Connect with us

ঢালিউড

বাচসাস’র গোলটেবিল বৈঠক: সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর দাবি

Avatar of author

Published

on

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানানোর পাশাপাশি সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি দাবি জানিয়েছেন চলচ্চিত্র ও চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা বোলছেন, সিনেমা হল বাড়লে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র-সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে গুরুত্ব দিলে এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে। সেইসঙ্গে তারা নির্মাতাদের ভালো গল্পের দিকেও নজর দেয়ার অনুরোধ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে আয়োজিত বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। গোলটেলি বৈঠকটির আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)।

বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ।

গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।

গোলটেবিল বৈঠকে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা ছাড়া আমরা সম্পূর্ণ না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি। বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে খুবই সামান্য টাকা পায়। এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে।’

Advertisement

ঢাকা ১০ আসনের এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘আমাদের এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয় নিয়ে কথা বলব।’

চিত্র প্রয়োজক আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব। প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র আরও এগিয়ে যাবে।’

শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘সেন্সর বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে।’

সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পার সঞ্চালনায় গোলটেবল বৈঠকে অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন—বাচসাস সাবেক সভাপতি রেজানুর রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, চলচ্চিত্র পরিচালক এস এ হক অলিক।

Advertisement

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন, অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন।

এমআর

Advertisement

ঢালিউড

লাইফ সাপোর্টে সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল

Published

on

গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিবির পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।

হাসান আবিদুর রেজা জুয়েলের এক ঘনিষ্ঠজনের বরাতে জানা যায়, পরশু রাতে (২৩ জুলাই) বাসায় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় জুয়েলের। দ্রুত অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।

চিকিৎসকের বরাতে ওই ঘনিষ্ঠসূত্রটি জানায়, সংগীতশিল্পী জুয়েলকে চিকিৎসকরা ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। এই সময় গেলে জুয়েলের প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থাকে সংকটাপন্ন বলেই অভিহিত করেন চিকিৎসকরা।

ব্যান্ড সংগীত যখন তুমুল আলোচনায় ঠিক তখনি ব্যতিক্রমী একটি কণ্ঠ নিয়ে হাজির হন শিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। ব্যাংকার বাবার চাকরির কারণে ছোটবেলায় তাকে থাকতে হয়েছিল দেশের বিভিন্ন জায়গায়। বাবা মায়ের অনুপ্রেরণাতেই গানের জগতে পা রাখেন জুয়েল। প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রতিবেশী একজনের কাছে গান শিখেছিলেন আর মঞ্চে প্রথম গান করেছিলেন তখন তিনি পড়েন চতুর্থ শ্রেণিতে।

১৯৮৬ সালে ঢাকায় চলে আসেন জুয়েল। এসেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কেন্দ্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েন। তখনই বিভিন্ন মিডিয়ার সাথে তার যোগাযোগ ঘটতে শুরু করে।

Advertisement

জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। দশটির মতো অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে তার। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি। এটি প্রকাশের পর তার নামই হয়ে যায় ‘এক বিকেলের জুয়েল’।

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢালিউড

শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে জেমসের শোকবার্তা

Published

on

সংগীতাঙ্গন যেন কালো মেঘে ঢেকে গেছে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের মৃত্যুর সংবাদে। ৬৩ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্টার হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘মাইলস’ খ্যাত এই গায়ক। তার চলে যাওয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অগণিত ভক্ত অনুরাগীরা বাকরুদ্ধ। শোক ছুঁয়েছে নগরবাউল জেমসকেও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন জেমস। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে শাফিন আহমেদের গাওয়া গানের কয়েকটি লাইন তুলে দিয়ে জেমস লিখেছেন, ‘চাঁদ তারা সূর্য নও তুমি, নও পাহাড়ি ঝর্না/ যদি বলি ফুল তবুও হবে ভুল/ তোমার তুলনা হয় না।’

এরপর নগরবাউল লিখেছেন, ‘বিনম্র শ্রদ্ধা বাংলাদেশের মাইলস ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের প্রতি। শোকস্তব্ধ দর্শক-শ্রোতাদের প্রতি রইল গভীর সমবেদনা। আসুন আমরা সকলে তার আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।’

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় শো করতে গিয়েছিলেন শাফিন আহমেদ। শো’য়ের আগে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। কিন্তু আর ফেরানো গেল না তাঁকে।

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢালিউড

গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন তানজিন তিশার সহকারী

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন অভিনেত্রী তানজিন তিশার ব্যক্তিগত সহকারী আলামিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী।

মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) এক ফেসবুক পোস্টে আলামিনকে নিয়ে তিশা লেখেন, ‘কিভাবে শুরু করব জানি না। আপনারা হয়তো সবাই ওকে আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে চিনেন। কিন্তু ও কিন্তু আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট না, আমার ছোট ভাই। গত চার বছর ধরে ও আমার সাথেই থাকে আমার ফ্যামিলিতেই থাকে। আপু কি লাগবে, আপু কি খাবে, আপু কখন ঘুমাবে, আবার কখন মনটা খারাপ, মনটা ভালো সব কিছু এই ছেলেটাই জানতো আর দেখত।’

তিশা আরও লিখেছেন, ‘আলামিন, সারাটা দিন আমার বড় একটা ছায়ার মতো আমার পাশে বসে থাকত। আমার কত প্ল্যান ওকে নিয়ে। ওকে ড্রাইভিং শেখাব, জোর করে বলতাম পড়াশোনাটা কন্টিনিউ করতে, পরীক্ষাটা দিতে। অনেকে অনেক কিছু বলতো কিন্তু দুনিয়ার সাথে যুদ্ধ করে ও আপুর কাছে এসে বসে থাকতো। ঈদের দিনগুলোও আগে আমার সাথে থাকত, তারপর ওর ফ্যামিলির সাথে। কত বকা দিয়েছি, মন খারাপও করে থাকতো আবার একটু পর ঠিকই বুঝাতাম। একটা না দুই দুইটা গুলি কি করে নিয়েছে এই বাচ্চা ছেলেটা?’

সবশেষে তিশা লিখেছেন, ‘আলামিন কোনো দল অথবা কো্নোকিছুর সাথে জড়িত ছিল না। ওর বিগত ৪ বছর জীবনটা আমার সাথে, আমার কাজের এবং আমার পরিবারের সাথেই কেটেছে। ওর জীবনে কোন পাপ নাই, খুব ছোট একটা মানুষ এই চার বছর আমার কাছে বড় হতে দেখলাম। দোয়া করবেন সবাই আল্লাহর কাছে যেন সুন্দর জীবনে থাকে।’

এসআই/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত