Connect with us

আন্তর্জাতিক

পিছু হটছে জান্তা বাহিনী, সিটওয়ের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি

Avatar of author

Published

on

উত্তর রাখাইনের বেশিরভাগ অঞ্চল দখল নিয়েছে মিয়ানমারেরর সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি। বর্তমানে মিয়ানমার জান্তার রাখাইন অঞ্চলের  প্রশাসনিক আসন  সিটওয়ে দখলের দ্বারপ্রান্তে বিদ্রোহীরা। ইতোমধ্যে প্রাণ বাঁচাতে সিটওয়ের সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা পালিয়েছে বলে দাবি করছে বিদ্রোহীরা।

গেলো ২১ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মিয়ানমারের গণমাধ্যম দ্যা ইরাবতী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আরাকান আর্মি রাথিডং শহরে আক্রমণ করেছে এবং সিটওয়েতে অবস্থানরত রাখাইনের আঞ্চলিক অপারেশন কমান্ডকে আত্মসমর্পন করার আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে আরাকান আর্মি, উত্তর রাখাইনের প্যালেটো, মিনবায়া, কিয়াকতাও, মারুক-উসহ কালাদান নদীরও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

প্রতিবেদন আরও বলা হয়, উত্তর রাখাইনের কেবল সিটওয়ে অঞ্চল এখন দখল নেয়া বাকি আছে। এ অঞ্চলের অর্ধেকে মানুষ প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে গেছেন। যারা পালাতে পারেনি তাঁরা অপেক্ষ করছেন বিমানে করে ওই এলাকা ত্যাগ করতে। সামার্থ্যবানরা ইয়াঙ্গুন, মান্দালায়া অথবা পায়া এলাকায় পালাচ্ছে।

ইরাবতী বলছে, যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় এপ্রিল পর্যন্ত ওই এলাকায় বিমানের টিকেট বুকড হয়ে গেছে। এতে আগের থেকে আটগুন দামে ২০০ ডলারে  একটি বিমানের টিকেট বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

এদিকে সিটওয়েতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে জান্তা সেনারা। এলাকাটি বঙ্গোপসাগর দ্বারা পরিবেষ্টিত হওয়ায় কিছু সেনা সাগরপথে পালিয়েছে। এছারা আরাকান আর্মির অগ্রযাত্রা ঠেকাতে এলাকাটিতে প্রবেশ করার একটি ব্রিজও জান্তাবাহিনী উড়িয়ে দিয়েছি।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ থাকার দরুন সিটওয়েতে মজুদ নিতপণ্যের সংকট তঈরি হচ্ছে। এদিকে প্রাণ বাঁচাতে  দোকান ছেড়ে অন্য এলাকায় যাওয়ার কারণে দোকানির নতুন কর পণ্য উঠাচ্ছেন না। কেউ আবার ছাড়ে পণ্য বিক্রি করছেন। দোকানে রসুন পাওয়া যাচ্ছে না। মরিচ নিকটস্ত্র মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামে পাওয়া গেলেও। যানবাহন সংকট এবং তেলের দামের জন্য এতদূর পৌছানো সম্ভব নয়।

স্থানীয়রা আরও জানান, বিগত তিন মাস ধরে তাঁরা মারাত্মক খাদ্য সংকটে ভুগছেন। তবে হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো এখনো সচল রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গেলো নভেম্বর থেকে জান্তাবাহিনীর থেকে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে বিদ্রোহীরা। তিন দিক থেকে পাল্টা হামলা করেও, এবার নিজেদের রক্ষায় ব্যর্থ হচ্ছে মিয়ানমার জান্তা।

 

Advertisement
Advertisement

আন্তর্জাতিক

মালদ্বীপ থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করলো ভারত

Published

on

ভারতীয় সেনা। ফাইল ছবি

মালদ্বীপে থাকা সব সেনা প্রত্যাহার করেছে ভারত। ১০ মের মধ্যে মালদ্বীপ থেকে ভারতকে সব সেনা সরিয়ে নেয়ার কথা বলেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু।

মহম্মদ মুইজ্জু চীনপন্থী হিসেবে বেশ পরিচিত।

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র হিনা ওয়ালিদের বরাত দিয়ে ভারতীয় পত্রিকা দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানায় , মালদ্বীপে ভারতের প্রায় ৮৯ জন সেনা অবস্থান করছিলো। সেখানে থাকা সেনাদের শেষ দল মালদ্বীপ ছেড়েছে। তবে কত জন সেনা শেষ দলে ছিলো তা জানায়নি।

দুটি হেলিকপ্টার ও একটি দ্রোনিয়ার এয়ারক্রাপ্ট পরিচালনার দায়িত্ব ছিলো এসব সেনা। এসব হেলিকপ্টার ও এয়ারক্রাপ্ট ভারত মালদ্বীপকে উপহার দিয়েছিলো।

চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত মহম্মদ মুইজ্জু দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পরেই এসব সেনা প্রত্যাহারের জন্য ভারতকে চাপ দিতে থাকে। উল্লেখ্য, মুইজ্জুর নির্বাচনী ইশতেহারে ভারতের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি ছিলো।

Advertisement

 

এনএস/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনের সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট আজ

Published

on

ফাইল ছবি

জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়া নিয়ে ফিলিস্তিনের প্রস্তাবে আবারও ভোটাভুটি হবে। শুক্রবার (১০ মে) রাতে শুরু হতে যাওয়া জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন এ ভোট হবে। খবর- রয়টার্স 

গেলো মাসে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্যপদ পেতে আবেদন করা হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাতে ভেটো দেওয়ায় সদস্যপদ পায়নি ফিলিস্তিন।

জাতিসংঘের মোট সদস্যরাষ্ট্রের সংখ্যা ১৯৩। কোন রাষ্ট্র জাতিসংঘের সদস্য হতে চাইলে সেই রাষ্ট্রকে প্রথমে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন অর্জন করতে হবে। এর পরে যেতে হবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ১৫। এর মধ্যে ৫ টি দেশ স্থায়ী সদস্য এবং বাকি ১০টি অস্থায়ী।

গেলো ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর ফের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য তৎপরতা শুরু করে ফিলিস্তিন। নিরাপত্তা পরিষদে এ নিয়ে আবেদনও করেছিল জাতিসংঘের ফিলিস্তিন প্রতিনিধি দল। তবে ১৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে বাতিল হয়ে যায় সেই আবেদন।

নিরাপত্তা পরিষদকে সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাতেই শুক্রবার ভোট হবে সাধারণ পরিষদে।

Advertisement

এনএস/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

প্রয়োজনে হাতের নখ দিয়ে লড়াই করবো : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

Published

on

যদি প্রয়োজন হয়,আমরা একা অগ্রসর হব…এবং আমি বলছি— যদি আর কিছুই না থাকে, তাহলে আমরা আমাদের হাতের নখ দিয়ে লড়াই করবো। বললেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

গেলো বৃহস্পতিবার (৯ মে) যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র সরবরাহ যদি বন্ধ করে দেয় তাঁর প্রেক্ষিতে জাতির উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় চ্যানেলে দেয়া এক ভাষণে এসব কথা বলেন নেতানিয়াহু।

এর আগে বিশ্ব জনমত উপেক্ষা করে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যহত রাখে আমেরিকা।

তবে গেলো ৭ মাসে ইসরায়েলকে বিভিন্ন নির্দেশনাও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেসবের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি নির্দেশনা ছিল (ক) গাজায় নিরপরাধ বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হতাহতের হার হ্রাস করা এবং (খ) আরও দক্ষ ও নিখুঁতভাবে অভিযান পরিচালনা করা।

কিন্তু এসব নির্দেশনার কোনোটিতেই ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন সরকার কিংবা প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) মানেনি। ফলে দুই দেশের কর্মকর্তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবেই খানিকটা জটিল হয়ে ওঠে।

Advertisement

বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় যুক্তরাষ্ট্রের মতামত উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফায় সামরিক অভিযানের শুরু করে ইসরায়েল।

এর প্রেক্ষিতে বাইডেন স্পষ্টভাবে বলেন, যদি ইসরায়েলের সেনাবাহিনী রাফায় অগ্রসর হয়, সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিতভাবেই সেই অভিযানের জন্য অস্ত্র সরবরাহ করবে না।

প্রসঙ্গগত, গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রেক্ষিতে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর প্রেক্ষিতে  নিরাপত্তার জন্য দেশটির লাখ লাখ ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নেয়া শুরু করেন। এই ফিলিস্তিনিদের সবাই বেসামরিক।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত