ফ্রান্সে মহামারি করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ দেখা দিতে শুরু করেছে। ভাইরাসের থার্ড ওয়েভ আতঙ্কে নতুনভাবে প্যারিসে চার সপ্তাহের জন্য লকডাউন দিয়েছে সরকার। রাজধানী ছাড়াও আরও ১৫টি বিভাগে এ কড়াকড়ি জারি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর হয় সিদ্ধান্তটি।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসটেক্স বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ চলমান রয়েছে। যত নতুন রোগী পাওয়া যাচ্ছে তার ৭৫ ভাগই ব্রিটেনে আবিষ্কৃত করোনার ধরণে আক্রান্ত। ফ্রান্সের হাসপাতালগুলোর আইসিইউ-তে এখন অতিরিক্ত রোগীর চাপ। প্যারিসে প্রতি এক লাখ বাসিন্দার ৪শ’ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত। মহামারি আরও খারাপের দিকে মোড় নিচ্ছে। আমাদের দায়িত্ব এই সংক্রমণকে রোধ করা।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার নতুন করে ৩৫ হাজার মানুষের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যা দ্বিতীয় ঢেউ চলার সময় সর্বোচ্চ ছিলো। ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সবাইকে এক মাস লকডাউনে থাকতে হবে।
তবে মাসব্যাপী লকডাউনে অতীতের মতো কঠোরতা থাকবে না বলে আশ্বস্ত করেছে প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ কাসেক্স। নতুন লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী, সেলুন, কাপড়ের দোকান এবং আসবাবপত্রের দোকান বন্ধ থাকবে। ঘরের বাইরে ছয় মাইল পর্যন্ত শরীরচর্চার জন্য যেতে পারবে অধিবাসীরা। তবে, গুরুতর কারণ ছাড়া অন্যান্য শহরে ভ্রমণ নিষিদ্ধ। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও বইয়ের দোকান খোলা রাখা যাবে। তবে জন গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
গেল ২৪ ঘণ্টায়, ৩৫ হাজার মানুষের শরীরে কোভিড নাইনটিন শনাক্ত হয়েছে ইউরোপীয় দেশটিতে। শুধু প্যারিসের হাসপাতালগুলোর আইসিইউতে রয়েছে ১২শ’ করোনা রোগী। রাত্রিকালীন কারফিউ জারি থাকবে।
এসএন