Connect with us

ঢাকা

নরসিংদীর চরাঞ্চলে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

Avatar of author

Published

on

আওয়ামী লীগে

নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের আলোকবালী ইউনিয়নের বাখরনগর, মুরাদনগর ও বকশালীপুর গ্রামে একযোগে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আসাদ উল্লাহ গ্রুপের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দিপুর সমর্থকদের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে।

আহতদের নরসিংদী সদর ও জেলা হাসপাতালসহ ও ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতরা হলেন- মনির উদ্দিন (৫৩), বজলুর রহমান (৪৫), আব্দুর রহমান (২২), মাহফুজ (২০), শীতল মিয়া (৫০), খোকা মিয়া (৬৫), সজিব (২৫), মুরাদ মিয়া (২২), আল মাসুদ (১৮) ও ওবায়দুল (২৬)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আসাদ উল্লাহ গ্রুপের সাথে আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দীপু গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিল।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে দুই পক্ষ আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামানের পক্ষে বিপক্ষে কাজ করা নিয়ে বিরোধ আরও বেড়ে যায়। এ নিয়ে দফায় দফায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হলে নৌকার সমর্থক দীপুর লোকজন আসাদ উল্লাহ গ্রুপের ১৫-২০ জন সমর্থককে এলাকা ছাড়া করে। বুধবার সকালে এলাকা ছাড়া হওয়া আসাদ উল্লাহর সমর্থকরা বাখরনগর গ্রামে ফিরে এলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এসময় একযোগে তিন গ্রামের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। রাবার বুলেটবিদ্ধসহ মারধরে আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এসময় একাধিক বাড়ি ঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আসাদ উল্লাহ বলেন, “আলোকবালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সরকার হত্যার আত্মস্বীকৃত আসামী ও ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদেরকে সাথে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু জোট বেঁধে আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে ৬ জনকে গুলি করে আহত করেছে। আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামানের নির্বাচন করেছিলাম। নির্বাচনের দিন থেকে ২০ জন কর্মীকে গ্রাম ছাড়া করেছে। এখনও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা করে আমাদের কর্মী সমর্থকদের এলাকা ছাড়া করছে।

দেলোয়ার হোসেন দিপু গ্রুপের নেতা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমেন মিয়া বলেন, “এডভোকেট আসাদ উল্লাহ তার আইন পেশাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে আইনের মারপ্যাচে ফেলে দীর্ঘদিন ধরে অযথা হয়রানি করছেন। গত সপ্তাহে আমার নামেও মিথ্যা অপহরণ মামলা করেছেন। তার মামলা ও অত্যাচার থেকে বাচঁতে সাধারণ লোকজন তাদের প্রতিহত করে এলাকা থেকে বের করে দিয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে।

নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ ঘটনায় কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, কাউকে আটক করা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

 

Advertisement
Advertisement

ঢাকা

চট্রগ্রামে নিহত বিমানবাহিনীর পাইলটের বাড়িতে চলছে আহাজারি

Published

on

চট্টগ্রামের  কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদের মানিকগঞ্জের বাসায় চলছে স্বজনদের আহাজারি। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে কান্না করতে করতে মূর্ছা যাচ্ছেন মা নিলুফার খানম।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে নিহত পাইলটের মানিকগঞ্জ জেলা শহরের গোল্ডেন টাওয়ারের  বাসায় গিয়ে  এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।

নিহতের মামা  সুরুষ খান জানান, ছোটবেলা থেকেই আসিম জাওয়াদের স্বপ্ন ছিল সে বিমানবাহিনীতে যোগ দেবে। তাঁর স্ত্রী, ছয় বছরের মেয়ে  ও এক বছরের ছেলে রয়েছে। পরিবার নিয়ে সে কর্মস্থল চট্টগ্রামে থাকত।

নিহতের খালাতো ভাই মো. মশিউর রহমান শিমুল জানান, আজ সকালের দিকে জানতে পারেন চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এরপর থেকেই তাঁরা খোঁজ নিতে শুরু করেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে খবর পান আসিম জাওয়াদ  মারা গেছেন। তাঁর বাবা ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

তিনি আরও জানান, ছাত্রজীবনে আসিম কখনো দ্বিতীয় হয়নি। আজ বিমান দুর্ঘটনার কারণে দেশ একজন চৌকস অফিসারকে হারালো।

Advertisement

প্রসঙ্গত, নিহত পাইলটের বাবা আমান উল্লাহ একজন চিকিৎসক আর মা নিলুফার খানম সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ছিলেন। আসিম জাওয়াদ নারায়ণগঞ্জে বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীর নাম অন্তরা আক্তার।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

বায়ুদূষণে ঢাকা শীর্ষে

Published

on

বায়ুদূষণে

বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় আজ শীর্ষ স্থানে রয়েছে ঢাকা।

বৃহস্পতিবার (৯ মে)  সকালে বায়ু মানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ২০৩। বায়ুর মান বিচারে এ মাত্রাকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।

পাকিস্তানের লাহোর, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ১৭০, ১৬৭ ও ১৫০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।

ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।

বায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেন, শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ‘ভালো’। ৫১ থেকে ১০০ ‘মোটামুটি’, ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

খেলার সময় ওড়নায় ফাঁস লেগে শিশুর মৃত্যু

Published

on

ঢাকা মেডিকেল

ওড়না নিয়ে খেলার সময় জানালার গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস লেগে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। মৃতের নাম নুসরাত জাহান (১০)।

বুধবার (৮ মে) রাতে রাজধানীর দনিয়ার আনন্দবাজার এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

রাত ৯টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১০টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নুসরাতের গ্রামের বাড়ি বরিশালের নলচর গ্রামে। পরিবারের সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া আনন্দবাজার এলাকার একটি বাসায় থাকতেন তিনি। নুসরাত একটি মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

নুসরাতের মামা মো. রিয়াজ বলেন, নুসরাতের মা-বাবা তাকে বাসায় রেখে দরজায় তালা দিয়ে বাইরে যান। কিছুক্ষণ পরে বাসায় এসে তালা খুলে ভেতরে গিয়ে দেখেন জানালার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলে আছে নুসরাত।

Advertisement

তিনি বলেন, পাশের লোকজন জানান ওড়না নিয়ে নুসরাত জানালার গ্রিলের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। খেলতে খেলতে ওড়না গলার সঙ্গে প্যাঁচ লেগে ঝুলে থাকে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ মর্গে রাখা আছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত