Connect with us

লাইফস্টাইল

পাউডার ব্যবহারেও বাড়তে পারে ঘামাচি

Avatar of author

Published

on

ঘামাচি,-গরম,

গরমের মৌসুমে ত্বকে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা লক্ষ্য করা যায় তা হল ঘামাচি, র‌্যাশ।  মূলত অতিরিক্ত তাপমাত্রা, রোদের তেজ, জ্বালাপোড়া আবহাওয়া- এসবের কারণেই আমাদের ত্বকে এই হিট- র‌্যাশের সমস্যা দেখা যায়। যাদের ত্বক তুলনায় সেনসিটিভ, তাদের ক্ষেত্রে গরমকালে এ জাতীয় বেশি লক্ষ্য করা যায়। অনেকেই র‌্যাশের জ্বালাভাব, চুলকানি, ঘামাচির ফলে হওয়া অস্বস্তি এড়াতে ত্বকে পাউডার ব্যবহার করে থাকেন। অনেক সময় পরপর কয়েকদিন বেশি মাত্রায় পাউডার ব্যবহার করা হলে আপনার ত্বক কিছুটা রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।

তাই গরমের দিনে হওয়া ঘামাচি, র‌্যাশ এইসব সমস্যা দূর করার জন্য রইলো কিছু ঘরোয়া টিপস-

অতিরিক্ত পাউডার ব্যবহারে বাড়তে পারে ঘামাচি

গরমকালে অতিরিক্ত ঘাম হয় আমাদের। সেই ঘাম সবসময় ধুয়ে পরিষ্কার করা কিংবা গোসল করা সম্ভব হয় না। অথচ ওই অবস্থায় যদি সাময়িক আরামের জন্য আপনি ঘামাচির অংশে পাউডার দিয়ে দেন তাহলে ত্বকের পোরসগুলির মুখে ঘাম এবং পাউডার জমে গিয়ে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই ঘাম ভালভাবে না ধুয়ে অর্থাৎ গোসল না করে যখন তখন ঘামাচির অংশে পাউডার দেয়া ঠিক নয়। অতএব আগে নিজে পরিষ্কার হয়ে নিন, ঘাম ধুয়ে ফেলুন, তারপর ব্যবহার করুন পাউডার।

ঘামাচি দূর করার ক্ষেত্রে বরফ খুবই কার্যকরী

শরীর যে অংশে ঘামাচি দেখা দিয়েছে সেখানে বরফ পানি বা বরফের টুকরো আলতো হাতে ঘষে নিতে পারেন। কয়েকদিন এই অভ্যাস বজায় রাখতে পারলে উপকার পাবেন। আর বরফ দেওয়ার ফলে যে জ্বালাভাব কিংবা চুলকানি হয় ঘামাচির ক্ষেত্রে, সেটা কমবে। এক্ষেত্রে বরফের সঙ্গে যদি পুদিনা পাতা দেওয়া যায় তাহলে দ্রুত উপকার পাবেন। ঠান্ডাভাব অনুভূত হবে ঘামাচির অংশে। পুদিনা পাতা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে প্রথমে। তার মধ্যে দিতে হবে বরফ। কিছুক্ষণ পাতা ভিজিয়ে রাখার পর পানি থেকে পাতা তুলে নিয়ে ওই পানি দিয়ে ঘামাচি হওয়া জায়গা ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এর ফলে উপকার পাবেন। তবে ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে বরফ দেয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

অ্যালোভেরা জেল

ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা জেল সবসময়েই খুব উপকারি উপকরণ। যে অংশে ঘামাচি দেখা গিয়েছে সেখানে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। এর ফলে উপকার পাবেন। ঘামাচি এবং চুলকানি, দুটো সমস্যাই কমবে। তাছাড়া ওই ঘামাচি হওয়া অংশে জ্বালাভাব কমে ঠান্ডা অনুভূতি পাবেন আপনি।

Advertisement

ত্বকের যাবতীয় ইনফেকশন, অ্যালার্জি এড়াতে চাইলে ভরসা রাখুন ওটমিলে

গরমের মরশুমে ওটমিল বাথ নিতে পারেন। নাম শুনে অবাক হলেও, এটা খুবই সহজ কাজ। গোসলের পানিতে ওটসের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। তারপর সেই পানি দিয়ে গোসল করুন। এর ফলে ত্বকে স্ক্রাবিংও হয়ে যাবে। তার ফলে ঝরে যাবে ডেড স্কিন সেল বা ত্বকের মরা কোষ। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন দূর হবে।

গোসলের পানিতে থাকুক নিমপাতা, কর্পূর এবং লবঙ্গ

কিছুটা নিমপাতা, সামান্য কর্পূর এবং কয়েকটি লবঙ্গ পানিতে দিয়ে তা ভালভাবে ফুটিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণ গোসলের পানিতে মিশিয়ে তারপর সেই পানি দিয়ে গোসল করুন। ঘামাচি দূর হবে অল্প সময়েই। এছাড়াও কোনও হিট-র্যাশ হয়ে থাকলে তার থেকেও মুক্তি পাবেন। ত্বকের মধ্যে চুলকানি, জ্বালাভাব দেখা দিলে সেই সমস্যাও কমবে।

Advertisement

রেসিপি

রুই মাছের ডিমের কাবাব রেসিপি

Published

on

মাছের কাবাব তো অনেকেই খেয়েছেন। মাছের ডিম দিয়ে তৈরি কাবাব কি খেয়েছেন? মাছের ডিমের কাবাব! আজ ভিন্ন স্বাদের রুই মাছের ডিমের কাবাব তৈরির পদ্ধতি জানাবো। খুবই সহজ ও সুস্বাদু! তো চলুন, জেনে নেই কীভাবে তৈরি করবেন মাছের ডিমের কাবাব।

উপকরণ

রুই মাছের ডিম- ৩ কাপ

পেঁয়াজ কুচি- ২ কাপ

কাঁচামরিচ কুচি- ৩ চা চামচ

Advertisement

চিলি ফ্লেকস- ১ চা চামচ

হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ

জিরা গুঁড়া- ১/২ চা চামচ

কাবাব মসলা- ১/২ চা চামচ

লেবুর রস- সামান্য

Advertisement

লবণ- পরিমাণমতো

তেল– ভাজার জন্য

চালের গুঁড়া অথবা কর্ণফ্লাওয়ার- ১/২ কাপ

প্রস্তুত প্রণালী

১. প্রথমে একটি পাত্রে মাছের ডিমের সাথে একে একে সব উপকরণ মিশিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখবো।

Advertisement

২. তারপর মাখানো মাছের ডিম কাবাবের শেইপ করে নিতে হবে।

৩. এবার একটি প্যানে তেল গরম করে তাতে কাবাবগুলো দিয়ে অল্প আঁচে বাদামী করে ভেজে নিবো।

৪. এরপর নামিয়ে গরম ভাত কিংবা পোলাওয়ের সাথে পরিবেশন করুন রুই মাছের ডিমের কাবাব।

এই কাবাব খেতে যেমন মজাদার, বানানোও খুব সহজ। তো আজই তৈরি করুন এবং উপভোগ করুন ভিন্নধর্মী এই কাবাবটি।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রেসিপি

তাওয়া পোলাও রেসিপি

Published

on

ইন্ডিয়ান স্ট্রিট ফুডগুলোর মধ্যে তাওয়া পোলাও অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। এই পোলাও রান্না করা হয় অনেক বড় একটি তাওয়ায় খুবই নিপুণতার সাথে, যার কারণে এটি মূলত তাওয়া পোলাও নামে পরিচিত। ঘরে বসেই যদি বানিয়ে নেয়া যায় এই মজাদার খাবারটি তাহলে খারাপ কি! চলুন দেখে নেই রেসিপিটি।

তাওয়া পোলাও রান্নার উপকরণ

বাসমতী চাল- ১ কাপ

পেঁয়াজ কুঁচি- বড় ১ টি

টমেটো কুঁচি- ২ টি

Advertisement

ক্যাপসিকাম কুঁচি- ১ টি

সবুজ মটর- ১ কাপ

কাঁচামরিচ কুঁচি- ১ টি

লবণ- স্বাদমত

চিনি- ১/২ চা চামচ

Advertisement

মাখন- ৪ টেবিল চামচ

ধনেপাতা কুঁচি

লাল শুকনো মরিচ- ৪০ টি

রসুন- ৫ কোয়া

লবণ- ৩ টেবিল চামচ

Advertisement

রান্নার প্রণালী

চুলোয় ২ কাপ পানি সিদ্ধ করে নিন। একটি বোলে মরিচ নিয়ে তাতে সিদ্ধ পানি দিয়ে রেখে দিন ১০ মিনিটের জন্য। এবার পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর ব্লেন্ডারে মরিচ ও রসুন একসাথে নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। প্রয়োজনমত পানি দিন মিহি পেস্ট তৈরি করার জন্য। হয়ে গেলে একটি বাটিতে নিয়ে তাতে লবণ মিশিয়ে নিন। ফ্রিজে রেখে দিলে এটি অনেকদিন ব্যবহার করতে পারবেন।

এবার আসি তাওয়া পোলাও রান্নায়-

১. বাসমতী চাল ধুয়ে ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর চাল রান্না করে নিন। রান্না করার সময় অল্প লবণ দিয়ে নিবেন। খেয়াল রাখবেন যাতে ভাত ঝরঝরে হয়। হয়ে যাওয়ার পর নামিয়ে এক পাশে রেখে ঠাণ্ডা হতে দিন।

২. একটি তাওয়ায় বাটার দিয়ে নিন। চিলি-গারলিক পেস্ট দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রান্না করুন। তারপর পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচামরিচ কুঁচি, টমেটো দিয়ে দিন। সব একসাথে মিক্স করে রান্না করতে থাকুন।

Advertisement

৩. লবণ ও চিনি দিয়ে দিন। মটর ও ক্যাপসিকাম দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া দিয়ে দিন।

৪. সব শেষে রান্না করা ভাত দিয়ে দিন। ৫-৮ মিনিট রান্না করুন।

এবার হয়ে গেলো তাওয়া পোলাও। এটি যে কোন কারি দিয়ে বা এমনিতেই খেতে পারবেন।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

হাড়ের বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য শিশুর খাদ্যতালিকায় যা রাখবেন

Published

on

সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় থাকেন সব বাবা-মাই। শিশু কী খাবে, কতটা খাবে আর কখন খাবে- এই নিয়ে ভাবনাচিন্তা নিয়ে তারা সারাক্ষণ অস্থির। শিশু রোজ যা যা খাচ্ছে, তার থেকে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি পৌঁছচ্ছে কি না এটি জানাও খুব জরুরি। বাড়ন্ত শিশুকে হাড়ের পুষ্টি ও বৃদ্ধির জন্য সুষম আহারই দিতে হবে। আর বিশেষ করে শিশুর খাদ্যতালিকায় রোজ ক্যালশিয়াম রাখতেই হবে। রোজ কোন কোন খাবার তালিকায় রাখলে শিশুর ক্যালশিয়ামের অভাব হবে না, তা জেনে নিন।

দুধ : সুষম আহারের মধ্যে প্রথমেই বলতে হয় দুধের কথা। এই বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দীপিকা সুর জানাচ্ছেন, দুধের মধ্যে থাকা ক্যালশিয়াম হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়। শিশুকে রোজ নিয়ম করে দুধ খাওয়ানো উচিত। তবে যদি দুধে অ্যালার্জি থাকে বা দুধ হজম না হয়, তা হলে পনির, দই, ছানা, মাখন এ সব রাখুন তার খাদ্যতালিকায়।

মটরশুঁটি : মটরশুঁটির দানায় আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম। যা তার হাড়ের পুষ্টিতে বিশেষ সহায়ক। সাধারণত, শীতের সব্জি এটি, তাই শীতেই তার খাবারে মটরশুঁটি রাখতে হবে। ব্রোকোলিও তাই। অনেক শিশুই ব্রোকোলি খেতে চায় না। সে ক্ষেত্রে ব্রোকোলি দিয়ে স্যুপ বানিয়ে দিন। কয়েক টুকরো চিকেন সিদ্ধ দিয়ে দিন তাতে। অল্প করে মাখন দিয়ে গরম স্যুপ, সোনামুখ করে খেয়ে নেবে খুদে।

পিনাট বাটার : পিনাট বাটারেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম আছে। খেতে ততটা সুস্বাদু নয় বলে হয়তো শিশু খেতে চাইবে না। মায়েরা সে ক্ষেত্রে পাউরুটির মুচমুচে টোস্ট বানিয়ে তার মধ্যে পিনাট বাটার দিয়ে দিন। গরম আটার রুটি রোল করে ভেতরে পিনাট বাটার দিয়ে শিশুকে প্রাতরাশে দিন। সঙ্গে দিন ফ্রুট স্যালাড। ফল ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নুন ও গোলমরিচ দিয়ে দিন। ফল এমন ভাবে সাজিয়ে দিন যে দেখেই খেতে চাইবে শিশু।

আমন্ড বাটার :  বাড়িতে আমন্ড বাটারও এনে রাখতে পারেন। সাদা মাখন না দিয়ে পাউরুটিতে আমন্ড বাটার মাখিয়ে দিন। আমন্ড বা কাঠবাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ক্যালশিয়াম। ১/৩ কাপ কাঠবাদামে প্রায় ২৬৪ মিলিগ্রাম মতো ক্যালশিয়াম মেলে। সন্তানকে দুধের সঙ্গেও দিন কয়েক টুকরো কাঠবাদাম। দুধ-কর্নফ্লেক্স খেলে উপরে ছড়িয়ে দিতে পারেন।

Advertisement

মাছ : মাছে প্রচুর ক্যালশিয়াম আছে। শিশুর হাড়ের বৃদ্ধির দিকে বিশেষ নজর দিতে হলে তার খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন মাছ। কাতলা, ভেটকি, কই মাছে ভাল পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে। ১০০ গ্রাম কাতলা মাছ খেলে ৫৩০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম পাওয়া যাবে, ১০০ গ্রাম ভেটকিতে প্রায় ৪৮০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম থাকে। ৫০ গ্রাম করে, অর্থাৎ দিনে দু’পিস মাছও যদি খুদে খায়, তা হলেও রোজের ক্যালশিয়ামের অনেকটাই পূরণ হবে।

ফলের রস : টাটকা ফলের রসও দিন শিশুকে। এক গ্লাস কমলালেবু বা মুসম্বির রস থেকে ৬০ মিলিগ্রামের মতো ক্যালশিয়াম পাওয়া যাবে। প্রাতরাশে যে দিন দুধ দেবেন না, সে দিন ফলের রস দিন। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খাবার দিলে শিশুর অরুচি হবে না। মনে রাখতে হবে, শিশুকে একদম চা-কফি বা নরম পানীয় দেওয়া চলবে না। কারণ ক্যাফিন ক্যালশিয়াম শোষণে বাধা দেয়। তখন যতই পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান না কেন, তাতে লাভের লাভ কিছুই হবে না। বেশি লবণ দেয়া খাবার, বেশি তেল ও মশলা দেওয়া খাবার শিশুকে দেয়া চলবে না।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত