Connect with us

রেসিপি

মুরগি-ইলিশ-সাবু খিচুড়ি রান্না করবেন যেভাবে

Avatar of author

Published

on

খিচুড়ি হলো বাঙালির এক তৃপ্তিদায়ক লোভনীয় খাবার। এই পদ শুধু রসনার তৃপ্তি নয়, এ হলো বাঙালির চিরন্তন ভালোবাসা, বাসনা। চালে-ডালে যে ফুটন্ত রসায়ণ তৈরি হয়, তাতে ফোড়ন পড়ে তৈরি হয় অমৃত। শীত-গ্রীষ্ম, বর্ষা, সহজ রান্নায় খিচুড়ি আমাদের ভরসা। বর্ষণমুখর দিনেও রান্না ঘরে চলুক ‘খিচুড়ি অ্যালার্ট’। রইল একাধিক ভিনস্বাদের রেসিপি।

মুরগির মাংসের ভুনা খিচুড়ি

উপকরণ-

পিয়াজ কুচি ৩ টেবিল চামচ

১০টি লবঙ্গ

Advertisement

২ টুকরো দারচিনি

৫ টি এলাচ

১ টি তেজপাতা

আদা বাটা ১ টেবিল চামচ

রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ

Advertisement

জিরেগুঁড়ো দেড় চা চামচ

হলুদগুঁড়ো ১ টেবিল চামচ

ধনেগুঁড়ো ১ চা চামচ

মুরগির মাংস

পোলাওয়ের চাল ৩ কাপ

Advertisement

মুসর ডাল ও মুগ ডাল দেড় কাপ

গোটা জিরে

কাঁচা লঙ্কা

নুন-চিনি

প্রণালী-

Advertisement

একটি প্যানে ৩-৪ টেবিল চামচের মতো তেল দিয়ে গরম মশলা (১০টি লবঙ্গ, ৫ টি এলাচ, ২ টুকরো দারুচিনি, তেজপাতা ১টি ) ফোড়ন দিন। এবার পিয়াজ কুঁচি দিয়ে ভেজে নেবেন। এতে ১ টেবিল চামচ আদাবাটা, ১ টেবিল চামচ রসুনবাটা, দেড় চা চামচ জিরেগুঁড়ো, ১ টেবিল চামচের মতো হলুদগুঁড়ো, ১ চা চামচ ধনেগুঁড়া, দেড় চা চামচের মতো লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে কষিয়ে নেবেন। তেল ছেড়ে এলে স্বাদমতো নুন দিয়ে মুরগির মাংস দিয়ে কষিয়ে নেবেন।

এবার পোলাওয়ের চাল, মুসর ডাল ও মুগ ডাল (মুগ ডাল ভেজে নিতে হবে) দিয়ে ভেজে নেবেন। এরপর ৮ কাপ গরম পানি এবং হাফ কাপ দুধ দিয়ে দেবেন। কিছুক্ষণ ঢেকে রাখবেন। এবার ৫-৬ টি কাঁচালঙ্কা দিয়ে ৪-৫ চা চামচ পরিমাণ ঘি দেবেন। খিচুরি আধঘণ্টার জন্য দমে দিয়ে মাঝে মাঝে একটু নেড়ে দেবেন। সবশেষে আঁচ নিভিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে নামিয়ে পরিবেশন করুন মুরগির মাংসের ভুনা খিচুড়ি।

ইলিশ খিচুড়ি

উপকরণ-

মুগ ডাল- ১ কাপ, মুসুরের ডাল- ১ কাপ, বাসমতী চাল- ৪ কাপ, ইলিশ মাছ- দেড় কেজি, সয়াবিন তেল- ১/৩ কাপ, সর্ষের তেল- ১/৩ কাপ, দারচিনি- ৩টি, এলাচ- ৫টি, তেজপাতা- ২টি, শাহি জিরে- ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি- ১ কাপ, হলুদের গুঁড়ো- ১ চা চামচ, নুন- স্বাদ মতো, লঙ্কার গুঁড়ো- স্বাদ মতো, আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ, কাঁচা লঙ্কা।

Advertisement

প্রণালী-

মাঝারি আঁচে মুগ ডাল ভেজে নিন। হালকা লাল হতে শুরু করলে নামিয়ে নিন। চালের সঙ্গে দু’ধরনের ডাল মিশিয়ে ধুয়ে রেখে দিন পানি ঝরানোর জন্য। ইলিশ মাছ টুকরো করে স্বাদ মতো নুন ও ১ চা চামচ করে হলুদ ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে মেখে নিন। হাঁড়িতে দু’ধরনের তেল একসঙ্গে গরম করে ইলিশ মাছের টুকরো গুলো ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে মাছ উঠিয়ে সেই তেলেই দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা ও শাহি জিরে দিয়ে দিন। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজ নরম হয়ে গেলে আদা বাটা, রসুন বাটা, লঙ্কার গুঁড়ো ও হলুদের গুঁড়ো দিয়ে নাড়তে থাকুন। ৩-৪ টেবিল চামচ পানি দিন। কষানো হয়ে গেলে পানি ঝরিয়ে রাখা চাল-ডালের মিশ্রণ ও স্বাদ মতো নুন দিয়ে নেড়ে নিন। ভেজে নেওয়া হলে ১০ কাপ গরম পানি দিন। ফুটে উঠলে ওভেন মিডিয়ামে করে ঢেকে দিন হাঁড়ি। পানি শুকিয়ে খানিকটা ভেজা থাকা অবস্থায় হাঁড়ির অর্ধেক খিচুড়ি উঠিয়ে মাছগুলো দিয়ে দিন। দমে রাখুন ১০ মিনিট। নামিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম।

সাবুর খিচুড়ি

উপকরণ-

সাবুদানা, গাজর, আলু সেদ্ধ ছোট চৌকো করে কাটা, ২-৩ টি কাঁচালঙ্কা, ১/২ টমেটো কুচিঁ, ২টেবিল চামচ কারিপাতা, ১চা চামচ গোটা জিরে, ১চা চামচ আদাবাটা, স্বাদ অনুযায়ী সন্ধক নুন, ২টেবিল চামচ তেল/ঘি, স্বাদ মতো মিষ্টি, ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো

Advertisement

প্রণালী-

সাবু দানা খুব ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে যাতে স্টার্চ না থাকে। এবার সাবুদানা পানিতে ভিজিয়ে ২-৩ঘন্টা রাখুন। সাবু ফুলে দ্বিগুণ হয়ে যাবে। এবার বাড়তি পানি ঝড়িয়ে রাখতে হবে। আলু সেদ্ধ করে কেটে নিন। টমেটো, গাজর ছোট টুকরো করে কাটতে হবে। আদা বেটে নিন। এবার প্যনে ঘি/তেল দিয়ে গরম হলে জিরে ফোড়ন দিন। ভাজা গন্ধ বেরলে কারিপাতা দিয়ে নেড়ে চেড়ে গাজর কুচি দিয়ে অল্প ভেজে আলু ও আদা কুচি দিয়ে ভাজতে হবে। এই সময় আন্দাজমত নুন দিতে হবে। টম্যাটো ও কাঁচালঙ্কা দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে মিষ্টি দিতে হবে। এবার সাবুদানা দিয়ে হালকা হাতে নাড়তে হবে। ঢাকনা বন্ধ করে ফুটতে দিন মিনিট খানিক। সবজি দিয়ে এই সাবুর খিচুড়ি দারুণ লাগে উপোস মুখে।

জেএইচ

Advertisement

রেসিপি

রুই মাছের ডিমের কাবাব রেসিপি

Published

on

মাছের কাবাব তো অনেকেই খেয়েছেন। মাছের ডিম দিয়ে তৈরি কাবাব কি খেয়েছেন? মাছের ডিমের কাবাব! আজ ভিন্ন স্বাদের রুই মাছের ডিমের কাবাব তৈরির পদ্ধতি জানাবো। খুবই সহজ ও সুস্বাদু! তো চলুন, জেনে নেই কীভাবে তৈরি করবেন মাছের ডিমের কাবাব।

উপকরণ

রুই মাছের ডিম- ৩ কাপ

পেঁয়াজ কুচি- ২ কাপ

কাঁচামরিচ কুচি- ৩ চা চামচ

Advertisement

চিলি ফ্লেকস- ১ চা চামচ

হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ

জিরা গুঁড়া- ১/২ চা চামচ

কাবাব মসলা- ১/২ চা চামচ

লেবুর রস- সামান্য

Advertisement

লবণ- পরিমাণমতো

তেল– ভাজার জন্য

চালের গুঁড়া অথবা কর্ণফ্লাওয়ার- ১/২ কাপ

প্রস্তুত প্রণালী

১. প্রথমে একটি পাত্রে মাছের ডিমের সাথে একে একে সব উপকরণ মিশিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখবো।

Advertisement

২. তারপর মাখানো মাছের ডিম কাবাবের শেইপ করে নিতে হবে।

৩. এবার একটি প্যানে তেল গরম করে তাতে কাবাবগুলো দিয়ে অল্প আঁচে বাদামী করে ভেজে নিবো।

৪. এরপর নামিয়ে গরম ভাত কিংবা পোলাওয়ের সাথে পরিবেশন করুন রুই মাছের ডিমের কাবাব।

এই কাবাব খেতে যেমন মজাদার, বানানোও খুব সহজ। তো আজই তৈরি করুন এবং উপভোগ করুন ভিন্নধর্মী এই কাবাবটি।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রেসিপি

তাওয়া পোলাও রেসিপি

Published

on

ইন্ডিয়ান স্ট্রিট ফুডগুলোর মধ্যে তাওয়া পোলাও অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। এই পোলাও রান্না করা হয় অনেক বড় একটি তাওয়ায় খুবই নিপুণতার সাথে, যার কারণে এটি মূলত তাওয়া পোলাও নামে পরিচিত। ঘরে বসেই যদি বানিয়ে নেয়া যায় এই মজাদার খাবারটি তাহলে খারাপ কি! চলুন দেখে নেই রেসিপিটি।

তাওয়া পোলাও রান্নার উপকরণ

বাসমতী চাল- ১ কাপ

পেঁয়াজ কুঁচি- বড় ১ টি

টমেটো কুঁচি- ২ টি

Advertisement

ক্যাপসিকাম কুঁচি- ১ টি

সবুজ মটর- ১ কাপ

কাঁচামরিচ কুঁচি- ১ টি

লবণ- স্বাদমত

চিনি- ১/২ চা চামচ

Advertisement

মাখন- ৪ টেবিল চামচ

ধনেপাতা কুঁচি

লাল শুকনো মরিচ- ৪০ টি

রসুন- ৫ কোয়া

লবণ- ৩ টেবিল চামচ

Advertisement

রান্নার প্রণালী

চুলোয় ২ কাপ পানি সিদ্ধ করে নিন। একটি বোলে মরিচ নিয়ে তাতে সিদ্ধ পানি দিয়ে রেখে দিন ১০ মিনিটের জন্য। এবার পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর ব্লেন্ডারে মরিচ ও রসুন একসাথে নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। প্রয়োজনমত পানি দিন মিহি পেস্ট তৈরি করার জন্য। হয়ে গেলে একটি বাটিতে নিয়ে তাতে লবণ মিশিয়ে নিন। ফ্রিজে রেখে দিলে এটি অনেকদিন ব্যবহার করতে পারবেন।

এবার আসি তাওয়া পোলাও রান্নায়-

১. বাসমতী চাল ধুয়ে ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর চাল রান্না করে নিন। রান্না করার সময় অল্প লবণ দিয়ে নিবেন। খেয়াল রাখবেন যাতে ভাত ঝরঝরে হয়। হয়ে যাওয়ার পর নামিয়ে এক পাশে রেখে ঠাণ্ডা হতে দিন।

২. একটি তাওয়ায় বাটার দিয়ে নিন। চিলি-গারলিক পেস্ট দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রান্না করুন। তারপর পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচামরিচ কুঁচি, টমেটো দিয়ে দিন। সব একসাথে মিক্স করে রান্না করতে থাকুন।

Advertisement

৩. লবণ ও চিনি দিয়ে দিন। মটর ও ক্যাপসিকাম দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া দিয়ে দিন।

৪. সব শেষে রান্না করা ভাত দিয়ে দিন। ৫-৮ মিনিট রান্না করুন।

এবার হয়ে গেলো তাওয়া পোলাও। এটি যে কোন কারি দিয়ে বা এমনিতেই খেতে পারবেন।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রেসিপি

চিকেন টিকিয়া তৈরির রেসিপি

Published

on

চিকেন খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। মুরগি দিয়ে কত রকমের মজাদার খাবার যে তৈরি হয় রসনাবিলাসী বাঙালিদের হেঁসেলে! সাধারণত বিফ কিংবা মাটন দিয়ে টিকিয়া বানানো হয়। কিন্তু চিকেন দিয়েও খুব সহজ রেসিপিতে মজাদার টিকিয়া বানিয়ে নেয়া যায়! যারা কাবাব, টিক্কা বা কাটলেট জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করে, তাদের জন্য রইল চিকেন টিকিয়া বানানোর পুরো রেসিপি।
উপকরণ
মুরগির বুকের মাংস বা চিকেন ব্রেস্ট পিস- ৫০০ গ্রাম
ছোলার ডাল- ১/২ কাপ
আদা বাটা- ১ চা চামচ
রসুন বাটা- ১ চা চামচ
জিরা গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ
পেঁয়াজ কুঁচি- ১ টেবিল চামচ
কাঁচামরিচ কুঁচি- ১ চা চামচ
গোলমরিচের গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ
ডিম- ১টি
গরম মসলার গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ
লবণ- স্বাদ অনুযায়ী
তেল- ভাজার জন্য
প্রস্তুত প্রণালী
১. প্রথমে সামান্য পানি দিয়ে ছোলার ডাল সেদ্ধ করে নিতে হবে। আর মুরগির বুকের মাংস মিহি কিমা করে নিন।
২. এবার একটি প্যানে তেল দিয়ে গরম করে তাতে লবণ, চিকেন কিমা, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা গুঁড়ো ও গরম মসলার গুঁড়ো দিয়ে দিন।
৩. সব মসলার সাথে মুরগির মাংসের কিমা খুব ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে। চিকেন কিমা সেদ্ধ হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিন।
৪. মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে এতে সেদ্ধ করে রাখা ছোলার ডাল মিশিয়ে দিন।
৫. তারপর একে একে পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচামরিচ কুঁচি ও গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন।
৬. একটি ডিম ফাটিয়ে নিয়ে চিকেনের মিশ্রণে যোগ করুন। সব উপকরণ একসাথে চটকিয়ে নিতে হবে।
৭. এবার হাতের তালুতে একটু তেল মেখে চিকেনের এই মিশ্রণ থেকে একটু করে নিয়ে টিকিয়ার আকারে শেইপ দিয়ে দিন। আপনার পছন্দ অনুযায়ী ছোট বা মাঝারী আকারে টিকিয়ার শেইপ করে নিবেন।
৮. অন্যদিকে একটি প্যানে তেল গরম করতে দিন। তেল গরম হয়ে আসলে টিকিয়াগুলো আস্তে আস্তে এতে ছেড়ে দিন।
৯. চিকেন টিকিয়াগুলো ডীপফ্রাই করতে পারেন অর্থাৎ ডুবো তেলে ভাজতে পারেন। আবার অল্প তেল দিয়েও ফ্রাই করে নিতে পারেন।
১০. মাঝারী আঁচে টিকিয়াগুলো ভেজে নিন। একপাশ ভাজা হয়ে গেলে সাবধানে উলটিয়ে দিন।
১১. যেহেতু ছোলার ডাল ও মুরগির কিমা আগেই সেদ্ধ করে নেওয়া, তাই খুব বেশি সময় ধরে ভাজার দরকার নেই! গোল্ডেন কালার হয়ে গেলেই তেল থেকে নামিয়ে কিচেন টিস্যুতে রাখুন।
ব্যস, চিকেন টিকিয়া তৈরি হয়ে গেলো! পোলাও, খিচুড়ি বা গরম গরম ভাতের সাথে এটি দারুণ মানিয়ে যাবে। আবার বিকালে স্ন্যাকস হিসাবেও পছন্দের সসের সাথে পরিবেশন করতে পারবেন সুস্বাদু এই আইটেমটি।
জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত