Connect with us

আন্তর্জাতিক

গাজার শিশুদের মধ্যে তীব্র অপুষ্টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে: জাতিসংঘ

Avatar of author

Published

on

গাজা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জার পাশাপাশি হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। এতে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে।

রোববার (১৭ মার্চ) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজার শিশুদের মধ্যে তীব্র অপুষ্টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় পরিচালিত জাতিসংঘের প্রধান সাহায্য সংস্থা বলেছে, ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডের উত্তরে তীব্র অপুষ্টি আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। অন্যদিকে হামাসের সঙ্গে বন্দি চুক্তির বিষয়ে নতুন যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য কাতারে প্রতিনিধি দল পাঠাতে প্রস্তুত ইসরায়েল।

শনিবার (১৬ মার্চ) ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস (ইউএনআরডব্লিউএ) বলেছে, উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সী প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে একজন শিশু এখন তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। সংস্থাটির এই বক্তব্য দুর্ভিক্ষের বিষয়ে ইসরায়েলের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়া এক পোস্টে ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, ‘গাজায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং বর্তমানে তা নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে।’

Advertisement

এদিকে গেলো শুক্রবার (১৫ মার্চ) ইসরায়েল বলেছে, হামাস জিম্মি এবং বন্দিদের বিনিময়ের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য একটি নতুন প্রস্তাব পেশ করার পরে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আরও আলোচনার জন্য কাতারে তারা একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে।

আলোচনার বিষয়ে অবগত একটি সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া। অবশ্য আলোচনা শুরুর আগে প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনার জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠক করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, হামাসের প্রস্তাবটি এখনও ‘অবাস্তব দাবির’ ভিত্তিতেই করা হয়েছে।

আল জাজিরা বলছে, এক সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া পবিত্র রমজানের আগে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে বারবার প্রচেষ্টা চালানো হলেও তা ব্যর্থ হয়েছে এবং ইসরায়েল এখন বলছে, তারা দক্ষিণ গাজার রাফাহতে নতুন করে আক্রমণ শুরু করার পরিকল্পনা করছে।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অবশ্য রাফাহতে ইসরায়েলি আক্রমণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দক্ষিণ গাজার এই শহরে বর্তমানে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির ২৩ লাখ বাসিন্দার অর্ধেকেরও বেশি আশ্রয় নিয়েছেন। শলৎস বলেছেন, রাফাহতে ইসরায়েলি আক্রমণের ফলে ‘অনেক ভয়ঙ্কর বেসামরিক হতাহতের’ আশঙ্কা রয়েছে।

Advertisement

তবে গেলো শুক্রবার নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, রাফাহতে হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন নেতানিয়াহু এবং (এর আগে) বেসামরিক জনগণকে সরিয়ে নেয়া হবে। অবশ্য হামলার বিষয়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয় কোনও সময়সীমা দেয়নি এবং হামলার বিষয়ে গাজার এই অঞ্চলে অতিরিক্ত প্রস্তুতির কোনও তাৎক্ষণিক প্রমাণও পাওয়া যায়নি।

মানবিক সংকট

গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩১ হাজার ৫৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত এসব বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনির বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এছাড়া ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৩ হাজার ৫৪৬ জন।

ইসরায়েলের বর্বর এই আগ্রাসন ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিকে কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছে এবং প্রায় সমস্ত বাসিন্দাকে তাদের বাড়িঘর থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। এছাড়া নির্বিচার এই আক্রমণ গাজায় বিশাল ক্ষুধা ও মানবিক সংকটের সূত্রপাত করেছে।

Advertisement

ইউএনআরডব্লিউএ এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছে, গাজায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং তা নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে। গাজার হাসপাতালগুলো অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় শিশুদের মৃত্যুর খবরও দিয়েছে।

এমন অবস্থায় আরও বেশি পরিমাণে সাহায্যের প্রবেশাধিকার দিতে ইসরায়েলকে আরও কিছু করার আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।

এছাড়া জাতিসংঘ বলেছে, তারা সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে ‘অপ্রতিরোধ্য বাধার’ সম্মুখীন হয়েছে। যার মধ্যে ক্রসিং বন্ধ, কঠোর তল্লাশি, চলাচলে নিষেধাজ্ঞা এবং গাজার অভ্যন্তরে অস্থিরতার মতো বিষয়গুলোও রয়েছে।

Advertisement

আন্তর্জাতিক

১১৩ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে ফিরলো বিশ্বের বৃহত্তম বাষ্পচালিত ট্রাক্টর

Published

on

সংগৃহীত ছবি

চাষাবাদের জন্য বড় ধরণের একটি ট্রাক্টর।এর পেছনে একসঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৫০ টি লাঙ্গল।আর প্রতিটি লাঙ্গল নিয়ন্ত্রণ করছেন একজন করে অপারেটর। ট্রাক্টরটি চালাচ্ছেন মাত্র একজন চালক। বিলুপ্ত হওয়া বিশ্বের বৃহত্তম ট্রাক্টর ওয়ান ফিফটি কেইস এর আদলে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। ১১৩ বছর পর ট্রাক্টরটির স্ক্র্যাচ থেকেই নির্মাণ করা হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম এই ট্র্যাক্টরটি ।২০২২ সালেই গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ডস দিয়েছে বাস্পচালিত বিশ্বের বৃহত্তম ট্রাক্টরের স্বীকৃতি।

মার্কিন নাগরিক কোরি অ্যান্ডারসনের বদৌলতে এটি ফিরে এসেছে আরও শক্তিশালী ও বেশী কর্মক্ষমতা নিয়ে। ঘণ্টায় ৫ দশমিক ছয় নয় কিলোমিটার গতিতে ছুটে চলা ট্রাক্টরটির ঘূর্ণায়মান বা সংবহন শক্তি পাঁচ হাজার ফুট পাউন্ড।এর প্রতিটি লাঙ্গল ৬০ ডিগ্রি কোণে এক ফুট পর্যন্ত গভীরে যেয়ে ঘণ্টায় পাঁচ হাজার পাউন্ড মাটি আলগা করতে পারে।

দৈত্যাকারের এই ওয়ান ফিফটি কেইস ট্রাক্টরটির ওজন সাড়ে সাইত্রিশ টন। এর প্রতিটি চাকার ব্যাস ৮ফুট। ওজন ৩ টনের বেশি। সব মিলিয়ে ২৫ ফুট লম্বা, ১৪ ফুট চওড়া ও একই পরিমাণ উচ্চতার ট্রাক্টরটির চলাচলের জন্য একটি বাঙ্কারে ৩ টন কয়লা মজুদ রাখা হয়। আর ট্যাঙ্কে পানি রাখা হয় ছয়শো গ্যালন।  এর ইঞ্জিন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ১৮০ পাউন্ড পার স্কোয়ার ইঞ্চি বাষ্পচাপ বজায় রাখতে কাঠ ও কয়লা দুটোই পুড়াতে হয়।

বিশালাকৃতির এই ট্রাক্টরটির নড়াচড়ার জন্য তিনটি বিশেষ যন্ত্র লাগানো রয়েছে। একটি সামনে-পেছনে ঘোরার জন্য, একটি রয়েছে গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এবং অন্যটি হলো পাওয়ার স্টিয়ারিং। ট্রাক্টরটির অসুবিধা হলো-এর স্টিয়ারিং ব্যবহার করতে বেশি সময় লাগে। নির্মাতা অ্যান্ডারসন বলেন, এটি দৈত্যের মতো। তার ওপর যথেষ্ঠ ভারী। কেউ যুদ্ধ করতে চাইলে অবশ্যই ট্রাক্টরটি জিতবে।

বিশ্বের বৃহত্তম ওয়ান ফিফটি কেইস রোড লোকোমোটিভ ট্রাক্টরটি ১৯০৫ সালে নির্মাণ করে মার্কিন জেআই কেইস কোম্পানি। প্রথম মহাযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রে বাষ্পচালিত ট্রাক্টর পরিষেবা অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়।  অ্যান্ডারসন জানতেন রোড লোকোমোটিভ নামে ট্রাক্টরটি আর বিদ্যমান নেই।  জানতে পারেন ট্রাক্টরটির ৯টি মেশিনের সবগুলো অনেক আগেই স্ক্র্যাপ হয়ে গেছে।  ওই ট্রাক্টরটির একমাত্র অবশিষ্ট থাকা একটি স্ক্র্যাচ দেখে ১০ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন সিদ্ধান্ত নেন তিনি বিলুপ্ত হওয়া ওই বিশ্বের বৃহত্তম ট্রাক্টরটি ফিরিয়ে আনবেন।

Advertisement

নিজের ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দিতে জেআই কেইস কোম্পানির হেডকোয়ার্টারে গিয়ে ইঞ্জিনের একটি কপি সংগ্রহ করেন অ্যান্ডারসন।পরবর্তীতে অ্যান্ডারসন ১০-১২ জনের একটি দল স্ক্র্যাচ থেকে এই আইকনিক ইঞ্জিনটি ফের তৈরি করেন। ১৬ মাসে ১৫ হাজার ঘণ্টা পরিশ্রমে অবশেষে অ্যান্ডারসনের  স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।

২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডাকোটা অঙ্গরাজ্যের আন্দোভারে প্রথমবার চালু হয় ওয়ান ফিফটি কেইস নামে বিশ্বের বৃহত্তম বাষ্পচালিত ট্রাক্টর। প্রজেক্টে ব্যয় হয় ১৫ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ১৭ কোটি টাকার বেশি।িএমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

যে কারণে জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেললেন ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত

Published

on

ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। সংগ্রহীত

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্য পদের সমর্থনে প্রস্তাব পাস করার ঠিক আগে জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেললেন ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। খবর এনডিটিভি

এদিন ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দেয় ১৪৩টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দেয় আমেরিকা ও ইসরাইলসহ ৯টি দেশ।

পক্ষে ভোট দেয় ইসরাইলের মিত্র ভারতও। ভোটদান থেকে বিরত থাকে ২৫টি দেশ। অধিকাংশ ভোট নিয়ে প্রস্তাবটি পাস হয়ে যায়।

আর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এদিন ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেন, আজকের এই দিনটা কালো দিন হিসেবে লেখা থাকবে। তিনি, এই প্রস্তাবটিকে জাতিসংঘ সনদের একটি ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন।

এনএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

সৌদি আরবে ১৯ হাজারের বেশি অভিবাসী গ্রেপ্তার

Published

on

ফাইল ছবি

সৌদি আরবে আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত নিরাপত্তা আইন ভঙ্গের অভিযোগে দেশটিতে অবস্থানকারী ১৯ হাজার ৭১০ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর- গালফ নিউজ 

২ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে এসব অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়। ১২ হাজার ৯৬১ জনকে আবাসন নীতিভঙ্গের জন্য, ৪ হাজার ১৭৭ জনকে সীমান্ত আইন এবং ২ হাজার ৫৭২ জনকে শ্রম আইন ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

পাশাপাশি, সৌদি আরবে অবৈধভাবে প্রবেশের জন্য ৯৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ৪৩ শতাংশ ইয়েমেনী, ৫৪ শতাংশ ইথিওপিয়ার নাগরিক এবং ৩ শতাংশ অন্যান্য দেশের।

এছাড়া ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় অবৈধভাবে সৌদি আরব ত্যাগের জন্য।

এনএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত