লাইফস্টাইল
সামান্য মনোমালিন্য যেন না হয় সম্পর্ক বিচ্ছেদের কারণ
![সম্পর্ক](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-1-165.jpg)
শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নয়, মনোমালিন্য বা কথা কাটাকাটি হতে পারে ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধবী এমন কি অফিসে কলিগদের সাথেও। একটু পর পরিস্থিতি শান্ত হলে মনে হয়, ‘এই যাহ্! কী বলে ফেললাম, এখন কী হবে!’ বার বার সরি বলার পর বিপরীত মানুষটা সবকিছু স্বাভাবিক আছে বললেও কিছু কথা হয়তো তার মনে গেঁথে যেতে পারে সারা জীবনের জন্য। বার বার বোঝানোর চেষ্টা করলেও সেই সম্পর্ক আর আগের মতো সুন্দর করে তোলা যায় না।
ছোটখাটো এমন ব্যাপারগুলো অনেক সময় জমে জমে খুব বড় সমস্যার সৃষ্টি করে আর রূপ নেয় ছাড়াছাড়ি বা বিচ্ছেদের মতো অবস্থার। তাই সমস্যা যতই জটিল হোক খেয়াল রাখতে হবে, মনোমালিন্য বা কথা কাটাকাটি যেন না হয় আপনার সম্পর্ক বিচ্ছেদের কারণ। কিন্তু কীভাবে? আজকে জেনে নিবো এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে।
১) ‘আমিই ঠিক’ এমন ভাবনা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে
মনোমালিন্য বা কথা কাটাকাটির সময় আমরা অপরপক্ষের কোনো কথাই শুনতে বা বুঝতে চাই না। দুই পক্ষের মধ্যেই যদি এমন ভাবনা থাকে ‘আমিই ঠিক’ তাহলে কথায় কথায় শুধু কথা কাটাকাটি ও ঝগড়াঝাঁটি বাড়বে। এমন সময় আপনি ঠিক হলেও অপরপক্ষের সাথে যুক্তি খন্ডনে না যেয়ে তাকে ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত সময় দিন। অপরপক্ষও কোন কারণে কথাটি বলছে তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। তার কথা আপনি বোঝার চেষ্টা করছেন এমন পরিবেশ তৈরি করুন। এরপর ধীরে ধীরে আপনার জায়গাটাও তাকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন। তবে এক্ষেত্রে ‘তোমাকেই বুঝতেই হবে, আমি অনেক ধৈর্য ধরে আছি’ এমন মনমানসিকতা রাখা যাবে না।
২) দুর্বলতা নিয়ে কটূক্তি করা যাবে না
আমরা কেউই পারফেক্ট নই। জীবনে চলার পথে কমবেশি আমরা সবাই ভালো খারাপ পরিস্থিতিতে পড়েছি। মনোমালিন্য বা কথা কাটাকাটির কারণে সুন্দর সম্পর্ক মুহূর্তেই ভেঙে যেতে পারে। কিন্তু খুব কম মানুষই হাজার সমস্যার মধ্যেও সম্পর্ক সুন্দর রাখতে পারে। দুইজন মানুষের সম্পর্কের গভীরতার উপর নির্ভর করে একজন অপরজনকে অনেক কিছুই শেয়ার করতে পারে। যা হয়তো স্বাভাবিকভাবে যে কাউকে শেয়ার করা যায় না।
আমাদের জীবনের অতীত বা নেতিবাচক পারিপার্শ্বিক অবস্থা দিয়ে আমাদের বর্তমান বিচার করা যায় না। তাই খুব খারাপ সময়েও শুধুমাত্র তর্কে জিততে হবে এমন ভেবে কেউ কারো দুর্বলতা নিয়ে কটূক্তি করা যাবে না। এতে ওই নির্দিষ্ট সময়ে হয়তো তর্কে জেতা যায়, কিন্তু সম্পর্কটা আর আগের মতো সুন্দর নাও থাকতে পারে।
৩) নিজেদের তর্কে তৃতীয় ব্যক্তিকে জড়ানো যাবে না
নিজেদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সবকিছু ঠিকঠাকও হয়ে যায়। কিন্তু কথা কাটাকাটির মাঝে অপর কোনো তৃতীয় ব্যক্তিকে জড়ানো আমাদের অনেকেরই একটা বাজে স্বভাব। চিন্তা করে দেখুন তো, বাবা মায়ের কাছে আমরা ছোট থেকে বড় হতে হতে কত ভুল করেছি! এখন যদি তারা কথায় কথায় পরিবারের বাইরের মানুষজনকে আমাদের দুর্বলতাগুলো নিয়ে কথা বলে বা কটূক্তি করে তাহলে কি আমাদের ভালো লাগবে? মোটেও না!
তেমনই দুইটা মানুষের মাঝে সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন, কেউ কখনোই চাইবে না এই বিষয়গুলো নিয়ে তৃতীয় ব্যক্তিকে জড়ানো হোক! এতে দুটো মানুষের মধ্যে দিন শেষে সমঝোতা হয়ে গেলেও তৃতীয় ব্যক্তির মাথায় অনেক অপ্রাসঙ্গিক ও ভুল ধারণা থেকে যায়। এতে সেই ব্যক্তিটির সাথেও এক ধরণের অস্বস্তিকর বা অস্বাভাবিক সিচ্যুয়েশনের সৃষ্টি হয়। তাই নিজেদের কথা কাটাকাটির সময় যতটা সম্ভব তৃতীয় ব্যক্তিকে না জড়ানোই বুদ্ধিমানের কাজ।
৪) কথায় কথায় ছেড়ে যাওয়ার ভয় দেখানো যাবে না
খুব ছোটখাটো ঝগড়ার সময় অথবা শুধুমাত্র তর্কে জিতে যাওয়ার জন্য আমরা অনেকেই ছেড়ে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে আনন্দ পাই! অপরপক্ষের মানুষটা চুপ করে সহ্য করে যাওয়ায় আপনি হয়তো ভাবছেন তর্কে জিতে গেলেন এবারও! কিন্তু আপনি যে কাজটি করলেন সেটি সবচেয়ে বড় ভুল এবং এক অর্থে বোকামি! এভাবে একে অপরের প্রতি এক ধরণের দূরত্ব সৃষ্টি হয়!
ইংরেজিতে ‘Taken For Granted’ বলে একটা কথা আছে। সম্পর্কে যখন একজন আরেকজন কে পেয়ে বসে আর ভাবে, ‘ও তো থাকবেই, ও তো করবেই’ – তখনই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত এক্সপেক্টেশনের কারণে সম্পর্ক সুন্দর থেকে অসুন্দরের দিকে চলে যায়। ধীরে ধীরে সম্পর্ক থেকে মন উঠে যেতে থাকে।
৫) দুইজন একই সাথে চিৎকার চেঁচামেচি করা যাবে না
ধরুন আপনার কাজের প্রচন্ড প্রেশার! এর মাঝেই আপনার কোনো সিনিয়র আপনাকে একটা কাজ দিয়ে গেলো। প্রতিটা কাজই আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বুঝেই উঠতে পারছেন না কোনটা রেখে কোনটা করবেন। এর মাঝে সিনিয়র আবার এসে খুব রাগ নিয়ে আপনাকে কাজটা এখনই করে দিতে বললো! আপনিও নিতে না পেরে চেঁচামেচি শুরু করলেন। সিনিয়র আরও জোড়ে জোড়ে রাগ করে কথা বলা শুরু করলো! এতে কী হবে শেষ পর্যন্ত একবার ভেবে দেখুন তো? কলিগদের মধ্যে সম্পর্কে নেগেটিভিটি আর কলহ বেড়ে যাবে। কাজ করার পরিবেশ থাকবে না। মানসিক অশান্তি বেড়ে যাবে।
রাগারাগির এমন সিচ্যুয়েশনে একজনও যদি মাথা ঠান্ডা রেখে আরেকজনের জায়গাটা বুঝে কথা বলা বা শোনার চেষ্টা করতো তাহলে কিন্তু শুরুতে এই সমস্যাগুলোই হতো না! তাই অবশ্যই অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দুইজন একই সাথে চিৎকার চেঁচামেচি করা যাবে না! যে কোনো একজনকে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে।
৬) লজিক্যাল কথাগুলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বুঝিয়ে বলুন
যখন আমরা রাগ করে থাকি তখন স্বাভাবিকভাবেই চাই আরেকজন আমার জায়গাটা বুঝবে। ধরুন, আপনি আমার উপর কিছু নিয়ে খুব রাগ করে আছেন। আপনার জায়গাটা আমি শুনতে বা বুঝতেই চাচ্ছি না। কিন্তু চাচ্ছি আপনি আমার কথা শুনবেনই। এক পর্যায়ে আমি আপনাকে লজিক দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছি। এমন সময় আমি ঠিক কথা বললেও আপনার কাছে তা শুনতে ভালো নাও লাগতে পারে। ইচ্ছাকৃতভাবে আপনি আমার সাথে আরও বাজে ব্যবহার করতে পারেন। তাই আমার জায়গা থেকে আমি ঠিক হলেও পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত সময় নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ। দুইজনকেই এক্ষেত্রে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে।
৭) ঝগড়াকালীন চিন্তার বাইরে যেয়ে লং টার্ম চিন্তা করতে হবে
ঝগড়াকালীন সময়ে কমবেশি আমরা সবাই যে ভুলটি করি তা হলো, ভবিষ্যতের কথা একেবারেই চিন্তা করি না! ঝগড়াঝাঁটি বা মনোমালিন্য কিন্তু সবচেয়ে বেশি আমাদের কাছের মানুষদের সাথেই হয়। বাবা-মার সাথে ঝগড়া করে একটু পর তা ঠিকও হয়ে যায়। একইভাবে ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী বা অফিসে কারো সাথে ঝগড়াঝাঁটি হলেও দিনশেষে আমাদের কিন্তু এই মানুষগুলোকে নিয়েই থাকতে হয়। কিন্তু মনোমালিন্য বা কথা কাটাকাটির সময় রাগের বশে বলে দেয়া একটি কথা কিন্তু সারাজীবনের জন্য অপর মানুষটার মনে দাগ কেটে দিতে পারে। তাই ভবিষ্যতে আফসোস না করে ঝগড়াকালীন চিন্তার বাইরে যেয়ে লং টার্ম চিন্তা করতে হবে।
৮) অগোছালো কথা না বলে নির্দিষ্ট সমস্যা নিয়ে কথা বলুন
ধরুন, অফিসের কোনো কলিগের সাথে আপনার ঝামেলা হলো। আপনি তার সাথে মিলে একটা কাজ করছেন। আপনার কাজ আপনি ঠিকঠাকভাবে করে দিয়েছেন কিন্তু কলিগ তার কাজটুকু ঠিক মতো না করেই সাবমিট করে দিলো! তার জন্য আপনাকে সবার সামনে বকা খেতে হলো। এমন সময় আপনি কী করবেন? কলিগের ভুলটি ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলবেন নাকি সবার সামনে তাকে ইচ্ছেমত বকাঝকা করবেন? সাথে পুরনো আরও কিছু কথা টেনে নিয়ে আসবেন?
যদি আপনি শর্ট টেম্পারড হন এবং বকাঝকা করবেন এমনটি ভেবে থাকেন তবে অবশ্যই আপনার সেলফ ডেভেলপমেন্ট বা ইমোশনাল ইনটেলিজেন্স এর উপর আরও কাজ করতে হবে। কোনো একটা নেতিবাচক সময়ে ইমোশনালি ফ্রাস্ট্রেটেড না হয়ে, অগোছালো কথা না বলে, নির্দিষ্ট যে বিষয়ে সমস্যা হচ্ছে তা নিয়ে কথা বলুন এবং সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করুন।
৯) মনোমালিন্য শেষে সমাধানে আসার মাইন্ড সেট থাকতে হবে
‘আমাকে তুমি এটা বলবে কেন? তোমাকে কেন আমার বলতে হবে? আমার যেভাবে ভালো লাগে আমি করবো, চলবো!’ কথাগুলো কি খুব পরিচিত লাগছে? মনোমালিন্য বা কথা কাটাকাটির সময় যা হয়েছে তা ওই পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকতে দিন। আমাদের দাদি-নানিরা একটা কথা প্রায়ই বলতেন, ‘অনেকগুলো ঘটিবাটি একসাথে থাকলে টুকটাক শব্দ তো হবেই’। তেমনই একসাথে চলতে গেলে যে কোনো সম্পর্কেই একটু মনোমালিন্য বা কথা কাটাকাটিও হবেই। কিন্তু তা ধরে মনে নিয়ে বসে থাকাটা বোকামি। দুই পক্ষেরই মনোমালিন্য শেষে সমাধানে আসার মাইন্ড সেট থাকতে হবে।
কথায় আছে ‘সম্পর্ক যে কেউ ভেঙে ফেলতে পারে, তবে খুব কম মানুষই সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে এবং ধরে রাখতে পারে।’ আমাদের জীবনটা খুব ছোট হলেও এর জার্নিটা সুন্দর করে তোলার দায়িত্বটাও আমাদের। মনোমালিন্য বা কথা কাটাকাটির সময় এমন ছোট ছোট বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে পারলেই কিন্তু আমাদের সম্পর্কগুলোও সুন্দরভাবে টিকে থাকতে পারে। সেই সাথে যে কোনো বাজে পরিস্থিতিতে একে অন্যকে দোষ না দিয়ে সময় দিতে হবে এবং অবশ্যই আরেকজনের জায়গাটা বুঝতে হবে এবং বুঝিয়ে বলতে হবে।
কেএস/
রেসিপি
রুই মাছের ডিমের কাবাব রেসিপি
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/কাবাব.jpg)
মাছের কাবাব তো অনেকেই খেয়েছেন। মাছের ডিম দিয়ে তৈরি কাবাব কি খেয়েছেন? মাছের ডিমের কাবাব! আজ ভিন্ন স্বাদের রুই মাছের ডিমের কাবাব তৈরির পদ্ধতি জানাবো। খুবই সহজ ও সুস্বাদু! তো চলুন, জেনে নেই কীভাবে তৈরি করবেন মাছের ডিমের কাবাব।
উপকরণ
রুই মাছের ডিম- ৩ কাপ
পেঁয়াজ কুচি- ২ কাপ
কাঁচামরিচ কুচি- ৩ চা চামচ
চিলি ফ্লেকস- ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ
জিরা গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
কাবাব মসলা- ১/২ চা চামচ
লেবুর রস- সামান্য
লবণ- পরিমাণমতো
তেল– ভাজার জন্য
চালের গুঁড়া অথবা কর্ণফ্লাওয়ার- ১/২ কাপ
প্রস্তুত প্রণালী
১. প্রথমে একটি পাত্রে মাছের ডিমের সাথে একে একে সব উপকরণ মিশিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখবো।
২. তারপর মাখানো মাছের ডিম কাবাবের শেইপ করে নিতে হবে।
৩. এবার একটি প্যানে তেল গরম করে তাতে কাবাবগুলো দিয়ে অল্প আঁচে বাদামী করে ভেজে নিবো।
৪. এরপর নামিয়ে গরম ভাত কিংবা পোলাওয়ের সাথে পরিবেশন করুন রুই মাছের ডিমের কাবাব।
এই কাবাব খেতে যেমন মজাদার, বানানোও খুব সহজ। তো আজই তৈরি করুন এবং উপভোগ করুন ভিন্নধর্মী এই কাবাবটি।
জেএইচ
রেসিপি
তাওয়া পোলাও রেসিপি
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/পোলাও.jpg)
ইন্ডিয়ান স্ট্রিট ফুডগুলোর মধ্যে তাওয়া পোলাও অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। এই পোলাও রান্না করা হয় অনেক বড় একটি তাওয়ায় খুবই নিপুণতার সাথে, যার কারণে এটি মূলত তাওয়া পোলাও নামে পরিচিত। ঘরে বসেই যদি বানিয়ে নেয়া যায় এই মজাদার খাবারটি তাহলে খারাপ কি! চলুন দেখে নেই রেসিপিটি।
তাওয়া পোলাও রান্নার উপকরণ
বাসমতী চাল- ১ কাপ
পেঁয়াজ কুঁচি- বড় ১ টি
টমেটো কুঁচি- ২ টি
ক্যাপসিকাম কুঁচি- ১ টি
সবুজ মটর- ১ কাপ
কাঁচামরিচ কুঁচি- ১ টি
লবণ- স্বাদমত
চিনি- ১/২ চা চামচ
মাখন- ৪ টেবিল চামচ
ধনেপাতা কুঁচি
লাল শুকনো মরিচ- ৪০ টি
রসুন- ৫ কোয়া
লবণ- ৩ টেবিল চামচ
রান্নার প্রণালী
চুলোয় ২ কাপ পানি সিদ্ধ করে নিন। একটি বোলে মরিচ নিয়ে তাতে সিদ্ধ পানি দিয়ে রেখে দিন ১০ মিনিটের জন্য। এবার পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর ব্লেন্ডারে মরিচ ও রসুন একসাথে নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। প্রয়োজনমত পানি দিন মিহি পেস্ট তৈরি করার জন্য। হয়ে গেলে একটি বাটিতে নিয়ে তাতে লবণ মিশিয়ে নিন। ফ্রিজে রেখে দিলে এটি অনেকদিন ব্যবহার করতে পারবেন।
এবার আসি তাওয়া পোলাও রান্নায়-
১. বাসমতী চাল ধুয়ে ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর চাল রান্না করে নিন। রান্না করার সময় অল্প লবণ দিয়ে নিবেন। খেয়াল রাখবেন যাতে ভাত ঝরঝরে হয়। হয়ে যাওয়ার পর নামিয়ে এক পাশে রেখে ঠাণ্ডা হতে দিন।
২. একটি তাওয়ায় বাটার দিয়ে নিন। চিলি-গারলিক পেস্ট দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রান্না করুন। তারপর পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচামরিচ কুঁচি, টমেটো দিয়ে দিন। সব একসাথে মিক্স করে রান্না করতে থাকুন।
৩. লবণ ও চিনি দিয়ে দিন। মটর ও ক্যাপসিকাম দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া দিয়ে দিন।
৪. সব শেষে রান্না করা ভাত দিয়ে দিন। ৫-৮ মিনিট রান্না করুন।
এবার হয়ে গেলো তাওয়া পোলাও। এটি যে কোন কারি দিয়ে বা এমনিতেই খেতে পারবেন।
জেএইচ
পরামর্শ
হাড়ের বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য শিশুর খাদ্যতালিকায় যা রাখবেন
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/শিশু-1.jpg)
সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় থাকেন সব বাবা-মাই। শিশু কী খাবে, কতটা খাবে আর কখন খাবে- এই নিয়ে ভাবনাচিন্তা নিয়ে তারা সারাক্ষণ অস্থির। শিশু রোজ যা যা খাচ্ছে, তার থেকে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি পৌঁছচ্ছে কি না এটি জানাও খুব জরুরি। বাড়ন্ত শিশুকে হাড়ের পুষ্টি ও বৃদ্ধির জন্য সুষম আহারই দিতে হবে। আর বিশেষ করে শিশুর খাদ্যতালিকায় রোজ ক্যালশিয়াম রাখতেই হবে। রোজ কোন কোন খাবার তালিকায় রাখলে শিশুর ক্যালশিয়ামের অভাব হবে না, তা জেনে নিন।
দুধ : সুষম আহারের মধ্যে প্রথমেই বলতে হয় দুধের কথা। এই বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দীপিকা সুর জানাচ্ছেন, দুধের মধ্যে থাকা ক্যালশিয়াম হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়। শিশুকে রোজ নিয়ম করে দুধ খাওয়ানো উচিত। তবে যদি দুধে অ্যালার্জি থাকে বা দুধ হজম না হয়, তা হলে পনির, দই, ছানা, মাখন এ সব রাখুন তার খাদ্যতালিকায়।
মটরশুঁটি : মটরশুঁটির দানায় আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম। যা তার হাড়ের পুষ্টিতে বিশেষ সহায়ক। সাধারণত, শীতের সব্জি এটি, তাই শীতেই তার খাবারে মটরশুঁটি রাখতে হবে। ব্রোকোলিও তাই। অনেক শিশুই ব্রোকোলি খেতে চায় না। সে ক্ষেত্রে ব্রোকোলি দিয়ে স্যুপ বানিয়ে দিন। কয়েক টুকরো চিকেন সিদ্ধ দিয়ে দিন তাতে। অল্প করে মাখন দিয়ে গরম স্যুপ, সোনামুখ করে খেয়ে নেবে খুদে।
পিনাট বাটার : পিনাট বাটারেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম আছে। খেতে ততটা সুস্বাদু নয় বলে হয়তো শিশু খেতে চাইবে না। মায়েরা সে ক্ষেত্রে পাউরুটির মুচমুচে টোস্ট বানিয়ে তার মধ্যে পিনাট বাটার দিয়ে দিন। গরম আটার রুটি রোল করে ভেতরে পিনাট বাটার দিয়ে শিশুকে প্রাতরাশে দিন। সঙ্গে দিন ফ্রুট স্যালাড। ফল ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নুন ও গোলমরিচ দিয়ে দিন। ফল এমন ভাবে সাজিয়ে দিন যে দেখেই খেতে চাইবে শিশু।
আমন্ড বাটার : বাড়িতে আমন্ড বাটারও এনে রাখতে পারেন। সাদা মাখন না দিয়ে পাউরুটিতে আমন্ড বাটার মাখিয়ে দিন। আমন্ড বা কাঠবাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ক্যালশিয়াম। ১/৩ কাপ কাঠবাদামে প্রায় ২৬৪ মিলিগ্রাম মতো ক্যালশিয়াম মেলে। সন্তানকে দুধের সঙ্গেও দিন কয়েক টুকরো কাঠবাদাম। দুধ-কর্নফ্লেক্স খেলে উপরে ছড়িয়ে দিতে পারেন।
মাছ : মাছে প্রচুর ক্যালশিয়াম আছে। শিশুর হাড়ের বৃদ্ধির দিকে বিশেষ নজর দিতে হলে তার খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন মাছ। কাতলা, ভেটকি, কই মাছে ভাল পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে। ১০০ গ্রাম কাতলা মাছ খেলে ৫৩০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম পাওয়া যাবে, ১০০ গ্রাম ভেটকিতে প্রায় ৪৮০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম থাকে। ৫০ গ্রাম করে, অর্থাৎ দিনে দু’পিস মাছও যদি খুদে খায়, তা হলেও রোজের ক্যালশিয়ামের অনেকটাই পূরণ হবে।
ফলের রস : টাটকা ফলের রসও দিন শিশুকে। এক গ্লাস কমলালেবু বা মুসম্বির রস থেকে ৬০ মিলিগ্রামের মতো ক্যালশিয়াম পাওয়া যাবে। প্রাতরাশে যে দিন দুধ দেবেন না, সে দিন ফলের রস দিন। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খাবার দিলে শিশুর অরুচি হবে না। মনে রাখতে হবে, শিশুকে একদম চা-কফি বা নরম পানীয় দেওয়া চলবে না। কারণ ক্যাফিন ক্যালশিয়াম শোষণে বাধা দেয়। তখন যতই পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান না কেন, তাতে লাভের লাভ কিছুই হবে না। বেশি লবণ দেয়া খাবার, বেশি তেল ও মশলা দেওয়া খাবার শিশুকে দেয়া চলবে না।
জেএইচ
- অপরাধ2 days ago
বিএনপি-জামায়াতের যেসব শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হলেন
- জাতীয়6 hours ago
কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে
- জাতীয়1 day ago
এক দিনে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- জাতীয়1 day ago
পুলিশ মারলে ১০ হাজার, ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকার ঘোষণা ছিলো: ডিবিপ্রধান
- জাতীয়2 days ago
ছাত্র আন্দোলনের নামে শিবির-ছাত্রদল তাণ্ডব চালিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- ক্যাম্পাস13 hours ago
সেই আবু সাঈদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিলো বেরোবি
- জাতীয়21 hours ago
ঢাকাসহ ৪ জেলায় শুক্র ও শনিবার কারফিউ থাকবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- জাতীয়18 hours ago
শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী