অপরাধ
ডা. সাবিরা হত্যাকাণ্ডের রহস্য এখনো খোলাসা হয়নি
Published
3 years agoon
By
জাকির হোসাইন** সন্দেহভাজন, সহকর্মী ও স্বজনদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ
** সন্দেহভাজনদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি
রাজধানীর কলাবাগানে গ্রিন লাইফ হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপি (৪৭) হত্যাকান্ডের রহস্য এখনো খোলাসা হয়রি।
হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিয়ে এখনো অন্ধকারে রয়েছে পুলিশ। বারো দিন পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি তারা। ঘটনার পর থেকে সন্দেহভাজন, প্রত্যক্ষদর্শী, সহকর্মী ও অনেক স্বজনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনো ক্লু (সূত্র) মেলেনি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে ছেড়ে দেয়া হলেও এদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি রাখছেন গোয়েন্দারা।
গত ৩১ মে সকালে কলাবাগানের ফার্স্ট লেনের ৫০/১ ভবনের তিনতলার ফ্ল্যাট থেকে ডা. সাবিরার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অবশ্য ওই ফ্ল্যাটে প্রথমে আগুনের খবর পেয়ে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস। পরে যায় কলাবাগান থানা পুলিশ। তার শরীরে একাধিক গভীর ক্ষতের চিহ্ন দেখে পুলিশ তখন জানায়, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে গ্রিন লাইফ হাসপাতালের এই নারী চিকিৎসককে।
এ ক’দিনে ঘটনার আলামত বিশ্লেষণ ও অন্যান্য তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে কাজী সাবিরাকে। ধারণা করা হচ্ছে, ফজরের নামাজের আগে তাকে খুন করা হয়। প্রথমে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করা হয় তাকে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করা হয়। হত্যাকাণ্ড ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ওই কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কোনো কারণে স্বজনদের হাতে খুন হতে পারেন সাবিরা। তবে এখনই সেটা নিশ্চিত করে বলতে চাইছেন না তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে বাংলাদেশ পুলিশের সব ইউনিট একযোগে কাজ করছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি একটি বিরল ঘটনা। থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই, ডিবি, সিআইডি ও র্যব কাজ করছে হত্যাকাণ্ডটি তদন্তে। এখন ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে তদন্ত চলছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, হত্যাকাণ্ডটি ক্লুলেস ও জটিল হলেও বলা যায়, ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে সাবিরাকে। খুনি ফ্ল্যাটের সব তথ্যই জানত। এমনকি তার কাছে ফ্ল্যাটের মূল দরজার নকল চাবিও ছিল। ফলে পালাতে সুবিধা হয় খুনির। এক্ষেত্রে বাড়িটির দারোয়ানের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করাও খুনির বাড়তি সুবিধার জায়গা ছিল।
সূত্র জানায়, ডা. সাবিরার কক্ষের দরজায় অটোলক সিস্টেম ছিল। হত্যাকারী তার কক্ষ থেকে বেরোনোর সময় বাইরে থেকে দরজা টান দিয়ে লক করে যায়। যার কারণে দরজাটি ভেঙে পুলিশকে সাবিরার কক্ষে ঢুকতে হয়।
ওই ফ্ল্যাটে আগুন লাগার বিষয়ে সূত্র জানায়, আগুন ধরলে নিচ থেকে জ্বলার কথা, কিন্তু কাউকে যদি আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় তখন তা ওপর থেকে জ্বলতে পারে। সাবিরার মরদেহ বিছানায় উপুড় হয়ে ছিল। বিছানায় শুইয়ে দেয়ার পরে আগুন শরীরের ওপর থেকে ধরানো হয়। তার কক্ষের দরজা-জানালা বন্ধ থাকার কারণে আগুন বেশি ছড়াতে পারেনি।
আরেকটি সূত্র বলছে, সাবিরার বাসায় পোড়া সিগারেটের দুইটি অবশিষ্টাংশ পাওয়া গেছে। এটিকে গুরুত্বপূর্ণ আলামত হিসাবে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা। সিগারেটের অবশিষ্টাংশ দুইটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ বলছে, সিগারেটের অবশিষ্টাংশ দুইটি উদ্ধার হলেও কক্ষে সিগারেটের ছাঁই রাখার কোনো পাত্র পাওয়া যায়নি। ডা. সাবিরা নিজে নাকি অন্য কেউ ধুমপান করেছেন, সেটা বের করতে ফিঙ্গার প্রিন্ট উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
ঘটনার পাঁচ দিন আগে থেকে ভোরে হাঁটতে বের হতেন সাবিরার সহ-ভাড়াটিয়া মডেল কানিজ সুবর্ণা। এই কানিজ সুবর্ণাকেই সন্দেহ করছে সাবিরার স্বজনরা। এই নারী চিকিৎসকের মামাতো ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার জুয়েল কলাবাগান থানায় যে হত্যা মামলা করেছেন, তাতেও কানিজ সুবর্ণার দিকে সন্দেহের কথা উল্লেখ রয়েছে।
কেবল কানিজ সুবর্ণা নন, গত ৬ জুন দিনভর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাবিরার আরেক সহ-ভাড়াটিয়া নুরজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। নুরজাহান হত্যার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত ঈদুল ফিতরের দিন থেকে তিনি গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে ছিলেন।
সাবিরার আত্মীয়-স্বজন যারা আছেন মোটামুটি সবাইকেই দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ডা. সাবিরার প্রথম স্বামীর আত্মীয় থেকে শুরু করে দ্বিতীয় স্বামী ও তার আত্মীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হচ্ছে। এমনকি সন্দেহভাজন হিসেবে প্রথমে যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাদের ফের ডাকা হচ্ছে। ডা. সাবিরা যে হাসপাতালে চাকরি করতেন সেই হাসপাতালের কয়েকজন সহকর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া মডেল কানিজ সুবর্ণার বন্ধু মাহাথির মোহাম্মদ স্পন্দন, বাড়ির দারোয়ান রমজান আলী ও গৃহকর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ডা. সাবিরার এক স্বজন জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজের কর্মস্থল গ্রিন লাইফ হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল সাবিরার। সেখান থেকে কয়েকজনের সঙ্গে বাইরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে কাদের সঙ্গে কোথায় যাওয়ার কথা ছিল, তা এখনো জানা যায়নি। সাবিরা আট থেকে নয় বছর ধরে গ্রিন লাইফ হাসপাতালে চাকরি করছেন। বছর পাঁচেক আগে তার চাকরি স্থায়ী হয়। কাজ করতেন রেডিওলজি বিভাগে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় এসে কয়েকটি হাসপাতালে চাকরির পর সর্বশেষ তিনি যোগ দেন গ্রিন লাইফ হাসপাতালে।
২০০৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ডা. সাবিরার প্রথম স্বামীর মৃত্যুর হয়। এরপর ২০০৫ সালে শামসুর আজাদ নামের একজন ব্যাংকারকে বিয়ে করেন তিনি। দুই সংসারে তার দুই সন্তান রয়েছে। প্রথম সংসারের ছেলের বয়স ২১ বছর। তিনি গত কয়েক মাস ধরে কানাডা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আর দ্বিতীয় সংসারের একমাত্র মেয়ের বয়স ১০ বছর। মেয়েটি কলাবাগানের একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে। ছেলেটি থাকেন তার নানীর সঙ্গে আর মেয়েটি থাকে তার বাবার সঙ্গে। সাবিরার মা থাকেন কলাবাগানে। বর্তমান স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় ডা. সাবিরা আলাদা থাকতেন বলে জানা গেছে।
যদিও পারিবারিকভাবে বলা হচ্ছে, কর্মস্থল গ্রিন লাইফ হাসপাতালে যাতায়াতের সুবিধার্থে সাবিরা কলাবাগানের ওই ফ্ল্যাটে ভাড়ায় থাকতেন। তবে দ্বিতীয় সংসারের ১০ বছরের মেয়েটি মাঝে মাঝে তার কাছে এসে থাকত।
সাবিরার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধারের ৩৬ ঘণ্টা পর কলাবাগান থানায় মামলা করেন তার মামাতো ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার জুয়েল। তবে মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলাটি করা হয়।
কলাবাগান থানা সূত্রে জানা যায়, মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ এবং ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অবশ্য সাবিরা খুন হয়েছেন, এমনটা ধরে নিয়েই মামলা হওয়ার আগে থেকে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের একটি সূত্র জানায়, সাবিরার গলায় ও শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যা দেখে মনে হয়েছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি-না, সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু জানা যায়নি। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কি-না জানার জন্য ডিএনএ পরীক্ষার আলামত সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেশ কিছু বিষয় সামনে রেখে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া হলেও ডা. সাবিরার পারিবারিক কিছু বিষয়ে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। এ কারণে তদন্তে বিষয়টি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে। তবে, এখনো তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে নিশ্চিত করে কিছু বলার সময় আসেনি।
সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় সাবিরার গলা ও শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে তার মুখমণ্ডল ও শরীরের কিছু অংশ আগুনে পোড়ানো ছিল। সাবিরার মরদেহটি বিছানায় উপুড় হয়ে পড়েছিল, বিছানার কিছু অংশও ছিল পোড়া।
ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ মামাতো ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার জুয়েলের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পারিবারিকভাবে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে ডা. সাবিরার মামা হারুন অর রশীদ মৃধা ও মামাতো ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার জুয়েলের সঙ্গে বারবার মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া মেলেনি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট-কলাবাগান জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান জাগো নিউকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ক্লু উদঘাটন করা যায়নি। তবে আমরা আরও কিছু নতুন লোককে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নিয়ে আসছি। ডা. সাবিরার আত্মীয়-স্বজন যারা আছেন মোটামুটি সবাইকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ডা. সাবিরার প্রথম স্বামীর আত্মীয় থেকে শুরু করে দ্বিতীয় স্বামী ও তার আত্মীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হচ্ছে। এমনকি সন্দেহভাজন হিসেবে প্রথমে যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাদেরও আবার ডাকা হচ্ছে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ডা. সাবিরা যে হাসপাতালে চাকরি করতেন সেই হাসপাতালের কয়েকজন সহকর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।’
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর মরদেহ আরও বিকৃত করার এক প্রক্রিয়া সেখানে ছিল। তার ব্যবহৃত বিছানাপত্র এবং অন্যান্য আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে, যেন লাশটি বিকৃত হয়ে যায়। সাবিরার বাসার দুই সহ-ভাড়াটিয়াসহ বেশ কয়েকজনকে এরই মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।’
তবে সাবিরার ফ্ল্যাট বা ওই বাসার গলি ও আশপাশের কোনো ভবনেরও সিসিটিভির ফুটেজ পাওয়া যায়নি বলে জানান সাজ্জাদুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে একাধিক লোক থাকার সম্ভাবনাই বেশি, তবে এটা এখনই সঠিকভাবে বলা যাবে না। বাসার যে মূল গেট সেটি, কিন্তু ভাঙা হয়নি। তার মানে হলো গেটটা ভেতর থেকে খুলে দেয়া হয়েছে, তারপর ঢুকেছে খুনি। এ অবস্থায় আমার কাছে মনে হচ্ছে, নিশ্চিতভাবে কোনো পরিচিতজন হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। সাবিরা হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে খুব বেশি সময় লাগবে না।’
অন্যরা যা পড়ছেন
ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ বিএনপি কর্মী গ্রেপ্তার
ইউরোপে কঠোর হচ্ছে অভিবাসন নীতি, যা জানালো ঢাকার ইইউ প্রধান
টিভিতে আজকের খেলা
এক মিনিটের জন্য বিসিএসের স্বপ্ন চুরমার!
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
৭৫ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
বাংলাদেশ-চীনের সামরিক মহড়া, যা জানালো ভারত
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
র্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে না করানোয় ছেলে ক্ষুব্ধ হয়ে তার মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গেলো শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে অভিযুক্ত রাসেল তার বাবা আতর খানকেও পিটিয়েছিলেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় পুলিশ।
নিহত নারীর নাম রানু বেগম (৫৭)। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর গ্রামের আতর খানের স্ত্রী। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তাঁর ছেলের নাম রাসেল (২৭)।
মামলার বরাত দিয়ে চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় গণমাধ্যমে বলেন, তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট রাসেল দীর্ঘদিন ধরেই বিয়ে করার জন্য পরিবারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু ছেলে বেকার হওয়ায় তার কথায় কেউ কর্ণপাত করেননি। বিয়ের দাবি পূরণ না করায় গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাসেল তার মাকে একা পেয়ে ধারালো কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরে বাবাকে ফোন করে মাকে কুপিয়ে ঘরে ফেলে আসার কথা জানান রাসেল। এর আগে রাসেল তার বাবা আতর খানকেও পিটিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় আতর খান বাদী হয়ে আজ শনিবার সকালে অভিযুক্ত ছেলে রাসেলের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল রাত আটটার দিকে ফরিদগঞ্জের কেরোয়া এলাকা থেকে রাসেলকে আটক করে। এ সময় ধারালো রক্তমাখা কাঁচি, শার্ট ও লুঙ্গি জব্দ করা হয়েছে। পরে ওই মামলায় রাসেলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজ বিকেলে পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করেছে।
এএম/
কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে টেকনাফ থানা পুলিশ।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভোরে বাহারছড়ার শিলখালী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উত্তর শিলখালী এলাকার মৃত অলি চাঁন এর ছেলে বাহাদুর (২৮) ও আরেকজন একই এলাকার মোজাহেরুল ইসলাম প্রকাশ গুরুতাইন্না মাইজ্যার ছেলে বাবুলা(৩২)।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ দস্তগীর হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল বাহারছড়ার শীলখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ জন দুর্ধর্ষ অপহরণকারী চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ২ জনই হেলাল – মোর্শেদ-বদরুজ সিন্ডিকেটের অপহরণকারী চক্রের সদস্য বলে স্বীকার করেন।তারা দীর্ঘদিন হেলাল, মোর্শেদ ও বদরুজের নেতৃত্বে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণ আদায় করেন বলেও জানান ।
এএম/
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
ডিএমপি পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
এ সময় ৬২০ পিস ইয়াবা ও ১২ কেজি ৯০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৪টি মামলা রুজু হয়েছে।
জাতীয়
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে এক ব্যবসায়িক সভায়...
বাংলাদেশসহ ছয় দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলো ভারত
বাংলাদেশসহ বন্ধুত্বপূর্ণ ছয়টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের সরকার। বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও যেসব দেশে ভারত...
এসএসসির ফলাফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ জানালো বোর্ড
এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য তিন দিনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় আন্তশিক্ষাবোর্ড...
ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ বিএনপি কর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীর ডেমরায় বাসে আগুন দিয়ে ঘুমন্ত হেলপাড়কে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় জড়িত তিন বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)...
‘ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওতে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল’
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করা হবে। তবে নিয়ম মেনে মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেনে চলতে পারবে...
‘হাসপাতালে না থাকা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে’
হাসপাতালে কেন ডাক্তার থাকে না- এ বিষয়ে মহাপরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের সবাইকে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেককে শোকজ করা হয়েছে ও তাদের...
নির্বাচনী প্রচারণায় নিয়মের বাইরে গেলেই শাস্তি: ইসি রাশেদা
নির্বাচন কমিশন চায় সহিংসতা মুক্ত সুষ্ঠু একটি নির্বাচন। তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে। এর বাইরে গেলেই...
‘বিয়ে না করানোয় মাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে’
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে না করানোয় ছেলে ক্ষুব্ধ হয়ে তার মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গেলো শুক্রবার দুপুরে...
হজ ফ্লাইট শুরুর তারিখ ঘোষণা
আগামী ৯ মে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট। হজযাত্রীদের নিয়ে ওইদিন প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। তবে...
রাজধানীতে যে কারণে পুড়লো বাস
বনানীতে মোটরসাইকেলে পেছনে থেকে সজোরে ধাক্কা দেয় একটি চলন্ত বাস। এতে হঠাৎ মোটরসাইকেলের ট্যাঙ্ক ফেটে আগুন ধরে যায়, যা একসময়...
যুক্তরাজ্যের জাহাজে হুথির ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
চলতি সপ্তাহে সৌদি আরবে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আব্বাসের বৈঠক
সাবমেরিন কেবল ঠিক হওয়ার সময় জানা গেলো
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজলো সিলেটবাসী
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা
বাংলাদেশসহ ছয় দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলো ভারত
এসএসসির ফলাফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ জানালো বোর্ড
ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ বিএনপি কর্মী গ্রেপ্তার
‘ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওতে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল’
বিচ্ছেদের দীর্ঘ জল্পনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
ঋণ পেতে মৃত চাচাকে ব্যাংকে নিয়ে গেলেন ভাতিজি
শাহিদ কাপূরের বিলাসবহুল ভ্রমণের তালিকা ফাঁস!
৯ দিনে একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই
ধোনি-সাক্ষীর চরম প্রেমের কাহিনী, শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে!
র্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
সর্বাধিক পঠিত
- বলিউড6 days ago
বিচ্ছেদের দীর্ঘ জল্পনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া
- বাংলাদেশ3 days ago
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
- দেশজুড়ে6 days ago
সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
- বাংলাদেশ5 days ago
তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে
- ঢাকা4 days ago
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
- টুকিটাকি3 days ago
ঋণ পেতে মৃত চাচাকে ব্যাংকে নিয়ে গেলেন ভাতিজি
- বলিউড6 days ago
শাহিদ কাপূরের বিলাসবহুল ভ্রমণের তালিকা ফাঁস!
- দুর্ঘটনা1 day ago
৯ দিনে একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই