টুকিটাকি
ঋণ পেতে মৃত চাচাকে ব্যাংকে নিয়ে গেলেন ভাতিজি
Published
2 weeks agoon
By
অনলাইন ডেস্কসিনেমার কাহিনীকেও হার মানায় এ ঘটনা। ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে নিজের মৃত চাচাকে ব্যাংকে নিয়ে গিয়েছেন এক নারী। ঘটনাটি ব্রাজিলের। ব্যাংকের সাথে ওই নারীর মুখোমুখি আলাপচারিতার ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরে দেশব্যাপী সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ইটাউ ব্যাংকের রিও ডি জেনিরো শাখার কাউন্টারে ওই নারীকে দেখা গেছে। তার সঙ্গে ছিলেন হুইলচেয়ারে থাকা একজন বয়স্ক ব্যক্তি। তার মাথা তুলে ধরে কলম ধরানোর চেষ্টা করছিলেন ওই নারী।
পুলিশের মতে, তিনি ৩,০০০ ডলারের সমতুল্য একটি ঋণ নেয়ার চেষ্টা করছিলেন, যা ইতোমধ্যেই ব্যাংক দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল কিন্তু ওই বয়স্ক ব্যক্তির সাক্ষরের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বয়স্ক ব্যক্তি কোনও প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থায় হুইল চেয়ারে বসে আছেন। তার বাহু নিস্তেজ এবং কথা বলতে গেলে তার মাথা বারবার এলিয়ে পড়ে যাচ্ছে চেয়ারে। তাকে ওই নারী যতবার বলছেন সই করতে হবে, ততবার কোনো উত্তর মেলেনি হুইল চেয়ারে থাকা ওই ব্যক্তির তরফে। ব্যাঙ্কের কর্মীদের বিষয়টি দেখে সন্দেহ হয়।
রিও ডি জেনিরো সিভিল পুলিশ প্রধান ফ্যাবিও লুইস সুজা বলেছেন, ব্যাংক পরিচারকরা তখন একটি অ্যাম্বুলেন্স ডাকার সিদ্ধান্ত নেন। প্যারামেডিকরা ওই ব্যক্তিকে দেখে বলেন, লোকটি কয়েক ঘণ্টা আগেই মারা গেছেন এবং যখন সে ব্যাংকে পৌঁছেছিল তখন সে মৃত ছিল।
পুলিশ বলছে, তারা এখনও এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে। সিএনএন ব্রাজিল রিপোর্ট করেছে যে ওই নারীর পরিবারের আইনজীবী পুলিশের দেয়া তথ্যের বিরোধিতা করেছেন। তার দাবি, ‘যেমন বলা হয়েছে বিষয়টা তেমন ঘটেনি, লোকটি জীবিত অবস্থাতেই ব্যাংকে পৌঁছায়।’
সূত্র : সিএনএন।
অন্যরা যা পড়ছেন
ঢাকাসহ সারাদেশের গাছ কাটা বন্ধে রিট
মালয়েশিয়ায় প্রতারিত বাংলাদেশি শ্রমিকদের সহায়তা দিবে জাতিসংঘ
ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেলেন নায়েব আলী
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
দুই ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়লো শ্রমিকরা
রাজধানীতে বাসের চাপায় পথচারী নিহত
যে কারণে বাংলাদেশে বিমান ভাড়া বাড়াচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্স
টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
‘গাজায় ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে লন্ডনকে পাশে চায় ঢাকা’
টুকিটাকি
বাবার দোকান থেকেই ছেলে-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার
Published
14 hours agoon
মে ৫, ২০২৪By
জাকির হোসাইনবন্ধ দোকানের মধ্যে থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সম্পর্কে তারা ভাই-বোন। নিজের বাবার দোকান থেকেই তাদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে- সন্তানদেরকে খুন করে নিজের দোকানে লুকিয়ে রেখেছিলেন তাদের বাবা। এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর-পশ্চিম দিল্লির কেশব পুরম এলাকায়। জানা গেছে, শনিবার ওই এলাকার এক বন্ধ দোকানঘর থেকে ১৩ বছর বয়সি নাবালিকাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘরেই পড়ে ছিল এক নাবালকের দেহও। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই দোকানটি মণীশ নামে এক ব্যক্তির। ঘটনার পর থেকেই পলাতক তিনি। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ
মনীশের স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, শনিবার সকালে তার দুই সন্তান স্কুলে গিয়েছিল। কিন্তু বিকেল গড়িয়ে গেলেও তারা বাড়ি ফেরেনি। কিন্তু তাতে সন্দেহ করেননি তিনি। তার মনে হয়েছিল, তারা তাদের বাবার সঙ্গে কোথাও গেছে হয়তো। মণীশ প্রায়ই ছেলেমেয়েদের স্কুল থেকে নিয়ে এ দিক ও দিক ঘুরতে যেতেন। তবে বিকেলের পর থেকে তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার চেষ্টা করেছি, কিন্তু পাইনি। তার পরই মণীশের দোকানের শাটার তুলে ভেতরে ঢুকে আমরা দেখি, ছেলেমেয়েরা অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দুজনকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। কী ভাবে তাদের মৃত্যু হল, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে।
পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা সম্ভব হবে। তবে প্রাথমিক ভাবে অনুমান, তাদের খুন করা হয়েছে। তাদের বাবাই এই হত্যাকাণ্ডের মূল সন্দেহভাজন বলে মনে করছে পুলিশ।
মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটন করতে পুলিশ মৃতদের পরিবার এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, বেশ কিছু দিন ধরে আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন মণীশ। সেই কারণে প্রায়ই মেজাজ খারাপ থাকত তার। এই মৃত্যুর সঙ্গে মণীশের আর্থিক অবস্থার যোগ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও দেখা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
জেএইচ
টুকিটাকি
স্যানিটারি প্যাড বানানো হয়েছিল পুরুষের জন্যই!
Published
2 days agoon
মে ৪, ২০২৪By
অনন্যা চৈতীমহিলাদের জীবনে ওতঃপ্রত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে স্যানিটারি প্যাড। নিয়ম করে প্রতি মাসেই ব্যবহার করতে হয় এই বস্তুটি। কিন্তু জানেন কি এই প্যাড আসলে প্রথমে তাদের জন্য তৈরিই হয়নি, হয়েছিল পুরুষদের জন্য।
স্যানিটারি প্যাড বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই বহু পুরুষেরই। এ ব্যপারে আলোচনা করতে গেলে অস্বস্তিতে পড়ে যান তারা। অথচ এই স্যানিটারি প্যাড প্রথম বানানো হয়েছিল পুরুষদের জন্যই।
আমেরিকার বিজ্ঞানী, মিলিটারি কম্যান্ডার, লেখক বেঞ্জামিন ফ্র্যাংকলিন প্রথম তৈরি করেন এই স্যানিটারি প্যাড। এর ভিতরে থাকা উপাদানের আবিষ্কর্তা তিনিই। বেঞ্জামিন এটি বানিয়েছিলেন মূলত পুরুষদের জন্য।
উনবিংশ শতকের শেষ দিকের ঘটনা, ইউরোপে যুদ্ধ চলছে। রোজই ফ্র্যাঙ্কলিনের বাহিনীর একজন দু’জন করে সদস্য শত্রুপক্ষের গুলিতে আহত হতে শুরু করেছিলেন। গুলির ক্ষত থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত ও পুঁজ মাখা ব্যান্ডেজ পাল্টাতে পাল্টাতে নাজেহাল হয়ে উঠেছিলেন দুর্গে থাকা চিকিৎসকেরা। একটুও বিশ্রাম পাচ্ছিলেন না তারা। ব্যাপারটির ওপর নজর রাখছিলেন কম্যান্ডার ফ্র্যাঙ্কলিন। একটা কিছু উপায় বের করার কথা ভাবছিলেন, যাতে চিকিৎসকেরা কয়েক ঘন্টা বিশ্রাম পান। আবিষ্কার করেছিলেন রক্তশোষক প্যাড। ওষুধের ভাঁড়ার থেকে খুঁজে বের করেছিলেন লিনেন, গজ কাপড় আর উড-পাল্প থেকে তৈরি হওয়া সেলুকটন। আহত যোদ্ধাদের জন্য বানিয়ে ফেলেছিলেন এক ধরনের রক্তশোষক প্যাড। যা গুলির ক্ষতে বেঁধে দিলে, বেশ কয়েক ঘন্টা ক্ষতটিকে দেখভাল করার প্রয়োজন পড়তো না। কিছুক্ষণ ছাড়া ছাড়া ব্যান্ডেজ পাল্টানোর ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন চিকিৎসকেরা।
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে বাড়িতে ফিরে বেঞ্জামিন স্ত্রীকে দেখিয়েছিলেন যুদ্ধক্ষেত্রে আবিষ্কার করা সেই রক্তশোষক প্যাড। খুব খুশী হয়েছিলেন তার স্ত্রী। আমেরিকার সেনাবাহিনী ব্যবহার করতে শুরু করেছিল বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিনের তৈরি করা রক্তশোষক প্যাড। ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলি নিজেদের সৈনিকদের জন্য, বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিনের আবিষ্কার করা ‘রক্তশোষক প্যাড’ বানিয়ে নিতে শুরু করেছিল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ফরাসি নার্সদের মাসের পর মাস কাটাতে হতো রণক্ষেত্রের অস্থায়ী হাসপাতালে। দিনে প্রায় চোদ্দ পনেরো ঘন্টা কাজ করতে হত। প্রকৃতির নিয়মেই আসত ঋতুস্রাব। কিন্তু বার বার কাপড় পাল্টানোর ও কাচাকাচিতে নষ্ট হতো প্রচুর সময়। যার প্রভাব পড়তো আহত সৈনিকদের সেবার ক্ষেত্রে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, ফরাসি নার্সেরা বাধ্য হয়ে ব্যবহার করতে শুরু করেছিলেন বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিনের ফর্ম্যুলায় তৈরি রক্তশোষক প্যাডটি। যা প্রচুর পরিমানে মজুত থাকত অস্থায়ী হাসপাতালগুলিতে। রক্তশোষক প্যাডগুলি ব্যবহার করার পর ফেলে দিলেই চলত। তাই অল্পদিনেই, রক্তশোষক প্যাডটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল ফরাসি নার্সদের কাছে। পরে বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীর নার্সরাও প্যাডটি ঋতুস্রাবের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে শুরু করেছিলেন। সেখান থেকেই এটি ধীরে ধীরে মহিলাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পায়। আর এভাবেই নারীদের চিরসমস্যার সমাধানও করে দিলেন ফ্র্যাঙ্কলিন।
অথচ প্রাচীনকালে ঋতুস্রাবের এ অসহায় অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পুরোনো কম্বল, বালি, ঘাস থেকে কাঠের গুঁড়ো, কী না ব্যবহার করেছেন নারীরা। গ্রিসের ইতিহাসে পাওয়া যায় ‘হাইপাথিয়া’ নামে এক নারীর নাম। যিনি বাস করতেন চতুর্থ শতাব্দীতে। ঋতুস্রাবের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে, একদিন জানলা দিয়ে রাজপথে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন ঋতুস্রাবের কাপড়। এই অপরাধে শাস্তি হয়েছিল তাঁর। আবিষ্কারের পর কেটে গিয়েছিল একশো বছরেও বেশি সময়।
প্রথম দিকে এই প্যাড ছিল গরিব এবং মধ্যবিত্ত মহিলাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। পরে এর বিপুল উৎপাদন শুরু হয় এবং এগুলির দাম কমতে থাকে। ততদিন এই প্যাড মহিলাদের ব্যবহারের জন্য বানানো শুরু হয়ে গিয়েছে। এরপর থেকে এটি আর কখনও পুরুষের কাছে ফিরে যায়নি। এর উপর এখন একচেটিয়া অধিকার শুধু মহিলাদেরই।
এসি//
টুকিটাকি
জৌ কুনফেই : শূন্য থেকে বিলিয়নেয়ার হয়ে ওঠার গল্প
Published
2 days agoon
মে ৪, ২০২৪By
জাকির হোসাইনজৌ কুনফেই একজন সেল্ফ মেড বিলিয়নেয়ার। চীনের হুনান এর দারিদ্রপীড়িত শৈশব থেকে উঠে আসা জৌ এর হাতে যেন সফলতার পরশ পাথর আছে। সামান্য ফ্যাক্টরি শ্রমিক থেকে তার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী সেল্ফ মেড বিলিয়নেয়ারদের নারীদের একজন হয়ে ওঠার গল্প সত্যিকার অর্থেই রূপকথার মত। কিন্তু বাস্তবে, জৌ এর চেষ্টা, দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা ও পরিশ্রমই তাকে এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে।
জৌ কুনফেই ২০০৩ সালে লেনস টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করেন। টাচস্ক্রিন প্রস্ততকারক বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এই কোম্পানিটি, বর্তমানে স্যামসাং ও অ্যাপলের মত বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কাছে পণ্য সাপ্লাই দেয়।
২০১৫ সালে আইপিও’তে রেকর্ড করা ৯০ হাজার কর্মীর লেনস টেকনোলজির গল্প হচ্ছে, শত প্রতিকূলতার মুখে জৌ এর টিকে থাকার গল্প। প্রযুক্তি দুনিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণদের একজন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা জৌ, অসংখ্য মানুষের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস।
বিখ্যাত এই চীনা উদ্যোক্তার জন্ম হয়েছিল ১৯৭০ সালে, চীনের হুনান এর শিয়াংজিয়াং অঞ্চলে। এক দরিদ্র পরিবারের তিন সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। শ্রমিক পিতা ফ্যাক্টরিতে কাজ করার সময় দুর্ঘটনায় আংশিক দৃষ্টিশক্তি হারান। জৌ এর বয়স যখন মাত্র ৫ বছর, তিনি মা’কে হারান। পরিবারের কাজে সাহায্য করতে আর সামান্য কিছু আয়ের জন্য জৌ গবাদী পশু পালনের কাজ শুরু করেন।
জীবনের গতিপথ নির্ধারণে তার পরিবারের যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। কঠিন দারিদ্র্য আর কম বয়সে মাকে হারানোর পরেও, জৌ পরিবারের কাছ থেকে সফল হওয়ার দৃঢ়চেতা মনোভাব সম্পর্কে শিক্ষা পেয়েছিলেন। বাবার দুর্ঘটনা এবং মায়ের মৃত্যু থেকে জৌ অনুপ্রেরণা নিয়েছিলেন পরিবারের জন্য সংগ্রাম করার।
জৌ কুনফেই এর ক্যারিয়ারে সফলতার গল্প আছে বেশ কয়েকটি। ১৬ বছর বয়সে জৌ মাধ্যমিক স্কুল থেকে ড্রপ আউট হন। এরপর অভিবাসী কর্মী হিসেবে শেনজেন এ চলে যান। এ সময় তিনি শেনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত কয়েকটি কোম্পানির জন্য কাজ করতেন। এর পাশাপাশি কিছু পার্টটাইম কোর্সও করতেন, যদিও তার ডিপ্লোমা ডিগ্রি ছিল না।
হিসাবরক্ষণ, কম্পিউটার পরিচালনা, কাস্টমস এবং বাণিজ্যিক যানবাহন ড্রাইভিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন জৌ। স্বপ্ন দেখতেন ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার। যদিও সেটা হয়ে ওঠেনি। তিনি এরপর ঘড়ির যন্ত্রাংশ তৈরির একটি কারখানায় কাজ করতে শুরু করেন। কোম্পানির পরিবেশ পছন্দ না হওয়ায়, চাকরি ছেড়ে দেন। তবে ফ্যাক্টরির প্রধান জৌ এর মধ্যে সম্ভাবনা দেখেছিলেন। তিনি তাকে পদোন্নতির প্রস্তাব দেন।
মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৯৯৩ সালে জৌ নিজের কোম্পানি শুরু করেন। এ সময় তার বিনিয়োগ ছিল ২০ হাজার হংকং ডলার বা ৩ হাজার মার্কিন ডলার। তার কোম্পানি উচ্চমানের লেন্স তৈরি করত। কাজের উন্নত মানের কারণে ক্রমেই ক্রেতাদের কাছে জৌ এর কোম্পানির পণ্য জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
২০০১ সালে জৌ এর কোম্পানির জন্য সবচেয়ে বড় সুযোগটি আসে। এ সময় তারা মোবাইল প্রস্ততকারক কোম্পানি টিসিএল কর্পোরেশনের ফোনের স্ক্রিন তৈরির কাজ পায়। এই সফলতা থেকে ২০০৩ সালে জন্ম নেয় টাচস্ক্রিন তৈরির একটি বিশেষায়িত কোম্পানি, যার নাম লেন্স টেকনোলজি।
জৌ এর কোম্পানি ততদিনে এইচটিসি, নোকিয়া ও স্যামসাং এর মত প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির জন্য কাজ করতে শুরু করেছে। তারপর ২০০৭ সালে যখন অ্যাপল যাত্রা শুরু করে, লেন্স টেকনোলজি আইফোনের টাচস্ক্রিন তৈরি করার কাজ পায়, যা তারা এখনো করে আসছে।
জৌ কুনফেই এর উদ্যোক্তা পরিচয়ের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তিনি লেন্স টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা। এই শীর্ষস্থানীয় টাচ-স্ক্রিন প্রস্ততকারক কোম্পানিটি অ্যাপল, স্যামসাং এবং হুয়াওয়ের মত টেকজায়ান্টদের পণ্য সাপ্লাই দিয়ে থাকে।
২০০৩ সালে তিনি শেনজেন লেন্স টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড নামে আরেকটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। এটিও একটি বিশেষায়িত কোম্পানি যারা বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশের জন্য কাচ এবং স্যাফায়ার ক্রিস্টাল স্ক্রিন তৈরি করে।
লেন্স টেকনোলজিকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় টাচ স্ক্রিন কোম্পানির একটি হিসাবে গড়ে তোলাই হচ্ছে জৌ কুনফে এর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সাফল্য। আইফোন, অ্যাপল ওয়াচসহ অ্যাপলের নানা ডিভাইসে এখন জৌ এর কোম্পানির টাচস্ক্রিন ব্যবহার করা হয়। অবিশ্বাস্য সফলতার জন্য অনেক নতুন উদ্যোক্তাদের কাছে জৌ একজন রোল মডেল। বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরে কাজ করা নারীদের জন্য তিনি বিশাল অনুপ্রেরণা।
বাজারের সুযোগ বুঝতে পারার ক্ষেত্রে জৌ এর অসাধারণ দক্ষতা আছে। ব্যবসার কাজ নিজেই দেখভাল করা আর গুণের বিষয়ে আপস না করা হচ্ছে তার দুটি বড় বৈশিষ্ট্য।
ক্যারিয়ারে অবিশ্বাস্য সফলতার কারণে জৌ অসংখ্য পুরস্কার এবং সন্মাননা পেয়েছেন। ফোর্বসের বিচারে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবানদের একজন এবং অন্যতম ধনী সেল্ফ মেড নারী বিলিয়নেয়ার হওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছেন। ফরচুন এর দৃষ্টিতে তিনি এশিয়া-প্যাসিফিক এর সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নারীর স্বীকৃতিও অর্জন করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে জৌ কুনফেই বিয়ে করেছিলেন তার আগের ফ্যাক্টরির বসকে। বিচ্ছেদের আগে এই সংসারে জৌ এর একটি মেয়ে সন্তান ছিল। এরপরে জৌ ২০০৮ সালে তার ফ্যাক্টরির সহকর্মী জেং জুংলাংকে বিয়ে করেন। তাদের একটি ছেলে সন্তান আছে।
জৌ এর শখ হচ্ছে কাজ করা। এছাড়া তিনি পর্বত আরোহন এবং পিংপং খেলতে পছন্দ করেন। জৌ এর সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসে চীনের সবচেয়ে সফল উদ্যোক্তা হবার কাহিনি চীনের লাখ লাখ শ্রমিকদের প্রেরণার উৎস।
বর্তমানে জৌ কুনফেই এর মোট সম্পদের পরিমাণ ৬.৭২ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের তাবৎ বিলিয়নেয়ারদের মধ্যে তার অবস্থান ৪১৫ তম। জৌ কুনফে এই সফলতার কারণ হিসেবে তার শেখার অদম্য ইচ্ছার কথা বলেন।
মাধ্যমিক স্কুলের পড়াশোনা শেষ করতে না পারলেও, তিনি অনেকগুলি পার্ট টাইম কোর্স করেছেন এবং বিভিন্ন বিষয়ের ওপর পড়াশোনা করেছেন। এর মধ্যে আছে অ্যাকাউন্টিং, কম্পিউটার চালানো, শুল্ক প্রক্রিয়াকরণ এবং বাণিজ্যিক যানবাহন ড্রাইভিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ। বিচিত্র ধরনের দক্ষতাই উদ্যোক্তা হিসেবে জৌ এর মূলভিত্তি গড়ে দিয়েছিল। জৌ বলেন, “উদ্যোক্তা জীবনে বাধা এলে অধিকাংশ মানুষের আত্মবিশ্বাসে বড় আঘাত আসে। কিন্তু সফলতার আসল কথা হচ্ছে লেগে থাকা, বিশেষ করে সবচেয়ে কঠিন সময়ে লেগে থাকা।”
জৌ এর কঠোরতার জন্য এই ইন্ডাস্ট্রির লোকজন তাকে “ব্রাদার ফেই” নামে ডাকে। অনেকে বলেন, তিনি আসলে পুরুষদের চেয়েও কঠিন।
তিনি একবার কোম্পানির ২০ জন এক্সিকিউটিভদের নিয়ে দল-গঠন বিষয়ে প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে, সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৫,০০০ ফুট উঁচু চীনের ডাওয়েই পর্বতারোহনে যান। তার এক্সিকিউটিভদের অনেকেই অর্ধেক পথে হাল ছেড়ে দেন। তবে জৌ এর কথা ছিল কোনো মতেই থামা যাবে না। “কারণ মাঝপথে যখন হাল ছেড়ে দেন, আপনার মধ্যে আর প্রথম থেকে শুরু করার উদ্যম থাকে না। আমরা যখন কাজে লেগে থাকি, তখনই সফল হই। তাই বাধা পেয়ে কখনও হাল ছেড়ে দেবেন না”, তিনি বলেন।
অবিশ্বাস্য ধনসম্পদ ও সফলতার পরেও, তাকে বর্ণনা করা হয় “মিষ্টি ব্যবহার এবং নম্রতা” সম্পন্ন একজন লিডার হিসেবে।
“আমি উচ্চপদবির ব্যক্তি হওয়ার যোগ্যতা রাখি না”, এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন। “আমি মনে করি সফল হলে অহংকারে ভাসতে না দেওয়া এবং খারাপ সময়ে হতাশায় না জড়িয়ে পড়াই জরুরী।” তার মতে, এটি তার বাবার কাছ থেকে শেখা মূল্যবান শিক্ষা।
জাতীয়
বাসের ধাক্কায় পিকআপ ভ্যান চালকসহ নিহত ২
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে বাসের ধাক্কায় পিকআপ ভ্যানের চালকসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- বাবুল চিশতি (৪৫) ও অপরজনের নাম...
প্রায় ৩ হাজার কন্টেন্ট সরাতে গুগলকে অনুরোধ বাংলাদেশের
বিশ্বের শীর্ষ সার্চ ইঞ্জিন গুগলের কাছে গত বছরের শেষ ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ২ হাজার ৯৪৩টি কন্টেন্ট সরাতে আবেদন করেছে বাংলাদেশ...
লোডশেডিং নিয়ে সংসদে চুন্নুর ক্ষোভ
সরকার বলেছে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা আছে। তাহলে বিদ্যুৎ গেল কোথায়? আমার এলাকাতেই ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। গ্রাম...
রোগী দেখেছেন সাড়ে তিনশো, ভিজিট নিতেন ৫০০টাকা, অতপর…
একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতেন তিনি। টেবিলে ও দরজায় নেইমপ্লেটে তার নাম লেখা ছিল সাধন কুমার মন্ডল। মা ও শিশু,...
২৪ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি সুন্দরবনের আগুন
২৪ ঘণ্টার বেশি পার হলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি সুন্দরবনের আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে দুপুর ১২ টা থেকে বাংলাদেশ বিমান...
বৃহস্পতিবার ঢাকা সফরে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
আসছে বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকা সফরে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। এক দিনের সফরে ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ...
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নিয়ে যা জানালেন মন্ত্রী
শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরিতে বয়সসীমা নিয়ে যে সুপারিশ পাঠিয়েছে তা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করব।...
ঢাকাসহ সারাদেশের গাছ কাটা বন্ধে রিট
সাম্প্রতিককালে দেশের তাপমাত্রা অত্যাধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে বিভিন্ন...
আইন মেনে অভিযান পরিচালনা করতে হবে এনবিআরকে হাইকোর্ট
সম্প্রতি ব্র্যাক ব্যাংকের গুলশান-১ শাখায় অভিযুক্ত গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের পাওনা টাকা আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানের...
মিল্টন নিজেই ব্লেড ছুরি দিয়ে হাত কাটতেন: ডিবি হারুন
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদে ভয়ংকর ও লোমহর্ষক কাহিনী উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত...
বাসের ধাক্কায় পিকআপ ভ্যান চালকসহ নিহত ২
হামাসের রকেট হামলা, ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
রাজধানীতে বজ্রসহ শিলা বৃষ্টি
দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশি পোশাকের রপ্তানি বাড়ায় ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আপত্তি
প্রায় ৩ হাজার কন্টেন্ট সরাতে গুগলকে অনুরোধ বাংলাদেশের
লোডশেডিং নিয়ে সংসদে চুন্নুর ক্ষোভ
দ্বিতীয় ম্যাচেও জিম্বাবুয়েকে হারালো বাংলাদেশ
বন্ধুকে আটকে রেখে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু
রোগী দেখেছেন সাড়ে তিনশো, ভিজিট নিতেন ৫০০টাকা, অতপর…
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’
‘আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্বাস করি না’
শাকিব খানের ‘মায়া’য় কেন ইধিকা! যা বললেন পূজা চেরী
সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
সর্বাধিক পঠিত
- আন্তর্জাতিক4 days ago
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
- ঢাকা5 days ago
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
- তথ্য-প্রযুক্তি3 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
- অপরাধ4 days ago
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
- দেশজুড়ে5 days ago
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
- টুকিটাকি7 days ago
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
- ঢালিউড4 days ago
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
- পরামর্শ4 days ago
পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’