Connect with us

লাইফস্টাইল

চুলের যত্নে এই ভুলগুলো করছেন না তো?

Avatar of author

Published

on

চুল

সুন্দর আর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল আমরা প্রত্যেকেই চাই। কিন্তু চুলের যত্নে আমরা নিজের অজান্তেই কিছু ভুল করে ফেলি, যা দিনশেষে চুলের আরও ক্ষতি করে। আসুন আজ জেনে নিই, কী সেই ভুলগুলো।

১. প্রতিদিন হেয়ার অয়েল ব্যবহার করা

হেয়ার এক্সপার্টদের মতে, রোজ রোজ চুলে তেল লাগানোর প্রয়োজন নেই। কারণ প্রতিদিন চুলে তেল ব্যবহার করলে মাথার ত্বক অতিরিক্ত অয়েলি হয়ে যায়। যা আমাদের চুলের জন্য মোটেই ভালো না। তাই প্রতিদিন তেল না দিলেও চলবে। চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও ঝলমলে রাখার জন্য সপ্তাহে এক দিন চুলের গোড়ায় এবং পুরো চুলে তেল লাগাতেই হবে। তবে চুল যদি শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে দুইদিন পরপর তেল ম্যাসাজ করা ভালো।

২. সঠিক হেয়ার ওয়াশ রুটিন মেনটেইন না করা

অনেকেই আছেন প্রতিদিনই চুল শ্যাম্পু করেন। আবার অনেকে হয়তো সপ্তাহে এক দুইবার চুল পরিষ্কার করছেন। চুলের জন্য কোন হেয়ার ওয়াশ রুটিন সঠিক তা নির্ভর করবে মাথার ত্বক ও চুলের ধরনের উপর। মাথার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়ে থাকে, তাহলে ফ্রিকোয়েন্টলি হেয়ার ওয়াশ করা প্রয়োজন। কিন্তু যদি আপনার এই সমস্যা না হয়ে থাকে, তাহলে বারবার শ্যাম্পু ব্যবহারে আপনার মাথার ত্বক হতে পারে রুক্ষ। তাই নিজের স্ক্যাল্প ও চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু বেছে নিন।

Advertisement

৩. অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করা

চুলের জন্য সঠিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মনে রাখতে হবে, কখনোই বেশি তাপমাত্রার পানিতে হেয়ার ওয়াশ করা যাবে না। অতিরিক্ত গরম পানি মাথার ত্বকের অয়েল গ্ল্যান্ডগুলো অ্যাকটিভ করে। যার ফলে চুল পরিষ্কার করার পরও আঠালো ভাব তৈরি হয়। চুলের জন্য সবচেয়ে ভালো হলো, স্বাভাবিক তাপমাত্রার ঠান্ডা পানি। যদি গরম পানি ব্যবহার করতেই চান, তাহলে ব্যবহার করুন কুসুম গরম পানি।

৪.শ্যাম্পুর ভুল ব্যবহার

চুলের জন্য সঠিক শ্যাম্পু বাছাইয়ের পাশাপাশি সেটার সঠিক ব্যবহারের দিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। ঠিক কতটা পরিমাণ শ্যাম্পু ব্যবহার করা প্রয়োজন তা মাথায় রাখুন। চেষ্টা করুন সরাসরি শ্যাম্পু ব্যবহার না করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে। শ্যাম্পু নিয়ে আলতোভাবে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া নরম থাকে বলে শ্যাম্পু ব্যবহারের সময় বেশি জোরে ম্যাসাজ করলে চুল পড়ে যেতে পারে।

৫. চুলকে ময়েশ্চারাইজ না করা

Advertisement

আমাদের চুল খুব দ্রুত আর্দ্রতা হারায়। তাই প্রতিবার শ্যাম্পু ব্যবহারের পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন এবং প্রতি সপ্তাহে একবার নিজের পছন্দের হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে চুলের ধরন অনুযায়ী ঘরেই তৈরি করতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদানের ময়েশ্চারাইজার। সমপরিমাণ পানি ও ভেজিটেবল গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি গোসলের আগে অথবা পরে চুলে স্প্রে করুন। এতে চুল হবে সিল্কি ও সফট। চাইলে মিশ্রণটি কিন্তু শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।

৬. সঠিকভাবে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করা

চুল সবসময় সাধারণভাবেই শুকিয়ে নেয়া ভালো। তবে ব্যস্ততার কারণে অনেক সময়ই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে চুল শুকাতে। তবে অনেকেই জানেন না যে অতিরিক্ত ভেজা চুলে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করলে ড্রায়ারের হিট চুলকে ড্যামেজ করে দিতে পারে। তাই এক্ষেত্রে তাপমাত্রা কমিয়ে নিন এবং সেই সঙ্গে একটি ভালো হিট প্রোটেক্টিং স্প্রে বা জেল ব্যবহার করুন। হেয়ার ড্রায়ার কখনোই মাথার তালুতে ব্যবহার করবেন না। সবসময় কিছুটা দূর থেকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে চুল শুকান।

৭. মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার না করা

চুলের যত্নে ভালো চিরুনি বাছাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে চুল সঠিকভাবে আঁচড়ানোও গুরুত্বপূর্ণ। চুল জোরে ও বার বার আঁচড়ানো মোটেই ঠিক নয়। জট ছাড়াতে বা ভেজা চুলে মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করা উচিত সবসময়। এতে করে চুল কম ভাঙ্গে এবং সহজে গোছানো যায়। অন্যদিকে চিকন দাঁতের চিরুনি চুলকে ক্ষতিগ্রস্থ করে।

Advertisement

৮. চুল খুলে ঘুমানো

চুল খুলে ঘুমিয়ে যাওয়ার অভ্যাস কিন্তু অনেকেরই থাকে। এই অভ্যাসটি আমাদের চুলের জন্য মোটেই ভালো নয়। চুল খুলে ঘুমালে চুলে জট বেঁধে যায় এবং চুলের ক্ষতি হয়। তাই যাদের চুল বড় তাদের সবসময় চুল বেঁধে ঘুমানো উচিৎ। আবার যাদের চুল ছোট তারা মাথায় একটি কাপড় পেঁচিয়ে নিতে পারেন ঘুমানোর সময়।চুলের যত্নে যে অভ্যাস এড়িয়ে চলতে হবে

৯. ভেজা চুলে ঘুমানো

অনেকেরই চুল ভেজা অবস্থাতে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভ্যাসটি চুলের মারাত্মক ক্ষতি করে। চুল ভেজা অবস্থায় শুয়ে পড়লে চুল ভালো করে শুকাতে পারে না। যার ফলে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও চুল পড়ে যাওয়ার প্রধান একটি কারণ হলো, চুল সঠিকভাবে না শুকানো। তাই যদি চুলের ক্ষতি এড়াতে চান, তাহলে চুল সঠিকভাবে শুকনো হওয়ার পরই তা বাঁধা উচিত এবং ঘুমানো উচিত।

১০. ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যাভাস

Advertisement

আমাদের যা খাই তা আমাদের ত্বক ও চুলের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। কিছু কিছু খাবার যেমন আমাদের চুল সুন্দর ও উজ্জ্বল করে, ঠিক তেমনি কিছু খাবার আবার চুলের জন্য হতে পারে ক্ষতিকর। যেমন অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার ইনফ্ল্যামেশন সৃষ্টি করে এবং চুলের ফলিকলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই অবশ্যই খাবার তালিকায় কী রাখা হচ্ছে তা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

এই ছিলো চুলের যত্নে করা কিছু সাধারণ ভুল নিয়ে যা আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত। পরিশেষে বলতে চাই, চুলের যত্নে শুধুমাত্র সঠিক প্রোডাক্ট বাছাই করার কোনো বিকল্প নেই।

কেএস/

Advertisement

পরামর্শ

সকালের ৭টি অভ্যাস দূর করবে পেটের মেদ

Published

on

পেটের মেদ নিয়ে চিন্তিত নয়, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে পেটে সবার আগে মেদ জমে। এর ফলে পছন্দের পোশাকগুলো পরতে গিয়ে বাঁধে বিপত্তি। শুধু তাই নয়, হৃদরোগ থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস পর্যন্ত হতে পারে পেটের অতিরিক্ত মেদের কারণে। পেটে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ কমাতে ডায়েট ও লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকালের ৭টি অভ্যাস সম্পর্কে যেগুলো মেনে চললে পেটের অতিরিক্ত মেদ দূর করা কিছুটা হলেও সহজ হয়ে যাবে।

পেটে মেদ জমে যাওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ আছে। যেমন-

অপর্যাপ্ত ব্যায়াম

অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস

স্ট্রেস

Advertisement

অতিরিক্ত মদ্যপান

কম ঘুম

বংশগত কারণ

পেটের মেদ কমাবে যে ৭টি অভ্যাস

বেলি ফ্যাট কমানোর জন্য এই ৭টি কাজ প্রতিদিন সকালে করুন, দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে পেটের মেদ কমতে শুরু করছে।

Advertisement

১. এক গ্লাস পানির সাথে হোক দিনের শুরু

ওজন কমানোর অন্যতম সহজ উপায় হলো দিনভর হাইড্রেটেড থাকা। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য দিন শুরু করুন এক গ্লাস পানি পান করে। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানি পান করা হলে তা আপনাকে সারাদিন এনার্জেটিক রাখতে সাহায্য করবে। আপনারা চিয়া সিড সারারাত ভিজিয়ে সকালে পান করতে পারেন অথবা আজওয়া ভিজিয়ে রেখে সেটাও পান করতে পারেন। এছাড়াও হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে সেটিও পেটের মেদ কমাতে উপকারে আসবে। এগুলো কেবল শরীরকে হাইড্রেট করে না, বরং হজমেও সহায়তা করে। তবে আপনার অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা থাকলে খালি পেটে লেবু পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।

২. মেডিটেশন করুন

দিনের শুরুতে ১০ মিনিট রাখুন মেডিটেশনের জন্য। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে মেডিটেশন বেশ কার্যকর। স্ট্রেস ওজন বিশেষ করে পেটের চর্বি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। পেটের মেদ কমাতে চাইলে প্রতিদিন সকালে ১০ মিনিট মেডিটেশন করুন। মেডিটেশন স্ট্রেস হ্রাস কমাবে এবং হরমোন ব্যালেন্স করতে সাহায্য করবে।

৩. প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তা করুন

Advertisement

কথিত আছে, সকালের নাস্তা রাজার মত করতে হয়। সত্যিই তাই। আমাদের দিনভর এনার্জেটিক রাখতে সকালে একটু ভালো নাস্তা তো করতেই হবে। সকালের নাস্তার তালিকায় রাখুন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এতে করে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকবে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকবে। ফলে বার বার খাবার খাওয়ার ক্রেভিং হবে না, আবার বেশি ক্ষুধাও লাগবে না। তাই ডিম, দই বা প্রোটিন স্মুদির মতো খাবার সকালের নাস্তার তালিকা রাখতে পারেন।

৪. নিয়মিত ব্যায়াম করুন

ওজন কমাতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। পেটের মেদ কমানোর জন্য করতে পারেন সহজ কিছু ব্যায়াম। ব্যায়াম করার সবচেয়ে ভালো সময় হলো সকালবেলা। মর্নিং ওয়াক, জগিং, ইয়োগা অথবা এইচআইআইটি ওয়ার্কআউট করুন। দিনের শুরুতে আগে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করে শরীরকে অ্যাকটিভ করে তারপর ব্যায়াম করুন। এটি দ্রুত ক্যালরি বার্ন করতে সাহায্য করবে। প্রতিদিন সকালে কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার জন্য রাখুন।

৫. মিল প্ল্যানিং করুন আগেই

সারাদিন কী কী খাবেন তার একটা প্ল্যান সকালেই করে ফেলুন। সকালের এই প্ল্যানিং আপনার সারাদিনের জাংক ফুড বা আনহেলদি খাবার খাওয়াকে কন্ট্রোল করবে।

Advertisement

৬. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান

সকালের নাস্তাটা প্রোটিন ও ফাইবারযুক্ত খাবার দিয়ে করুন। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে পেটের মেদ কমাতে ভূমিকা পালন করে। তাই ফাইবার আছে এমন শস্য, ফলমূল, শাকসবজি বেছে নিন।

৭. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন

শুনতে কিছুটা অবাক লাগলেও ঘুম বেলি ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। অপর্যাপ্ত ঘুম হরমোনের ইমব্যালেন্স করে দেয়, খাবারের রুচি বাড়ায় এবং পেটে মেদ জমতে ভূমিকা রাখে। কম ঘুম স্ট্রেসও বাড়িয়ে দেয় এবং সেখান থেকেও পেটে মেদ জমে। এজন্য বিশেষজ্ঞরা সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ভালো ঘুম সারাদিন কাজের শক্তি যোগানোর পাশাপাশি পেটের মেদ কমাতেও সাহায্য করবে।

নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও সঠিক জীবনযাপনের মাধ্যমে শরীরের বাড়তি মেদ কমিয়ে ফেলা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে অব্যশই আপনার ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রেসিপি

বিন্নি চালের পায়েস

Published

on

পায়েস

যেকোন আয়োজনে আমরা আপ্যায়নে কোনো ত্রুটি রাখতে চাইনা। খাবারের বাহারি নানা আয়োজনের পাশাপাশি বাহারি রকমের মিষ্টি-মণ্ডা পরিবেশনেরও যেন শেষ নেই আমাদের আতিথেয়তায়। বিন্নি ধানের চালের পায়েস বাঙালিদের একটি ট্র্যাডিশনাল মিষ্টান্ন আইটেম। আসন্ন যেকোন উৎসবে বা পারিবারিক আয়োজনে বিন্নি ধানের চালের পায়েস কিন্তু মন কেঁড়ে নিবে সবার। তাই আজকে আমরা জেনে নিব, কীভাবে খুব সহজেই বানিয়ে নেয়া যায়, বিন্নি ধানের চালের পায়েস। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক।

ঐতিহ্যবাহী বিন্নি চালের পায়েস বানানোর রেসিপি

উপকরণ

  • বিন্নি ধানের চাল- ১ থেকে ২ কাপ
  • তরল দুধ- ২ লিটার
  • চিনি- ৩ টেবিল চামচ
  • খেজুরের গুঁড়- ১ থেকে ১.৫ কাপ ( স্বাদ অনুযায়ী পরিমাণ কম বেশি করে নিতে পারেন)
  • এলাচ দানা বা এলাচ গুঁড়া- ১ থেকে ২টি/ ১ চিমটি
  • দারুচিনি- ১টি
  • তেজপাতা- ১ থেকে ২ টি
  • নারকেল কুড়ানো- ১/২ থেকে ১ কাপ
  • কাজুবাদাম- ১০ থেকে ১২টি
  • পেস্তা বাদাম- ১০ থেকে ১২টি
  • কাঠ বাদাম- ৫ থেকে ৬টি
  • ঘি- ১ টেবিল চামচ

প্রস্তুত প্রণালী

১. প্রথমেই বিন্নি ধানের চালগুলোকে ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এবার কমপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন চালগুলোকে। সবচেয়ে ভাল হয় যদি পায়েস বানানোর আগেরদিন সারারাত ধরে চালগুলো ভিজিয়ে রাখা যায়।

২. এবার একটি ননস্টিক প্যানে পরিমাণ মত দুধ নিয়ে ভালভাবে জ্বাল দিয়ে নিন। মিডিয়াম আঁচে রাখুন। দুধ ফুটতে শুরু করলে তাতে বিন্নি ধানের চাল দিয়ে দিন। দুধে দেয়ার আগে হাত দিয়ে চেপে চেপে হালকা ভেঙ্গে নিতে পারেন। এতে পরিবেশনের সময় দেখতে অনেক আকর্ষণীয় লাগবে।

Advertisement

৩. এবার দুধের মধ্যে একে একে চিনি, এলাচ, দারুচিনি এবং তেজপাতা দিয়ে জ্বাল দিন। দুধ ফুটে উঠলে চুলার আঁচ কমিয়ে নেড়েচেড়ে জ্বাল দিতে থাকুন।

৪. আস্তে আস্তে এভাবে দুধ জ্বাল দিতে দিতে যখন তা অর্ধেক হয়ে আসবে তখন চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। একটি চামচ দিয়ে অল্প কয়েকটি চাল উঠিয়ে দেখে নিন চালগুলো ভাল মত সিদ্ধ হয়েছে কিনা।

৫. এবার অন্য একটি চুলায় ফ্রাই প্যান বসিয়ে নিন। তাতে ১ চামচ পরিমাণ ঘি ঢেলে দিন। চুলার আঁচ একদম অল্প থাকবে। এবার ঘি তে কুড়ানো নারকেল দিয়ে দিন। নেড়ে চেড়ে হালকা করে ভেঁজে নিন।

৬. এবার দুধ দেয়া পাত্রটিতে ভাঁজা নারিকেলগুলো দিয়ে দিন। ভালভাবে নেড়ে চেড়ে নিন আবারও।

৭. নামানোর পূর্বে খেজুরের গুঁড় পায়েসের উপরে হাত দিয়ে ছড়িয়ে দিন। এবার আবার ভালভাবে নেড়ে  নিন।

Advertisement

৮. একটি পাত্রে এবার পায়েস ঢেলে নিন। উপরে কাজু, পেস্তা কিংবা কাঠবাদাম কুঁচি করে ছড়িয়ে দিতে পারেন।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রূপচর্চা

ওয়েডিং গেস্ট মেকআপ লুক ক্রিয়েট করবেন যেভাবে

Published

on

মেকআপ

বিয়ে কিংবা রিসেপশনের প্রোগ্রামগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই আমরা চাই নিজেকে একটু গ্ল্যামারাসভাবে প্রেজেন্ট করতে। তবে অনেকেই মনে করেন, বিউটি স্যালুনে বা পার্লারে না গেলে পারফেক্ট গ্ল্যাম মেকআপ লুক ক্রিয়েট করা যায় না। তবে রাইট প্রসেস জানা থাকলে ঘরে বসেই ওয়েডিং গেস্ট গ্ল্যাম মেকআপ লুক ক্রিয়েট করা যায়। চলুন দেখে নেয়া যাক।

ওয়েডিং গেস্ট মেকআপ লুক কেমন হওয়া উচিত

কয়েক বছর আগে ওয়েডিং গেস্ট মেকআপ হিসেবে হেভি গ্ল্যামারাস লুককেই প্রাধান্য দেয়া হতো। কয়েক লেয়ার ফাউন্ডেশনের হেভি বেইজ মেকআপ, কাটক্রিজ আইলুক, থিক উইং লাইনার, ভারি আইল্যাশ, ডার্ক লিপস্টিক- এগুলোই ছিলো সবার চয়েজ। তবে এখন কিন্তু মেকআপ ট্রেন্ডে অনেকটা পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে হেভি মেকআপের বদলে জায়গা করে নিয়েছে “সিম্পলের মধ্যে গর্জিয়াস” – অর্থাৎ সফট গ্ল্যাম লুক। এখন আমরা এমন মেকআপ লুক প্রেফার করি, যেটার মাধ্যমে ফেইসের বেস্ট ফিচারগুলো হাইলাইট যায়, ন্যাচারাল দেখায়।

ওয়েডিং গেস্ট গ্ল্যাম মেকআপ লুক

অনেকেই কমপ্লেইন করেন, মেকআপ করলে নাকি দেখতে ফ্ললেস লাগে না। আসলে আপনার মেকআপ লুক পারফেক্ট হবে কিনা সেটা দু’টো বিষয়ের উপর ডিপেন্ড করে। প্রথমটি হলো মেকআপের আগে সঠিকভাবে স্কিন প্রেপ করা হয়েছে কিনা, আর দ্বিতীয়টি হলো আপনি সঠিক মেকআপ স্টেপস ফলো করেছেন কিনা।

Advertisement

মেকআপের আগে স্কিন প্রিপেয়ার করবেন যেভাবে 

মেকআপ প্রোডাক্টস স্কিনে প্রোপারলি ব্লেন্ড করতে এবং একইসঙ্গে মেকআপ লং লাস্টিং করে তুলতে মেকআপের আগে একটু স্কিনকেয়ার করতেই হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় যদি ফেইস ওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে ফেইস ক্লিন করে স্কিনটাইপ বুঝে যেকোনো একটি শিট মাস্ক অ্যাপ্লাই করতে পারেন। এতে লং টাইম স্কিন নারিশড থাকবে এবং মেকআপ প্রোডাক্টস ব্লেন্ড করতে স্ট্রাগল করতে হবে না। আর যদি হাতের কাছে শিট মাস্ক না থাকে, তাহলে পাতলা কাপড়ে আইস কিউব নিয়ে ফেইসে রাব করে নিন। তারপর নিজের পছন্দের ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করুন।

চলুন এবার মেকআপের স্টেপগুলো জেনে নেয়া যাক

বেইজ মেকআপ

১. বেইজ মেকআপের জন্য শুরুতেই পোর মিনিমাইজিং প্রাইমার অ্যাপ্লাই করুন, এতে বেইজ মেকআপ বেশ স্মুথ হবে।

Advertisement

২. কালার কারেক্টিং কনসিলার ব্যবহার করে ফেইসের ডিসকালারেশন ইভেন আউট করে নিন। কালার কারেক্টিং কনসিলার ইউজ করলে খুব বেশি ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করতে হয় না, এতে বেইজ মেকআপ অনেক লাইটওয়েট হয়।

৩. নিজের স্কিন শেইডের ফাউন্ডেশন ও কনসিলার অ্যাপ্লাই করে ড্যাম্প বিউটি স্পঞ্জ অথবা ব্রাশ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। জেনে রাখা ভালো, ব্রাশের সাহায্যে ব্লেন্ড করলে প্রোডাক্টের কভারেজ কিছুটা বেশি পাওয়া যায়। এবার একটি ছোট্ট টিপস দেই। ফাউন্ডেশন ইউজ করার করার আগে পুরো ফেইসে ভালোভাবে সেটিং স্প্রে অ্যাপ্লাই করে নিলে বেইজ মেকআপ অনেকটা লং লাস্টিং হয়।

৪. নিজের স্কিনটোনের চেয়ে এক শেইড ব্রাইট কনসিলার পিক করুন এবং সেটা চোখের নিচে অ্যাপ্লাই করুন৷

৫. ওয়েডিং গেস্ট মেকআপ লুকের জন্য ক্রিম কনট্যুর বেশ ভালো অপশন। তাই ফেইসকে একটু ডিফাইনড করতে ক্রিম কনট্যুর ইউজ করতে পারেন।

৬. এবার ট্রান্সলুসেন্ট বা বানানা পাউডার দিয়ে ভালোমতো সেট করে নিন। এক্ষেত্রে পাউডারের সাথে থাকা পাফের বদলে যদি ড্যাম্প বিউটি স্পঞ্জের সাহায্যে পাউডার অ্যাপ্লাই করেন, তাহলে মেকআপ বেকিং ইজিলি করা যায়।

Advertisement

৭. তারপর ফেইসে একটু ভাইব্রেন্ট টাচ আনতে নিজের ফেভারিট ব্লাশ ইউজ করুন। পিচ, পিংক, মভ, কোরাল যেকোনো কালার চুজ করতে পারেন, তবে সেটি যেন আপনার স্কিনটোনকে কমপ্লিমেন্ট করে।

৮. গ্লো ছাড়া কি ওয়েডিং গেস্ট গ্ল্যাম মেকআপ লুক কমপ্লিট হয়? একদমই না! তাই ফ্যান ব্রাশের সাহায্যে ফেইসের হাই পয়েন্টগুলোতে শ্যাম্পেইন বা গোল্ডেন টোনের হাইলাইটার অ্যাপ্লাই করুন। তবে খুব হেভি হ্যান্ডেড হওয়া যাবে না, বরং আস্তে আস্তে অ্যাপ্লাই করুন, তাতে করে আপনার ফেইস ন্যাচারালি গ্লোয়িং মনে হবে।

আই মেকআপ

ওয়েডিং গেস্টদের আই মেকআপ হিসেবে গ্লিটারি আইলুক এখন বেশ ট্রেন্ডি। দিন ও রাত দু’সময়েই এই আইলুক পারফেক্টলি মানিয়ে যায়। গ্লিটারি আইলুক ক্রিয়েট করা কিন্তু খুবই সিম্পল। চলুন কীভাবে এই আইলুক ক্রিয়েট করা যেতে পারে তা জেনে নেওয়া যাক-

১. প্রথমে আইলিডে কনসিলার অ্যাপ্লাই করে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন এবং পাউডারের সাহায্যে সেট করে নিন।

Advertisement

২. একটি ফ্লাফি ব্লেন্ডিং ব্রাশে আপনার আউটফিটের কালারের সঙ্গে কমপ্লিমেন্ট করে এমন হালকা কালারের আইশ্যাডো নিয়ে পুরো আইলিডে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন, যেন কোনো হার্শ লাইন না থাকে।

৩. এবার চোখের পুরো ক্রিজ এরিয়াতে লিকুইড গ্লিটার অ্যাপ্লাই করুন। লিকুইড গ্লিটার ইউজ করার সুবিধা হচ্ছে এটা ইউজ করা খুবই ইজি এবং খুব অল্প এফোর্টেই গর্জিয়াস আইলুক ক্রিয়েট করা যায়। তবে লিকুইড গ্লিটার অ্যাপ্লাই করার পর তা ড্রাই হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, তা না হলে গ্লিটার স্ম্যাজ হয়ে যেতে পারে।

৪. এরপর একটি চিকন ব্রাশে আইলিডে যে কালারের শ্যাডো অ্যাপ্লাই করেছেন তারচেয়ে একটু ডার্ক কালারের শ্যাডো নিন এবং চোখের কর্নারের দিকে অ্যাপ্লাই করুন। এই ছোট্ট স্টেপ ফলো করলে চোখ দেখতে অনেক বেশি ডিফাইনড মনে হবে।

৫. তারপর আইলাইনার দেয়ার পালা। আমার পার্সোনালি গ্লিটারি আইলুকের সাথে থিন উইংড লাইনার খুবই পছন্দ। তবে আপনারা চাইলে একটু মোটা করেও আইলাইনার দিতে পারেন, বিশেষ করে রাতের দাওয়াতে।

৬. ফলস মিংক আইল্যাশ ওয়েডিং গেস্ট মেকআপ লুককে খুব ভালো কমপ্লিমেন্ট করে। ফেইক আইল্যাশ সিলেক্ট করার সময় আপনার আইশেইপ বুঝে সিলেক্ট করুন।

Advertisement

৭. চোখের লোয়ার ল্যাশ লাইনে চাইলে কাজল দিতে পারেন, আবার চাইলে নিচে যেকোনো ডার্ক কালারের আইশ্যাডোও ব্লেন্ড করে দিতে পারেন। ও হ্যাঁ, চোখের নিচের পাঁপড়িতে মাশকারা ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

লিপস

এবার লিপস্টিক অ্যাপ্লাইয়ের পালা। আমি সবসময় সাজেস্ট করি আগে লিপলাইনারের সাহায্যে ঠোঁটের শেইপ ড্র করে নেওয়ার, এতে খুব সুন্দরভাবে লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করা পসিবল হয় এবং বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়া করলেও লিপস্টিক ছড়িয়ে যায় না। লিপলাইনার দেয়া হয়ে গেলে নিজের পছন্দের ক্রিম বা লিকুইড ফর্মুলার লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করুন।

সবশেষে পুরো ফেইসে আরো একবার সেটিং স্প্রে দিয়ে ফুল মেকআপ কমপ্লিট করুন। এভাবেই আপনারা নিজেই ওয়েডিং গেস্ট গ্ল্যাম মেকআপ লুক ক্রিয়েট করতে পারেন।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত