Connect with us

শিক্ষা

জবির ফাঁকা আসন পূরণে গণআবেদনের আহ্বান

Avatar of author

Published

on

আসন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে ফাঁকা আসন পূরণের জন্য গণআবেদন আহ্বান করা হয়েছে।

বিজ্ঞান (এ) ইউনিটে ১০ হাজার মেধাক্রম, মানবিক (বি) ইউনিটে তিন হাজার মেধাক্রম এবং বাণিজ্য (সি) ইউনিটে ১১০০ মেধাক্রম পর্যন্ত থাকা শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।

পাশাপাশি প্রথম থেকে সপ্তম মেধাতালিকায় বিষয় বরাদ্দ পেয়েও বিভিন্ন কারণে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হননি তারাও আবার আবেদনের সুযোগ পাবেন।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান। এর আগে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি জানানো হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্ধারিত মেধাক্রমের শিক্ষার্থীদের ১৫-১৬ জানুয়ারির মধ্যে ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজ নিজ প্যানেলে লগইন করে ভর্তির আবেদন করতে হবে। ১৭ জানুয়ারি ভর্তির তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর ১৮-১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত নতুনভাবে বিষয় বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ভর্তি ফি জমা দিয়ে সরাসরি সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ডিন অফিসে সনদপত্রাদি জমা দিয়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।

Advertisement

এক্ষেত্রে বিজ্ঞান অনুষদ ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহের জন্য ৭ হাজার ৪০০ টাকা (প্রাথমিক ভর্তি ফি ৫ হাজার টাকা বাদে), বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহের জন্য ৫ হাজার ৪০০ টাকা (প্রাথমিক ভর্তি ফি ৫ হাজার টাকা বাদে) কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, আইন অনুষদভুক্ত বিভাগ এবং ইন্সটিটিউটসমূহের জন্য (বিশেষায়িত ৪টি বিভাগ বাদে) ৫ হাজার ৪০০ টাকা (প্রাথমিক ভর্তি ফি ৫ হাজার টাকা বাদে) জমা দিতে হবে।

অপরদিকে যারা ইতিমধ্যে গুচ্ছভুক্ত অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আছেন, তারা অনলাইনের মাধ্যমে অবশিষ্ট ভর্তি ফি জমা দিয়ে পূর্বে জমাকৃত ভর্তি ফি’র প্রাপ্তিস্বীকার পত্র (একনলেজমেন্ট স্প্লিপ) সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ডিন অফিসে জমা দিয়ে ভর্তি নিশ্চিত করবেন।

জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান (এ) ইউনিটে ২৪১টি আসন ফাঁকা রয়েছে। এর মধ্যে বাংলা বিভাগে ৭টি, ইতিহাস বিভাগে ১০টি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ৯টি, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ৯টি, দর্শন বিভাগে ১৮টি, একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে ৪টি, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ১৬টি, ফিন্যান্স বিভাগে ৪টি, মার্কেটিং বিভাগে ৩টি, অর্থনীতি বিভাগে ৬টি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ১৩টি, সমাজকর্ম বিভাগে ৪টি, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ৭টি, নৃবিজ্ঞান বিভাগে ৮টি, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ৭টি, লোকপ্রশাসন বিভাগে ১০টি, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে ১৪টি, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ৩৪টি, মনোবিজ্ঞান বিভাগে ৪৪টি, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ৮টি এবং আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ৬টি আসন ফাঁকা রয়েছে।

অপরদিকে মানবিক (বি) ইউনিটে ফাঁকা আছে ৪১টি আসন। যার মধ্যে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ২৭টি ও নৃবিজ্ঞান বিভাগে ১৪টি আসন ফাঁকা রয়েছে। আর বাণিজ্য (সি) ইউনিটে ফাঁকা আছে দুটি আসন। এই ইউনিটের শিক্ষার্থীদের জন্য কেবল নৃবিজ্ঞান বিভাগেই দুটি আসন ফাঁকা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ফলাফলপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আবেদন শুরু হয় গত বছরের ১৭ অক্টোবর। অনলাইনে আবেদন চলে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত।

Advertisement

পরবর্তীতে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে আসন পূরণের লক্ষ্যে ধাপে ধাপে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। ২২ জানুয়ারি থেকে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে। ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ওয়েবসাইটগুলোতে পাওয়া যাবে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

শিক্ষা

একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

Published

on

একাদশ

একাদশ শ্রেণির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী, অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২৬ মে। তিন ধাপে আবেদন চলবে আগামী ১১ জুন পর্যন্ত। আর ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে।

বুধবার (১৬ মে) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

শিডিউল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৩ জুন। শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে ২৯ জুনের মধ্যে। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৩০ জুন থেকে। যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ হবে ৪ জুলাই। একই দিন পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের ফলও প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চয়ন শুরু হবে ৫ জুলাই থেকে। যা চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত।

একাদশ শ্রেণির ভর্তি সংক্রান্ত শিডিউলে বলা হয়েছে, একাদশ শ্রেণিতে তৃতীয় ধাপে ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৯ জুলাই থেকে। চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপের মাইগ্রেশন এবং তৃতীয় ধাপের ফল ১২ জুলাই প্রকাশিত হবে। তৃতীয় ধাপের ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে ১৩ থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে।

Advertisement

সকল ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু হবে ১৫ জুলাই থেকে। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১০ দিন। অর্থাৎ ২৫ জুলাই একাদশ শ্রেণির ভর্তি শেষ হবে। আর একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

শিক্ষা

১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারিতে ফেল ৮ লাখ ৬০ হাজার

Published

on

প্রিলিমিনারি

পরীক্ষা নেয়ার দুই মাসের মধ্যে প্রকাশিত হলো ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল। এতে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্বিক পাসের গড় হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। সে হিসেবে প্রথম ধাপের পরীক্ষায় ফেল করেছে ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষার্থী।

বুধবার (১৫ মে) রাতে এ ফল প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

এনটিআরসিএ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলছে, গেলো ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারি টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিমিনারি টেস্টে স্কুল-২, স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে মোট ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। এই প্রিলিমিনারি টেস্টের ফলাফল বুধবার রাতে প্রকাশ করা হয়।

তথ্য অনুযায়ী, উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জনসহ সর্বমোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন।

পরীক্ষার্থী তার নিবন্ধন পরীক্ষার রোল এবং ব্যাচ নম্বর ব্যবহার করে পরীক্ষার ফলাফল এই লিংক থেকে জানতে পারবেন। তাছাড়া উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদেরকে টেলিটক বাংলাদেশ লি. হতে এসএমএস’র মাধ্যমেও ফলাফল জানিয়ে দেয়া হবে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্যাম্পাস

জিপিএ-৫ কী জীবনের সব?

Published

on

সদ্য প্রকাশিত হয়েছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল। বরাবরের  মতো সব ধরনের আলোচনা জিপিএ -৫ ঘিরে। টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল, দৈনিক পত্রিকায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের উচ্ছ্বসিত ছবি আর সংবাদ। কিন্তু যারা জিপিএ-৫ পেলো না তাদের কি খবর। তাদের এই না পাওয়ার ব্যর্থতা মানে কি তারা জীবন যুদ্ধে পরাজিত। তারা কি জীবনে সফল হতে পারলো না। তাদের ভবিষ্যৎ কি তবে ধ্বংস হয়ে গেলো। সমাজের কিছু মানুষের মাঝে এমন ধারণাই অনেক সময় প্রত্যক্ষ করা যায়।

গেলো কয়েক বছর ধরে পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন অনেক শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রস্তুতির প্রথম দিন থেকে ফলাফলের দিন পর্যন্ত সবার চিন্তা চেতনার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে জিপিএ-৫। শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন দক্ষতা অর্জন, এক্সট্রা কারিকুলার কাজ, বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদের সাথে মেলামেশা অনেক সময় হয়ে পড়েছে গৌণ।

পরীক্ষায় ভাল নম্বর শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎতের ক্যারিয়ারের জন্য জরুরী। তবে তারা যদি ভাল ফলাফল অর্জনে ব্যর্থ হয়, তাহলে সব কিছু শেষ হয়ে যায় না। ভালো ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীকে এগিয়ে দেয় অনেক দূর। কিন্তু এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঠিক কতজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ঢাকা মেডিকেলের মতো নামকরা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনার সুযোগ পাবে। এসব প্রতিষ্ঠানের আসন সংখ্যা হিসেব করলে, খুব অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী সুযোগ পাবে। বাকি যারা সুযোগ পেলো না, তারা কি চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাবে?

বাস্তবে অনেক অভিভাবক এসব বুঝে। কিন্তু এর পরেও তারা অনেক সময় জিপিএ- ৫ এর ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। এসবের কারণ জিপিএ- ৫ এর সাথে যুক্ত থাকা সামাজিক মুল্যের ট্যাগ। আর এই কারণে অনেক ছাত্রছাত্রীদের যেতে হয় মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে। ফলাফলের পরে ঘটছে অনেক আত্মহত্যার ঘটনা। এসব জীবন হয়তো রক্ষা করা যেত যদি আমরা একটু সচেতন হতাম।  জিপিএ- ৫ সব কিছু -এ প্রবণতা আমাদের চিন্তা চেতনার মাঝে প্রবেশ না করাতাম।

আত্মহত্যার পাশাপাশি অনেক শিক্ষার্থী মানসিকভাবে আঘাত পায় । এই সংখ্যা হয়তো আমরা জানি না। তবে আশে পাশে এরকম উদাহরণ অনেক আছ।  আর এ প্রবণতা যে শিক্ষার্থীদের জীবনে অনেক খারাপ প্রভাব ফেলছে তা নিঃন্দেহে বলা যায়।

Advertisement

তাই একজন পরীক্ষায় ভাল ফল অর্জন না করলে জীবনে সব শেষ। আর কেউ খুব ভাল ফলাফল করলে সব সফলতা পেয়ে গেলো, এমনটা ভাবা ঠিক নয়। তাই আমাদের উচিত জিপিএ ৫ ঘিরে যে হাইপ এটা পরিহার করা। আর এক্ষেত্রে কার্যকরী ভুমিকা পালন করতে পারে শিক্ষক আর অভিভাবকরাই। জিপিএ-৫ অর্জনই জীবনের সব কিছু এ ধারণা যেন শিক্ষার্থীদের মাঝে গেঁড়ে না বসে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষক আর অভিভাবকদের।

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত