Connect with us

ফুটবল

ইউনাইটেড ছিল লাল, অলরেড লিভারপুল যেন কালো!

Published

on

ইংলিশ প্রিমিয়া লীগ ইপিএলে ম্যানেচস্টার ডার্বিতে অসাধারণ এক কামব্যাক দিয়ে ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে ম্যানেচস্টার ইউনাইটেড। অপরদিকে ইয়ুর্গেন ক্লপের ‘হেভিমেটাল ফুটবল’ এর তালটা যেন একেবারেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। ব্রাইটনের কাছে হেরেছে ৩-০ গোলে।

গতোকাল শনিবার ইউনাইটেড এর ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানেচস্টার ইউনাইটেড বনাম ম্যানেচস্টার সিটি। শুরুতে পিছিয়ে ছিল রেড ডেভিলরা। দ্বিতীয়ার্ধে প্রভাব ফেলতে না পারা ফোডেন কে তুলে গ্রিলিশকে নামিয়ে ফল পেয়ে যায় ম্যানেচস্টার সিটি কোচ গার্দিওলা। সিটির নাম্বার টেন নেমেই খেলায় সরাসরি প্রভাব ফেলতে শুরু করেন। এবং তার বদৌলতেই ম্যাচের ডেডলক ভাঙতে সমর্থ হয় সিটি। ৬০ মিনিটের মাথায় রাইট উইং থেকে বক্সের ডানপাশে থাকা ডি ব্রুইনাকে পাস দেন মাহরেজ। বল পেয়ে মাঝখানে ক্রস করেন কেডিবি। তার ক্রসে হেড করে দলকে লিড এনে দেন গ্রিলিস।

এদিকে ৭২ মিনিটে আলেহান্দ্রো গারাঞ্চোকে বদলি হিসেবে নামিয়ে খেলার চেহারা পালটে দেন ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগ। আক্রমণভাগে নতুন প্রাণ  ফিরে পাওয়া ইউনাইটেড গোল পেয়ে যায় ছয় মিনিটের মাথায়। যদিও সেই গোলটি ছিল বিতর্কিত। মাঝ মাঠ থেকে ক্যাসেমিরোর বাড়ানো বলের পিছনে ছুটতে থাকে রাশফোর্ড। কিন্তু তিনি বলের নাগালে পৌঁছার আগেই বল জালে পাঠিয়ে দেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। লাইন্সম্যান প্রথমে অফসাইড দিলেও ভিএআরের পরামর্শে গোল পায় ইউনাইটেড।

এভাবে গোল খেয়ে বিক্ষুব্ধ সিটি কিছু বুঝে ওঠার আগেই খেয়ে বসে আরেকটি গোল। বক্সে ঢুকে গারাঞ্চোর করা কাটব্যাকে পা ছুঁইয়ে এডারসনকে নাটমেগ করেন রাশফোর্ড। ম্যাচের বাকি সময়ে সিটি গোল পরিশোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে গেলেও গোলবার বরাবর শট নিতে ব্যর্থ হয় হালান্ডরা।

২-১ গোলে শেষ হওয়া এই ম্যাচ নিঃসন্দেহে এরিক টেন হাগ যুগের সবচেয়ে বড় জয়। ২০১৯ সালের পর এই প্রথম ঘরের মাঠে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে ইউনাইটেড যেন আজ একদম লাল। আর এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা নবম জয় রেড ডেভিলদের।

Advertisement

 

দিনের অপর খেলায় বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টায় ব্রাইটনের মুখোমুখি হওয়া অলরেডরা ছিল একদমনি কালো। ৮৫ বছর পর ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হারা লিভারপুল এবার হারলো ব্রাইটনের কাছে। তাও আবার ৩-০ গোলে।

এলিসনদের দর্শক বানিয়ে সলি মার্চ করলেন জোড়া গোল। ম্যাচের অন্য গোলটি করেছেন ওয়েলব্যাক। অথচ দুই দলের সর্বশেষ ১১ বারের দেখাদেখিতে মাত্র একবারই হারের মুখ দেখেছিল ক্লপরা। এর আগে ঘরের মাঠে সর্বশেষ ১০ ম্যাচে লিভারপুলের বিপক্ষে কোনো জয় পায়নি ব্রাইট।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

ফুটবল

অস্বস্তিতে থাকা মেসিকে নিয়ে শঙ্কা

Published

on

কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। উদ্বোধনী ম্যাচের পর চিলির বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়- দলটিকে কোয়ার্টারে নিয়ে গেছে। তবে দলীয় অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ম্যাচের ২৪ মিনিটে আর্জেন্টিনা চিকিৎসকের কাছে যেতে হয় মেসিকে। আর পুরো ম্যাচ জুড়েই তাকে ‘আনফিট’ বলেই মনে হয়েছে।

মেসি ভুগছিলেন কিছু সমস্যায়। জ্বর ও গলাব্যথার কিছু উপসর্গ ছিল। তা নিয়েই খেলেছেন ম্যাচ। আবার চিলির বিপক্ষে মাঠে নেমেও চোট পেয়েছেন। ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সাথে যখন কথা বলেছেন মেসি, তখনো জানিয়েছেন; তার পেশিতে অস্বস্তি হওয়ার কথা।

ইন্টার মিয়ামির হয়েও চলতি মৌসুমে খেলতে ভুগেছেন মেসি। যেখানে মাংস পেশির সমস্যাতেই ভুগেছেন এই তারকা খেলোয়াড়। এখন আবার দলের হয়ে খেলতে নেমেও একইরকম পরিস্থিতি বোধ করছেন।

মেসির পেশিতে স্ক্যান করার কথা রয়েছে। গণমাধ্যমের সূত্র তেমনটি বলছে। স্ক্যান শেষে হয়তো জানা যাবে, কতটা ভালো বা মন্দ পরিস্থিতিতে আছেন তিনি। এরপর কোপা আমেরিকার বাকি ম্যাচগুলো স্বস্তির সাথে মাঠে থাকতে পারবেন কি না, সেটিও হয়তো পরিষ্কার হয়ে যাবে।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফুটবল

কোস্টারিকার রক্ষণ ভাঙতে ব্যর্থ ব্রাজিল

Published

on

কোনোভাবেই কিছু হলো না। ব্রাজিল চেষ্টা করে গেল একের পর এক। কিন্তু কোস্টারিকার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো তাদের। র‍্যাংকিং বিচারে সেলেসাওদের থেকে ৪৭ ধাপ পিছিয়ে আছে কোস্টারিকা। কোপা আমেরিকার মাঠের খেলায় হতাশা কেবল সঙ্গী হলো ব্রাজিল খেলোয়াড়দের।

গোল মিস, গোল মিস! রদিগো, লুকাস পাকেতা বা ভিনিসিয়াস জুনিয়র- এক যেন মহড়া দিয়েছিলেন তারা। এখানে প্রতিপক্ষকে আলাদা সম্মান জানাতে হয়। কোস্টারিকার রক্ষণভাগ ব্রাজিলের জন্য কাঁটা হয়ে উঠেছিল।

সেই রক্ষণ ভেঙে তারকা খেলোয়াড়েরা সুবিধা করতে পারেনি মোটেও। এবারই প্রথম কোস্টারিকার বিপক্ষে ড্র করলো ব্রাজিল। আগের ১১ দেখায় ১০ বার জিতেছে সেলেসাওরা আর একবার কোস্টারিকা।

এই হারে কোপার শুভসূচনা করতে ব্যর্থ হলো ব্রাজিল।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফুটবল

রেকর্ডের দিনে মেসি বললেন, ম্যাচ সহজ ছিল না

Published

on

কোপা আমেরিকার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড এখন লিওনেল মেসির দখলে। এতদিন পর্যন্ত চিলির সের্হিও লিভিংস্টোনের সাথে ভাগাভাগি অবস্থানে ছিলেন মেসি। এই প্রয়াত গোলরক্ষকের ৩৪ টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড পেরিয়ে মেসি এখন ৩৫ টি ম্যাচ ঝুলিতে নিয়ে অবস্থান করছেন। এমন দিনে দলও জিতেছে কোপা আমেরিকার উদ্বোধনী ম্যাচে।

মেসির হাতে আরও সুযোগ ছিল। গোল করতে পারেননি। তবে গোল করিয়েছেন। একটি গোলে সরাসরি অবদান ছিল তার। আর অন্য গোলটিতেও মূল কাজটুকু করেছেন। আটালান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে কানাডার বিপক্ষে গোল পেয়েছেন হুলিয়ান আলভারেজ ও লাউতারো মার্টিনেজ।

প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। এরপর দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার পর ৪৯ মিনিটে আলভারেজের পা থেকে প্রথম গোল আসে। যেখানে ম্যাক অ্যালিস্টারকে বল বাড়িয়েছিলেন মেসি। আর অ্যালিস্টারের পায়ের খোঁচাতেই আলভারেজ পেয়ে যান দলের পক্ষে প্রথম গোল।

এরপর ৮৮ মিনিটের মাথায় আর্জেন্টাইন অধিনায়কের চমৎকার এক থ্রু-পাসে গোল করতে ভুল করেননি লাউতারো মার্তিনেজ। এই গোলের পর উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে আকাশী-নীল জার্সিধারীরা।

আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা মোট ৬৫ শতাংশ বলের দখলে ছিলেন। আর ১৯ টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৯ টি শট। গোলের সুযোগ মিস না করলে হয়তো ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিতে পারতো মেসি বাহিনী।

ম্যাচ শেষে মেসি বলেন, ‘আমরা ধৈর্য্য নিয়ে বলের দখল নিই এবং আক্রমণ চালাই। আজ আমাদের ফাঁকা জায়গা খুঁজে পেতে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিপক্ষ আমাদের চেয়ে আলাদা ধরনের ফুটবল খেলে। যার বিপরীতে আমাদের মনোবল শক্ত রাখতে হয় এবং লক্ষ্য ছিল বল নিয়ন্ত্রণে রেখে সুযোগ আসলেই তা কাজে লাগানোর।’

Advertisement

আর্জেন্টিনা অধিনায়ক আরও যোগ করেন, ‘আমরা জানতাম তাদের সঙ্গে কঠিন ম্যাচ হবে, কারণ তারা বেশ শরীরি ভাষায় জবাব দেয়। প্রথমার্ধে তো তেমন সুযোগই দেয়নি আমাদের। সৌভাগ্যবশত দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আমরা গোল পেয়ে যাই, কিন্তু এরপরও ম্যাচ খুব একটা সহজ ছিল না।’

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত