এশিয়া
চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিনের মৃত্যু
Published
1 year agoon
By
বায়ান্ন প্রতিবেদনবিশ্ব পরিমণ্ডলে অন্যতম এক বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে চীনের আবির্ভূত হওয়ার পেছনে অনবদ্য অবদান রাখা দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিন মারা গেছেন।
আজ বুধবার (৩০ নভেম্বর) ৯৬ বছর বয়সে চীনের সাবেক এই নেতা মারা গেছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, বুধবার স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১২টায় মারা গেছেন জিয়াং। দীর্ঘদিন ধরে প্রাণঘাতী লিউকেমিয়াসহ একাধিক জটিল রোগে ভোগার পর সাংহাই শহরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।
দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি, সংসদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং সামরিক বাহিনী সাবেক এই নেতার মৃত্যুর ঘোষণা দিয়ে চীনা জনগণের কাছে একটি চিঠি প্রকাশ করেছে। চিঠিতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলা হয়েছে, কমরেড জিয়াং জেমিনের মৃত্যু আমাদের পার্টি, সামরিক বাহিনী এবং আমাদের সব জাতিগোষ্ঠীর জনগণের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
এতে জিয়াং জেমিনকে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন একজন অসামান্য নেতা, মহান মার্কসবাদী, রাষ্ট্রনায়ক, সমর কৌশলবিদ, কূটনীতিক এবং দীর্ঘ পরীক্ষিত কমিউনিস্ট যোদ্ধা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিয়াং জেমিনের মৃত্যুতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান অফিস, সরকারি বিভিন্ন ভবন ও বিশ্বজুড়ে চীনা দূতাবাস ও কনস্যুলেটে চীনের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি বলছে, জিয়াংয়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ব্যবস্থাপনা কমিটির এই আদেশ বুধবার থেকে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার তারিখ পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে। তবে দেশটির সাবেক এই নেতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার তারিখ এখনও ঘোষণা দেয়া হয়নি।
১৯৮৯ সালে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের ওপর রক্তাক্ত তিয়ানআনমেন অভিযানের কিছুদিন পর জিয়াংকে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই ঘটনার পর চীনের পরবর্তী কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা থেকে মুক্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক মেরামত এবং নজিরবিহীন অর্থনৈতিক উত্থানের তত্ত্বাবধান করেন তিনি।
ইতিহাস সৃষ্টিকারী পরিবর্তনের মাধ্যমে চীনকে দেখেছেন জিয়াং; যার মধ্যে রয়েছে বাজার-ভিত্তিক সংস্কার ব্যবস্থার পুনরুজ্জীবন, ১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে হংকংয়ের প্রত্যাবর্তন এবং ২০০১ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) বেইজিংয়ের প্রবেশ।
তবে জিয়াং নেতৃত্বাধীন চীনের তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে দেশে ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। বাইরের বিশ্বের জন্য চীন উন্মুক্ত হলেও দেশে ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে অভিযানের জেরে তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিল জিয়াংয়ের সরকার।
সেই সময় মানবাধিকারকর্মী, শ্রমিক নেতা এবং গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের কারাবন্দি করে জিয়াং নেতৃত্বাধীন চীনা সরকার। দেশটির আধ্যাত্মিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসা ‘ফালুন গং’কেও নিষিদ্ধ করা হয়; এই গোষ্ঠীকে তখন কমিউনিস্ট পার্টির একচেটিয়া ক্ষমতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হতো।
প্রায় ১৩ বছর ধরে চীনের রাষ্ট্রপ্রধান এবং কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করলেও জিয়াং কখনোই তার দৃষ্টিভঙ্গির জন্য পরিচিত ছিলেন না। বরং পার্টির ভিন্ন ভিন্ন বিভিন্ন মতাবলম্বীদের জন্য একজন দক্ষ প্রশাসক এবং আপোসকারী ব্যক্তিত্ব হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি।
২০০২ সালে হু জিনতাওয়ের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টিতে ব্যাপক পরিবর্তনের পর জিয়াং তার ক্ষমতার শিখরে পৌঁছান বলে মনে করা হয়। দীর্ঘ সময়ের জন্য তিনি দলটিতে শক্তিশালী ব্যক্তি হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রাখেন। দলের নেতাকর্মীদের মাঝে দ্য সিনিয়র (ঝাংঝে) নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
২০০৪ সালে সরকারি উপাধি ত্যাগ করলেও ২০১২ সালে ক্ষমতায় আসা বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উত্থানের পেছনে ক্রীড়ানক হিসেবে কাজ করেন জিয়াং। জিয়াংয়ের অর্থনৈতিক উদারীকরণ এবং কঠোর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের মিশ্রণে এখনও আটকে আছেন শি জিনপিং।
প্রাথমিকভাবে ক্রান্তিকালীন নেতা হিসাবে দেখা হতো জিয়াংকে। যিনি দল ও দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য তৎকালীন সর্বোচ্চ নেতা দেং জিয়াওপিংয়ের ম্যান্ডেটে কাজ করেছিলেন। দেশটির সংস্কারকামী নেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন জিয়াং।
তার ক্ষমতার ১৩ বছরে চীনের শীর্ষ পদ অর্থাৎ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি দলটিতে পুঁজিবাদীদের স্বাগত জানিয়েছিলেন। এছাড়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় বেইজিংয়ের যোগদানের পর বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে চীনের উত্থানের পথ দেখান তিনি।
চীনের বিশ্ব শক্তি হয়ে ওঠার পেছনে অসামান্য ভূমিকা রাখা জিয়াংকে তার শেষ সময়গুলোতে বেশ বিবর্ণই দেখা গেছে। কিছুটা আড়ালে চলে যাওয়া চীনা এই নেতাকে সর্বশেষ ২০১৯ সালে বেইজিংয়ের তিয়ানআনমেন গেটে বর্তমান ও সাবেক নেতাদের সাথে কমিউনিস্ট পার্টির ক্ষমতায় আরোহণের ৭০তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে দেখা যায়।
অন্যরা যা পড়ছেন
৭৫ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
বাংলাদেশ-চীনের সামরিক মহড়া, যা জানালো ভারত
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
র্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
শিব নারায়ণ দাশের কর্নিয়ায় পৃথিবীর আলো দেখলেন কালাম ও মশিউর
তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে
ধোনি-সাক্ষীর চরম প্রেমের কাহিনী, শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে!
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজ
সারাদেশে হিট স্ট্রোকে আট জনের মৃত্যু
এশিয়া
ভারতে লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে
Published
9 hours agoon
এপ্রিল ২৬, ২০২৪By
GM Mahmudভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট আজ। দেশটির ১৩ রাজ্যের ৮৯টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ চলছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৭টায় শুরু হওয়া এ ভোট চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
এর আগে, গেলো শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে এ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। দ্বিতীয় দফায় দেশটির ১৩ রাজ্যের ৮৯টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, কেরালা, আসাম, বিহার, মণিপুর, রাজস্থান, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু-কাশ্মীরে ভোটগ্রহণ হবে।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় সবচেয়ে বেশি ভোটগ্রহণ হচ্ছে দক্ষিণের রাজ্য কেরালায়। এই রাজ্যের ২০টি লোকসভা আসনের সবকটিতেই ভোট হচ্ছে আজ।
দ্বিতীয় দফা ভোটের লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী। তাদের মধ্যে রয়েছেন, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, অ্যানি রাজা, শশী থারুর, নবনীত রানা, ওম বিড়লা, হেমা মালিনী, অরুণ গোভিল এবং প্রহ্লাদ জোশীর মতো প্রবীণ প্রার্থীরা।
কেরালা নানা কারণেই এবার লোকসভা ভোটে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। রাজ্যটির ওয়ানাড়ে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাহুল গান্ধী। গতবারের জয়ী তিনি। এছাড়াও লড়ছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। দ্বিতীয় দফার ভোটে রাজ্যটির ২০ আসনের ভোট যুদ্ধে ২ কোটি ৭১ লাখ ভোটার ১৯৪ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। আর নানা করণে ওয়ানাড়ে, ত্রিশুর এবং তিরুবন্তপুরম এই তিন আসনের দিকে নজর গোটা দেশের।
অবশ্য বিজেপি গোটা দেশের মতো করে হেভিওয়েট প্রচার চালায়নি কেরালা রাজ্যে। কারণ এখানে বিজেপি নয় প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস এবং বাম জোট। তাই প্রচারে লড়াইতে হাড্ডাহাড্ডি হাত-কাস্তে হাতুড়ি চিহ্নের। কংগ্রেস-বাম দলগুলো এখানে প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়ায় রাজ্যটিতে দুই দলে হেভিওয়েট প্রার্থীদের সংখ্যাও বেশি।
জিএমএম/
আন্তর্জাতিক
নেতানিয়াহুর জন্য আরও বেশি অপমান অপেক্ষা করছে-হামাস মুখপাত্র
Published
21 hours agoon
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ইরানের নজিরবিহীন প্রতিশোধমূলক হামলায় একেবারে চুপসে গেছে ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যে এতদিন নিজেকে অপরাজেয় আর অপ্রতিদ্বন্দ্বী মনে করলেও, হামলার পর ইসরায়েলের সেই অহঙ্কার চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেছে। সিরিয়ায় নিজেদের কনস্যুলেট ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলার প্রতিশোধ নিতে গত ১৩ এপ্রিল দেশটিতে তিন শতাধিক ড্রোন ও মিজাইল হামলা চালায় ইরান।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের এই হামলায় স্তম্ভিত হয়ে যায় গোটা বিশ্ব। হাজার কিলোমিটার দূরে থেকেও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যূহ যে ভেদ করা যায় তা বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দেয় তেহরান।যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানালেও আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
ইরানের ওই হামলার ভূয়সী প্রশংসা করে হামাস আনুষ্ঠানিকভবে সমর্থন জানায়। গত মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় সংগঠনটির সামরিক মুখপাত্র আবু উবায়দা ইরানের ওই হামলার প্রশংসা করেন।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরায় হামাস মুখপাত্র আবু উবায়দার ওই ভিডিও বার্তা প্রকাশিত হয়েছে।
ভিডিও বার্তায় আবু উবায়দা জানান, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের চূড়ান্ত জবাব ইহুদিবাদী শত্রুর সব হিসাব-নিকাশ ওলটপালট করে দিয়েছে। পাশাপাশি ইরানের প্রতিক্রিয়ার আকৃতি ও ধরণ একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থার ইঙ্গিত দিয়েছে। এ হামসার মধ্য দিয়ে দখলদার ইসরায়েলের সব হিসাব-নিকাশ পুরোপুরি পাল্টে গেছে।
গত ৮ মার্চের দেড় মাস পর দেওয়া অডিও বার্তায় হামাসের সামরিক বাহিনী ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের এই মুখপাত্র বলেন, ‘তাদের প্রতিরোধ আন্দোলন চলবে। গত ২০০ দিনে দখলদার সেনারা গণহত্যা, জাতিগত শুদ্ধি অভিযান ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ছাড়া অন্য কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি ইসরায়েল।’ হামাসের সকল ব্যাটেলিয়ন ধ্বংসের যে দাবি দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু করেছেন তাও ভুয়া বলে জানান আবু উবায়দা।
হামাসের এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘২০০ দিনের আগ্রাসন প্রতিহত করার পরও প্রতিরোধ আন্দোলন পাহাড়ের মতো অটল ও অবিচল রয়েছে।’
আবু উবায়দা বলেন, ‘গাজা থেকে দখলদার সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের ঘরবাড়িতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ না পাওয়া পর্যন্ত দখলদার সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে হামাস।’
হামাস মুখপাত্র বলেন, ‘গাজায় হামলা জোরদার করা আর ইরানের হামলার জবাব কীভাবে দেওয়া যায় তাই নিয়ে এখন ব্যস্ত ইসরায়েল সরকার। একারণে প্রধানমন্ত্রী বেনিায়ামিন নেতানিয়াহু দেশটির ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠছেন।’ তবে এতে কাজ হবে না। বরং দিন দিন নেতানিয়াহুর জন্য আরো বেশি অপমান অপেক্ষা করছে বলে জানান হামাস মুখপাত্র।
নেতানিয়াহুকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আবু উবায়দা ওই ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, ‘গাজা উপত্যকার যে জলাভূমিতে তাঁর (নেতানিয়াহু) পা আটকে গেছে, তা থেকে বেরিয়ে যাওয়া ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর জন্য দুষ্কর হবে।’
আন্তর্জাতিক
ইরান ইস্যুতে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিলো যুক্তরাষ্ট্র
Published
22 hours agoon
এপ্রিল ২৫, ২০২৪সম্প্রতি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি পাকিস্তান সফর করেছেন। তাঁর তিনদিনের ইসলামাবাদ সফরে কোনো চুক্তি সই না হলেও ৮টি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতাপত্র সই হয়েছে। তবে ইরানের প্রেসিডেন্টের পাকিস্তান সফর এবং ইসলামাবাদ-তেহরানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা সই ভালোভাবে মেনে নিতে পারেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একারণে ইরানের প্রেসিডেন্ট সফর শেষে পাকিস্তান ত্যাগ করার পরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দিয়ে বোলেছে, ইরানের সঙ্গে কোনো ধরণের বাণিজ্যিক চুক্তি হলে বা চুক্তির পথে হাঁটলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ার ঝুঁকির কথাও মাথায় রাখতে হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই হুঁশিয়ারির ফলে পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রকল্পের পথে বাধা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের অনেকে।
সিরিয়ায় নিজেদের কনস্যুলেট ভবনে হামলার জবাবে ইসরায়েলে তিন শতাধিক ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালায় ইরান। আকাশপথে ইরানের সাম্প্রতিক এই হামলা নিয়ে সরগরম দুনিয়া। এর মধ্যেই পাকিস্তান সফর করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তাঁর সফরের পরই নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র কেনার নেটওয়ার্কের বিস্তার যেখানেই ঘটবে, আমরা সেখানে বাধা দেব এবং ব্যবস্থা নেব। ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তিতে যারা যাবে, তাদের বলব নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়ার সম্ভাব্য ঝুঁকির কথাটাও মাথায় রাখতে।’’
নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারির কারণ জানতে চাওয়া হলে প্যাটেল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘কারণ, এরা হল সেই সব সংস্থা, যারা গণবিধ্বংসী অস্ত্র ছড়িয়ে দিচ্ছে। এদের ঘাঁটি চিন এবং বেলারুসে। এরা পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করেছিল।’
জাতীয়
বিয়ে না দেয়ায় মাকে জবাই করে খুন করলেন ছেলে
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে রানু বেগম নামে এক নারীকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার...
৭৫ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে অংশ নেয়ায় ৭৫ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এরমধ্যে উপজেলা...
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার...
৯ দিনে একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই
নাটোরের বড়াইগ্রামের ধামানিয়াপাড়ায় গেলো সোমবার (১৫ এপ্রিল) গ্রামে মামাতো বোনের বউভাতের অনুষ্ঠান গিয়ে জাওহার আমিন লাদেন এবং তার দুই মামাতো...
বাংলাদেশ-চীনের সামরিক মহড়া, যা জানালো ভারত
আগামী মে মাসে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্ভাব্য যৌথ সামরিক মহড়ার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বৃহস্পতিবার (২৫...
ব্রুনাই থেকে দু’বছর পর ফিরছে বাংলাদেশির মরদেহ
তিন বাংলাদেশির মরদেহ ব্রুনাইয়ের হাসপাতাল রিপাস থেকে দেশে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে দুজনের মরদেহ গেলো দুই বছরের বেশি সময় ধরে ওই...
থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই
থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচ কূটনৈতিক দলিলে সই হয়েছে। এর মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি লেটার অব...
দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২
দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কে ভুট্টা ও সার বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে একটি ট্রাকের চালক ও তার সহকারীর মৃত্যু হয়েছে। একদিকে দিনাজপুর...
চলতি বছরেই থাইল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি : প্রধানমন্ত্রী
চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হবে। বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেকপার্কে বিনিয়োগে দেশটিকে প্রস্তাব...
‘বাংলাদেশকে চীন, রাশিয়া বা অন্য দেশের লেন্স দিয়ে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র’
‘বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া...
বিয়ে না দেয়ায় মাকে জবাই করে খুন করলেন ছেলে
চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চা তাপমাত্রা রেকর্ড, চলছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ
৭৫ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
ফ্রিজে সবজি টাটকা রাখবেন যেভাবে
বিয়ের ২ মাস না যেতেই হাসপাতালে কাঞ্চনের স্ত্রী শ্রীময়ী
জাতীয় পার্টির ওপর মানুষের আস্থা নেই : ফিরোজ
কোপার আগে ইনজুরিতে এনজো ফার্নান্দেজ
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তীব্র গরমে যে দুই বিভাগে হতে পারে বৃষ্টি
৯ দিনে একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই
বিচ্ছেদের দীর্ঘ জল্পনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া
ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে তাপমাত্রা
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
রাতে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড় হতে পারে যে সব এলাকায়
সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে
খরচ কমলো হজ প্যাকেজের
কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে আগুন, আতঙ্কে যাত্রীদের নদীতে ঝাঁপ
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন চট্টগ্রামে
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
সর্বাধিক পঠিত
- বলিউড5 days ago
বিচ্ছেদের দীর্ঘ জল্পনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া
- বাংলাদেশ7 days ago
ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে তাপমাত্রা
- বাংলাদেশ2 days ago
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
- আবহাওয়া6 days ago
রাতে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড় হতে পারে যে সব এলাকায়
- দেশজুড়ে5 days ago
সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
- বাংলাদেশ4 days ago
তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে
- জাতীয়6 days ago
খরচ কমলো হজ প্যাকেজের
- দুর্ঘটনা6 days ago
কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে আগুন, আতঙ্কে যাত্রীদের নদীতে ঝাঁপ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন