Connect with us

জাতীয়

‘অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারীরা অধিকার বঞ্চিত’

Published

on

বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা অধিকার থেকে বঞ্চিত। নারীর সমতা নিশ্চিত করার মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়নের পথ সুগম হয়। বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক সাদেকা হালিম।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ‘সম্পত্তিতে নারীর সমঅধিকার এবং সিডও সনদের সংরক্ষণ প্রত্যাহারপূর্বক পূর্ণ বাস্তবায়নের প্রাসঙ্গিকতা’ বিষয়ক ‘দিল মনোয়ারা মনু’ স্মারক বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বাংলাদেশে সম্পত্তিতে নারীর সমঅধিকার, আইনগত অধিকার ও নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূর করার দাবি জানান।

অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, মুসলিম আইনে নারীদের সম্পত্তিতে অধিকার দেয়া হলেও নারীরা সম্পদের প্রকৃত মালিকানা পায় খুবই কম। মুসলিম উত্তরাধিকার তিন ধরনের সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে বৈবাহিক সম্পর্ক, রক্তের সম্পর্ক, এবং দূর সম্পর্ক। বৈবাহিক সম্পর্কে স্ত্রী ও স্বামীর ক্ষেত্রে উত্তরাধিকার আইনটির সমালোচনা আমরা এখানে প্রাসঙ্গিক মনে করছি। কোনো পুরুষ সন্তানহীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে কিংবা তার কোনো ছেলে সন্তান না থাকলে, ওই লোকের স্ত্রী মোট সম্পত্তির ১/৪ ভাগ পাবেন। কিন্তু, কোনো সন্তান থাকলে বা কোনো ছেলে সন্তান থাকলে, স্ত্রী মোট সম্পত্তির ১/৮ ভাগ পাবেন। অর্থাৎ নারীকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, একজন হিন্দু নারী স্বাধীনভাবে তার সম্পত্তি বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। হিন্দু পুরুষদের ক্ষেত্রে এমন কোনো আইন নেই। পুরুষরা স্বাধীনভাবে ক্রয়, ভোগদখল ও বিক্রি করতে পারে। হিন্দু আইন পরিষ্কারভাবেই অসম একটি আইন। পৈতৃকসূত্রে একজন নারী কখনোই জমির মালিকানা পায় না। স্বামীর মৃত্যুর পরও স্বামীর জমির কোনো মালিকানা তারা পায় না। বরং স্বামীর মৃত্যুবরণের পর সাধারণত পরিবারের অন্য সদস্যদের অনুগ্রহে বেঁচে থাকে। ১৯৫৬ সালে সংশোধনের মাধ্যমে সম্পত্তিতে নারী সমঅধিকার ভারতে প্রতিষ্ঠিত হলেও বাংলাদেশে হয়নি।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, নারীর উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদ তাদের অধিকার শুধু পরিবারে না, সমাজেও তাদের অবস্থান নির্দেশ করে। পৃথিবীর প্রায় সব সমাজেই নারীরা সম্পত্তিতে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। উন্নয়ন হলেই হয় না; তা টেকসই করতে ন্যায্যতা প্রয়োজন। নারীর সমতা নিশ্চিত করার মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়নের পথ সুগম হয়।

অধ্যাপক হালিম বলেন, সংবিধানের ধারা ২৭ অনুযায়ী নারীকে আইনের দৃষ্টিতে সমতা দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী ও পুরুষ সমান অধিকার লাভ করবে। কিন্তু নারীকে পেছনে রাখার আইনও এ সময় দেখা গেছে। দীর্ঘসময় পর সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ফিরে এলেও নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক মানসিকতা সমাজে রয়েই গেছে।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব ছিল, কিন্তু এ পদক্ষেপ নিতে রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে পুরুষের তুলনায় নারী কাজ বেশি করলেও অনেক ক্ষেত্রে নারী যথাযথ পারিশ্রমিক পায় না। সরকারি দপ্তরগুলোতে যেভাবে প্রধানরূপে নারী প্রশাসক প্রয়োজন ছিল, সেভাবে পদায়ন হয়নি। সংরক্ষিত নারী আসন সাময়িক হিসেবে ঠিক থাকলেও নারী যাতে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে, সে বিষয়ে অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন। ক্ষমতা স্তরে পুরুষরা ওপরে আর নারীরা নিচেই থেকে যায়।

সাদেকা হালিম বলেন, কৃষিকাজে যুক্ত নারীদের ৪৮ শতাংশই জমির মালিকানা থেকে বঞ্চিত। গ্রামীণ এলাকায় কৃষি চাষযোগ্য জমির ৭ দশমিক ২ শতাংশ জমি নারীরা চাষ করে। জমিতে নারীদের মালিকানা থাকলে উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ে ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হওয়ার সুযোগ বাড়ে।

অধ্যাপক হালিম বলেন, এ সময় নারীদের ভূমি অধিকার প্রতিষ্ঠায় ৪টি প্রস্তাব উপস্থাপন করে। সম্পদে লিঙ্গ সমতা বিধান করতে হবে, উত্তরাধিকার আইনে পরিবর্তন আনতে হবে, হিন্দু নারীদের আইনগত অধিকার দিতে হবে, আদিবাসী নারীদের জমিতে অধিকার দিতে হবে। আদিবাসীদের সম্পদে উন্নয়ন কাজের নামে জমি দখল বন্ধ করতে হবে।

Advertisement

স্মারক বক্তৃতায় এএলআরডির সহ সভাপতি ড. রওশন আরা ফিরোজের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।

 

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

জাতীয়

কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার ডিবি হেফাজতে। বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবিপ্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ওই তিন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেন অন্য দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও আব্দুল হান্নান মাসুদ।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী শনিবার

Published

on

ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ঘটে যাওয়া বিপ্লবের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল শনিবার (২৭ জুলাই)। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র। সজীব ওয়াজেদ জয় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই জন্ম গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এ দু’জনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নৈপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করছেন পরিশ্রমী, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন জীবন-জীবিকার অধিকারী কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান তিনি। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

লেখাপড়া করা অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেয়া হয় তাকে, যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন জয়। ২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন।

Advertisement

সজীব ওয়াজেদ জয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়।

বিশেষ করে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। বর্তমানে বেশিরভাগ সময়েই দেশের বাইরে অবস্থান করলেও সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ফেসবুকে মতামত ব্যক্ত করে থাকেন। ইতিমধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে তার নামডাক ছড়িয়ে পড়েছে।

দেশের আইসিটি খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, শিক্ষাগত যোগ্যতা আর পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতা এই দু’য়ের মিশেলেই দেশের আইসিটি খাতের এমন তড়িৎ উন্নতিতে সফল নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ইন্টারনেটকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ের পাশাপাশি চর বা পার্বত্য অঞ্চলের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সারা দেশে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

Published

on

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন ও চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের (৮ বিজিবি) নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন হতে তেলবাহী ট্রেন ঢাকা ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে তেল পৌঁছে দিচ্ছে।

বিজিবি সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে, সকাল সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ আরো একটি ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে, সকাল ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারীর উদ্দেশ্যে এবং সকাল ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ আরেকটি ট্রেন হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ছেড়ে যায়।

এছাড়া, বিজিবির নিরাপত্তায় খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এবং শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে।

উল্লেখ্য, সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন পৌঁছে দিতেও বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা সহায়তা দেবে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত