আন্তর্জাতিক
ইরানের সাবেক উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগে ইরানের সাবেক উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলীরেজা আকবারির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তবে কখন তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আকবরীর স্ত্রী মরিয়ম জানিয়েছেন, গেলো বুধবার (১১ জানুয়ারি) কর্তৃপক্ষ আলিরেজার সঙ্গে শেষ দেখা করার জন্য পরিবারকে কারাগারে যেতে বলেছে। তাকে নির্জন কারাকক্ষে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সিএনএন’র এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইরানের বিচার বিভাগের বার্তা সংস্থা মিজান নিউজ বুধবার (১১ জানুয়ারি) জানিয়েছে, নিম্ন আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছে ইরানের সুপ্রিম কোর্ট। আকবারি অতীতে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর উচ্চ সরকারি পদে দায়িত্ব পালন করায় তার বিচার প্রক্রিয়ায় গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখার পর বুধবার ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে মামলার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আকবারি একজন প্রভাবশালী গুপ্তচর হিসেবে ইরানের স্পর্শকাতর ও কৌশলগত কেন্দ্রগুলোতে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি করেন। দীর্ঘ সময় ধরে কয়েক স্তরের তদন্ত প্রক্রিয়া শেষে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়ায় ‘কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স’ এবং ‘ধোঁকা দেয়ার কৌশল’ প্রয়োগ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, আকবারির বিরুদ্ধে ফাঁদ পেতে রাখার পর বহুবার তিনি ইরানের স্পর্শকাতর বিভিন্ন সরকারি সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য ‘ইরানের শত্রু দেশের’ গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দেন।
গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, আকবারি একবার তেহরানস্থ ব্রিটিশ দূতাবাসে ভিসা সংগ্রহ করার কূটনৈতিক মিশনে গিয়ে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া, তিনি ইরানের সরকারি দায়িত্বে একাধিকবার ইউরোপ সফরে গিয়ে এমআই৬-এর ‘পূর্ণ মাত্রার কর্মচারী’ হিসেবে কাজ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, আকবারির অগোচরেই ইরানের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স বাহিনী একাধিকবার তার সঙ্গে এমআই৬-এর যোগাযোগ ব্যবস্থায় ঢুকে পড়ে এবং এ সময় তাকে পাতানো তথ্য সরবরাহ করা হয়। এসব তথ্য-প্রমাণ হস্তগত হওয়ার পর আদালতের নির্দেশে সাবেক এই উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, যদিও কুচক্রি বিটিশ সরকার আকবারির ব্যক্তিগত দুর্বলতার সুযোগে তাকে নিয়োগ দিয়েছিল কিন্তু তারা নিশ্চিতভাবে একথা জানতে পারেনি যে, তারা আকবারির কাছ থেকে যেসব তথ্য পেয়েছে তার কতটুকু সঠিক আর কতটুকু সাজানো।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম টেলিগ্রাফের বরাত দিয়ে ইরানের ইংরেজি নিউজ চ্যানেল প্রেসটিভি জানিয়েছে, আলীরেজা আকবারির মৃত্যুদণ্ড সম্পর্কে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তারা ইরানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। আকবারির আশু মুক্তি কামনা করে এ বিষয়ে আলাপ করার জন্য তেহরানের কাছে কনস্যুলার সুবিধার আবেদন জানিয়েছেন।
ইরানে ব্রিটিশ সরকারের গুপ্তচরবৃত্তি করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৫৩ সালে ইরানে এক সাজানো অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মোহাম্মাদ মোসাদ্দেক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার কাজে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল।
আন্তর্জাতিক
সৌদির মাটিতে প্রথমবার বিকিনি পরে র্যাম্পে হাঁটলেন মডেলরা
সৌদি আরবে মহিলাদের পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে বিধিনিষেধ উঠে যাচ্ছে ধাপে ধাপে। এ বছর প্রথম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীতায় সৌদির ২৭ বছরের মডেল রুমি আলকাহতানি বোরখা খুলে বিকিনি পরে র্যাম্পে হেঁটেছিলেন। সেই আবহেই এ বার এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হল গোটা বিশ্ব। এই প্রথম সেই দেশে স্নানপোশাক পরে ফ্যাশন শোয়ে হাঁটলেন মডেলরা।
শুক্রবার সৌদিতে রেড সি ফ্যাশন উইকের দ্বিতীয় দিন ছিল, আর সেখানেই কার্যত বিপ্লব ঘটে গেছে। সেন্ট রেজিস রেড সি রিসর্টের সুইমিং পুলের ধারে আয়োজিত হয়েছিল সেই ফ্যাশন শোটি। সেই শোয়ের ভিডিও এখন সমাজমাধ্যমে ভাইরাল।
এতে দেখা যাচ্ছে, মরক্কোর পোশাকশিল্পী ইয়াসমিনা কাঞ্জলের তৈরি রংবেরঙের স্নানপোশাকে একে একে হেঁটে চলেছেন সুন্দরী মডেলরা। মডেলদের কারও কাঁধ ছিল উন্মুক্ত, কারও বক্ষখাঁজ স্পষ্ট, কেউ কেউ আবার নিম্নাঙ্গে সারং বেঁধেছিলেন। স্নানপোশাক পরলেও, অনেক মডেলই ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন মাথা ঢেকে। খানিকটা হিজাবের মতো করেই মাথায় স্কার্ফ বাঁধতে দেখা গেল তাদের।
সৌদির মাটিতে প্রথম বার বিকিনি পরিয়ে মডেলদের হাঁটানো নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ইয়াসমিনাও। সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘সৌদি আরব নিঃসন্দে অত্যন্ত রক্ষণশীল একটি দেশ। এই দেশে পা রেখেই বুঝেছিলাম বিকিনি ফ্যাশন শোয়ের দিনটি এই দেশের ইতিহাসে লেখা হবে। রক্ষণশীল সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখেই আমরা রুচিশীল স্নানপোশাকগুলি নকশা করেছি। এই ফ্যাশন শোয়ে অংশ নিতে পেরে সম্মানিত।’’
কেএস/
আন্তর্জাতিক
চীনের ২৬টি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র
উইঘুর ইস্যুতে চীনের ২৬টি টেক্সটাইল কোম্পানির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ওয়্যারহাউজ ফ্যাসিলিটি থেকে আর চীনের তুলা আমদানি করবে না দেশটি।
শনিবার (১৮ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে হোয়াইট হাউস এসব কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, চীনের উইঘুর সংখ্যালঘুদের দিয়ে জোর করে পণ্য তৈরি করায় চীন। ওই সব পণ্য নিজেদের সরবরাহ চেইন থেকে সরাতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে চীনের টেলিকম সরঞ্জাম ও বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার নিষেধাজ্ঞা দিল টেক্সটাইল খাতের ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদেন বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট এনটিটি লিস্টে এবার চীনের ২৬টি কোম্পানিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে এসব কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
এর আগেও ওয়াশিংটন বলেছে, চীনা কর্তৃপক্ষ জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জন্য শ্রম শিবির স্থাপন করেছে। তবে বেইজিং বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এদিকে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করবে। চীনের উন্নয়নের গতি রোধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের এটি একটি কৌশলমাত্র।
২০২১ সালে উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট এনটিটি লিস্ট পাস করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে ওয়াশিংটন এখন পর্যন্ত ৬৫টি চীনা প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করেছে।
আন্তর্জাতিক
দুই বোনকে গলা টিপে মেরে ফেললো কিশোরী, কারণ জানলে অবাক হবেন
ক্রমেই বড় হয়ে চলেছে পরিবার। স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তানকে নিয়ে কী ভাবে ভাল ভাবে দিন কাটাবেন, তা নিয়েই সর্বদা চিন্তায় থাকতেন সহদেব। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তার দুই নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তারপরেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রথমে জানতে পারে যে, কোনও দুই অচেনা ব্যক্তি ঘরের ভিতর ঢুকে সহদেবের দুই কন্যাকে খুন করেছেন। কিন্তু তদন্ত এগিয়ে চললে জানা যায়, দুই নাবালিকাকে খুন করেছে তাদের বড় বোনই। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের গোহাওয়ার জাইত গ্রামে ঘটেছে। ১৩ বছরের কিশোরীর বিরুদ্ধে দুই নাবালিকাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃতদের নাম রিতু (৭) এবং পবিত্রা (৫)।
পুলিশ সূত্রে খবর, সহদেব তার স্ত্রী সবিতা এবং পাঁচ সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। সবিতার ১৩ এবং ন’বছরের দুই কন্যা রয়েছে। সবিতা এবং তার প্রাক্তন স্বামী পুখরাজের দুই সন্তান তারা। পুখরাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সহদেবের সঙ্গে বিয়ে হয় সবিতার। সহদেব এবং সবিতার তিন সন্তান— সাত এবং পাঁচ বছর বয়সি দুই কন্যা এবং দেড় বছরের এক পুত্রসন্তান রয়েছে তাদের।
সহদেবের বাড়ি থেকে দুই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সবিতার ১৩ বছরের কন্যা পুলিশকে জানায়, দু’জন অচেনা ব্যক্তি বাড়িতে ঢুকে তার দুই বোনকে গলা টিপে খুন করে পালিয়ে যান। পরে অবশ্য সে নিজেই পুলিশকে আসল ঘটনাটি জানায়। কিশোরীর দাবি, পাঁচ সন্তানকে কী ভাবে বড় করবেন, এত বড় সংসার একা হাতে কী করে সামলাবেন— তা নিয়ে সব সময় চিন্তায় থাকতেন সহদেব। পরিবারের সদস্যসংখ্যা কমে গেলে বাবার চিন্তাও কমে যাবে— এমন ভেবে দুই বোনের গলায় কাপড় জড়িয়ে তাদের গলা টিপে মেরে ফেলে কিশোরী। পুলিশের কাছে এমনটাই জানায় সে। দুই নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
- আইন-বিচার5 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- ক্রিকেট3 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
- টুকিটাকি5 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
- জাতীয়4 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
- খুলনা5 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
- অপরাধ5 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
- শিক্ষা7 days ago
রাতে মোবাইল ঘাটাঘাটির কারণে ফল খারাপ হয়েছে: অধ্যক্ষ ভিকারুননিসা
- শিক্ষা7 days ago
এসএসসিতে এবারের সেরা ১০ স্কুল
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন