আইন-বিচার
বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যুর বিষয়ে তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট
গেলো কয়েক মাসে বিভিন্ন মামলায় আটক হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যুর যে অভিযোগ করা হচ্ছে এর ময়নাতদন্ত ও অপমৃত্যুর তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৭ ফেব্রয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।
এ সময়ে আদালত ঘটনাগুলোতে ময়নাতদন্ত ও অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে কি না রিটকারীর আইনজীবীর কাছে জানতে চেয়েছেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন।
আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, কে মরেছে, সাদা না কালো, এটি দেখার দরকার নেই। ঘটনাগুলোতে সবারই লজ্জিত হওয়া উচিত যে, এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা বন্ধ হওয়া উচিত।
অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন বলেন, নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) নিয়ে ২০১৩ সালে আইন হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আবেদনকারীর পক্ষের উদ্বেগ, যুক্তি বা কিছু বলার থাকলে যেখানে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেখানে মামলা করতে পারেন। আইন তাকে এ অধিকার দিয়েছে।
বিএনপির ১৩ জন নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনার আন্তর্জাতিকমানের তদন্ত ও তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে গেলো ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করা হয়। বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ওই রিট আবেদন করেন।
আইন-বিচার
আপিলেও ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র বাতিল
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর এবার আপিলেও বাতিল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন- ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী। গত ৫ মে যাচাই-বাছাইয়ে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন রাখায় ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। তারপর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বরাবর আপিল করেন শাহদাত হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান একই কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আজ চারজন প্রার্থীর আপিল শুনানি ছিল। হলফনামায় তথ্য গোপন রাখায় তাদের সবার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তার মধ্যে কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে শাহাদাত হোসেনও রয়েছেন।
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, আমার নামে যে মামলা ছিল তা আমার জানা ছিল না। আমি সকল মামলায় খালাস পেয়েছি। কাগজপত্র জমা দিয়েছি। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, জেলা প্রশাসক তা খেয়াল করেননি। আপিলে তিনি মনোনয়ন বাতিল করেছেন। আমি উচ্চ আদালতে যাব।
এএম/
আইন-বিচার
রিমান্ড শেষে কারাগারে মিল্টন সমাদ্দার
প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল মৃত্যু সনদ তৈরি ও মানবপাচার আইনের পৃথক দুই মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে মিল্টনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মিরপুর মডেল থানার এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির মিরপুর জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। মিল্টন সমাদ্দারের পক্ষে আব্দুস ছালাম শিকদার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গেলো ২ মে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানার মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এরপর গেলো ৫ মে তাকে মানব পাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মাইতুল আলম। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তাকে মানব পাচার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ড শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত তার চার দিনের রিমান্ড দেন।
আই/এ
আইন-বিচার
সোহেল চৌধুরী হত্যা : আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন
২৫ বছর আগের চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে ছয় জন খালাস।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর ১২টায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আরুণাভ চক্রবর্ত্তী এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ ও আদনান সিদ্দিকী।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (৯ মে) ধার্য করেন।
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এ হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।
মামলার তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।
বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
টিআর/
- তথ্য-প্রযুক্তি6 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
- জাতীয়3 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- বলিউড4 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
- আন্তর্জাতিক1 day ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
- বাংলাদেশ5 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
- ঢাকা3 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
- জাতীয়5 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
- খুলনা6 days ago
রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত