Connect with us

ইসলাম

সন্তানের জন্য প্রথম শিক্ষাগুলো কী?

Published

on

মহান আল্লাহর সবচেয়ে বড় নেয়ামত হলো সন্তান-সন্তুতি। আবার বাবা-মায়ের জন্য এক রকম মহাপরীক্ষা। তাই এ নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে সন্তানকে প্রথমেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও করণীয় বোঝাতে হবে। আর সন্তানকে প্রথম থেকে কী শেখাতে হবে, কুরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ তা সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। 

চলুন দেখে নিই সন্তানের জন্য প্রথম শিক্ষাগুলো কী যা বাবা-মাকে দিতে হবে…

মহান আল্লাহ তাআলার দেয়া ধন-সম্পদের মধ্যে সন্তান-সন্তুতি অন্যতম। তাদের মাধ্যমেও আল্লাহ তাআলা বাবা-মাকে পরীক্ষা করবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-

وَاعْلَمُواْ أَنَّمَا أَمْوَالُكُمْ وَأَوْلاَدُكُمْ فِتْنَةٌ وَأَنَّ اللّهَ عِندَهُ أَجْرٌ عَظِيمٌ

অর্থ: ‘আর জেনে রাখ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি অকল্যাণের সম্মুখীনকারী (মহা পরীক্ষা)। বস্তুতঃ আল্লাহর কাছে রয়েছে মহাসাওয়াব।’ (সুরা আনফাল : আয়াত ২৮)

Advertisement

১. শিরকমুক্ত ইবাদতের কথা বলতে হবে

সন্তানকে প্রথমেই এ কথা শেখাতে হবে যে, আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা যাবে না। হজরত লোকমান যেমনটি তাঁর সন্তানকে বলেছিলেন। কেননা শিরক সবচেয়ে বড় জুলুম। আল্লাহ তাআলা সে কথা কুরআনে এভাবে তুলে ধরেছেন-

وَإِذْ قَالَ لُقْمَانُ لِابْنِهِ وَهُوَ يَعِظُهُ يَا بُنَيَّ لَا تُشْرِكْ بِاللَّهِ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ

যখন লোকমান উপদেশচ্ছলে তার পুত্রকে বললঃ হে বৎস, আল্লাহর সাথে শরীক করো না। নিশ্চয় আল্লাহর সাথে শরীক করা মহা অন্যায়।’ (সুরা লোকমান : আয়াত ১৩)

২. আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বাড়াতে হবে

Advertisement

হজরত লোকমান তার সন্তানকে মহান আল্লাহর ইলম ও কুদরতের ব্যঅপকতা এবং অতিসুক্ষ্ম বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। আল্লাহর প্রতি সব গোপন-প্রকাশ্য গোনাহ, অবিশ্বাস থেকে মুক্ত থাকতে হবে। মানুষের বিশ্বাস যেন দৃঢ় হয়, সে বিষয়ে মহান আল্লাহ বলেন-

يَا بُنَيَّ إِنَّهَا إِن تَكُ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ فَتَكُن فِي صَخْرَةٍ أَوْ فِي السَّمَاوَاتِ أَوْ فِي الْأَرْضِ يَأْتِ بِهَا اللَّهُ إِنَّ اللَّهَ لَطِيفٌ خَبِيرٌ

অর্থ: ‘হে সন্তান! কোনো বস্তু যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয়; অতঃপর তা যদি থাকে প্রস্তর ভেতরে অথবা আকাশে অথবা ভূ-গর্ভে; তবে আল্লাহ তাও উপস্থিত করবেন (আল্লাহর প্রতি এমন বিশ্বাস স্থাপন করা)। নিশ্চয়ই আল্লাহ গোপন ভেদ জানেন, সবকিছুর খবর রাখেন।’ (সুরা লুকমান : আয়াত ১৬)

৩. কৈশোর থেকে ৬ জিনিসের শিক্ষা দেয়া

নামাজের শিক্ষা।
মানুষকে ভালো বলার শিক্ষা।
অন্যায় করা থেকে নিষেধ করা।

এক্ষেত্রে সবর কর। প্রথম তিনটি কাজ করতে গিয়ে যে বিপদই আসুক না কেন, ধৈর্যের সঙ্গে তা মোকাবেলা করা। কেননা এসব বিষয়ে মহান আল্লাহ বলেছেন-

Advertisement

يَا بُنَيَّ أَقِمِ الصَّلَاةَ وَأْمُرْ بِالْمَعْرُوفِ وَانْهَ عَنِ الْمُنكَرِ وَاصْبِرْ عَلَى مَا أَصَابَكَ إِنَّ ذَلِكَ مِنْ عَزْمِ الْأُمُورِ

অর্থ: হে সন্তান! নামাজ প্রতিষ্ঠা কর; সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং (এসব বাস্তবায়নে বিপদ আসলে) বিপদাপদে সবর কর। নিশ্চয়ই এটা সাহসিকতার কাজ।’ (সুরা লুকমান : আয়াত ১৭)

অহংকার ও গর্ব না করার শিক্ষা
মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা শেখানো

এ ৬ কাজের সমন্বয় সন্তানকে সত্যিকারের মানুষে পরিণত করবে। সে কারণেই প্রথম কাজ হচ্ছে- নামাজ প্রতিষ্ঠা করা। অনেকের এমন সন্তান রয়েছে; যারা নামাজ পড়ে না। এ জন্য ওই সন্তানের ব্যাপারে মহান আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

নামাজের শিক্ষা

Advertisement

এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সব ঈমানদারের প্রতি সন্তানের ব্যাপারে প্রথমে দুইটি নির্দেশ করেছেন। একটি হলো- নামাজ; আর দ্বিতীয়টি হলো- পর্দা। হাদিসে এসেছে-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তান-সন্ততিদের নামাজ আদায় করতে আদেশ করবে; যখন তারা ৭ বছর বয়সে পৌঁছবে। আর নামাজের জন্য তাদেরকে শাসন করবে; যখন তারা ১০ বছর বয়সে পৌঁছবে। আর তখন তাদের জন্য আলাদা বিছানা বা শয্যার ব্যবস্থা করবে।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)

নামাজ শেখানোয় বাবা-মার করণীয়

সন্তানকে ৭ বছরে নামাজ পড়াতে হলে ৫ বছর থেকেই কুরআন শেখানোর চেষ্টা করতে হবে। চেষ্টা থাকলে ২ বছরে নামাজের জন্য প্রয়োজনীয় সুরা ও নামাজের নিয়মে অভ্যস্ত করানোও হবে সহজ। আর ৭ বছর বয়সে সন্তান নামাজের প্রতি আগ্রহী হবে। যদি ৭ বছর বয়সে এসে নামাজের নিয়ম ও সুরা শেখা না হয়; তবে সে নামাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। সুতরাং বাবা-মার করণীয় হচ্ছে ৫ বছর থেকেই তাকে সঙ্গে রেখে নামাজের নিয়ম ও সুরা শেখানোর চেষ্টা করা।

মনে রাখতে হবে

Advertisement

যে ছেলে-মেয়ের বয়স ১০ বছর কিংবা ১১/১২ বছর; নামাজ ফরজ হোক আর না হোক; ওই ছেলে-মেয়ে যদি নামাজ না পড়ে আর তা বাবা-মার জানা থাকে তবে বাবা-মার আমলনামায় নামাজ কাজা করার গোনাহ হবে।

দুঃখজনক হলেও সত্য

অনেক বাবা-মা নামাজ পড়ে। তাহাজ্জুদ পড়েন। কিন্তু ছেলে-মেয়ের নামাজ পড়ার কোনো খবর নেই কিংবা তারা নামাজ পড়ে কিনা সেই তদারকি নেই। এটি বাবা-মার জন্য মারাত্মক গোনাহের কাজ। শুধু এ জবাবদিহিতার কাজ না করার জন্য আল্লাহর কাছে ধরা পড়তে হবে।

এমনটি যেন না হয়

সংসার, সমাজ ও দেশ নিয়ে কাজ করায় কোনো সমস্যা নেই। অথচ নিজ পরিবার ও সন্তান নামাজ আদায় করল কিনা কিংবা পর্দা মেনে চলল কিনা; সেই ব্যাপারে খোঁজ-খবর রাখার সুযোগ হলো না। এমনটি যেন কোনোভাবেই না হয়।

Advertisement

সর্বোপরি

যাদের সন্তান বড় হয়ে গেছে, তাদের জন্যও অবশ্যই কুরআন শেখানোর এবং নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই আল্লাহর আদালতে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মানুষকে ভালো ও মন্দের শিক্ষা

সৎকাজের আদেশ দেয়া এবং অসৎকাজে বাধা দেওয়ার শিক্ষা দিতে হবে। হজরত লোকমান নিজ সন্তানকে নামাজের পরই এ বিষয়ে নসিহত করেছেন। অতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কেউ অন্যায় করছে, তাতে মুখ বুঝে নিরব থাকার কোনো সুযোগ নেই। অন্যায় কাজের প্রতিবাদ না করা ঈমানহীনতার শামিল।

বিপদে ধৈর্যধারণের শিক্ষা

Advertisement

নামাজ পড়া, পর্দা করা, সৎকাজ ও অসৎকাজের প্রতি দায়িত্বশীল হতে গিয়ে যদি কেউ বিপদের সম্মুখীন হয় তাকে ধৈর্যধারণ করার শিক্ষা দিতে হবে। তবেই কৈশোর থেকে ধৈর্যশীল ও সাহসী হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে।

অহংকার ও গর্ব না করার শিক্ষা

কোনোভাবেই কৈশোরে অহংকার ও গর্বের বিষয়ে অবগত করাতে হবে। এগুলো করা যাবে না। কেননা মহান আল্লাহ বলেন-

وَلَا تُصَعِّرْ خَدَّكَ لِلنَّاسِ وَلَا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحًا إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ

অর্থ: অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা লোকমান : আয়াত ১৮)

Advertisement

মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা শেখানো

দম্ভভরে জমিনে চলাফেরা করা যাবে না। যে কোনো বিষয়ে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করার বিষয়টি শেখাতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন-

وَاقْصِدْ فِي مَشْيِكَ وَاغْضُضْ مِن صَوْتِكَ إِنَّ أَنكَرَ الْأَصْوَاتِ لَصَوْتُ الْحَمِيرِ

অর্থ: ‘পদচারণায় মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর এবং কন্ঠস্বর নীচু কর। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।’ (সুরা লোকমান : আয়াত ১৯)

৪. বাবা-মার প্রতি দায়িত্ববোধ শেখাতে হবে

Advertisement

সন্তানের প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালনকারী বাবা-মার জন্য করণীয় ও দায়িত্ববোধ শেখাতে হবে। বাবা-মার সঙ্গে আচরণ কেমন হবে। এ সম্পর্কে কুরআনুল কারিমের একাধিক স্থানে মহান আল্লাহ এ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এভাবে-

وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ وَهْنًا عَلَى وَهْنٍ وَفِصَالُهُ فِي عَامَيْنِ أَنِ اشْكُرْ لِي وَلِوَالِدَيْكَ إِلَيَّ الْمَصِيرُ

অর্থ: ‘আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দুই বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই কাছে ফিরে আসতে হবে।’ (সুরা লোকমান : আয়াত ১৪)

অন্য আয়াতে শিরকমুক্ত হয়ে আল্লাহর ইবাদতের সঙ্গে সঙ্গে সন্তানের দায়িত্ববোধ কী হবে, তা তুলে ধরেছেন এভাবে বলেন শিরকমুক্ত থেকে বাবা-মার প্রতি দায়িত্ব পালনে মহান আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন-

وَاعْبُدُواْ اللّهَ وَلاَ تُشْرِكُواْ بِهِ شَيْئًا وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا وَبِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَالْجَارِ ذِي الْقُرْبَى وَالْجَارِ الْجُنُبِ وَالصَّاحِبِ بِالجَنبِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ إِنَّ اللّهَ لاَ يُحِبُّ مَن كَانَ مُخْتَالاً فَخُورًا

Advertisement

অর্থ: ‘আর ইবাদত কর আল্লাহর, তার সঙ্গে কাউকে শরিক করো না। বাবা-মার সঙ্গে সৎ ও সদয় ব্যবহার কর এবং নিকটাত্নীয়, ইয়াতিম-মিসকিন , প্রতিবেশী, অসহায় মুসাফির এবং নিজের দাস-দাসীর প্রতিও। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না দাম্ভিক-গর্ বিতজনকে।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৩৬)

৫. সন্তান-সন্তুতি ও পরিবারের জন্য দোয়া করা

আল্লাহর কাছে নিজ নিজ সন্তান-সন্তুতির জন্য এভাবে বেশি বেশি দোয়া করার বিকল্প নেই। যেমনটি মহান আল্লাহ তাআলা শিখিয়েছেন-

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا

উচ্চারণ : ‘রাব্বানা হাবলানা আযওয়াঝিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুর্রাতা আইয়ুনিও ওয়াঝআলনা লিল-মুত্তাক্বিনা ইমামা।’

Advertisement

অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের স্ত্রীর পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদের মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর।’ (সুরা ফুরকান : আয়াত ৭৪)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি পরিবারের দায়িত্বশীল বাবা-মাকে নিজ নিজ সন্তানের প্রতি কুরআনের দিক-নির্দেশনা ও শিক্ষাগুলো যথাযথভাবে শেখানোর তাওফিক দান করুন। আমিন। 

সংগৃহীত

এস

Advertisement
Advertisement

ইসলাম

ঈদুল আযহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

Published

on

পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে সৌদি আরবের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। নিয়ম অনুযায়ী ঈদুল ফিতরের ঠিক দুই মাস ১০ দিন পর ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পালনের নিয়ম।

বিবিসি জানিয়েছে, সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি বছরের ১০ জিলহজ বা ১৬ জুন (রোববার)।

বাংলাদেশ সাধারণত সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে একদিন পর ঈদ উদযাপন করে থাকে। সেই হিসেবে বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ উদযাপন হতে পারে জুন মাসের ১৭ তারিখ। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইসলাম

যেসব মুসলিম দেশে আজ উদযাপিত হচ্ছে ঈদ

Published

on

ঈদুল আজহা

পবিত্র রমজান শেষে  বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ  মুসলমানরা পালন করছেন পবিত্র ঈদ উল ফিতর। চলুন জেনে নেয়া যাক যেসব দেশে ১০ এপ্রিল  ঈদ পালিত হচ্ছে।

 

ইন্দোনেশিয়া: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ২৯টি

মালয়েশিয়া: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ২৯টি

পাকিস্তান: ১০ এপ্রিল, বুধবার,, রোজা ২৯টি

Advertisement

আফগানিস্তান: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ২৯টি

আরব আমিরাত: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ৩০ টি

কাতার: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ৩০টি

সৌদি আরব: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ৩০টি

ইয়েমেন: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ৩০টি

Advertisement

ফিলিস্তিন: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ৩০টি

ওমান: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ২৯ টি

জর্দান: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ২৯টি

মিশর: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ৩০টি

তিউনিসিয়া: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ৩০টি

Advertisement

আলজেরিয়া: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ৩০টি

মরক্কো: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ২৯টি

এছাড়া বাংলাদেশ  ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ঈদ পালিত হবে। সে অনুযায়ী এ বছর  ৩০টি রোজা রাখছেন বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইসলাম

ঢাকার পান্থপথেও ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত

Published

on

রাজধানীর পান্থপথে উদ্‌যাপিত হচ্ছে ঈদ। একটি কনভেনশন সেন্টারসহ বেশ কিছু জায়গাতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লির একাংশ। এছাড়াও চাঁদপুর, দিনাজপুর, মৌলভীবাজার ও বরিশালের বেশ কয়েকটি স্থানে ঈদের নামাজ আদায়ের কথা জানা গেছে।

জাতীয়ভাবে বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) নির্ধারিত হলেও দেশের কিছু জায়গায় বুধবার (১০ এপ্রিল) উদ্‌যাপিত হচ্ছে ঈদ। বহু বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি ইসলামিক দেশের সঙ্গে মিল রেখে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি অংশ ঈদ জামাতে অংশ নেন।

সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর পান্থপথের একটি কনভেনশন সেন্টারে শিশু ও নারীসহ মুসল্লিরা জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ভাগাভাগি করে নেন ঈদ আনন্দ। এ ঈদ উদ্‌যাপনে অংশ নেন দেশে অবস্থানরত বিদেশি মুসলিমরাও।

নামাজ পড়তে আসা কয়েকজন জানান, চাঁদ দেখে রোজা রাখো, চাঁদ দেখে ঈদ করো; সারা পৃথিবীতে ঈদ হচ্ছে সে হিসেবে আমরাও পালন করছি। এর আগেও ঈদ পালন করেছি।

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বুধবার (১০ এপ্রিল) উদযাপন করা হচ্ছে মুসলিমদের অন্যতম বৃহৎ উৎসব ঈদুল ফিতর। এসব দেশের মুসল্লিরা বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করছেন। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রোজা ৩০টি হলেও মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় এবার রোজা হয়েছে ২৯টি। এ বছর দেশ দুটিতে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছিল গত ১২ মার্চ। সে হিসেবে মঙ্গলবার এই দুটি দেশে রমজানের ২৯তম দিন ছিল।

Advertisement

সোমবার সৌদি আরবে পবিত্র শাওয়াল মাসের তথা ঈদের চাঁদ দেখার চেষ্টা করেও দেখা যায়নি। এ কারণে মঙ্গলবারও (৯ এপ্রিল) রোজা রাখেন দেশটির মুসলমানরা। যার ফলে ৩০টি রোজা পূর্ণ করেই আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন তারা। ৩০ রোজা পূর্ণ হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, ইয়েমেন, ইরাক, লেবানন, সিরিয়া, বাহরাইন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনেও। সৌদি আরবের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছে এ দেশগুলো।

বিশ্বে সবার আগে এই বছরের ঈদুল ফিতরের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বুধবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে দেশটির মুসলিমরা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, তুরস্ক, ইরানও বুধবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। ইউরোপ ও আমেরিকার অন্য দেশগুলোতেও ঈদ বুধবার।

ভারতের তিনটি রাজ্যে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। যদিও দেশটির রাজধানী দিল্লিসহ বেশিরভাগ অঞ্চলে চাঁদ দেখা যায়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ এবং কেরালায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে এসব অঞ্চলে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আর যে সব অঞ্চলে মঙ্গলবার চাঁদ দেখা যায়নি সেখানে ঈদ পালিত হবে বৃহস্পতিবার।

মঙ্গলবার দিল্লির জামে মসজিদের ইমামরা এবং ফতেহপুর মসজিদ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয়, যেহেতু চাঁদ দেখা যায়নি ফলে বৃহস্পতিবার ঈদ পালিত হবে।

Advertisement

এদিকে দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম অধ্যুষ্যিত দেশ পাকিস্তানেও মঙ্গলবার পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের পশ্চিম আকাশে চাঁদের দেখা মেলে। ফলে বুধবার দেশটিতে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।

পাকিস্তানে ও ভারতের কিছু অঞ্চলের শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলেও বাংলাদেশে দেখা যায়নি। ফলে বাংলাদেশের মুসল্লিরা এবার ৩০টি রোজা পালন করছেন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত