Connect with us

রংপুর

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

Avatar of author

Published

on

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিমফুলমতি গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন গার্মেন্টসে চাকুরীরত এক প্রেমিকা।

প্রেমিক সোহেল রানা ওই এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকাল থেকে প্রেমিক সোহেল রানার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। প্রেমিকা আসার খবর ওই এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার থেকে আজ বরিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত তাকে এক নজর দেখতে প্রেমিক সোহেল রানার বাড়িতে ভিড় জমায় অনেকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: হাছেন আলী।

বিয়ের দাবিতে অনশনে থাকা ওই প্রেমিকা জানান, ঢাকা জামগড়া এলাকায় গার্মেন্টসে চাকুরী করার সময় পরিচয় হয় তাদের। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারিরিক সম্পর্কও গড়ে ওঠে। প্রেমিক সোহেল তাকে বিয়ে করার কথা বলে গত এক সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে তার বাড়ির পাশে বোনের বাড়িতে নিয়ে আসে। বোনের বাড়িতে কয়েকদিন থেকে সোহেল তার প্রেমিকাকে তার নিজ বাড়িতে রেখে আসে। পরে বিষয়টি দুই পরিবারে জানাজানি হলে তাদের বিয়ে প্রেমিকার বাড়ির লোকজন রাজি হলেও প্রেমিকের পরিবারের লোকজন বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান। এদিকে প্রেমিক সোহেল রানার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় প্রেমিকা হতাশ হয়ে পড়েন। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেছেন। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত ওই প্রেমিকা প্রেমিকের বাড়িতে আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানান।

এদিকে পলাতক থাকায় এ নিয়ে সোহেল রানার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সোহেলের মা সুফিয়া বেগম বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক হয়নি।

Advertisement

এ বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুর রহমান জানান, গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পারি। এ নিয়ে ওই প্রেমিকার পরিবার থেকে এখনো থানায় কোনও অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

রংপুর

‘স্বর্ণের খোঁজ মেলা’ সেই ইটভাটায় ১৪৪ ধারা জারি

Published

on

ইটভাটা

গেলো কয়েক দিন ধরে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের কাতিহার গ্রামে আরবিবি ইটভাটায় স্বর্ণের খোঁজে জেলার কয়েক হাজার মানুষ দিনরাত মাটি খুঁড়ছিলেন। প্রশাসন নিরাপত্তা ঝুঁকি চিন্তা করে সেই ইটভাটায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে।

শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রকিবুল হাসান এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ তথ্য জানান। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে তা কার্যকর হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাণীশংকৈল থানার ৫ নম্বর বাচোর ইউনিয়নের অন্তর্গত কাতিহার বাজারের উত্তর পার্শ্বে রাজোর গ্রামে মো. রুহুল আমিনের মালিকানাধীন আরবিবি ইটভাটায় মাটির স্তূপ খুঁড়ে সোনা পাওয়া যাচ্ছে। এমন খবরে স্থানীয় লোকজনসহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গার অসংখ্য মানুষ বেশ কিছুদিন ধরে খুন্তি, কোদাল ইত্যাদি দিয়ে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে। প্রতিদিন সেই স্থানে তারা স্বর্ণের সন্ধান করছে। ফলে আগ্রাসী লোকজন স্বর্ণ পাওয়ার আশায় ঝগড়া-বিবাদ, কলহ ও দ্বন্দ্বে লিপ্ত হচ্ছে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিন জনগণ মাটি খুঁড়ে স্বর্ণের সন্ধান করতে থাকলে যেকোনো সময় ঘটনাস্থলে মারামারি, খুন, জখমসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সেই স্থানে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইটভাটা এলাকা ও এর আশপাশে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কাতিহার সামুরাই মন্দিরের পাশ থেকে মাটি খনন করে ইটভাটায় স্তূপ করা হয়েছে। গুজব উঠেছে ওই মাটির স্তূপ থেকে স্বর্ণের জিনিস পাওয়া গেছে। এরপর থেকেই সাধারণ মানুষ দিনরাত ওই মাটির স্তূপ খনন করে বাছাই শুরু করেছে। তবে কেউ স্বর্ণের কোনো অংশ পেয়েছে, এমন খবর পাওয়া যায়নি।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট বড় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল ছোট ভাইয়েরও

Published

on

ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। মৃত দুই ভাইয়ের নাম তমিজ উদ্দিন (৫০) ও রবিউল ইসলাম (৪৫)।

শুক্রবার (২৫ মে) রাতে উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের বর্মতোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ভানোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, দিনভর ভুট্টা ভাঙার কাজ শেষে রাতে নিজ বাড়িতে তমিজ উদ্দিন ফ্যানের বৈদ্যুতিক তারের লিকেজ পলিথিন দিয়ে ঠিক করছিলেন। এ সময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে ছোট ভাই রবিউল ইসলামও বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।

ভানোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মামুন বলেন, ৫ ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই তিন বছর আগে মারা গেছেন। দুই ভাই ঢাকায় চাকরি করেন ও দুই ভাই এলাকায় কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। মারা যাওয়া দুই ভাইয়ের সাত সন্তান থাকলেও সবাই নাবালক। দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ওসি ফিরোজ কবির বলেন, অপমৃত্যুর ডায়রি হয়েছে। এভাবে মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

গাইবান্ধায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

Published

on

শিশু

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত সাদিয়া আকতার (৭) মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের স্বাধীন মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের আরজি শাহপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কোচাশহর ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, আজ দুপুরে বাড়ির উঠানে খেলা করছিল সাদিয়া। খেলতে খেলতে হঠাৎ করে বাড়ির পাশে অসাবধানতায় পানি ভর্তি একটি ডোবায় পড়ে যায়। স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজির পর ডোবায় শিশুকে ভাসতে দেখেন। সেখান থেকে তারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত