Connect with us

ময়মনসিংহ

বিধবা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১০

Avatar of author

Published

on

জাতীয় জরুরি সেবায় ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করা এক বিধবা নারীকে (৪০) উদ্ধার করেছে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা পুলিশ।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের কাজা গ্রাম থেকে গণধর্ষণের শিকার ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
থানা পুলিশ গণধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো— উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের কাজা গ্রামের সজীব (৩৯), হানিফা মিয়া (৩০), আল আমিন (৩৫), মোস্তফা (৪৫), জুয়েল কুমার (২৮), শারফুল (৩০), মনির (৩২), বাবুল (৩৬), মানিক (৫৬) এবং জাকির (৩০)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাগলা থানার ওসি (তদন্ত) সজীব রহমান।

তিনি বলেন , ভিকটিম বিধবা নারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা। তিনি ভালুকা পৌর শহরের মেজরভিটা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। ওই নারীর সঙ্গে কাজা গ্রামের সজীব ও হানিফার পূর্ব পরিচয় ছিল। ঘটনার ওইদিন ওই নারী সজীবের কাছে পাওনা ২০ হাজার টাকা ফেরতের জন্য তাগাদা দিলে সজীব তাকে রাতে ফোন করে আসতে বলেন। পরে ওই নারী রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাজা গ্রামে যান। কাজা গ্রামের একটি ধানক্ষেতে নিয়ে ওই বিধবা নারীকে সজীব ও তার বন্ধুরা গণধর্ষণ করে অজ্ঞান করে ফেলে রেখে চলে যায়। রাত ২টার দিকে ওই নারীর জ্ঞান ফিরলে সে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। পরে পুলিশ ওই নারীকে রাত ৩টার দিকে কাজা গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করে। ওই নারী পুলিশকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা জানালে পুলিশ প্রথমে সজীবকে গ্রেপ্তার করে। সজীবের স্বীকারোক্তিতে অভিযান চালিয়ে রাতেই অভিযুক্ত আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ১০ জনকে শনাক্ত করেছে ভিকটিম। আদালতের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

ময়মনসিংহ

কুকুরের পালের আক্রমণে প্রাণ গেলো যুবকের

Published

on

কুকুর

ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে কুকুরের পালের আক্রমণে ইজাজুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৯ মে) ভোরে ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চারানিপাড়া নদীর পাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ইজাজুল ইসলাম উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের মৃত সমির উদ্দিনের ছেলে।

নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ইজাজুল ইসলামের মা-বাবা কেউ নেই। তিনি বিয়ে করেননি। পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চারানিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে ব্যবসা করতেন তিনি। নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন ইজাজুল।

রোববার ভোরে ভাড়া বাসা থেকে নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কুকুরের পাল তাকে একা পেয়ে কামড়ে নাড়ি-ভুড়ি বের করে ফেলে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশ কামড়ে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। এ সময় এক নারী টের পেয়ে লাঠি নিয়ে তাড়া করলে কুকুরের পাল চলে যায়। পরে ওই নারী আশপাশের লোকজনকে ডাকাডাকি করে নিয়ে আসার আগেই ইজাজুল মারা যান।

Advertisement

এসআই মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ময়মনসিংহ

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে ভোগান্তির অভিযোগ, তোপের মুখে বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা

Published

on

ময়মনসিংহ-প্রিপেইড-মিটারে-সমস্যা

ময়মনসিংহ জেলার বর্তমান সার্বিক বিদ‍্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রিপেইড মিটার নিয়ে সীমাহীন ভোগান্তি ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা।

এ সময় উপস্থিত গ্রাহকসহ সামাজিক ও নাগরিক সংগঠনের নেতারা প্রিপেইড মিটারে হয়রানি ও বিদ‍্যুৎ কর্মচারীদের ঘুম বাণিজ্যের কঠোর সমালোচনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

বুধবার (১৫ মে) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে টানা দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশীজনরা এই অভিযোগ করেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।

এ সময় প্রিপেইড মিটার নিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি ও অসন্তুষ্টি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন- ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়, জনউদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু, সিপিবির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত, নাগরিক আন্দোলনের নেতা অ্যাডভোকেট শিব্বির আহমেদ লিটন, সাংবাদিক নিয়ামুল কবীর সজল, নারীনেত্রী সৈয়দা সেলিমা আজাদ, সুজন সম্পাদক আলী ইউসুফ, রাইস মিল সমিতির সভাপতি লিলুর রহমান, শিক্ষক আনোয়ারুল কবীর প্রমুখ।

Advertisement

সভায় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রিপেইড মিটার গ্রাহকদের ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলেছে। স্মার্ট মিটারের নামে হয়রানি সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে টাকা লোড করতে গ্রাহককে ২০ থেকে ৩২০টি ডিজিট চাপতে হয়। একাধিকবার ভুল হলে লক হয়ে যায় মিটার। একই সঙ্গে টাকা লোড করার সঙ্গে সঙ্গে কেটে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত বিল।

এছাড়াও বিদ‍্যুৎ জটিলতার কোনো কাজে কর্মচারীদের ডেকে নিলেও টাকা না দিলে তারা কাজ করে না। এটা এখন প্রকাশ্য ঘুষে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় প্রিপেইড মিটার সহজীকরণ করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও নাগরিক নেতারা।

পরে গ্রাহকের নানা অভিযোগের জবাব দেন পিডিবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসীম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-২) ইঞ্জিনিয়ার ইন্দ্রজিত দেবনাথ ও নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিক্রয় বিভাগ-২) ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত রায়।

তারা বলেন, প্রিপেইড মিটার জনগণের কল্যাণে স্থাপন করা হচ্ছে। এটি সরকারের প্রকল্প। প্রিপেইড মিটারে টাকা লোড দিতে বাটন চাপাচাপি নিয়ে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বলে আমরা স্বীকার করছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়াও লোড কম-বেশি নিয়ে কর্মকর্তারা জানান, গরমকালে গ্রাহকের লোড বেশি হলে (৩ কিলোওয়াট থেকে ৮ কিলোওয়াট) আবেদনের মাধ্যমে শীত মৌসুমে লোড কমানোর সুযোগ রয়েছে। প্রিপেইড মিটারে একজন গ্রাহক যখন যেমন লোড চাইবেন, তখন তাই পাবেন। আর সে অনুযায়ী প্রতি কিলোওয়াটে ৪২ টাকা কেটে যাবে। এছাড়াও প্রতিমাসে মিটার ভাড়া ৪০ টাকা এবং ১০ ভাগ ভ্যাট কেটে নেওয়ার পাশাপাশি গ্রাহক শ্রেণী অনুযায়ী বিদ্যুতের বিল কেটে নেওয়া হবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ফর ডিস্ট্রিবিউশন এর আওতায় ময়মনসিংহ এক লাখ ১৮ হাজার ৫৪০টি পোস্ট-পেইড মিটারকে প্রিপেইড মিটারে রূপান্তর প্রক্রিয়ায় এই হয়রানি ও ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দুর্ঘটনা

পুকুরে নেমে প্রাণ গেলো জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর

Published

on

জামালপুরের বকশীগঞ্জে ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে এসে পুকুরে গোসল করতে নেমে রিফাত মিয়া (১৬) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে রিফাত। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহযোগিতায় ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরের পুকুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রিফাত মিয়া শেরপুর সদর উপজেলার দিঘারপাড় এলাকার আব্দুল হালিম সরকারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রিফাত মিয়া এবছর শেরপুর ভিক্টোরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। সে দুই দিন আগে তার বড় ভাই বকশীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক লাভলু মিয়ার বাসায় বেড়াতে আসে। পরে চার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরের পুকুরে গোসল করতে নামে রিফাত। এক পর্যায়ে পানিতে ডুব দিয়ে আর না উঠলে তার বন্ধুরা খুঁজতে থাকে। পরে তারা চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসেন।

বকশীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ তুহিনুল হক গণমাধ্যমে বলেন, আমরা অনেক চেষ্টায়ও উদ্ধার করতে পারিনি। পরে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহযোগিতায় দুই ঘণ্টা পর রিফাত মিয়াকে উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান, পুকুরের পানিতে ডুবে শিক্ষার্থী রিফাতের মৃত্যুর ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত