Connect with us

ঢাকা

নরসিংদীতে ৬৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি

Avatar of author

Published

on

নরসিংদীতে “রোজায় সাশ্রয়ী বাজার” এ কেজি প্রতি ৬৫০ টাকায়  গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। একজন ব্যক্তি একদিনে সর্বোচ্চ  ২ কেজি করে গরুর  মাংস কিনতে পারবেন এ বাজার থেকে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জেলা মৎস অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বাজারটি রমজানের শুরুতে চালু  হয়ে চলবে পুরো রমজান মাস জুড়ে।

গত শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে জেলার বঙ্গবন্ধু পৌর পার্কে জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম এ বাজার উদ্বোধন করেন।

জেলা প্রশাসক জানান, প্রতি সপ্তাহের শনিবার,মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার খোলা থাকবে এ সাশ্রয়ী বাজার। মোট ১২টি স্টল আছে এ বাজারে।

গরুর মাংস ছাড়াও এ বাজারে  পোল্টি মুরগী ১৮৫, সোনালি মুরগী ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিহালি  ডিম ৩৬ টাকা। প্রতিকেজি  রুই ২৮৫, তেলাপিয়া, ১৭৫, পাঙ্গাস ১৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আকার ও মানভেদে টমেটো কেজিপ্রতি ২০-৩০, বেগুন ১০-২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি চাল,ডাল, তৈল,মশলা, লাউ ডাটা,অন্যান্য সবজি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্য বিক্রি হচ্ছে স্বাভাবিক বাজার থেকে অন্তত ৩ শতাংশ কম দামে।

Advertisement

বাজারটি তদারকির দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার শিহাব সারার অভী জানান, সরাসরি ডিলার, খামারী ও চাষীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার ফলে সাশ্রয়ী দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে।

বাজার করতে আসা স্কুল শিক্ষক শাহ আলম জানান, স্বাভাবিক বাজারের চেয়ে এখানে গরুর মাংস ১০০ টাকা কম। এই ১০০ টাকা তাদের জন্য অনেক কিছু। এ বাজারের প্রভাব  আশেপাশে অন্যান্য বাজার গুলোতেও পড়ছে।

আরেক ক্রেতা রুনা বেগম জানান, এখানে অন্যান্য বাজার থেকে বেশ কম দামেই জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে। বাজারটি নিয়মিত হলে তাদের জন্য সুবিধা হতো। ৫০-১০০ টাকা কমে বাজার করতে পারা আমাদের জন্য কত উপকারী বলে বুঝাতো পারবেন না।

Advertisement

ঢাকা

খেলার সময় ওড়নায় ফাঁস লেগে শিশুর মৃত্যু

Published

on

ঢাকা মেডিকেল

ওড়না নিয়ে খেলার সময় জানালার গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস লেগে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। মৃতের নাম নুসরাত জাহান (১০)।

বুধবার (৮ মে) রাতে রাজধানীর দনিয়ার আনন্দবাজার এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

রাত ৯টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১০টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নুসরাতের গ্রামের বাড়ি বরিশালের নলচর গ্রামে। পরিবারের সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া আনন্দবাজার এলাকার একটি বাসায় থাকতেন তিনি। নুসরাত একটি মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

নুসরাতের মামা মো. রিয়াজ বলেন, নুসরাতের মা-বাবা তাকে বাসায় রেখে দরজায় তালা দিয়ে বাইরে যান। কিছুক্ষণ পরে বাসায় এসে তালা খুলে ভেতরে গিয়ে দেখেন জানালার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলে আছে নুসরাত।

Advertisement

তিনি বলেন, পাশের লোকজন জানান ওড়না নিয়ে নুসরাত জানালার গ্রিলের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। খেলতে খেলতে ওড়না গলার সঙ্গে প্যাঁচ লেগে ঝুলে থাকে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ মর্গে রাখা আছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

রাজধানীর সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ডিএমপি কমিশনারের অনন্য উদ্যোগ

Published

on

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার দায়িত্বভার গ্রহণ করেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে, যা মহানগরবাসীর জন্য ছিল আস্থার এক অনন্য নেতৃত্ব। তারই নেতৃত্বে ইতোমধ্যে মহানগরীর ট্রাফিক যানযট সহনীয় পর্যায়ে এসেছে এবং ট্রাফিক সার্কুলেশন পরিকল্পনায় নতুনত্ব এসেছে, স্বস্তিতে সহজেই যাতায়াত করতে পারছে নগরবাসী। বিশেষ করে গেলো পবিত্র রমজান মাসে ও পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঢাকা মহানগরীর ৮টি ট্রাফিক বিভাগের সকল রাস্তায় বিশেষ অভিযান ও কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করে মহানগরীর যানযট সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছিল। নগরবাসীও ব্যাপক প্রশংসা করেছিলেন ডিএমপি কমিশনারের এরকম মহতী উদ্যোগের। বললেন ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-এ্যাডমিন এন্ড রিসার্চ) ও প্রকল্প ম্যানেজার, ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি) মো: জাহাঙ্গীর আলম।

সম্প্রতি পুলিশ কমিশনারের নানা উদ্যোগ নিয়ে গণমাধ্যমে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, বিপিএম-বার, পিপিএম-বার মহানগরবাসীর নিরাপদ যাতায়াত ও সার্বিক নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর হতে বিশেষ চেকপোস্ট এবং বিশেষ অভিযানের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ৮টি ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারগণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আইনের চোখে ফাঁকি দিয়ে কেউ যেন ছদ্মবেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছে।

অতিসম্প্রতি ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায় অননুমোদিত স্টিকার সম্বলিত যানবাহন, অবৈধ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি ট্রাফিক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স এবং মাঠ পর্যায়ের ট্রাফিক সদস্যগণ প্রতিনিয়ত কাজ করছেন। ফলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ এবং প্রশংসিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এছাড়াও ঢাকা মহানগরীতে রাতে যেসব কাগজপত্রবিহীন ট্রাক বালি, মাটি ও ইটসহ নানাবিধ মালামাল বহন করে সেসব ট্রাকের বিরুদ্ধে প্রতিটি ট্রাফিক জোন ও বিভাগের সদস্যগণ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

Advertisement

মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সম্মানিত অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো: মুনিবুর রহমান ও যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণের (ট্রাফিক) সার্বিক সমন্বয় ও তত্ত্বাবধানে সম্মানিত ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে এবং প্রতিদিনের অভিযানের ফলাফল সংগ্রহ করে, তা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীর যানযট নিরসনে টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়াও যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং জনসাধারণের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে ডিএমপি কমিশনারের বিশেষ নির্দেশনায় যেসব হকার ও গাড়ির ভ্রাম্যমাণ কাউন্টার ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাস্তা ও ফুটপাতে যানচলাচল ও জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে ঢাকা মহানগর এলাকাকে।

এছাড়াও অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিক্সার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি মূলসড়কে যেন অযান্ত্রিক যানচলাচল না করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের নির্দেশিত ছক অনুযায়ী ৮টি ট্রাফিক বিভাগ হতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিক্সা, অবৈধ যানবাহন, মাটির ট্রাক ও হকারদের তালিকাও সংগ্রহ করা হচ্ছে পরবর্তী ব্যবস্থাপনা ও বিশ্লেষণের জন্য। নিরাপদ যাতায়াত ও জনসেবায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

নরসিংদীতে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১০

Published

on

ভোটকেন্দ্র

নরসিংদীর সদর উপজেলার পাঁচদোনার কাকশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র দখল করাকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রায় আধ ঘন্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকার পর পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কাপ পিরিজ প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ও আনারস প্রতীকের আব্দুল বাকির গ্রুপের মধ্যে সকাল ১০ টায় এ সংঘর্ষ হয়। উভয় গ্রুপের ধাওয়া ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায় নি।

পাঁচদোনা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আনারস প্রতীকের সমর্থক হুয়মায়ুন কবির লিটন বলেন, ” কাপ পিরিজ প্রতীকের সমর্থক ও স্থানীয় আল আমিনের (৩৪) নেতৃত্বে  টিপু (৩১), দুলালসহ (২৭) ১০-১২ জন কেন্দ্রের ভিতরে আমাদের উপর হামলা করে। আমি আনারস প্রতীকের এজেন্ট ছিলাম, আমাকে মারধোর করে রক্তাক্ত করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। আমাদের লোকজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে।

অভিযুক্ত কাপ-পিরিজের সমর্থক আল আমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমাদেরকে লক্ষ্য করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছিলেন আব্দুল বাকিরের সমর্থক হুমায়ুন ও তার লোকজন। পরে, সামান্য হাতাহাতি হয়েছে এবং আমাদের ১০ জনকে এলোপাথারিভাবে কিল ঘুষি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। আমরা কাউকে আঘাত করিনি। পরে ঘটনাস্থল পুলিশ এসে ঘটনাস্থল এসে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনেন।

নরসিংদী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামসুল আরেফিন বলেন, “দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হবার কথা শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি। আমরা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করছি, কারা কারা এ ঘটনায় জড়িত। পরিবেশ এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ভোট গ্রহণ পুনরায় চলছে। নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণ নিশ্চত করতে অতিরিক্ত পুলিশ নিশ্চিত করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হবারও খবর পেয়েছি। ”

Advertisement

কেএস/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত