ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশের ১৩ জেলা। বন্যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিছিন্ন হয়ে এবং পানি প্রবেশ করে বিভিন্ন অপারেটরের ২ হাজার ২৫ টি মোবাইল টাওয়ার বর্তমানে অচল রয়েছে। সব থেকে বেশি মোবাইল টাওয়ার অচল হয়েছে কুমিল্লা জেলায়।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান ও তথ্য জানান।
তিনি জানান, কুমিল্লা এলাকার মোবাইল অপারেটর কোম্পানির ৬০৯টি টাওয়ার অচল হয়ে গেছে। এ ছাড়া নোয়াখালীতে ৩৪৪টি, লক্ষ্মীপুরে ৮৪টি, ফেনীতে ৪৬৬টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩২টি, চাঁদপুরে ১২১টি, চট্টগ্রামে ১৯৪টি, খাগড়াছড়িতে ৯৪টি, হবিগঞ্জে ৬টি, মৌলভীবাজারে ৪২টি, সুনামগঞ্জে ২৪টি এবং রাঙামাটিতে ৯টি টাওয়ার অচল হয়ে গেছে।
এ মহাপরিচালক বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ টাওয়ার অচল হয়েছে। ১২ হাজার ১৭৯টি টাওয়ারের মধ্যে এখনও সচল রয়েছে ১০ হাজার ১৫৪টি।
মোবাইল অপারেটররা বিটিআরসিকে জানিয়েছে,অচল টাওয়ারগুলোতে তুমুল স্রোতে অন্যান্য প্রয়োজনীয় যান্ত্রিক সহযোগিতা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে নেটওয়ার্ক পুনরায় চালু করা যাচ্ছে না। স্রোত না কমা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নেটওয়ার্ক পুনঃসংযোগ করা সম্ভব নয়।
কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, টাওয়ার সচল রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ব্যাটারি ব্যাকআপ, ডিজেল জেনারেটর কিংবা পোর্টেবল জেনারেটরের মাধ্যমে টাওয়ার সচল রাখতে সংস্থাটি মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বন্যাকবলিত এলাকার জনগণের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার জন্য বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় ১০টি ভি-স্যাট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আর এরই মধ্যে ৫টি ভি-স্যাট ফেনীতে পাঠানো হয়েছে।
আই/এ