লাইফস্টাইল
ফুসফুসের যত্নে ৫ নিয়ম মেনে না চললেই মুশকিল
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-1-179.jpg)
অল্প হাঁটাহাঁটি করলেই হাঁপিয়ে ওঠেন বা দম ফুরিয়ে আসে! এই সব উপসর্গ কিন্তু ফুসফুসের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। ধূমপানের অভ্যাস তো বটেই, চারপাশে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা দূষণের সমস্যাও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে ফুসফুসের জন্য। কাজেই সময় থাকতে ফুসফুসের যত্ন না নিলে কিন্তু মুশকিল। ঘন ঘন সর্দি-কাশি হলে, বুকে বার বার কফ জমলে, কাঁধ-পিঠে যন্ত্রণা হলে কিংবা গলার স্বর পরিবর্তন হলে সতর্ক হোন। কেবল শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাই নয়, এই সব লক্ষণও ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন অভ্যাসে বদল আনলে চাঙ্গা থাকবে ফুসফুস।
১) ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে সবার আগে ধূমপানের অভ্যাস ছাড়তে হবে। এমনকি, কাছাকাছি কেউ ধূমপান করলেও চেষ্টা করুন সেই স্থান থেকে সরে আসতে। অন্য কেউ ধূমপান করলে সেই ধোঁয়া কিন্তু নিজে ধূমপান করার থেকে আরও বেশি ক্ষতিকর।
২) ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের শ্বাসের ব্যায়াম ও যোগাভ্যাস করতেই হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ফুসফুসের অক্সিজেন গ্রহণ করার ক্ষমতা বেড়ে যায়। ধনুরাসন, ভুজঙ্গাসন, মৎসাসন, পদ্মসর্বাঙ্গাসন, অর্ধ মৎসেন্দ্রাসন ও পদহস্তাসনের মতো আসন নিয়মিত করলে ভাল থাকে ফুসফুস। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের প্রাণায়াম, যেমন অনুলোম-বিলোপ, ভ্রমরী প্রাণায়াম করতে হবে। তবে শুধু করলেই হল না, সঠিক পদ্ধতিতে করলে তবেই কাজ দেবে।
৩) ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে হলে কিন্তু ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। ওজন বেড়ে গেলেই ফুসফুসের উপর বেশি চাপ পড়তে শুরু করে ফলে অঙ্গটির কার্যকারিতা কমে যায়।
৪) ঘরে কিংবা গাড়িতে কাউকে ধূমপান করতে বারণ করুন। বাড়িতে এয়ার পিউরিফায়ার লাগাতে পারেন। বাড়িতে যত গাছ লাগাবেন, ততই ভাল। ফুসফুসের কোনও রকম সমস্যা থাকলে বাইরে বেরোনোর সময় মাস্ক ব্যবহার করুন।
৫) রঙিন ফল এবং সব্জি ফুসফুস ভাল রাখতে কাজে আসে। বিশেষ করে যারা ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় জর্জরিত, তাদের জন্য এ ধরনের সব্জি বেশ উপকারী। ক্যাপসিকাম, টোম্যাটো, কমলালেবু, পালং শাকের মতো সব্জিতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি কিংবা ব্ল্যাকবেরিতে রয়েছে ‘অ্যান্থোসায়ানিন’ নামক উপাদান। এই অ্যান্থোসায়ানিন ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। তাই ফুসফুস ভাল রাখতে ডায়েটের দিকেও নজর রাখতে হবে।
কেএস/
রেসিপি
রুই মাছের ডিমের কাবাব রেসিপি
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/কাবাব.jpg)
মাছের কাবাব তো অনেকেই খেয়েছেন। মাছের ডিম দিয়ে তৈরি কাবাব কি খেয়েছেন? মাছের ডিমের কাবাব! আজ ভিন্ন স্বাদের রুই মাছের ডিমের কাবাব তৈরির পদ্ধতি জানাবো। খুবই সহজ ও সুস্বাদু! তো চলুন, জেনে নেই কীভাবে তৈরি করবেন মাছের ডিমের কাবাব।
উপকরণ
রুই মাছের ডিম- ৩ কাপ
পেঁয়াজ কুচি- ২ কাপ
কাঁচামরিচ কুচি- ৩ চা চামচ
চিলি ফ্লেকস- ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ
জিরা গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
কাবাব মসলা- ১/২ চা চামচ
লেবুর রস- সামান্য
লবণ- পরিমাণমতো
তেল– ভাজার জন্য
চালের গুঁড়া অথবা কর্ণফ্লাওয়ার- ১/২ কাপ
প্রস্তুত প্রণালী
১. প্রথমে একটি পাত্রে মাছের ডিমের সাথে একে একে সব উপকরণ মিশিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখবো।
২. তারপর মাখানো মাছের ডিম কাবাবের শেইপ করে নিতে হবে।
৩. এবার একটি প্যানে তেল গরম করে তাতে কাবাবগুলো দিয়ে অল্প আঁচে বাদামী করে ভেজে নিবো।
৪. এরপর নামিয়ে গরম ভাত কিংবা পোলাওয়ের সাথে পরিবেশন করুন রুই মাছের ডিমের কাবাব।
এই কাবাব খেতে যেমন মজাদার, বানানোও খুব সহজ। তো আজই তৈরি করুন এবং উপভোগ করুন ভিন্নধর্মী এই কাবাবটি।
জেএইচ
রেসিপি
তাওয়া পোলাও রেসিপি
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/পোলাও.jpg)
ইন্ডিয়ান স্ট্রিট ফুডগুলোর মধ্যে তাওয়া পোলাও অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। এই পোলাও রান্না করা হয় অনেক বড় একটি তাওয়ায় খুবই নিপুণতার সাথে, যার কারণে এটি মূলত তাওয়া পোলাও নামে পরিচিত। ঘরে বসেই যদি বানিয়ে নেয়া যায় এই মজাদার খাবারটি তাহলে খারাপ কি! চলুন দেখে নেই রেসিপিটি।
তাওয়া পোলাও রান্নার উপকরণ
বাসমতী চাল- ১ কাপ
পেঁয়াজ কুঁচি- বড় ১ টি
টমেটো কুঁচি- ২ টি
ক্যাপসিকাম কুঁচি- ১ টি
সবুজ মটর- ১ কাপ
কাঁচামরিচ কুঁচি- ১ টি
লবণ- স্বাদমত
চিনি- ১/২ চা চামচ
মাখন- ৪ টেবিল চামচ
ধনেপাতা কুঁচি
লাল শুকনো মরিচ- ৪০ টি
রসুন- ৫ কোয়া
লবণ- ৩ টেবিল চামচ
রান্নার প্রণালী
চুলোয় ২ কাপ পানি সিদ্ধ করে নিন। একটি বোলে মরিচ নিয়ে তাতে সিদ্ধ পানি দিয়ে রেখে দিন ১০ মিনিটের জন্য। এবার পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর ব্লেন্ডারে মরিচ ও রসুন একসাথে নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। প্রয়োজনমত পানি দিন মিহি পেস্ট তৈরি করার জন্য। হয়ে গেলে একটি বাটিতে নিয়ে তাতে লবণ মিশিয়ে নিন। ফ্রিজে রেখে দিলে এটি অনেকদিন ব্যবহার করতে পারবেন।
এবার আসি তাওয়া পোলাও রান্নায়-
১. বাসমতী চাল ধুয়ে ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর চাল রান্না করে নিন। রান্না করার সময় অল্প লবণ দিয়ে নিবেন। খেয়াল রাখবেন যাতে ভাত ঝরঝরে হয়। হয়ে যাওয়ার পর নামিয়ে এক পাশে রেখে ঠাণ্ডা হতে দিন।
২. একটি তাওয়ায় বাটার দিয়ে নিন। চিলি-গারলিক পেস্ট দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রান্না করুন। তারপর পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচামরিচ কুঁচি, টমেটো দিয়ে দিন। সব একসাথে মিক্স করে রান্না করতে থাকুন।
৩. লবণ ও চিনি দিয়ে দিন। মটর ও ক্যাপসিকাম দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া দিয়ে দিন।
৪. সব শেষে রান্না করা ভাত দিয়ে দিন। ৫-৮ মিনিট রান্না করুন।
এবার হয়ে গেলো তাওয়া পোলাও। এটি যে কোন কারি দিয়ে বা এমনিতেই খেতে পারবেন।
জেএইচ
পরামর্শ
হাড়ের বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য শিশুর খাদ্যতালিকায় যা রাখবেন
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/শিশু-1.jpg)
সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় থাকেন সব বাবা-মাই। শিশু কী খাবে, কতটা খাবে আর কখন খাবে- এই নিয়ে ভাবনাচিন্তা নিয়ে তারা সারাক্ষণ অস্থির। শিশু রোজ যা যা খাচ্ছে, তার থেকে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি পৌঁছচ্ছে কি না এটি জানাও খুব জরুরি। বাড়ন্ত শিশুকে হাড়ের পুষ্টি ও বৃদ্ধির জন্য সুষম আহারই দিতে হবে। আর বিশেষ করে শিশুর খাদ্যতালিকায় রোজ ক্যালশিয়াম রাখতেই হবে। রোজ কোন কোন খাবার তালিকায় রাখলে শিশুর ক্যালশিয়ামের অভাব হবে না, তা জেনে নিন।
দুধ : সুষম আহারের মধ্যে প্রথমেই বলতে হয় দুধের কথা। এই বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দীপিকা সুর জানাচ্ছেন, দুধের মধ্যে থাকা ক্যালশিয়াম হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়। শিশুকে রোজ নিয়ম করে দুধ খাওয়ানো উচিত। তবে যদি দুধে অ্যালার্জি থাকে বা দুধ হজম না হয়, তা হলে পনির, দই, ছানা, মাখন এ সব রাখুন তার খাদ্যতালিকায়।
মটরশুঁটি : মটরশুঁটির দানায় আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম। যা তার হাড়ের পুষ্টিতে বিশেষ সহায়ক। সাধারণত, শীতের সব্জি এটি, তাই শীতেই তার খাবারে মটরশুঁটি রাখতে হবে। ব্রোকোলিও তাই। অনেক শিশুই ব্রোকোলি খেতে চায় না। সে ক্ষেত্রে ব্রোকোলি দিয়ে স্যুপ বানিয়ে দিন। কয়েক টুকরো চিকেন সিদ্ধ দিয়ে দিন তাতে। অল্প করে মাখন দিয়ে গরম স্যুপ, সোনামুখ করে খেয়ে নেবে খুদে।
পিনাট বাটার : পিনাট বাটারেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম আছে। খেতে ততটা সুস্বাদু নয় বলে হয়তো শিশু খেতে চাইবে না। মায়েরা সে ক্ষেত্রে পাউরুটির মুচমুচে টোস্ট বানিয়ে তার মধ্যে পিনাট বাটার দিয়ে দিন। গরম আটার রুটি রোল করে ভেতরে পিনাট বাটার দিয়ে শিশুকে প্রাতরাশে দিন। সঙ্গে দিন ফ্রুট স্যালাড। ফল ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নুন ও গোলমরিচ দিয়ে দিন। ফল এমন ভাবে সাজিয়ে দিন যে দেখেই খেতে চাইবে শিশু।
আমন্ড বাটার : বাড়িতে আমন্ড বাটারও এনে রাখতে পারেন। সাদা মাখন না দিয়ে পাউরুটিতে আমন্ড বাটার মাখিয়ে দিন। আমন্ড বা কাঠবাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ক্যালশিয়াম। ১/৩ কাপ কাঠবাদামে প্রায় ২৬৪ মিলিগ্রাম মতো ক্যালশিয়াম মেলে। সন্তানকে দুধের সঙ্গেও দিন কয়েক টুকরো কাঠবাদাম। দুধ-কর্নফ্লেক্স খেলে উপরে ছড়িয়ে দিতে পারেন।
মাছ : মাছে প্রচুর ক্যালশিয়াম আছে। শিশুর হাড়ের বৃদ্ধির দিকে বিশেষ নজর দিতে হলে তার খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন মাছ। কাতলা, ভেটকি, কই মাছে ভাল পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে। ১০০ গ্রাম কাতলা মাছ খেলে ৫৩০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম পাওয়া যাবে, ১০০ গ্রাম ভেটকিতে প্রায় ৪৮০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম থাকে। ৫০ গ্রাম করে, অর্থাৎ দিনে দু’পিস মাছও যদি খুদে খায়, তা হলেও রোজের ক্যালশিয়ামের অনেকটাই পূরণ হবে।
ফলের রস : টাটকা ফলের রসও দিন শিশুকে। এক গ্লাস কমলালেবু বা মুসম্বির রস থেকে ৬০ মিলিগ্রামের মতো ক্যালশিয়াম পাওয়া যাবে। প্রাতরাশে যে দিন দুধ দেবেন না, সে দিন ফলের রস দিন। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খাবার দিলে শিশুর অরুচি হবে না। মনে রাখতে হবে, শিশুকে একদম চা-কফি বা নরম পানীয় দেওয়া চলবে না। কারণ ক্যাফিন ক্যালশিয়াম শোষণে বাধা দেয়। তখন যতই পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান না কেন, তাতে লাভের লাভ কিছুই হবে না। বেশি লবণ দেয়া খাবার, বেশি তেল ও মশলা দেওয়া খাবার শিশুকে দেয়া চলবে না।
জেএইচ
- অপরাধ3 days ago
বিএনপি-জামায়াতের যেসব শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হলেন
- জাতীয়11 hours ago
কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে
- জাতীয়2 days ago
এক দিনে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- জাতীয়2 days ago
পুলিশ মারলে ১০ হাজার, ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকার ঘোষণা ছিলো: ডিবিপ্রধান
- জাতীয়3 days ago
ছাত্র আন্দোলনের নামে শিবির-ছাত্রদল তাণ্ডব চালিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- ক্যাম্পাস18 hours ago
সেই আবু সাঈদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিলো বেরোবি
- জাতীয়1 day ago
ঢাকাসহ ৪ জেলায় শুক্র ও শনিবার কারফিউ থাকবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- জাতীয়23 hours ago
শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী