Connect with us

অন্যান্য

কোথাও বিপ্লব নেই, চেতনায় আছেন চে গুয়েভারা

Published

on

কিংবদন্তী বিপ্লবী নেতা চে গুয়েভারার ৯৩তম জন্মদিন আজ। বিশ্বজুড়ে আর্নেস্তো গুয়েভারা দে লা সেনা বিপ্লবের অগ্নিপুরুষ হিসেবে নন্দিত তিনি।

পেশায় চিকিৎসক হলেও একাধারে তিনি ছিলেন বিপ্লবী নেতা, লেখক, বুদ্ধিজীবী, কূটনীতিবিদ ও সমরবিদ। চে গুয়েভারা বিংশ শতাব্দীর খ্যাতিমান সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের অন্যতম।

রুশ বিপ্লবের মহান নায়ক লেনিনের চেয়েও যে নাম আরও উজ্জ্বল হয়ে ভেসে ওঠে, তিনি চে গুয়েভারা। যিনি রোমান্টিক বিপ্লবী হিসেবে পরিচিত। দেশে দেশে গুয়েভারার ছবিখচিত টুপি আর টি-শার্ট পরে আজও ঘুরে বেড়ায় তরুণরা। ঘরে আজও চের ছবি টাঙায় তারা। একটা কথা প্রায়ই বলা হয়, যৌবনে অন্তত একবার চে’র মতো হতে চায়নি, এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ, যৌবন হলো সেই কাল, যখন মানুষ সাম্যের চেতনায় উজ্জীবিত, অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না, যুদ্ধে যায়, বিপ্লব নিয়ে ঘরে ফেরে।

১৯২৮ সালের ১৪ জুন আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে জন্ম চে’র। বুয়েনস এইরেস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিকেল সায়েন্সে পাস করার পরই রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে নিজ দেশ আর্জেন্টিনায়, পরে পাশের দেশ বলিভিয়া ও গুয়াতেমালায়।

১৯৫৫ সালের কোনো এক মাহেন্দ্রক্ষণে মেক্সিকোতে কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো আর তাঁর ভাই রাউলের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় তার। চে যুক্ত হয়ে যান কিউবার স্বৈরশাসক বাতিস্তার বিরুদ্ধে ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে সর্বাত্মক যুদ্ধ ও সংগ্রামে। কাস্ত্রোর সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন ও গেরিলাযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন তিনি। ১৯৫৯ সালে সফল বিপ্লবের পর কাস্ত্রো সরকারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন চে। কিউবার ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্থলে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি।

Advertisement

কিউবায় সম্মানের সঙ্গে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে বাকি জীবন নির্ঝঞ্ঝাট কাটিয়ে দিতে পারতেন চে। কিন্তু মানুষের মুক্তির জন্য বিশ্বব্যাপী একটি অখণ্ড কমিউনিস্ট ব্যবস্থা নির্মাণের ডাক শুনেছিলেন মহান এই বিপ্লবী। লেনিনবাদ তাঁকে শিখিয়েছে, কমিউনিস্ট ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত না হিলে এ ব্যবস্থা টিকে থাকতে পারে না। তাই বিপ্লব সংগঠিত করার জন্য কিউবা থেকে মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গো পরে বলিভিয়ায় চলে যান তিনি। কিউবাতে রেখে যান স্ত্রী হিল্ডা ও পাঁচ সন্তানকে।

কিউবায় ফিদেলের সঙ্গে সফল বিপ্লবের পর আরেকটি বিপ্লবের প্রত্যয় নিয়ে বলিভিয়ায় যান গুয়েভারা। বলিভিয়ার গহীন অরণ্যে সহযোদ্ধাদের নিয়ে আস্তানা গাড়েন সিআইএর মদদপুষ্ট বলিভিয়ান সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে। তবে সেখানে মার্কিন গোয়েন্দাদের মদদপুষ্ট বলিভিয়ান বাহিনীর কাছে ধরা পড়ে যান তিনি।

গুলি করতে উদ্যত সেনাকে চিৎকার করে চে বলেন, আমি চে গুয়েভারা। দাঁড়াও! গুলি কোরো না! তোমাদের কাছে মৃত চে’র চেয়ে জীবিত চে অনেক বেশি মূল্যবান। মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে এক তাকে তাকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি তোমার অমরত্বের কথা ভাবছ? উত্তরে চে বললেন, না। আমি বিপ্লবের অমরত্বের কথা ভাবছি। এখানেই চের বিশেষত্ব।

চে মনে করতেন, বিপ্লবীকে হত্যা করা যায় কিন্তু বিপ্লবকে কখনো নয়। বিপ্লবীকে হত্যা করলেও বিপ্লবের সুফল প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ঠিকই থেকে যায়। মানব মুক্তির লড়াই শুরু করেন এই বিপ্লবী নেতা। তবে ১৯৬৭ সালের নয় অক্টোবর বলিভিয়ার লা হিগুয়েরাতে মহান এই বিপ্লবীকে নির্মমভাবে হত্যা করে মানবতার শত্রু মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের দোসররা। মাত্র ৩৯ বছর বয়সে অবসান ঘটে চে‘র বর্ণাঢ্য জীবনের!

পুরো বিশ্বের মুক্তিকামী সমাজতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসীদের অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচিত হন চে গুয়েভারা।

Advertisement

 

এসএন

Advertisement

অন্যান্য

ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেয়ার প্রস্তাব সাধারণ পরিষদে পাস

Published

on

ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেয়ার প্রস্তাব পাস হয়েছে সাধারণ পরিষদে। প্রস্তাবে ফিলিস্তিনকে সদস্যপদ দেয়ার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে পুনর্বিবেচনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি সুপারিশ করা হয়েছে।

আজ  শুক্রবার (১০ মে)  সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৩টি সদস্যদেশ রয়েছে। এর মধ্যে ১৪৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। আর বিপক্ষে ভোট দেয় যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ ৯টি দেশ। ভোটদানে বিরত ছিল ২৫টি দেশ।

২০১২ সাল থেকে জাতিসংঘে পর্যবেক্ষক (সদস্য নয়) হিসেবে মর্যাদা পাচ্ছে ফিলিস্তিন। জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রথমে সংস্থাটির ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হতে হয়। এর পর সেটি সাধারণ পরিষদে পাস হবে। এই প্রস্তাব আবার নিরাপত্তা পরিষদে তোলা হলে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগে সেটি আবার আটকে যেতে পারে।

এবার বিপুল ভোটে প্রস্তাব পাস হওয়ায় ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার দাবি আরও জোড়ালো হলো। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য এখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।এর আগে গেলো মাসে ১৫ সদস্যের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ দেয়ার প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই সেই আবেদন নবায়ন করে পুনরায় জমা দেয় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেই আজ ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব হওয়ায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কিছু অতিরিক্ত অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে ফিলিস্তিন। যেমন, সাধারণ পরিষদের অ্যাসেম্বলি হলে জাতিসংঘের অন্য সদস্যদের মতো একটি আসন পাবে তারা। তবে ভোট প্রয়োগের কোনো ক্ষমতা তাদের হাতে থাকবে না।ফিলিস্তিন বর্তমানে একটি নন-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

বৃষ্টির সঙ্গে পড়লো অজস্র জীবন্ত মাছ, কেন এমন হয়?

Published

on

সংগৃহীত ছবি

ভারী বর্ষণের পাশাপাশি আকাশ থেকে পড়ছে মাছ। বাতাসের সঙ্গে উড়ে এসে আছড়ে পড়ছে মাটিতে। মাটিতে পড়েই ছটফট করছে।আকাশ থেকে তুলার মতো বরফ পড়ার ঘটনা ঘটেছে। শিলাবৃষ্টির সঙ্গে     ‘উল্কাবৃষ্টি’ দেখেছে বিশ্ববাসী। বিরল হলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৃষ্টির সঙ্গে আকাশ  থেকে মাছ পড়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি ইরানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ কোগিলওয়ে-বোয়ের আহমাদ প্রদেশে ঘটেছে এই ঘটনা।

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার(৬ মে) ইরানের ইয়াসুজ অঞ্চলের বাসিন্দারা অবাক করা এ ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বৃষ্টির সঙ্গে রাস্তায় পড়া মাছগুলো কুড়িয়ে নিচ্ছেন স্থানীয় লোকজন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ১২ সেকেন্ডের ওই ‘মাছবৃষ্টির’ ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। স্থানীয় পৌর প্লাজার কাছ থেকে এক ব্যক্তির করা ওই ভিডিওতে দেখা যায়-রাস্তায় ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু মাছ। এর মধ্যেই উপর থেকে পড়ছে আরও। ভিডিওকারী ব্যক্তি নিজেই মাটি থেকে একটি মাছ তুলেছেন, সেটি নড়াচড়া করছে। প্রতিটি জীবন্ত মাছের গড় আকৃতি ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি। ইরানে হওয়া এই মাছবৃষ্টির ঘটনায় অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

ইরানের এই মাছবৃষ্টির ঘটনা বিশ্বে প্রথম নয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের টেক্সারকানা শহরে মাছবৃষ্টির এমন ঘটনা ঘটে। ওই শহরের বাসিন্দারা ঝড়বৃষ্টি চলাকালীন বাইরে বের হয়ে দেখেন, আকাশ থেকে শত শত মাছ পড়ছে। শুধু মাছ নয়, মাছের সঙ্গে আছে ছোট ব্যাঙ ও ছোট ছোট কাঁকড়াও।

এরও আগে, ২০১৭ সালে  মাছবৃষ্টির ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার অরভিলের জনগণ।

Advertisement

যে কারণে ঘটে ‘মাছবৃষ্টি’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর আগে ‘মাছবৃষ্টির’ ঘটনা ঘটেছে। এটি অনেকের কাছে অস্বাভাবিক মনে হলেও প্রকৃতিতে এটা স্বাভাবিক নিয়মেই ঘটে থাকে। বিজ্ঞানীরা বোলছেন,  প্রচুর মাছ থাকা কোনো কম গভীরতার জলাশয়ের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণিবায়ুর কেন্দ্র বয়ে যাওয়ার সময় ওই জলাশয়ে থাকা ছোট ছোট মাছ, ব্যাঙসহ আকাশে উঠে ঝড়ের সঙ্গে কয়েক মাইল পর্যন্ত যেতে পারে।  ঘূর্ণিঝড় থেমে গেলেও মেঘের স্তরের কারণে এরা কিছু সময়ের জন্য আটকে থাকে। ঘূর্ণিঝড় থেমে গেলে বৃষ্টির সঙ্গে ঝরে পড়ে ওই মাছ, ব্যাঙসহ জলজ প্রাণীগুলো।

‘মাছবৃষ্টি’ নিয়ে হন্ডুরাসে প্রচলিত মিথ”

মধ্য আমেরিকার  দেশ হন্ডুরাসে ‘মাছবৃষ্টি’ নিয়ে একটি মিথ প্রচলিত আছে। প্রতি বছরের মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় ‘মাছবৃষ্টি’ হয় বলে দাবি দেশটির অধিবাসীদের।এসময় আকাশ থেকে বৃষ্টিরে সঙ্গে পড়ে মাছ, স্কুইড, ব্যাঙ ইত্যাদি জলজ প্রাণী। স্প্যানিশ ভাষায় এই মাছবৃষ্টিকে বলা হয়  ‘জুভিয়া দে পেতেস’।

এক সময় হন্ডুরাসের বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করতেন হোসে সুবিরানা নামে এক খ্রিষ্টান ধর্মযাজকের আশির্বাদেই দেশটিতে মাছবৃষ্টি হয়ে থাকে। ১৮৫৬ সাল থেকে ওই ধর্মযাজক হন্ডুরাসে অসেন এবং  ১৮৬৪ সাল পর্যন্ত দেশটিতে থাকেন। ওইসময় হন্ডরাসের লোকজন দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটাতেন। তাঁদের দুর্দশা দূর করতে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন ওই ধর্মযাজক। হোসে সুবিরানার প্রার্থনার পরই শুরু হয় মাছবৃষ্টি। এ ঘটনায় ঈশ্বর আকাশ থেকে ‘বৃষ্টির সঙ্গে মাছ’ উপহার দিয়েছেন বলে  বিশ্বাস করতে শুরু করেন হন্ডুরাসের বেশিরভাগ মানুষ।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

ইসরায়েলের পক্ষ নিলেই মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটি গুড়িয়ে দেবো: ইরান

Published

on

সংগৃহীত ছবি

সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলার ঘটনায় ইরান-ইসরাইল দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্র যদি তেল আবিবের পক্ষ নেয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন ঘাঁটিগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। ওয়াশিংটনকে এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান।

ইসরাইলের ওপর যেকোনো  হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্রটির পাশে থাকবে। ইসরায়েলকে রক্ষায় সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন  এমন সতর্কবার্তা দেওয়ার পর এর জবাবে ইরানের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে এমন কড়া বার্তা দেওয়া হলো। একাধিক আরব দেশের মাধ্যমে ওয়াশিংটনকে এই বার্তা দিলো তেহরান।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহেই ইরান আরব দেশগুলোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষ নিলে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালাবে তেহরান।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে  ইরানি কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালানো হয়।  এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ সব মিলিয়ে ১১ জন নিহত হয়। বিভিন্ন সাক্ষ্য ও আলামতে তেহরানের দাবি, বিমান হামলাটি ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) চালিয়েছিল।

তেলআবিব ওই হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি, দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ শীর্ষস্থানীয় নীতি নির্ধারকেরা একাধিকবার ইসরাইলের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেন।

Advertisement

গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রোববার(১৪ এপ্রিল) ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে ইরান। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পরই শুক্রবার (১২ এপ্রিল)  জো বাইডেন বলেন, ইসরায়েলে শিগগিরই হামলা চালাবে ইরান।

এ সময় ইসরাইলে হামলা না চালাতে ইরানকে সতর্ক করে  মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই রাষ্ট্রটির প্রতি সবসময় আমাদের সমর্থন থাকবে এবং দেশটিকে রক্ষায় আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব। ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ইরান কখনও সফল হতে পারবে না। ইসরাইলে কোনো হামলা নয়- ইরানের উদ্দেশে আমার বার্তা এটুকুই। মার্কিন প্রেসিডেন্টের  এ সতর্কবার্তার পরই যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া বার্তা দিলো তেহরান।

ইসরাইলের উত্তর বা দক্ষিণ অঞ্চলে এই হামলা হতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে বলেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তবে ইরান সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে,ইসরাইলে হামলার ব্যাপারে ইরান  এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত