ইসলাম
ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন ক্রিকেটার সোহরাওয়ার্দী-রাজীব-জাভেদ
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে চলছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।
ইজতেমার এ পর্বে প্রায় ৮ হাজার বিদেশি মেহমানের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ অংশ নিয়েছেন। এবার মাঠে উপস্থিত আছেন- জাতীয় দলের ক্রিকেটার জাভেদ ওমর, সোহরাওয়ার্দী শুভ, শাহাদাত হোসেন রাজীব ও ইলিয়াস সানিসহ অনেকে। ক্রিকেটারদের সবাই মুফতি ওসামার জামাতের সঙ্গী হিসেবে ময়দানে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে সোহরাওয়ার্দী শুভ এক চিল্লার সাথী। বাকিরাও ইজতেমা থেকে নিয়ত করছেন তাবলিগে সময় দেয়ার।
মুফতি ওসামার এ জামাতে যোগ দিয়েছেন চিত্রনায়ক ইমনও। তিনিও ইজতেমার শুরু থেকে শেষ অবধি সময় দেবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তাজাও এ জামাতের সঙ্গে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
জাভেদ ওমর বলেন, আমি আজই ময়দানে এসেছি। আমি প্রায় সবসময়ই তাবলিগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকি। ইজতেমার ময়দানটা একটা ব্যতিক্রমী জায়গা। এখানে ইচ্ছা হলেই আপনি বেফাস কথা বলতে পারবেন না। ইচ্ছা করলেই রাগ করতে পারবেন না। মানুষের প্রতি বিনয়ী হওয়ার এক জীবনমুখী শিক্ষা এখানে।
তিনি বলেন, আমরা সবাই খাবার খেতে গেলে একটি চামচ ১০ বার পরিষ্কার করি। হাত বার বার পরিষ্কার করি।পৃথক পৃথকভাবে খাবার খাই। কিন্তু এখানে সবাই একত্রিত হয়ে খাবার খাচ্ছি, একই গ্লাসে পানি খাচ্ছি। এখানে কে রাজার ছেলে আর কে রিকশাচালক তার হিসাব চলে না। এতেই সমাজের কাছে একটা বার্তা যায় যে- দিন শেষে আমরা সবাই সমান। এই জায়গা তৈরি করা খুব জরুরি। এ কারণেই এসেছি। জীবনবোধের এই জায়গাটা গুরুত্বপূর্ণ।
সাবেক এই ওপেনার বলেন, মুফতি ওসামা সাহেব আমাকে উত্তম কথা দিয়ে, বিনয় আর প্রজ্ঞা দিয়ে ইসলামের দিকে ডেকেছেন। আমি অভিভূত। তিনি (ওসামা) জানেন- হাউ টু ইনভাইট পিপল টু আল্লাহ। কখনো ফোর্স না করে ভালোবাসা দিয়ে তার এই আহ্বানও ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য। আমি বরাবরই চেষ্টা করছি তাবলিগে লম্বা সময় দেয়ার। আমার জন্য দোয়া করবেন। খুব শিগগির লম্বা সময় সফর করব ইনশাআল্লাহ।
সোহরাওয়ার্দী শুভ বলেন, আমি আগে এক চিল্লা (৪০ দিন) সময় লাগিয়েছি। আমাদের সফর ঢাকা ও চট্টগ্রামে ছিল। ২০০৯ থেকে তাবলিগে যুক্ত হই। তখন থেকেই মুফতি ওসামা তাবলিগের বিভিন্ন প্রোগ্রামে নিয়ে এসেছেন। আমার পেছনে মেহনত করেছেন। উত্তম কথা দিয়ে আহ্বান করেছেন। প্রথম দিকে এড়িয়ে গেলেও শেষ অবধি আর পারিনি।
শুভ বলেন, আমার নিয়ত আছে তিন চিল্লা দেয়ার। কিন্তু একসাথে ১২০ দিন সময় পাওয়া বেশ মুশকিল। তবুও চেষ্টা করছি। আল্লাহ নিশ্চয়ই সহজ করে দেবেন৷
জাতীয় দলের পেসার শাহাদাত হোসেন রাজীব বলেন, আমি ছোটবেলায় মাদ্রাসার ছাত্র ছিলাম। আমার মায়ের খুব ইচ্ছা ছিল একটি ছেলে ইসলামের পথে থাকুক। কিন্তু মাদ্রাসায় কন্টিনিউ করতে পারিনি। তবে খেলাধুলা যেহেতু বেশি দিন করব না সেহেতু চেষ্টা করছি দ্বীনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার।
তিনি বলেন, এখানে এসে অনেক ভালো লাগছে। বিশেষ করে এখানকার পরিবেশ, মানুষের আন্তরিক সম্পর্ক, সহমর্মিতা সব মিলিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা। ইসলাম হচ্ছে একটি বাস্তব শিক্ষা। এখান থেকে শিক্ষা নিলেই জীবন আরও সুন্দর হবে।
তিনি আরও বলেন, শিখছি কীভাবে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকতে হয়। কীভাবে ইসলাম প্রচার করতে হয়। জানতে চেষ্টা করছি, আমাদের নবী (সা.) কীভাবে ইসলাম প্রচার করেছেন। কষ্ট সহ্য করেছেন। এগুলো শেখা গুরুত্বপূর্ণ সকলের জন্য।
মুফতি উসামা ইসলাম বলেন, বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ জাতীয় টিমের সোহরাওয়ার্দী শুভ, শাহাদাত হোসেন রাজীব, ইলিয়াস সানিসহ অনেকেই পূর্ণ ৩ দিন সময় দিচ্ছেন। আমি তাদের সঙ্গে দাওয়াতের মেহনতের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করছি। পাশাপাশি তারাও ইজতেমায় এসে বেশ উচ্ছ্বসিত। আল্লাহ তাদের কোরবানিকে কবুল করুন।
- বাংলাদেশ6 days ago
জাহাজের গতি বাড়িয়েছে সোমালি জলদস্যুরা
- বাংলাদেশ6 days ago
জিম্মি জাহাজ ও নাবিক উদ্ধারে যেভাবে পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে
- রংপুর7 days ago
দেশের দীর্ঘতম রেলপথ চালু হলো
- জাতীয়7 days ago
২৩ নাবিকসহ জলদস্যুদের কবলে বাংলাদেশি জাহাজ
- বাংলাদেশ6 days ago
বাংলাদেশি জাহাজকে যে দিকে নিয়ে যাচ্ছে জলদস্যুরা
- টুকিটাকি5 days ago
ভাইয়ের বিয়েতে বোন পালাল ক্যামেরাম্যানের সঙ্গে
- বাংলাদেশ7 days ago
অল্প সময়ে কোটিপতি হতে চেয়েছিলেন তারা!
- টুকিটাকি4 days ago
৬০ শতাংশ বিবাহিত নারী-পুরুষই পরকীয়ায় আসক্ত!
Warning: Undefined variable $user_ID in /home/bayanno.com/public_html/wp-content/themes/zox-news-github/comments.php on line 49
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন