস্পেস কোম্পানি অ্যাস্ট্রোস্কেল। উৎক্ষেপিত ‘অ্যাডরাস-জে’ নামের এ মহাকাশযানটি স্যাটেলাইটটি পাঠানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ‘ইলেক্ট্রন’ রকেটে করে। এই স্যাটেলাইটটি মহাকাশে গিয়ে মিলিত হবে পুরোনো এক জাপানি রকেটের ওপরের অংশের সঙ্গে। যা ২০০৯ সাল থেকেই নিজস্ব কক্ষপথে ঘূর্ণীয়মান রয়েছে। খরব আনাদোলু এজেন্সি। স্থানীয় সময় গেলো রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নিউজিল্যান্ড থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপিত হয়েছে ‘অ্যাডরাস-জে’ নামের ওই মহাকাশযানটি। ‘অ্যাডরাস-জে’  মহাকাশযানটি স্যাটেলাইটটি পাঠানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ‘ইলেক্ট্রন’ রকেটে করে। রকেটটি বাছাই করেছে জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা, যা তাদের ‘কমার্শিয়াল রিমুভাল অফ ডেব্রিস ডেমোন্সট্রেশন’ প্রকল্পের ‘ফেইজ ১’ বা প্রাথমিক ধাপ, এসব তথ্য জানিয়েছেন অ্যাডরাস প্রকল্পের প্রধান এইজিরো আতারাস। কয়েক দশক ধরে পৃথিবীর কক্ষপথে মহাকাশ অভিযানগুলো থেকে যে বর্জ্য অপসারিত হয়েছে, তা ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এমন সমস্যা মোকাবিলায় কাজ করছে বিভিন্ন দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এমনকি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও এর সম্ভাব্য সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মহাকাশে জমা পড়া এসব বর্জ্য মোকাবিলায় অন্যতম কার্যকর উপায় হতে পারে এদেরকে কক্ষপথ থেকে সরিয়ে ফেলা অথবা এদেরকে নিচের দিকে নামিয়ে আনা যাতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে এনে সেগুলোকে ধ্বংস করা যায়। প্রাথমিকভাবে, প্রথম স্যাটেলাইট হিসেবে মহাকাশে বড় বর্জ্যের টুকরা পরীক্ষা করে দেখার লক্ষ্য নিয়েছে অ্যাডরাস-জে, যেখানে ভূপৃষ্ঠ থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে এর অবস্থান নির্ণয় করা হয়। এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বর্জ্য | মোকাবিলায় | মহাকাশে | প্রথম | স্যাটেলাইট