লাইফস্টাইল
চুল পড়ে যাওয়ার পেছনে থাকতে পারে এই ১০টি কারণ
![চুল](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/05/News-Image-1-319.jpg)
অত্যধিক চুল পড়া কেবল চেহারা নয়, মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। মনে করা হয় একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে চুল পড়তে থাকে, কিন্তু তার আগেই অত্যধিক মাত্রায় চুল পড়ে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কী কী কারণে অত্যাধিক চুল পড়তে পারে? চলুন জেনে নেয়া যাক।
মানসিক চাপ: স্ট্রেস থেকেও চুল পড়তে পারে। টেলোজেন এফ্লুভিয়ামের জন্য চুল পড়ে। চুল ব্যাপকভাবে পাতলা হয়ে যায়।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: হরমোন চুলের বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি হরমোনগুলি কোনও কারণে ভারসাম্য হারায় তবে চুল অত্যধিক মাত্রায় ঝরে যেতে পারে। এছাড়া, অ্যান্ড্রোজেন, বিশেষ করে অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়ার চুলের ফলিকলগুলিকে দুর্বল করে দেয় যার ফলে চুল পড়া বেড়ে যায়। উপরন্তু, মেনোপজের সময় বা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহারের কারণেও হরমোনের নানান পরিবর্তন হয়, যা এন্ড্রোজেনের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে, যার ফলে চুল পড়তে পারে।
থাইরয়েড: স্কিনলজিক্স ও কসমেটোলজিস্ট রিতু খারিয়ানের মতে, ‘ থাইরয়েড হরমোন হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম উভয়ই চুলের বৃদ্ধিকে ব্যাহত করতে পারে। এইসব হরমোন চুলের বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতার ফলে চুলের ক্ষতি হতে পারে।”
পুষ্টির ঘাটতি: ভিটামিন ও খনিজগুলি চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং চুলকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। তাই শরীরে পুষ্টির অভাব থাকলে বা চরম ডায়েটের ফলেও পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা চুলের স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে।
শারীরিক আঘাত: গুরুতর শারীরিক আঘাত, যেমন দুর্ঘটনা, অস্ত্রোপচার, পোড়া বা গুরুতর অসুস্থতা চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে। এর ফলে হঠাৎই চুল পড়া বা পাতলা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: শারীরিক সমস্যার জন্য ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু এইসব ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে চুল পড়তে পারে। যেমন রক্ত পাতলা করার ওষুধ, গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট, এছাড়া বেশ কিছু ভিটামিনের সাপ্লিমেন্ট থেকেও চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে বা টাক হয়ে যেতে পারে।
প্রসবোত্তর, অসুস্থতা ও মানসিক চাপ: প্রসবের পর নানা রকম অসুস্থতা ও মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে একজন মহিলাকে যেতে হয়। এর ফলেও অত্যধিক হারে চুল পড়তে পারে। প্রসব পরবর্তী সময়ে টেলোজেন এফ্লুভিয়াম চুল পড়াকে আরও ত্বরান্বিত করে।
চুলের অযত্ন: চুলে রং করা, অতিরিক্ত হিট দিয়ে স্টাইলিং চুলের নানান ক্ষতি করতে পারে। এর ফলেও প্রচুর পরিমাণে চুল ঝড়ে যেতে পারে।
বংশগত কারণ: টাক হয়ে যাওয়া অনেকে সময় বংশগত হয়। পরিবার সূত্রে অর্থাৎ জেনেটিক কারণেও চুল ঝড়ে গিয়ে টাক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
বয়স: এছাড়া বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চুলের বৃদ্ধি কমতে থাকে। চুলের ফলিকলগুলিও চুল গোজানোর কাজ বন্ধ করতে থাকে, ফলে চুল পাতলা হতে শুরু করে।
কেএস/
পরামর্শ
ত্বক সুন্দর রাখতে এড়িয়ে চলুন ৮টি খাবার
![ত্বক](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-1-394.jpg)
প্রায়ই আমরা বিভিন্ন স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট বা ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্ট ব্যবহার করে থাকি। তবে আমরা যতই নামী-দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করি না কেন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস যদি মেনটেইন করা না হয়, তাহলে কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও স্বাস্থ্যোজ্বল ত্বক পাওয়া সম্ভব হবেনা। তাই ত্বকের যত্নের পাশাপাশি পরিবর্তন আনতে হবে আমাদের খাবারের তালিকায়। আজ আপনাদের জানাবো এমন ৮টি খাবার সম্পর্কে যেগুলো ত্বক সুন্দর রাখতে এড়িয়ে চলতে হবে।
ত্বক সুন্দর রাখতে যা যা খাবেন না
আমাদের সার্বিক সুস্থতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ত্বক ও চুল সুন্দর রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের কোনো বিকল্প নেই। স্কিনকেয়ার করে হয়তো অল্প সময়ের জন্য ত্বককে সুন্দর করা যায়, তবে গভীর থেকে স্বাস্থ্যোজ্বল ত্বক পেতে হলে আমাদের খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হবে পরিবর্তন। অস্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের হজমের সমস্যা, ইনফ্ল্যামেশন, একনে ইত্যাদি তৈরি করতে পারে, যা আমাদের ত্বকের জন্য মোটেই ভালো নয়। এ ধরনের খাবার খেলে ব্রণ থেকে শুরু করে ত্বকের অকালে বয়সের ছাপও পড়তে পারে। তাই ত্বকের সুস্থতা চাইলে খাবারের ক্ষেত্রে থাকতে হবে বেশ সতর্ক।চলুন জেনে নেওয়া যাক ত্বক সুন্দর রাখতে যে ৮টি খাবার অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে-
লবণ
আমাদের শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি পূরণ করে লবণ। তবে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে মুখে বিশেষ করে, চোখের চারপাশে ফোলাভাব দেখা দেয়। আমাদের চোখের চারপাশের ত্বক বেশ পাতলা হয়ে থাকে। অতিরিক্ত সোডিয়াম বা লবণ গ্রহণে এসব জায়গা ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি অতিরিক্ত সোডিয়াম খাওয়ার ফলে ডার্ক সার্কেল এর সমস্যাও হতে পারে। তাই খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খাওয়াটা এড়িয়ে চলা উচিত।
দুগ্ধজাত খাদ্য
দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারের উপকারিতা নিয়েই সাধারণত অনেক কথা হয়। শরীর ও ত্বকের জন্য দুগ্ধজাত খাদ্য খুবই উপকারী। তবে দুগ্ধজাত খাদ্য অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতি যেমন,চোখের পাতা ফোলা, আই ব্যাগ, ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ ও বলিরেখার মতো নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত দুগ্ধজাত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকাটাই শ্রেয়।
চিনি
চিনি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর একটি খাবার। চিনিতে প্রচুর ক্যালরি থাকায় এটি খেলে ওজন বেড়ে যায়। পাশাপাশি ত্বকেও খারাপ প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস ত্বকে ইনফ্ল্যামেশন তৈরি করে, যা থেকে একনে ব্রেকআউট দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি যাদের পিসিওএসের তো হরমোনাল সমস্যার কারণে একনে হয়, তাদের একনেও অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে বেড়ে যেতে পারে। এ কারণে চিনিযুক্ত খাবার যত কম খাওয়া যায়, ততই ভালো।
চকলেট বা ক্যান্ডি
কম বেশি সবাই ক্যান্ডি বা চকলেট খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সুস্থ ত্বকের জন্য যেসব খাবার আমাদের পারতপক্ষে এড়িয়ে চলতে হবে, এই মজাদার চকলেট বা ক্যান্ডি তার মধ্যে অন্যতম। কারণ যদি আপনি নিয়মিত এগুলো খান, তাহলে আপনার শরীরে প্রক্রিয়াজাত চিনির পরিমাণ বেড়ে যাবে মারাত্মক আকারে। এই অতিরিক্ত চিনির কারণে ত্বকে থাকা কোলাজেনের ব্যালেন্স নষ্ট হয়, যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট করে। পাশাপাশি ত্বকের ন্যাচারাল গ্লো হারিয়ে ত্বক হয়ে যায় মলিন। তাই প্রচন্ড পছন্দের খাবার হলেও ত্বকের সুস্থতার জন্য চকলেট কিছুটা হলেও এড়িয়ে চলা উচিত।
সোডা ও কোমল পানীয়
খুব গরম পড়লে বা গুরুপাক খাবার খাওয়ার পরে কোমল পানীয় বা সোডা পান করা প্রায় সবারই একটি নিত্যদিনের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কোমল পানীয় পান করতে বেশ ভালো লাগলেও ত্বকের জন্য কিন্তু এটি মোটেও ভালো নয়! এই ধরনের পানীয়তে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় চিনি। তাই এগুলোতে ক্যালরিও অনেক বেশি। কোমল পানীয়র কারণে ত্বকে অকালে বয়সের ছাপ পড়াসহ বিভিন্ন স্কিন ইরিটেশন দেখা দিতে পারে। তাই আপনার যদি হুটহাট কোমল পানীয় পান করার অভ্যাস থেকে থাকে, তাহলে আজই সেটি ছাঁটাই করে ফেলুন।
ফাস্টফুড ও তেলে ভাজা খাবার
আমাদের মধ্যে অনেকেরই মিড মর্নিং বা বিকেলের নাস্তায় চপ, সিঙাড়া অথবা বার্গার, ফ্রায়েড চিকেন ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস আছে। এসব খাবার খেতে ভালো লাগলেও, ত্বকের জন্য কিন্তু এগুলো একেবারেই উপকারী নয়! এই খাবারগুলো আমাদের ত্বকে ইনফ্ল্যামেশন বা ব্রণজনিত সমস্যার জন্য অনেকটা দায়ী। তাই ত্বক সুন্দর রাখতে এখন থেকে এসব খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
কফি
বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা দিনশেষে ক্লান্তি দূর করতে কফি পান করতে পছন্দ করেন অনেকেই! কারো কারো তো কফি না খেয়ে দিনই শুরু হয়না! তবে এই অতিরিক্ত কফি পান করার ফলে শরীরে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন এবং সেই সাথে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা। তাই অতিরিক্ত কফি পান করা থেকে বিরত থাকাটা খুব জরুরি সুন্দর ও সুস্থ ত্বক পেতে হলে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
যেসকল খাবার প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত না হয়ে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় নানা প্রক্রিয়ায় প্রক্রিয়াজাত হয়, সেসব খাবার ত্বকের জন্য বেশ ক্ষতিকর। এধরনের খাবারের মধ্যে প্যাকেট করা বা কৌটাজাত দীর্ঘদিন সংরক্ষিত বিভিন্ন খাবার যেমনঃচিকেন নাগেটস, মিটবল, ক্যানে থাকা ফল বা সবজি, জুস অন্যতম। এসকল খাবার আমাদের স্কিনের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কেননা এগুলোতে ব্যবহার করা হয় প্রিজারভেটিভস, যা আমাদের স্কিন ব্যারিয়ারের ক্ষতি করে। তাই এই খাবারগুলো কম খেয়ে বাড়িতে তৈরি খাবার খান। বেশি করে ফলমূল ও শাকসবজি খাদ্যতালিকায় রাখুন। এতে করে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে, আবার ত্বক ও চুলও ভালো থাকবে।
তো এই ছিলো ত্বক সুন্দর রাখতে যে খাবারগুলো কম খাওয়া উচিৎ তা নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা। সবসময় মনে রাখবেন, সুস্থ ত্বকের জন্য সবার আগে দরকার সঠিক খাদ্যাভাস এবং পরিমিত মাত্রায় খাবার গ্রহণ। আমাদের শরীর যদি সঠিক পুষ্টি উপাদান পায় তবে ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখাটাও হবে বেশ সহজ।
কেএস/
রেসিপি
আচারি সবজির খিচুড়ি
![খিচুড়ি](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-1-379.jpg)
খিচুড়িতো সবারই প্রিয়। সহজ কিছু রান্না মানেই খিচুড়ি। পছন্দের এ খাবারটি ভিন্নভাবে রান্নার চেষ্টা করা হয়েছে কি কখনো? চলুন তাহলে জেনে নেই।
উপকরণ
তেল ১/২ কাপ
রসুন কুঁচি ৩ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ কুঁচি ৩ টেবিল চামচ
শুকনো মরিচ ৪-৫ টি
পাঁচ ফোড়ন ১ টেবিল চামচ (আস্ত)
হলুদ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
জিরা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
পানি(সামান্য)
লবণ স্বাদমতো
পেঁপে ১/২ কাপ (কিউব করে কাটা)
বরবটি ১/২ কাপ
গাজর ১/২ কাপ (কিউব করে কাটা)
ফুলকপি ১/২ কাপ
নাজিরশাইল চাল ১/২ কেজি
ডাল ১ কাপ
টক মিষ্টি আমের আঁচার ১ কাপ
প্রনালী
প্রথমে তেল গরম করে রসুন কুঁচি, পেঁয়াজ কুঁচি, শুকনো মরিচ, পাঁচ ফোড়ন দিয়ে বাদামি করে ভেঁজে নিতে হবে। এবার হলুদ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, আদা বাটা ও সামান্য পানি দিয়ে মশলা ভালোমত কষিয়ে স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিতে হবে। এরপর পেঁপে, বরবটি, গাজর, ফুলকপি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করে নিতে হবে। এরপর আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে পানি ঝরিয়ে রাখা নাজিরশাইল চাল, ডাল দিয়ে ভালো মতো কষিয়ে এবং পরিমান মতো পানি দিয়ে ২০ মিনিট ঢেকে দিয়ে ভালোভাবে রান্না করে নিতে হবে। রান্না হয়ে গেলে টক মিষ্টি আমের আঁচার দিয়ে পুরো খিচুড়িটি ভালোভাবে নেড়ে মিলিয়ে নিলেই হয়ে যাবে মজাদার সবজির আচারি খিচুড়ি। মনমত সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
কেএস/
লাইফস্টাইল
রোদ থেকে বাঁচুন ৪টি উপায়ে
![রোদ](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-1-377.jpg)
গ্রীষ্মকালে রোদ থেকে বাঁচার জন্য আমরা কত কিছুই না করি কিন্তু শেষ রক্ষা বুঝি আর হয় না। রোদ আর গরম দুটো মিলে আমাদের ত্বকের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। আমাদের ত্বকের উপরের স্তর খুবই পাতলা এবং সংবেদনশীল তাই রোদ থেকে বাঁচুন কিছু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে। চলুন জেনে নেয়া যাক রোদ থেকে বাঁচার উপায়।
রোদের ক্ষতিকর দিকগুলো কী কী?
রোদে পুড়লে শুধুই কি গায়ের রঙ কালো হয়ে যায়? যদিও এই এক চিন্তাতেই আমাদের জীবনে সূর্যের ঝলমলে আলোতেও অন্ধকার নেমে আসে। ত্বক কালো হওয়া ছাড়াও সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির কারণে আমাদের মারাত্নক ক্ষতি হতে পারে। সেগুলো হলো-
১. প্রতিনিয়ত রোদে পুড়লে ত্বকের উপর কালো কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়।
২. ত্বকের উজ্জ্বল ভাব নষ্ট হয়ে যায়।
৩. চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে।
৪. এছাড়াও রোদের কারণে আমাদের ত্বকে নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দিতে পারে।
৫. এমনকি গবেষণায় দেখা গেছে, সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি স্কিন ক্যান্সার-এর জন্যও দায়ী।
কী করবেন?
সানস্ক্রিন আপনার ত্বকের রঙের সুরক্ষাতো করেই, সেইসঙ্গে স্কিন ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের সুরক্ষা কবজ হিসেবেও আপনাকে রক্ষা করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় মাত্র ২০ শতাংশ লোক প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন। কিন্তু তবুও অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন কখন, কিভাবে, কেমন সানস্ক্রিন লাগাতে হয়?
কখন, কিভাবে, কেমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন?
ঘর থেকে বের হবার আগে সানস্ক্রিন বা সান ব্লক লোশন লাগিয়ে বের হলে এসব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারেন। রোদের বেগুণী রশ্মির ফলে পাঁচ ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। আর সেগুলো থেকে সানস্ক্রিন আমাদের সুরক্ষা দেয়। বাসা থেকে বের হবার ঠিক আগেই সানস্ক্রিন লাগালে কিন্তু হবে না। বাহিরে বের হবার কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগান। রোদ থাকুক আর নাই থাকুক প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
প্রতিবার বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে সানস্ক্রিন বা লোশন ব্যবহার করবেন। সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন কেনার আগে অবশ্যই এসপিএফ-এর মাত্রা দেখে কিনবেন। আমাদের দেশের আবহাওয়ার জন্য এসপিএফ ৩০-৫০ এর সানস্ক্রিন বা লোশন ব্যবহার করা উচিত। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সানস্ক্রিনের সান প্রোটেকশন ট্রিকস আপনার ত্বকের সুরক্ষা দিতে শুরু করে। আর অবশ্যই, আপনার ত্বকের ধরন অর্থাৎ আপনার ত্বক তৈলাক্ত নাকি শুষ্ক, তেমন বুঝে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
১. টমেটো পিউরি
টমেটো এখন সবার বাসাতেই থাকে। একটি টমেটো নিয়ে পিউরি করে তার সঙ্গে হালকা মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহ ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন নিজের ত্বকের পার্থক্য।
২. বরফ ঘষা
রোদের হাত থেকে বাঁচতে ঘরে ফিরেই মুখে বরফের টুকরা ঘষুন। এতে রোদে পোড়া ভাব কমবে।
৩. অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা জেল লাগালেও রোদেপোড়া ত্বকের উপকার হবে। আপনি বাজার থেকে কেনা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন আবার অ্যালোভেরা পাতা থেকেও জেল বের করে ব্যবহার করতে পারেন।
৪. শসার রস
শসার রস করে তা তুলার সাহায্যে ত্বকে লাগান। চাইলে এতে অল্প লেবু্র রস মেশাতে পারেন। রোদে পোড়া ভাব দূর হয়ে ত্বক ফিরে পাবে নতুন সজীবতা।
কেএস/
- পর্যটন2 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
- ইসলাম2 days ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
- অপরাধ2 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
- আবহাওয়া4 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
- টুকিটাকি3 days ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
- রংপুর3 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
- জাতীয়3 days ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!
- ক্রিকেট2 days ago
বিশ্বকাপ ফাইনাল পণ্ড হলে যারা জিতবে শিরোপা