Connect with us

ময়মনসিংহ

আগুনে পুড়ে দাদি-নাতনির মৃত্যু

Avatar of author

Published

on

আগুনে

শেরপুর সদরের পয়েস্তিরচরে আগুনে এক বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে দাদি-নাতির মৃত্যু হয়েছে। এসময় গোয়াল ঘরে থাকা চারটি গরুও পুড়ে মারা গেছে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে শেরপুর সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের পয়েস্তিরচরে এ ঘটনা ঘটে। শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন, ফিরোজা বেগম (৬৫) ও শরিফ (৭)। নিহত ফিরোজা বেগম ওই গ্রামের মো. আমান উল্লাহ মন্টুর স্ত্রী। তিনি কামারেরচর ইউনিয়নের সাবেক মহিলা মেম্বার। শরিফ একই বাড়ির হাবিবুর রহমানের ছেলে। ফিরোজা বেগম শরিফের দাদি।

স্থানীয়রা জানান, পয়েস্তিরচরের মো. আমান উল্লাহ মন্টুর বাড়িতে মঙ্গলবার ভোরে কোনো একসময় আগুন লাগে। ঘুমিয়ে থাকা শিশু শরিফ আগুনে পুড়ে মারা যায়। এসময় একটি গোয়ালঘরসহ দুটি বসতঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়। আর শরিফের দাদি গরু রক্ষা করতে গেলে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ৭ বছরের শিশু শরিফের মরদেহ উদ্ধার করে এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় শরিফের দাদি ফিরোজা বেগমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে আজ সকালে তার মৃত্যু হয়। এসময় আগুনে চারটি গরুও মারা যায়। পুড়ে আহত হয়েছে আরও চারটি গরু।

ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, মানুষ ও গরুর মৃত্যু ছাড়াও কমপক্ষে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।

Advertisement

শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আমাদের টিম পৌঁছে। একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে আর আরেকজনকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছি। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। আগুনের সূত্রপাত কি এবং ক্ষয়ক্ষতি কি পরিমাণ তা তদন্ত করে পরে জানানো হবে।

কামারেরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পয়াস্তিরচর গ্রামে আগুনে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে। তারা পরিদর্শনের পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ দাফন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

Advertisement

অপরাধ

রোগী দেখেছেন সাড়ে তিনশো, ভিজিট নিতেন ৫০০টাকা, অতপর…

Published

on

ডা. সাধন কুমার মন্ডল পরিচয়ধারী ভুয়া ডাক্তার শংকর দাস (২৮)। সংগৃহীত ছবি

একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতেন তিনি। টেবিলে ও দরজায় নেইমপ্লেটে তার নাম লেখা ছিল সাধন কুমার মন্ডল। মা ও শিশু, যৌন ও চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞ। বিএমডিসি রেজি. নম্বর ব্যবহার করে রোগী প্রতি ৫০০ টাকা ভিজিট নিতেন। দুই মাস ধরে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৩৫ রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন এই ডাক্তার(!)। অবশেষে জানা গেলো তিনি কোনো ডাক্তারই নন। ডা. সাধন কুমার মন্ডল পরিচয়ধারী এ ব্যক্তির প্রকৃত নাম শংকর দাস (২৮)।

এমনই ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনা জেলার মদন পৌরসভার স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। ডাক্তার পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি টাঙ্গাইলের ধনবাড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা সুমেশ দাসের ছেলে। অবশেষে ভুযা এই ডাক্তারকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন।

রোববার (৫ মে) মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জল কান্তি সরকার বিষয়টি বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, আটক করে ওই ভুয়া ডাক্তারকে স্থানীয় মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মো. শাহ আলম মিয়া ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. তায়েব হোসেন তার সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করেন।

তারা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, তিনি একজন ভুয়া ডাক্তার। সাধন কুমার মন্ডল নামে  চট্টগ্রামের এক ডাক্তারের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব‍্যবহার করে তিনি রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। তার আসল নাম শংকর দাস এবং বাবার নাম সুমেশ দাস। তার কাছে ভিন্ন নামের তিনটি আইডি কার্ড পাওয়া গেছে। আমরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছি।

Advertisement

পৌর শহরের স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা. সাধন কুমার মন্ডল সেজে যিনি রোগী দেখছেন তিনি আসলে প্রতারক ও ভুয়া ডাত্তার-এমন একটি সংবাদ স্থানীয় লোকজনের কানে আসলে শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্থানীয়রা তার খোঁজ করলে তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় তাকে ধরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

শংকর দাস স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, তিনি কোনো ডাক্তার নন। অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে তিনি এমন প্রতারণা করেছেন। দেড় মাস যাবৎ স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের সহযোগিতায় ডাক্তার সেজে তিনি রোগী দেখেছেন।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) উজ্জল কান্তি সরকার বায়ান্ন টিভিকে জানান, শংকর দাস নামে একজন ভুয়া ডাক্তারকে স্থানীয় লোকজন আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে। আটককৃত ভুয়া ডাক্তার শংকর দাসের বিরুদ্ধে আইনগত ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ময়মনসিংহ

বাস চাপায় অটোরিকশার দুই যাত্রীর মৃত্যু

Published

on

অটোরিকশা

ময়মনসিংহে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এতে অটোরিকশার আরও চারজন যাত্রী আহত হয়েছেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে নগরীর ৩৩নং ওয়ার্ডের সবজিপাড়া এলাকার মিলার্স অটো রাইস মিলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শেরপুরগামী একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দু’জন নিহত হন। এই ঘটনায় আহত হন আরও চারজন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ময়মনসিংহ

দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বিরোধ, ছেলের হাতে প্রাণ গেল বাবার

Published

on

ছেলের-হাতে-বাবা-খুন

দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছেলের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে বাবার। মৃতের নাম মুজিবুর রহমান পান্না (৫২)। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ‍্যায় ময়মনসিংহের পূর্ব ভালুকা কোনাপাড়া এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে রাব্বিকে (১৭) আটক করেছে ভালুকা থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভালুকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ কামাল আকন্দ।

পান্না স্থানীয় মিরকা হাসিনা বানু উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক এবং ভালুকা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।

ওসি মো. শাহ কামাল আকন্দ জানান, পান্না দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু পারিবারিক অশান্তির কারণে কিছুদিন আগে দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে দেন। এরপরও পান্না দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিল। এ নিয়ে প্রথম স্ত্রী ও ছেলে রাব্বির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে এক পর্যায়ে বাবা ও ছেলের মধ‍্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাবা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে পরিবারের লোকেরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

ওসি আরও জানান, নিহত মজিবুর রহমান পান্নার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, মৃত্যুর কারণ স্ট্রোকও হতে পারে। মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে, ময়নাতদন্ত করা হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনগত ব‍্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত