Connect with us

এশিয়া

সৌদির আবহা বিমানবন্দরে আবারও ইয়েমেনের হামলা

Published

on

সৌদি আরবের আবহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন করে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থিত সামরিক বাহিনী। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট দারিদ্র্যপীড়িত ইয়েমেনের ওপর যে সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে তার জবাবে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে হুতিরা।

ইরানের গণমাধ্যম পার্স টুডে জানায়, মঙ্গলবার এক টুইটার পোস্টে ইয়েমেনে হুতিসমর্থিত সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারিয়ি বলেন, সোমবারের হামলায় ড্রোনের মাধ্যমে কাসেফ-২ রকেট দিয়ে সফল ও নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সৌদি আরবের অব্যাহত সামরিক আগ্রাসন এবং সর্বাত্মক অর্থনৈতিক অবরোধের বিরুদ্ধে এমন হামলা চালানোর অধিকার ইয়েমেনের রয়েছে।

এদিকে, মারিব প্রদেশে সৌদি সামরিক জোটের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড লড়াইয়ের মধ্যে মার্কিন নির্মিত সৌদির একটি এমকিউ-৯ ভূপাতিত করা হয়েছে। জেনারেল সারিয়ি বলেন, যে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে তা এখনও উন্মোচন করা হয়নি।

২০১৫ সালের মার্চ থেকে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব এবং তার মিত্ররা। তবে যেসব লক্ষ্য নিয়ে আগ্রাসন চালিয়েছিল তার একটিও অর্জন করতে পারেনি সৌদি আরব। বরং দেশটির বিরুদ্ধে প্রবলভাবে রুখে দাঁড়িয়েছে ইয়েমেনের হুতি আন্দোলন ও তাদের সহযোগী সামরিক বাহিনী।

Advertisement

 

এসএন

Advertisement

এশিয়া

ইসরায়েলের সাথে সব বাণিজ্য স্থগিত করলো তুরস্ক

Avatar of author

Published

on

গাজা উপত্যকায় ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’কে কারণ হিসেবে উল্লেখ করে ইসরায়েলের সাথে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করেছে তুরস্ক। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েল গাজায় ‘বাধাহীন ও যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ প্রবাহ’ অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত এ পদক্ষেপ বহাল থাকবে।

এক বিবৃতিতে তুরস্ক জানিয়েছে যে এই বাণিজ্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত সব ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে।

এতে বলা হয়, তুরস্ক কঠোরভাবে ও সন্দেহাতীতভাবেই নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে যতদিন পর্যন্ত ইসরায়েল সরকার গাজায় বাধাহীন ও পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবাহের অনুমোদন না দেয়।

দেশ দুটির মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ‘স্বৈরশাসক’ এর মতো আচরণের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন।

Advertisement

সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাৎয বলেন, এরদোয়ান ‘তুরস্কের জনগণ ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে অসম্মান করেছেন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সমঝোতাকে উপেক্ষা করেছেন’।

তিনি জানান, মন্ত্রণালয়কে ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন যে তুরস্কের সাথে বাণিজ্যের বিকল্প সন্ধান করতে যাতে স্থানীয় উৎপাদন এবং অন্য দেশ থেকে আমদানিতে জোর দেয়া হবে।

১৯৪৯ সালে প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় তুরস্ক। তবে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।

২০১০ সালে গাজায় তুরস্ক মালিকানাধীন জাহাজ ইসরায়েলের সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করার সময় ইসরায়েলি কমান্ডোদের সাথে সংঘর্ষে দশজন ফিলিস্তিনপন্থী তুর্কি অধিকারকর্মী নিহত হবার ঘটনায় তুরস্ক কূটনৈতিক সম্পর্কও ছিন্ন করেছিলো।

পরে ২০১৬ সালে আবার দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনস্থাপন হয়। কিন্তু এর দুই বছরের মাথায় উভয় দেশ একে অন্যের শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে গাজা সীমান্তে ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনি নিহত হবার ঘটনায়।

Advertisement

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গেলো সাতই অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করে আসছেন।

তিনি বলেছেন, হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে সামরিক অভিযান চালিয়েছেন তা ‘হিটলার যা করেছিলো তার চেয়ে কোন অংশে কম নয়’।

জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘এরদোয়ান, যিনি কুর্দিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটিত করেছেন এবং যিনি তার শাসনের বিরোধিতা করায় সাংবাদিক বন্দীর ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড করেছেন, তিনিই হলেন শেষ ব্যক্তি যিনি আমাদের নৈতিকতা শেখাচ্ছেন’।

গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সমালোচনা বাড়ছে। জাতিসংঘ সমর্থিত এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে গত মাসে এগার লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় জর্জরিত ছিলো এবং এ মাসের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজ বলেছে, গাজা উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী যে পিয়ার নির্মাণ করেছে ত্রাণ প্রবাহ বাড়ানোর জন্য সেটি কয়েকদিনের মধ্যেই উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

Advertisement

ভাসমান ওই পিয়ারে নৌযান ও লোকজনের কাজের ছবিও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার কাছেই নৌবাহিনীর জাহাজ ছিলো।

যদিও জাতিসংঘ বলেছে সামুদ্রিক করিডোর কখনো স্থলপথে ত্রাণ সরবরাহের বিকল্প হতে পারে না। আর সড়কপথ হলো একমাত্র উপায় যেখানে একসাথে অনেক পরিমাণ ত্রাণ নেয়া যায়।

এর আগ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বারংবার অনুরোধের প্রেক্ষাপটে চলতি সপ্তাহে গাজার উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহের জন্য ইসরায়েল ইরেয ক্রসিং আবার খুলে দিয়েছে। তবে জর্ডান বলেছে তাদের কিছু ত্রানবাহী লরি ওই ক্রসিং পার হওয়ার সময় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার শিকার হয়েছে।

জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে গাজার মানবিক বিপর্যয় একটি মানব সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সিনিয়র কর্মকর্তা ভলকার তুর্ক বিবিসিকে বলেছেন যে এটা এখন ‘বিশ্বাসযোগ্য’ যে ইসরায়েল ক্ষুধাকে গাজা যুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

Advertisement

ইসরায়েল ত্রাণ সরবরাহ সীমিত করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি গাজায় যাদের প্রয়োজন তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘের বিরুদ্ধে।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েল-হামাস নতুন যুদ্ধবিরতি! যা আছে প্রস্তাবে

Avatar of author

Published

on

সংগৃহীত ছবি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের  স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে জিম্মি ও বন্দী বিনিময় নিশ্চিত করতে আলাপ-আলোচনা চলছে। তিন দফায় একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুই পক্ষের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চালাচ্ছে মধ্যস্থতাকারী  তিন দেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার। সম্প্রতি ওই দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির একটি খসড়া লেবাননের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল-মায়েদিনের কাছে পৌঁছেছে।

এরই ভিক্তিতে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, খসড়া প্রস্তাবে মূলত তিনটি ধাপে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। এতে শুধুমাত্র জিম্মি ও বন্দীদের বিনিময়ের কথা বলা হয়নি, গাজাসহ এই অঞ্চলের শান্ত পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়টিতেও জোর দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ি, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার পূর্বাংশে সরে যাবে এবং ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের দখল করা সীমান্তে চলে যাবে। এসময় দৈনিক অন্তত ৮ ঘণ্টা ইসরায়েলি সামরিক বা বেসামরিক বিমান গাজার  আকাশে উড়বে না।  বন্দী-জিম্মি বিনিময়ের দিন  অন্তত ১০ ঘণ্টা আগে থেকে কোনো ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান উড়বে না।

প্রথম ধাপের ৭ম দিনে ইসরায়েলি বাহিনী আল-রশীদ স্ট্রিট থেকে আরও পূর্ব দিকে সরে যাবে। এই সময়ে গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা চালু এবং বেসামরিক গাজাবাসীকে তাদের নিজ বাড়িতে ফেরার সুযোগ দিতে হবে।

প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির ২২ দিনের মধ্যে হামাসের হাতে জিম্মি এক-তৃতীয়াংশ ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং এই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী সেন্ট্রাল গাজা থেকে সরে গিয়ে গাজা-ইসরায়েল বিভক্তকারী সীমানায় চলে যাবে। এই সময়ে বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী নিজ বাড়িতে ফিরতে থাকবে।

Advertisement

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে হামাস তাদের হাতে জীবিত থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। ইসরায়েলি একজন জিম্মির বিপরীতে ২০ জন করে বন্দী ফিলিস্তিনি নারী বা শিশু মুক্তি পাবে। আর এই  মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের আর কখনোই গ্রেপ্তার করবে না মর্মে ইসরায়েলকে নিশ্চয়তা দিতে হবে।

তবে হামাসের হাতে জিম্মি প্রত্যেক ইসরায়েলি নারী সেনার বিপরীতে ৪০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে বাধ্য থাকবে ইসরায়েল।

খসড়া প্রস্তাব অনুসারে, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস  এবং  পরবর্তীতে প্রতি তিন দিন পরপর ৩ জন করে ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাবে।

এ ছাড়া, যুদ্ধবিরতির ১৪ তম দিনে যুদ্ধাহত হামাস যোদ্ধাসহ অন্যান্য সশস্ত্র সদস্যদের রাফাহ হয়ে মিসরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্যই এই ব্যবস্থা। প্রথম ধাপের ১৬ তম দিনে হামাস ও ইসরায়েল পরোক্ষ আলোচনা শুরু করবে যাতে এই অঞ্চলকে শান্ত রাখা যায়। প্রথম ধাপের প্রতিটি পর্যায়ে জাতিসংঘ ও এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংগঠনসহ সবাই গাজা উপত্যকায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করবে।

প্রস্তাবিত খসড়া অনুসারে, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপেই গাজার বিধ্বস্ত অবকাঠামো পুনরায় গড়ে তুলতে কার্যক্রম শুরু হবে। এ জন্য  একটি সমন্বয়কারী কমিটি গঠন করে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স ফোর্সকে প্রয়োজনীয় ভারী যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। এছাড়া, নিজ ভূমিতে বাস্তুচ্যুত হওয়াদের  জন্য অস্থায়ী আবাস গড়ার কথাও বলা হয়েছে ওই খসড়া চুক্তিতে।

Advertisement

যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের মেয়াদ হবে ৪২ দিন। এসময় উভয় পক্ষই একটি স্থায়ী স্থিতাবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঐক্যমতে পৌঁছবে। এছাড়া, এই ধাপে বিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নেওয়াসহ তা বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব আয়োজন নিশ্চিত করা হবে।

তৃতীয় ধাপের মেয়াদও হবে ৪২ দিন। এসময় উভয় পক্ষের হাতে থাকা নিহত হামাস যোদ্ধা বা  ইসরায়েলি সেনাদের মরদেহ বিনিময় করা হবে। গাজা গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি ৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। এসময় ফিলিস্তিনের হামাসসহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো গাজায় কোনো সামরিক অবকাঠামো গড়ে তোলা থেকে বিরত থাকবে বলে খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়।

তৃতীয় ধাপে চলার সময় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন বা পক্ষগুলো যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করার কোনো সরঞ্জাম, কাঁচামাল বা অন্যান্য উপাদান আমদানি করতে পারবে না। আল-মায়েদিনের প্রাপ্ত নথিতে জানা গেছে, এই চুক্তির গ্যারান্টার বা নিশ্চয়তাদানকারী হচ্ছে- কাতার, মিশর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এমআর

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

নতুন নিয়ম, হজযাত্রীদের গায়ে বসছে ডিজিটাল ট্যাগ

Avatar of author

Published

on

সংগৃহীত ছবি

আসছে হজ মৌসুমে এবার হজযাত্রীদের জন্য নতুন নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে সৌদি সরকার। প্রত্যেক হজযাত্রীকে আলাদা করে একটি ডিজিটাল ট্যাগ দেওয়া হবে। মূলত বৈধ ও অবৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে সৌদি সরকার এই অভিনব উদ্যোগ নিচ্ছে।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিবন্ধন ছাড়া যাতে অবৈধভাবে কেউ হজ করতে না পারে তার জন্য বৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে প্রত্যেককে আলাদা করে একটি ডিজিটাল ট্যাগ দেওয়া হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের হজযাত্রীদের প্রথম দলটি সৌদি আরবে পৌঁছাবে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে। ঠিক তার আগেই অবৈধ বিদেশি হজযাত্রীদের রুখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হলো।

সৌদি আরবের হজবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে  ইন্দোনেশিয়ায় বৈধ হজযাত্রীদের জন্য এই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে সৌদি আরবে যাওয়া হজযাত্রীদের প্রত্যেককে একটি করে ডিজিটাল নুসুক কার্ড দেওয়া হচ্ছে। ডিজিটাল এই নুসুক কার্ডে সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীর প্রয়োজনীয় সব তথ্য মজুত থাকবে এবং কেউ চাইলে এই ডিজিটাল কার্ড অবশ্যই প্রদর্শন করে হজের জন্য পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন। এ ছাড়া, হজের অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালনেও বিভিন্ন জায়গায় এই ডিজিটাল কার্ড প্রদর্শন করতে হবে বলে সৌদি হজবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।

Advertisement

সৌদি আরবের এই মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, নিজ নিজ দেশে হজযাত্রীদের জন্য ভিসা ইস্যু করার পর এই কার্ড সংশ্লিষ্ট হজ অফিস বিদেশি হজযাত্রীদের কাছে হস্তান্তর করবে। এ ছাড়া, স্থানীয় সৌদি হজযাত্রীরা দেশটির সংশ্লিষ্ট সরকারি কার্যালয় থেকে এই কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। সৌদির হজ মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটেও তুলে ধরা হয়েছে বিস্তারিত তথ্য।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত মাসের শেষ দিকে হজযাত্রীদের প্রতারণা থেকে বাঁচাতে অননুমোদিত হজ অপারেটর ও ভুয়া অ্যাপের ব্যাপারে সতর্ক করে সৌদি সরকার। পাশাপাশি দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ব্যবহারের প্রতিও গুরুত্বারোপ করে।

চলবি বছরের রমজানে ওমরাহ যাত্রী অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি ছিল। আবহাওয়া কিছুটা ঠাণ্ডা থাকায় লাখো মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। বিশাল সংখ্যক ওমরাহ যাত্রীর চাপ সামলাতে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে সৌদি প্রশাসনের। তাই বাধ্য হয়ে সৌদি সরকার ঘোষণা দিয়েছেন, রমজানে একবারের বেশি কেউ ওমরাহ পালন করতে পারবে না।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

জাতীয়28 mins ago

বনানী সড়ক অবরোধ করে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

রাজধানীর বনানীতে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা। এতে করে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় সব...

দুর্ঘটনা দুর্ঘটনা
দুর্ঘটনা1 hour ago

লরিচাপায় প্রাণ গেলো একই পরিবারের ৩ জনের

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরিচাপায় একই পরিবারের ৩ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও দুইজন। নিহতরা হলেন- আলমগীর (৫৫), জহির...

জাতীয়14 hours ago

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে আরও দুই ধাপ পেছাল বাংলাদেশ

বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় দুই ধাপ পিছিয়েছে। সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম, স্কোর ২৭...

বাংলাদেশ15 hours ago

রাজধানীতে বাসের চাপায় পথচারী নিহত

রাজধানীর বকশীবাজারে মৌমিতা বাসের চাপায় এক পথচারী  নিহত হয়েছেন। আহত হওয়া আনোয়ার হোসেন (৫৫) নামে ওই পথচারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ...

জাতীয়16 hours ago

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর

লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে প্রাণ হারানো আট বাংলাদেশির মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গ থেকে স্বজনদের...

ঢাকা16 hours ago

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি, ঘটনাস্থলে বিজিবি মোতায়েন

গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশনের এক কিলোমিটার দূরে ছোট দেওড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনকে একটি যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন ধাক্কা দিলে...

বাংলাদেশ17 hours ago

যে কারণে বাংলাদেশে বিমান ভাড়া বাড়াচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্স 

বাংলাদেশে থাকা বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো তাদের টিকেটের ভাড়া ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে।পাশাপাশি ফ্লাইটের সংখ্যাও কমিয়ে দিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। আর এতে ভোগান্তি ও আর্থিকভাবে...

চট্টগ্রাম18 hours ago

সাগরে নেই মাছ, খালি হাতে কূলে ফিরছেন জেলেরা

গভীর সাগরে দেখা নেই মাছের। জাল ফেললেও মিলছে না সামুদ্রিক মাছ। ফলে শূন্য ট্রলার নিয়ে সাগর থেকে ফিরছেন কক্সবাজার উপকূলের...

অপরাধ18 hours ago

গাঁজার চালান নিতে এসে দেবর-ভাবি গ্রেপ্তার

কুরিয়ার সার্ভিসে আসা গাঁজার চালান ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে দেবর-ভাবিকে আটক করেছে বরগুনার আমতলী থানা পুলিশ। গেলো বৃহস্পতিবার রাত ৯টায়...

খুলনা19 hours ago

রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

কুষ্টিয়ার মিরপুরে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। প্রায় দেড় কিলোমিটার মোটরসাইকেলসহ আরোহীকে টেনে নিয়ে...

Advertisement
ক্রিকেট14 mins ago

বাজারে হাইড্রেশন ড্রিংক আনছেন মেসি

সড়ক দুর্ঘটনা
ঢাকা16 mins ago

ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নির্মাণ শ্রমিক নিহত ২, আহত ১১

ক্রিকেট25 mins ago

বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ছাড়ছেন মার্কো রয়েস

ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাস26 mins ago

লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির উপ–উপাচার্যসহ ৪ জন

জাতীয়28 mins ago

বনানী সড়ক অবরোধ করে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

টুকিটাকি32 mins ago

জৌ কুনফেই : শূন্য থেকে বিলিয়নেয়ার হয়ে ওঠার গল্প

ভূমিকম্প
আন্তর্জাতিক39 mins ago

৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপলো ফিলিপাইন

দুর্ঘটনা
দুর্ঘটনা1 hour ago

লরিচাপায় প্রাণ গেলো একই পরিবারের ৩ জনের

আন্তর্জাতিক2 hours ago

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী

উত্তর আমেরিকা2 hours ago

ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিতে ৩৯ জনের মৃত্যু

বৃষ্টির পূর্বাভাস
আবহাওয়া7 days ago

রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি

ঢাকা4 days ago

টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার

টুকিটাকি5 days ago

সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও

অপরাধ3 days ago

শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র‍্যাব কর্মকর্তা

ভারতের-তামিলনাড়ুর-দেবঙ্গ-আর্ট-কলেজের-সাবেক-সহকারী-অধ্যাপক-নির্মলা-দেবী
আন্তর্জাতিক2 days ago

যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!

দেশজুড়ে3 days ago

‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা

খুলনা6 days ago

গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক5 days ago

সন্তানদের নিয়ে মসজিদে ঘুমন্ত ইমামকে পিটিয়ে হত্যা

বাংলাদেশ7 days ago

ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ বিএনপি কর্মী গ্রেপ্তার

পরামর্শ2 days ago

পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’

উত্তর আমেরিকা1 week ago

সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)

ব্যারিস্টার-সুমন
আইন-বিচার2 weeks ago

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়1 month ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল1 month ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি1 month ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি2 months ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ2 months ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড2 months ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল2 months ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

সর্বাধিক পঠিত